হত্যার দায়ে
কুষ্টিয়ায় বাড়িওয়ালাকে হত্যার দায়ে দম্পতির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জালাল উদ্দিন (৭০) নামে বাড়িওয়ালা এক বৃদ্ধকে গলা কেটে হত্যার দায়ে সাহাবুল ও তার স্ত্রী মারিয়া খাতুনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মিরপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত মুন্তাজ মন্ডলের ছেলে সাহাবুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মারিয়া খাতুন।
আদালতে রায় ঘোষণার সময় আসামি সাহাবুল উপস্থিতিত থাকলেও তার স্ত্রী মারিয়া খাতুন পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মাদক মামলায় একজনের যাবজ্জীবন
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি আসামি সাহাবুল ও তার স্ত্রী মারিয়া বাড়িওয়ালা জালালের বাসায় চুরি করার পরিকল্পনা করেন। নিহতের স্ত্রী রিনা খাতুন বাড়ির বাইরে গেলে আসামিরা মেইন গেট দিয়ে বাসায় ঢুকে বাড়ির মালামাল চুরি করে। চুরি বিষয়টি বাড়ি মালিক জালাল টের পেয়ে চিৎকার করা শুরু করলে আসামি সাহাবুল ও তার স্ত্রী মারিয়া বাড়ির মালিককে কৌশলে মাটিতে ফেলে দিয়ে মুখ হাত পা চেপে ধরে ধারালো বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে।
এ বিষয়ে একই দিন বিকালে নিহতের স্ত্রী রিনা খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর স্বামী-স্ত্রী দু’জন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং আদালতে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত এ মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার এই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে মাদক মামলায় ২ আসামির কারাদণ্ড
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী ও স্ত্রীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় স্বামী উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু সাহাবুলের স্ত্রী আসামি মারিয়া উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।
২ বছর আগে
কুমিল্লায় স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে ৩ বন্ধুর আমৃত্যু কারাদণ্ড
কুমিল্লায় স্কুলছাত্রকে হত্যার দায়ে তিন বন্ধুকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪ এর বিচারক মিসেস সেলিনা আক্তার এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো.খাইরুল ইসলাম, জিহাদ হোসেন ও এমদাদ হোসেন।
তিন আসামির মধ্যে মো. খাইরুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত থাকলেও অপর দুই আসামি জিহাদ হোসেন ও এমদাদ হোসেন হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে পলাতক রয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্কুলছাত্রীকে হত্যার দায়ে কুড়িগ্রামে যুবকের আমৃত্যু কারাদণ্ড
নিহত জাহিদ হাসান উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের সাপলেজি গ্রামের ব্যবসায়ী মো. আক্তারুজ্জামানের ছেলে ও দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
মামলা সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের গত ৪ নভেম্বর মো. জাহিদ হাসানকে বাড়ির পাশ থেকে কৌশলে অপহরণ করে তারই তিন বন্ধু। সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজির পর গত ৫ নভেম্বর হোমনা থানায় নিখোঁজের পরিবার একটি ডায়েরি করে। এরপর অপহরণকারীরা ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় নিহতের চাচা মাসুদ রানার মোবাইলে কল দিয়ে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। চাচা মাসুদ রানা জাহিদের পরিবারকে বিষয়টি জানালে তারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। এরপর মোবাইল ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে জিহাদ হোসেন, এমদাদ ও খাইরুলকে আটক করে পুলিশ।
আটকের পর তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মুক্তিপণ দাবি ও জাহিদ হাসানকে হত্যা করে স্কুলের সেপটিক ট্যাংকিতে ফেলে রাখে বলে পুলিশকে জানায়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, দুলালপুর চন্দ্র মনি উচ্চ বিদ্যালয়ের সেপটিক ট্যাংকির ভেতর থেকে স্কুল ছাত্র জাহিদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: অধ্যক্ষ গোপাল কৃষ্ণ হত্যায় ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
নিহত জাহিদের বাবা ও মামলার বাদী মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, আমার ছেলেকে তারা নৃশংসভাবে মেরেছে। আমি এই রায়ে সুন্তষ্ট নই। আমি তাদের মৃত্যুদণ্ড আশা করেছিলাম।
২ বছর আগে