কপ-২৭
‘কপ-২৭ সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ কমাতে অনেকেই আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছন, কপ-২৭ সম্মেলনে অনেকেই কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে।
তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করার জন্য আমরা যে বৈশ্বিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছি, তা বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা, ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে একটা বৈশ্বিক ঐক্যমত তৈরি করার লক্ষ্যেই কপ সম্মেলনগুলো হয়।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কপ-২৭ প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি: বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাসউদুল হক, হাবিব রহমান প্রমুখ সভায় অংশ নেন।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা শওকত আলী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, পরিবেশ পরিবর্তনজনিত ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ এর জন্য বিশেষ তহবিল গঠনের দাবি আমাদের বহুদিনের। শেষ পর্যন্ত প্যারিস এগ্রিমেন্টের ৮ নম্বর অনুচ্ছেদে এটিকে স্বীকার করে নেয়া হলেও কোনো অগ্রগতি হচ্ছিল না।
মিশরে কপ-২৭ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং বৃটিশ প্রধানমন্ত্রীসহ বিশ্বের প্রায় একশ’ রাষ্ট্রপ্রধান-সরকার প্রধানরা গিয়েছিলেন এবং এবারের অন্যতম অগ্রগতি হলো যে, বিশ্ব সম্প্রদায় ‘লস এন্ড ড্যামেজ’ বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়েছে।
মন্ত্রী জানান, কপ-২৭ সম্মেলনে অনেকেই কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য আগের চেয়ে বেশি কমিটমেন্ট করেছে। আমাদের সরকারও ২০৪১ সালের মধ্যে মোট জ্বালানির ৪০% নবায়নযোগ্য জ্বালানি অর্থাৎ সোলার, গ্রিনপাওয়ার, জলবিদ্যুৎ ব্যবহারের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এসবের জন্য একটা প্রতিযোগিতা তৈরি হয়েছে। এটি খুব ভালো দিক। ভাবনার বিষয় এতোকিছুর পরও বিশ্বের তাপমাত্রা ১৮৮০ সালের ভিত্তি তাপমাত্রা থেকে ৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে, এখন ১.১ ডিগ্রি বেড়েছে। আর তাতেই সার্বিয়া, অস্ট্রেলিয়া, আফ্রিকায় দাবানল, পাকিস্তানে যারা পানির সঙ্গে খুব বেশি পরিচিত নয়, সেখানে বন্যা দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ এর ফলাফলে সুশীল সমাজের হতাশা প্রকাশ
কপ-২৭: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অর্থ দিতে এখনও একমত হয়নি ধনী দেশগুলো
২ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, সম্প্রতি মিশরের শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে।
বাংলাদেশ ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও দীর্ঘমেয়াদী জলবায়ু অর্থায়ন সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে 'নিউ কালেকটিভ কোয়ান্টিফাইড গোল অন ক্লাইমেট ফাইন্যান্স' আলোচনায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনের জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছে।
মঙ্গলবার পরিবেশ অধিদপ্তরের মিলনায়তনে ‘২৭তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন: প্রত্যাশা, প্রাপ্তি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, উন্নত দেশগুলোকে ২০২৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অভিযোজন অর্থায়ন দ্বিগুণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে জাতিসংঘ ও এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
শাহাব উদ্দিন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের রূপরেখা সম্মেলনের (ইউএনএফসিসিসি) ১৯৭টি সদস্য রাষ্ট্র দীর্ঘ আলোচনার পর ২০ নভেম্বর সকালে 'শারম আল-শেখ বাস্তবায়ন পরিকল্পনা' গ্রহণসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সম্মেলন সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ মোকাবিলায় একটি নতুন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তহবিলকে 'কার্যকরী' করার জন্য ও এর 'বিস্তারিত ব্যবস্থা' ঠিক করার লক্ষ্যে কপ-২৮ এর জন্য একটি 'ট্রানজিশনাল কমিটি' গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সম্মেলনে ' লস অ্যান্ড ড্যামেজ' চূড়ান্তকরণ, আয়োজক নির্ধারণ ও একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশগুলো 'গ্লোবাল গোলস অন অ্যাডাপটেশন' নিয়ে পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
