জাতীয়
চীন সফরে যাচ্ছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান আগামী ২৭ থেকে ২৯ আগস্ট চীন সফর করবেন।
চীনের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) কেন্দ্রীয় কমিটির পলিট ব্যুরোর সদস্য ও কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্র কমিশনের কার্যালয়ের পরিচালক ওয়াং ই'র আমন্ত্রণে সুলিভান এই সফর করছেন।
শনিবার (২৪ আগস্ট) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং এই তথ্য জানিয়েছেন।
মাওয়ের মতে, দুই পক্ষ চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন করে আলোচনায় বসবে।
২ মাস আগে
কুয়ালালামপুরে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন
যথাযোগ্য মর্যাদা এবং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকী এবং জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশ হাইকমিশন।
শনিবার (৯ মার্চ) কুয়ালালামপুরের একটি পাঁচতারকা হোটেলে এ উপলক্ষে একটি কূটনৈতিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কিয়ং।
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান এবং হাইকমিশনারের সহধর্মিণী, প্যান্ডোরা চৌধুরীর সঙ্গে কেক কাটেন এবং আনুষ্ঠানিক ফটো সেশনে অংশগ্রহণ করেন মন্ত্রী স্টিভেন।
মালয়েশিয়ার মন্ত্রী তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল এবং বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের সাফল্য ও সমৃদ্ধির কামনা করেন।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ' হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।
তিনি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসাবে মালয়েশিয়া কর্তৃক বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকে গভীর কৃতজ্ঞতার স্মরণ করেন। ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক মালয়েশিয়া সফর স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে মালয়েশিয়ার কূটনীতিক সম্পর্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পারস্পরিক মূল্যবোধ, বিশ্বাস ও ঐতিহাসিক বন্ধনের উপর ভিত্তি করে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়া ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, জ্বালানি, পর্যটন এবং মানবসম্পদ উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করেছে।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান সহজীকরণের প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানের জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ফোরামে মালয়েশিয়ার জোরালো সমর্থনের গভীর প্রশংসা করেন হাইকমিশনার।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশী শিল্পীদের বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক পরিবেশনাও ছিল। নৃত্য পরিবেশনায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতার মহাকাব্যিক সংগ্রাম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে উন্নয়ন যাত্রা তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানস্থলে সুসজ্জিত বাংলাদেশ কর্নারে ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন ও রপ্তানিযোগ্য পণ্য ও হস্তশিল্প প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সংস্কৃতি, অর্থনীতি ইত্যাদি বিষয়ক প্রকাশনা কর্নারে স্থান পায় যা অতিথিদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করে। বাংলাদেশের সাফল্যের গল্পের সচিত্র বর্ণনাসহ অডিটোরিয়ামটি সুসজ্জিত করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পর্যটন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, বিনিয়োগ এবং দেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার উপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, কূটনীতিক, মালয়েশিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তি, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও চেম্বার নেতা, শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক ও বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতাসহ সুশীল সমাজের সদস্য এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের প্রায় ৪০০ অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এ বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের দিনটি রমজান মাসে পড়ায় স্বাধীনতা এবং জাতীয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি ৮ মার্চ আয়োজন করে হাইকমিশন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে অংশীদারিত্বে রূপান্তরে গুরুত্বারোপ ইউএই'র পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৮ মাস আগে
কারাগারগুলোকে সংশোধনাগার হতে হবে: জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কারাগারকে সংশোধনের স্থান হিসেবে গড়ে তুলতে নিয়মিত সততা ও নৈতিক শিক্ষার পরিবেশ জরুরি।
তিনি বলেন, ‘কারাগারে ভালো পরিবেশ, ভালো খাবার, চিকিৎসা সুবিধা ও বন্দীদের অধিকারকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারাগারের লাইব্রেরিগুলোও উন্নত পরিবেশ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারে।’
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) কক্সবাজার জেলা কারাগার পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