তিনি বলেন, 'অভিযোজন তহবিলে' ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) বাস্তবায়নে অর্থায়নে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ এর ফলাফলে সুশীল সমাজের হতাশা প্রকাশ
এছাড়াও, জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আগাম সতর্কতা ব্যবস্থার মাধ্যমে পৃথিবীর সকলকে রক্ষা করার জন্য আগামী পাঁচ বছরে তিন দশমিক এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শারম আল-শেখ বাস্তবায়ন পরিকল্পনা বিশ্বের সব দেশ অভিনন্দনের সঙ্গে গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে বাংলাদেশের মতো আরও ঝুঁকিপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ মোকাবিলায় একটি নতুন তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত রয়েছে। তবে এর সফলতা নির্ভর করবে সঠিক বাস্তবায়নের ওপর।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: কপ-২৭: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অর্থ দিতে এখনও একমত হয়নি ধনী দেশগুলো
২ বছর আগে
কপ-২৭ এর ফলাফলে সুশীল সমাজের হতাশা প্রকাশ
বাংলাদেশসহ জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এবারের জলবায়ু সম্মেলনের (কপ-২৭) ফলাফলে হতাশা প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার মিশরের কপ-২৭ সম্মেলন কেন্দ্রের সভাকক্ষে আয়োজিত ‘এলডিসি অ্যান্ড এমভিসি পিপলস এক্সপেকটেশন অ্যান্ড কপ২৭’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই মতামত তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা ২০৫০ সালের মধ্যে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার লক্ষ্য অর্জনে বড় দূষণকারীদের প্রতিশ্রুতি এবং কপ-২৭ আলোচনার সময়সীমার মধ্যে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ কর্মসূচির জন্য আর্থিক সুবিধার বিষয়ে উন্নত দেশগুলো থেকে অবিলম্বে ঘোষণার দাবি জানান।
জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সিএসও নেতাদের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আলী আকবর টিপু (প্যানেল মেয়র, খুলনা সিটি কর্পোরেশন), শামীম আরেফিন (অ্যাওসেড), ড. মোস্তফা সারোয়ার (প্রফেসর, কুয়েট), সৌম্য দত্ত (ফেলো, অশোকা রিসার্চ ফাউন্ডেশন, ভারত), প্রয়াশ অধিকারী (ডিগবিকাস ইনস্টিটিউট, নেপাল), এনআরসি (নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল) এর সামাহ হাদিদ এবং অ্যাটলে সোলবার্গ (প্ল্যাটফর্ম অব ডিজাস্টার ডিসপ্লেসমেন্ট সচিবালয়ের প্রধান)।
আরও পড়ুন: কপ-২৭: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অর্থ দিতে এখনও একমত হয়নি ধনী দেশগুলো
এতে মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন বাংলাদেশ থেকে আমিনুল হক (ইক্যুইটিবিডি)।
আমিনুল বলেন, ‘১ দশমিক ৫ ডিগ্রি লক্ষ্য অর্জনে উন্নত দেশগুলোকে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা উচিত। তাদের উচিত অবিলম্বে ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি’ ঘোষণা করা। কারণ তাদের প্রশমন ও অভিযোজনে ন্যায্য অংশ বজায় রেখে তা পরিশোধ করার নৈতিক দায় রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ধনী দেশগুলোর উচিত অবিলম্বে ইউএনএফসিসিসি কনভেনশন ও প্যারিস চুক্তি অনুসরণ করে অভিযোজন সংক্রান্ত বৈশ্বিক লক্ষ্য নির্ধারণের কাজ শুরু করা।’
আরও পড়ুন: কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবারের কপ-২৭ আলোচনার মূল ফোকাস: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা জোরদারে সম্মত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্কটিশমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার কপ-২৭ সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তারা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন।
দুই মন্ত্রী বাংলাদেশের জ্বালানির মিশ্রণকে আরও বিস্তৃত করার জন্য সমুদ্রতীরের বায়ু শক্তি এবং হাইড্রোজেনে জড়িত থাকার সুযোগগুলো ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্ত্রী ম্যাকঅ্যালান 'ক্ষতি ও ক্ষয়ক্ষতির' জন্য স্কটল্যান্ডের সমর্থনের ওপর জোর দিয়েছেন।
মন্ত্রী মোমেন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বিষয়টির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাস্তুচ্যুতদের উদ্বেগও এর অংশ হিসেবে সমাধান করার আহ্বান জানান তিনি।
মোমেন ২০২১ সালের নভেম্বরে গ্লাসগোতে কপ-২৬ আয়োজনের জন্য স্কটিশ সরকারকেও ধন্যবাদ জানান।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
তারা কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য বিশেষ আগ্রহের বিষয় কপ-২৭ বিষয়ে মতবিনিময় করেন।
তারা সমুদ্র সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি ন্যায্য, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং টেকসই পদ্ধতির জন্য কমনওয়েলথ ব্লু চার্টারের কার্যকরী বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করেছেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশকে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হিসেবে উল্লেখ করে মহাসচিব স্কটল্যান্ড বাংলাদেশকে কমনওয়েলথ ব্লু চার্টারের অধীনে অ্যাকশন গ্রুপগুলোর একটির নেতৃত্ব দেয়ার কথা বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করি: রাষ্ট্রদূত নাওকি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের কোর গ্রুপ গঠনের জন্য কমনওয়েলথ মহাসচিবের পরামর্শকে সমর্থন করেন।
তিনি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কমনওয়েলথ স্কলারশিপের সংখ্যা বাড়াতেও অনুরোধ করেন।
মহাসচিব মন্ত্রীকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিষয়ে কমনওয়েলথ সদস্য দেশগুলোর তরুণদের প্রশিক্ষণের জন্য একটি নতুন সুযোগ তৈরি করার কথা জানান।
বৈঠকে মিসরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মনিরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগের সহায়ক হতে চায় বাংলাদেশ
২ বছর আগে
কপ-২৭: ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অর্থ দিতে এখনও একমত হয়নি ধনী দেশগুলো
এবারের জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) অংশগ্রহনকারী দেশগুলো এখনও গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ কর্মসূচির আওতায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি এই সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি জিয়াউল হক ইউএনবিকে বলেন, উন্নত দেশগুলো ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ কর্মসূচির কাঠামো চূড়ান্ত করার জন্য ২০২৪ সালকে নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘ক্ষয়ক্ষতিসহ জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে অর্থ দেয়ার প্রাথমিক ইস্যুতে আমরা একমত হতে পারিনি। কার্বন নিঃসরণ কমাতে প্রশমন কর্মসূচির পরিধি নিয়েও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমি মনে করি না যে আমরা এই বছরের সম্মেলনে খুব বেশি অর্জন করব, কারণ ধনী দেশগুলো পুরনো ইস্যুতেই ঐকমত্যে পৌঁছাতে ব্যস্ত।’
আরও পড়ুন: কপ-২৭ আলোচনায় সবুজ জলবায়ু তহবিল আদায়কে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: ইউএবনবিকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
তিনি আরও বলেন যে কপ-২৭ এ অংশগ্রহনকারীরা বর্তমানে অভিযোজন ও ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ’ কর্মসূচির বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রার রূপরেখা প্রস্তুত করছে, যাতে পরবর্তী সম্মেলনে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
জিয়াউল বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়ার বিষয়টি প্রতিটি সম্মেলনে ব্যাপকভাবে আলোচিত হলেও নীতিমালার অভাব থাকায় কেউ কোনও অর্থ প্রদান করে না। এজন্য আমরা অভিযোজন সংক্রান্ত বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছি। আশা করি পরবর্তী সম্মেলনে লক্ষ্যমাত্রা চূড়ান্ত করা হবে এবং তারপর আমরা অর্থ পাব।’
কপ-২৭ এ বিভিন্ন বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে ইউএনবি জানতে পেরেছে যে গ্লাসগো-শারম আল-শেখ ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন মিটিগেশনের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো এই কাজের কর্মসূচির জন্য চাপ দিচ্ছে।
কোন দেশগুলোতে প্রথমে কার্বন নির্গমন পরীক্ষা করতে হবে তা এই কর্মসূচির আওতায় তালিকা করা হবে। এছাড়াও, এই কর্মসূচির আওতায় ২০৩০ সাল পর্যন্ত কী পরিমাণ কার্বন নির্গত হচ্ছে তার একটি সমন্বয় প্রতিবেদনও প্রস্তুত করা হবে।
এই বিষয়ে কপ-২৭ এ ৩৮টি অনুচ্ছেদের সমন্বয়ে একটি খসড়া নথি প্রকাশ করা হয়েছে। বর্তমানে অংশগ্রহনকারীরা একে সংক্ষিপ্ত করতে অনুচ্ছেদের সংখ্যা কমানোর চেষ্টা করছে।
সম্মেলনে কর্মকর্তা স্তরের আলোচনা শেষ হয়েছে এবং বর্তমানে মন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা চলছে। সম্মেলনটি শুক্রবার শেষ হলে অংশগ্রহনকারী দেশগুলোর মন্ত্রীদের অনুমোদিত চুক্তি হিসেবে ‘শারম আল-শেখ সিদ্ধান্ত’ নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবারের কপ-২৭ আলোচনার মূল ফোকাস: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, চলমান কপ-২৭ সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে। বেশ কয়েকটি উন্নত দেশ বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে লস এন্ড ড্যামেজে অর্থায়ন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তিনি বলেন, লস এন্ড ড্যামেজের ক্ষতি পোষাতে আমরা গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড এর মতো পৃথক ফান্ড চাই।