পরিদর্শনকালে ড. আহমেদ কারাগারের সার্বিক পরিবেশ, বন্দিদের খাবারের মান, স্বাস্থ্যসেবা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তা, প্রশিক্ষণ ও কারা কর্তৃপক্ষের গৃহীত উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
কারাবন্দিদের খাবারের পুষ্টিগুণ উন্নয়নের বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, দেশের কারাগারগুলোকে আরও সমৃদ্ধ ও সংশোধনাগারে রূপান্তর করা একান্ত প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার ও মানবাধিকার নিশ্চিতে রাষ্ট্রকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে: ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ
বন্দিদের উৎপাদনশীল কাজে নিয়োজিত রাখার চর্চা অব্যাহত রাখার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রতিনিধি দলটি বন্দিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সার্বিক নিরাপত্তার সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন এবং তাদের আইনগত অধিকার সম্পর্কে অবহিত করেন।
এসময় কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য সেলিম রেজা, প্রশাসন ও অর্থ বিভাগের পরিচালক কাজী আরফান আশিক, সুপারিনটেনডেন্ট এম রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সহিংসতা পরিহার করে বাংলাদেশে মানবাধিকার-আইনে শ্রদ্ধা নিশ্চিতে সব পক্ষের প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান
৮ মাস আগে
দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ৩০ জানুয়ারি
আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন।
আরও পড়ুন: নতুন মন্ত্রিসভায় ৩ নারী সংসদ সদস্য
সোমবার (১৫ জানুয়ারি ) সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবিধানের ৭২ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এই অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
ওইদিন বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশন শুরু হবে।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের অনুমোদন
৭ জানুয়ারি ভুয়া নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ দখল করেছে আ. লীগ: মঈন খান
১০ মাস আগে
রবিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী
রবিবার (২৭ আগস্ট) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে জাতি।
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলা সাহিত্যে তার অসামান্য অবদানের জন্য অগ্রগামী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
মহান কবির ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান তার জীবন ও কর্ম স্মরণে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করবে।
রবিবার (২৭ আগস্ট) সোয়া ৬টায় ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আখতারুজ্জামানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলা ভবন প্রাঙ্গণে অপরাজেয় বাংলায় জড়ো হবেন।
সেখান থেকে মৌন মিছিল শুরু হয়ে কবির সমাধিতে যাবে। সেখানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন তারা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগও সকাল ৭টায় নজরুলের কবরস্থানে শোভাযাত্রা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে কবির সমাধিতে সমবেত হবে।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট সন্ধ্যা ৭টায় ধানমন্ডির নিজস্ব মিলনায়তনে বিশেষ সাংস্কৃতিক শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। অনুষ্ঠানটি একই সঙ্গে তার ফেসবুক গ্রুপ এবং ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হবে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বেশ কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতারসহ রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো জাতীয় কবির জীবন ও কর্মের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: স্মরণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম
কাজী নজরুল ইসলাম ১৮৯৯ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমানের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। এ ছাড়া নজরুল তৎকালীন ভারতীয় উপমহাদেশে তার বিপ্লবী এবং দর্শনীয় সাহিত্যকর্মের জন্য ব্যাপকভাবে সম্মানিত।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের তথ্য অনুযায়ী, নজরুলের ২১ বছরের সাহিত্যিক জীবনে তিনি ২ হাজার ৬০০টি গান, ৬০০টি কবিতা, ৩টি বই এবং ৪৩টি প্রবন্ধ তৈরি করেছিলেন।
শৈশবে বাবা মারা গেলে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয় নজরুলকে। এ কারণে মসজিদে তত্ত্বাবধায়ক ও মুয়াজ্জিন হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল তাকে। পশ্চিমবঙ্গের চুরুলিয়ায় একটি পেশাদার ‘লেটো’ গানের দলে কাজ করার জন্য ৯ বছর বয়সে স্কুল ছেড়েছিলেন তিনি।
দলটির সঙ্গে কাজ করার সময় তিনি বাংলা ও সংস্কৃত সাহিত্যের সঙ্গে পরিচিত হন। এক বছর পরে তিনি আবার স্কুলে যান এবং মাথারুন ইংলিশ স্কুলে ভর্তি হন। কিন্তু তার আর্থিক দুরবস্থার কারণে তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে আরও একবার বাদ পড়েন।
কিছু সময় পর পুলিশ অফিসার কাজী রফিজুল্লাহ তাকে নিয়ে ময়মনসিংহের ত্রিশালে তার বাড়ির কাছে দরিরামপুর স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি করান।
১৯৭১ সালে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে তার সামরিক চাকরি শুরু করার কয়েক বছরের মধ্যে নজরুল তার সাহিত্যিক জীবন শুরু করেন।