মিশরের শারম আল শেখ শহরে ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলমান কপ-২৭ বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ যোগ দেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কপ-২৭ সম্মেলনের গত এক সপ্তাহের অগ্রগতি নিয়ে শনিবার ইউএনবিকে দেয়া এক বিশেষ সাক্ষৎকারে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অভিযোজন এবারের কপ-২৭ আলোচনার মূল ফোকাস: তথ্যমন্ত্রী
লস এন্ড ড্যামেজ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ঘনঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আমাদের লস এন্ড ড্যামেজ বেশি হচ্ছে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধির বড় উদাহরণ। আবার বন্যায় শুধু আমাদের অবকাঠামো ধ্বংস হচ্ছে না, বানভাসি মানুষও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা তাদের জীবিকা ও ফসল হারাচ্ছে। তবে এবার আশার বিষয় হলো এবারের জলবায়ু সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনে লস এন্ড ড্যামেজ নিয়ে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে ডেনমার্ক ও বেলজিয়ামসহ আরও কয়েকটি দেশ লস এন্ড ড্যামেজে অর্থায়ন করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে এই সম্মেলনে।
পরিবেশবিদ ও তথ্যমন্ত্রী বলেন, আরও একটি ভালো দিক হচ্ছে প্রায় ১০০টি দেশের সরকার/রাষ্ট্রপ্রধান এতে অংশ নিয়েছেন। কপ-২৭ এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত আশাপ্রদ। এটাই প্রতীয়মান হয় এই সম্মেলনে বিশ্ব নেতারা অংশ নেয়া মানে জলবায়ু পরিববর্তনকে গুরুত্ব সহকারে দেখা। এই গুরুত্বটা আমি মনে করি তাপমাত্রা কমাতে ইতিবাচক হবে। কার্বন নিঃসরণ কমানোর কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
মন্ত্রী বলেন, লস এন্ড ড্যামেজ পোষাতে আমরা গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড এর মত পৃথক ফান্ড চাই। এজন্য আমরা দাবি করছি বাংলাদেশ ছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো এটিকে আরও জোরালো করতে হবে।
ক্লাইমেট ফিনান্স বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কপ সম্মেলনে একটা বার্নিং কিছু থাকে ক্লাইমেট ফিনান্স নিয়ে। এই কপে এটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, বিতর্ক হচ্ছে। এই বিতর্কটাকে উস্কে দিচ্ছে উন্নত দেশগুলো। গত বছর ৮২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে; কিভাবে তারা (উন্নত দেশগুলো) ফান্ড দিয়েছে বা কাকে দিয়েছে সে বিষয়ে একটা শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। যে সমস্ত বাইলেটারাল সহায়তা আছে, সেগুলোও এখানে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। অথচ কথা ছিল টু এডিশনাল সাহায্য দিবে। সেটা তারা করেনি।
তিনি আরও বলেন, এই ফান্ডিং এর ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনা খুবই জরুরি। যতক্ষণ পর্যন্ত স্বচ্ছতা আসবে না, ততক্ষণ ক্লাইমেট ফান্ড এর গতি আসবে না।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ আলোচনায় সবুজ জলবায়ু তহবিল আদায়কে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: ইউএবনবিকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
এবারে কপ সম্মেলনকে কিভাবে দেখছেন জানতে চাইলে তিনি ইউএনবিকে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের হাত থেকে বিশ্বকে বাঁচাতে বাধা হয়ে দাড়িয়েছে যুদ্ধ। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পৃথিবীতে যে স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন চলছে, তা জলবায়ু পরিবর্তনের চেয়েও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে মানুষকে। তাই পৃথিবীর মানুষকে বাঁচাতে হলে আগে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধের কারণে জলবায়ু অর্থায়ন হুমকির মুখে পড়েছে। যুদ্ধ বন্ধ না হলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থ পাবে কি-না সেটি এখন আমাদের সামনে বড় প্রশ্ন।