তিনি ১৯২১ সালে তার কালজয়ী কবিতা ‘বিদ্রোহী’ (দ্য রিবেল) লেখেন এবং ১৯২২ সালে ‘ধূমকেতু’ (দ্য ধূমকেতু) একটি মাসিক পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন।
ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে ঘন ঘন জাতীয়তাবাদী জড়িত থাকার কারণে নজরুল ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের খপ্পরে পড়েন। তিনি কারাবন্দি থাকা অবস্থায় ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’ (একজন রাজনৈতিক বন্দির জবানবন্দি) লেখেন।
তার কাজগুলো পরে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং তার কবিতাগুলো অনেক বাঙালি ও জাতীয়তাবাদীকে পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
স্বাধীনতা, মানবতা, প্রেম ও বিপ্লব নজরুলের অসাধারণ সাহিত্য বার বার এসেছে। তিনি মৌলবাদ ও সব ধরনের বর্ণ, লিঙ্গ ও ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে ছিলেন।
নজরুল ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধও প্রকাশ করেছেন। যদিও তার গান ও কবিতা সমালোচকদের কাছ থেকে সর্বাধিক প্রশংসা পেয়েছে। তিনি তার লেখায় আরবি ও ফারসি শব্দের উদার ব্যবহার এবং বাংলা গজল সুর জনপ্রিয় করার জন্য বিখ্যাত।
তিনি ‘নজরুল গীতি’ নামে পরিচিত তার নিজস্ব সংগীত ধারা আবিষ্কার করেছিলেন। যার মধ্যে অনেকগুলো ভিনাইল ও এইচএমভি রেকর্ডে প্রকাশিত হয়েছিল।
নজরুল যখন ৪৩ বছর বয়সে একটি অজ্ঞাত রোগে ভুগছিলেন এবং ১৯৪২ সালে তিনি তার কণ্ঠস্বর এবং স্মৃতিশক্তি হারাতে শুরু করেন।
ভিয়েনার একটি মেডিকেল টিম বলে তার রোগটি ছিল ‘পিকস ডিজিজ’। একটি বিরল ও মারাত্মক নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ।
বাংলাদেশ সরকার এবং তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমন্ত্রণে নজরুলের পরিবার বাংলাদেশে চলে আসেন এবং ১৯৭২ সালে ঢাকায় স্থায়ী হন। একই বছর বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘জাতীয় কবি’ খেতাবে ভূষিত করেন।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে তার অবদানের জন্য তিনি ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসূচক ডিলিট এবং ১৯৭৬ সালে একুশে পদক লাভ করেন।
১৯৭৬ সালের ২৭ আগস্ট বিদ্রোহী কবি ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী আজ
ডিআরইউ’র ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরি’ উদ্বোধন
১ বছর আগে
জাপানে জাতীয় শোক দিবস পালন
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী পালন করেছে টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।
মঙ্গলবার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এ সময় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়।
এরপর সকলের অংশগ্রহণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের সদস্য এবং ১৫ আগস্টের অন্যান্য সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত শেষে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন দূতাবাসের কর্মকর্তা ও প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
আরও পড়ুন: জাতীয় শোক দিবস: বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
পরে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে রাষ্ট্রদূত অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শী, নির্ভীক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার সংগ্রাম গড়ে তোলে এবং একটি স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক মঞ্চে বাঙালির জাতীয় পরিচয় অর্জনের লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধ করেছে।
আরও পড়ুন: শোক দিবসের বিশেষ নাটক ‘একজন কফিলুদ্দিন’
স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে, তার নেতৃত্বে, বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক সংস্থায় যোগদান করে এবং জাপানসহ বহু সংখ্যক দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপনের মধ্যদিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের স্থান দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত তার সংকল্প ব্যক্ত করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আজ আমাদের মধ্যে নেই, কিন্তু তার স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের বাংলাদেশের মুক্তির পথ দেখিয়ে চলেছে। তার কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের আধুনিক ও উন্নত দেশ, বাংলাদেশ দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করবে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের পর দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এই অনুষ্ঠানে জাপানে কর্মরত বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য এবং পেশাজীবীরা দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং বঙ্গবন্ধুকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ৩ নভেম্বরকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তের বিষয়: কাদের
১ বছর আগে
জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসির সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধিদলের বৈঠক
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে নির্বাচনী পরিবেশ অনুসন্ধান মিশনের (ইএক্সএম) সদস্যরা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক করেছেন। আগামী নির্বাচন ‘সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে’ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি সম্পর্কে তারা জানতে চেয়েছেন।