জলবায়ু সম্মেলনে বেশ কয়েকটি সাইড ইভেন্টে তথ্যমন্ত্রীর যোগদান বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দেশের পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন অবকাঠামোর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ক্ষয়ক্ষতি মেটাতে বিশ্ব জলবায়ু তহবিল থেকে পৃথকভাবে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির এ বিষয়টি প্রথমে অনেকে স্বীকারই করতে চায়নি। অথচ বাংলাদেশসহ জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা অনেক দেশের জনজীবনে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। পরিবেশ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানো বা অভিযোজনের জন্য বরাদ্দ থেকে অর্থায়ন নয়, এই ক্ষয়ক্ষতি পূরণ ও নিরসনের জন্য আলাদা খাত তৈরি করে পৃথকভাবে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকর প্রভাবের মধ্যে সাগরপৃষ্ঠের উচ্চতা ও পরিবেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি, অসময়ে বৃষ্টিপাত, খরা ও উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ত জল বেড়ে যাওয়া, নদীতীর ক্ষয়, ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের প্রকোপ, শহরাঞ্চল ও জলাধার সন্নিকট এলাকায় বন্যায় সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতির কথা তুলে ধরেছি। বাংলাদেশের ৯৮ শতাংশ মানুষ নিরাপদ পানি পাচ্ছে। স্যানিটেশনেও রয়েছে প্রায় শতভাগ সাফল্য। এক্ষেত্রে ভারত- পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে। কিন্তু, জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের এই সাফল্যকে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা নিরাপদ পানি পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদেরকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এগুতে হচ্ছে।
জলবায়ু সম্মেলনে কৃষি নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী কৃষিখাতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর চাপের মুখেও দেশ। কিন্ত যখন কৃষিখাত থেকে মিথেন ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে বলা হয়, তখন সেটি আমাদের জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কৃষিখাতে কার্বন নিঃসরণ কমাতে বলা হলেও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত রেখেই আমাদের কৃষিকে জলবায়ু সহিষ্ণু করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে আমরা কিছু করতে পারবো না।
আরও পড়ুন: কপ ২৭: উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
২ বছর আগে
কপ-২৭ আলোচনায় সবুজ জলবায়ু তহবিল আদায়কে অগ্রাধিকার দেয় বাংলাদেশ: ইউএবনবিকে জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন ইউএনবিকে বলেছেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রতিশ্রুত ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা প্রদানের সিদ্ধান্ত এবং গ্লাসগো-শার্ম আল শেখ ওয়ার্ক প্রোগ্রাম অন দ্যা গ্লোবাল গোল অন এডাপটেশন বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি।
তিনি আরও বলনে, বাংলাদেশ প্রণীত ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান বাস্তবায়নে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ২৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন। বাংলাদেশের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ)বাস্তবায়নে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ‘তহবিল ও সমাধান’-এর মাধ্যমে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ ও ন্যূনতম দায়ী দেশগুলোর জন্য কাজ ও সহায়তা করতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশসহ ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো কপ সম্মলেনে আলোচনায় অংশ নিবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর ক্ষয়ক্ষতির জন্য একটি সুনির্দিষ্ট অর্থায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা আবশ্যক। এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ফাইন্যান্স এর হিসাবমতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় আট দশমিক ৮ থেকে ৯ দশমিক ৯ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে।
আরও পড়ুন: বহুবিষয়ে অগ্রগতি নেই, তবে কপ২৭ সম্মেলনে বিশ্বনেতাদের যোগদান আশাপ্রদ: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
কপ-২৭: উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য প্রতিশ্রুত ১০ হাজার কোটি ডলার বাস্তবায়ন করতে বলবে বাংলাদেশ
প্যারিস চুক্তি ও কনভেনশনের অধীনে নির্ধারিত সমষ্টিগত জলবায়ু লক্ষ্য অর্জনের জন্য পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব নেতারা আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৭ এর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২৭ তম কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস বা কপ-২৭ আয়োজন করা হবে জলবায়ুর জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে পদক্ষেপ নেয়ার লক্ষ্যে কপ-২৬ এর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে।
যে বিষয়গুলো আমলে নেয়া হবে: জরুরিভাবে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন হ্রাস করা, স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করা ও জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য প্রভাবগুলোর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জলবায়ু সংক্রান্ত কাজে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি প্রদান করা।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দ্রুততম সময়ের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রতি বছর ১০ হাজার কোটি মার্কিন ডলার তহবিল প্রদানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করবে।
মিশরের শহর শারম আল-শেখে ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন ও অভিযোজনের জন্য বর্ধিত তহবিলের গুরুত্বও তুলে ধরবে।
আরও পড়ুন: কপ-২৭ এর আগে জলবায়ু অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান বাংলাদেশের
প্যারিস চুক্তির অধীনে দেশগুলো প্রতিশ্রুতিগুলোকে কর্মে পরিণত করার মাধ্যমে তারা যে বাস্তবায়নের নতুন যুগে রয়েছে তা কপ-২৭ এ দেখানো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা ৭ ও ৮ নভেম্বর শারম আল-শেখ জলবায়ু বাস্তবায়ন শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন এবং ১৫ থেকে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিকভাবে মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আগামী মাসে শারম আল-শেখে অনুষ্ঠিতব্য জলবায়ু সম্মেলনের পূর্বে ক্ষয়ক্ষতির নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জলবায়ু অর্থায়নের অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নতুন বৈশ্বিক উদ্যোগ চায় ঢাকা
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে জলবায়ু পরিবর্তন একটি নিরাপত্তা সমস্যা এবং এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) নিয়মিত বিরতিতে আলোচনা করা উচিত।
বৈশ্বিক জলবায়ু কূটনীতিতে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে এবং ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আলোচনায় বাংলাদেশ একটি সাহসী কণ্ঠস্বর হিসেবে আবির্ভূত হয়।
বাংলাদেশ এর জলবায়ু দুর্বলতা থেকে স্থিতিস্থাপকতা এবং জলবায়ু সমৃদ্ধির পথে যাত্রা করার লক্ষ্যে ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ চালু করেছে। সরকার এটিকে জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য একটি যুগান্তকারী নীতিগত নির্দেশিকা হিসেবে দেখছে।
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট: বিশ্বনেতাদের ‘মুনাফার চেয়ে মানুষকে’ অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান তরুণদের
২ বছর আগে
কপ-২৭ সম্মেলনের আগে প্রতিশ্রুতিগুলো কাজে পরিণত করতে হবে: রবার্ট ডিকসন
জলবায়ু প্রশ্নে বাংলাদেশকে একটি ‘আস্থাভাজন ও গুরুত্বপূর্ণ’ কণ্ঠস্বর উল্লেখ করে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বলেছেন, আমাদের হাতে এখন ‘বিশাল’ কাজ, কপ-২৭ সম্মেলনের আগ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে হবে। যাতে জলবায়ু বিপর্যয় রোধে বিভিন্ন দেশের দেয়া প্রতিশ্রুতিগুলোকে ‘কাজে পরিণত’ করা যায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা কপ-২৬-এ অংশগ্রহণকারী জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে সত্যিকারে আশা জন্মাতে পেরেছি। এখন মাত্র আট মাসের মধ্যে মিশরে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৭-এর আগে যে সমস্ত অগ্রাধিকারমূলক জলবায়ু পদক্ষেপ নেয়া দরকার তার ওপর ফোকাস করতে হবে।’
চলতি বছরের নভেম্বর মাসে মিশরের শার্ম এল-শেখে ইউএনএফসিসিসি-এর কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (কপ-২৭) এর ২৭তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত ‘বিল্ডিং অন দ্যা আউটকামস অব কপ-২৬: প্রায়োরিটি ক্লাইমেট অ্যাকশনস এহেড অব কপ-২৭’ শীর্ষক ওয়েবিনারে ব্রিটিশ হাইকমিশনার ডিকসন এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য অংশীদারিত্ব: বিশেষজ্ঞদের অগ্রাধিকারমূলক জলবায়ু পদক্ষেপ বিষয়ক আলোচনা শুক্রবার
২ বছর আগে