মঙ্গলবার সফররত ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ইসি তাদের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করেছে।
বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, ইইউ প্রতিনিধিদলের নেতা চেলেরি রিকার্ডো, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মিশনের একটি কারিগরি দল আগামী ১৮ ও ১৯ জুলাই ইসির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে আরও আলোচনা করবেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়ে কেউ আলোচনা করলে হস্তক্ষেপ মনে করে না: স্টেট ডিপার্টমেন্ট
ইইউ প্রতিনিধিদলের নেতা রিকার্ডো বলেছেন, নির্বাচনের পূর্ববর্তী পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে তারা ঢাকায় রয়েছেন। ইইউ উচ্চ প্রতিনিধির জন্য একটি বিশ্লেষণ প্রস্তুত করা হচ্ছে। ওই বিশ্লেষণের উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বাংলাদেশে একটি পূর্ণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন মোতায়েন করা হবে কি না।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে প্রথম দিনেই বৈঠক করল ইইউ টিম
সিইসি বলেছেন, তার মতামত ইইউ প্রতিনিধি দলের নেতার সঙ্গে তিনি একমত। এ ছাড়া তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
ইইউ মিশন আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে।
ইইউ মিশনের প্রতিনিধিরা জানান, নির্বাচন পূর্ব পরিস্থিতি মূল্যায়ণ মিশনের মূল উদ্দেশ্য হলো আসন্ন সংসদ নির্বাচনের জন্য ইইউ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশনের ‘পরামর্শযোগ্যতা, উপযোগিতা ও সম্ভাব্যতা ‘ মূল্যায়ন করা।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা ও সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছে: ইএমএফ
১ বছর আগে
আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন: গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে তার দলের নির্বাচনী প্রতীকে ‘নৌকা’ ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা এনেছে, অর্থনৈতিক মুক্তি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং দেশের মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিন।’
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোটালীপাড়া উপজেলা কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন চলতি বছরের শেষ বা আগামী বছরের শুরুতে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তার লক্ষ্য এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করা। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা, জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা।
যারা কখনই চায় না আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক তাদের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে লক্ষ্যে দেশ স্বাধীন করেছিলেন তাকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
তার সরকার সারা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে উল্লেখ করেন, অথচ দেশে যারা কোনো উন্নয়ন দেখতে পায় না তাদের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘চোখ থাকা সত্ত্বেও যারা অন্ধ তাদের সম্পর্কে আমার কিছু বলার নেই। তারা দেখতে পায় না কিন্তু এগুলো (উন্নয়নের সুফল) উপভোগ করে।’
আরও পড়ুন: ঈদের দিন মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
এর আগে তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কার্যালয় উদ্বোধন করেন।
অফিসে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী আম, বকুল (স্প্যানিশ চেরি) এবং নিম (মারগোসাল) গাছের তিনটি চারা রোপণ করেন।
রৌদ্রোজ্জ্বল আবহাওয়ার মধ্যে সকাল ১১টা ২৭ মিনিটে সড়কপথে কোটালীপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে সকালে তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে দুই দিনের সফরে নিজ জেলা গোপালগঞ্জে যান।
প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা ও ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার সঙ্গে ছিলেন।
গোপালগঞ্জ জেলায় রঙিন পোস্টার, ব্যানার এবং প্ল্যাকার্ড বিশেষ করে তিনি যে রাস্তাটি ব্যবহার করে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান সেগুলোকে সাজিয়ে উৎসবের আমেজ তৈরি করা হয়।
ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে অনেক স্থানীয় আ.লীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধি প্রধানমন্ত্রীর সামনে তাদের অনুভূতি জানানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর নামে সেই গরু কোরবানি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কৃষক দম্পতিদেশের আরও উন্নয়নের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তার বিজয় কামনা করেন তারা।
জবাবে, প্রধানমন্ত্রী তাদের তার জন্য প্রার্থনা করতে বলেছিলেন যাতে তিনি জনগণের সেবা করতে পারেন।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখের সঞ্চালনায় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে বিকালে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে কোটালীপাড়া ত্যাগ করেন।
টুঙ্গিপাড়ায় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
তিনি ফাতেহা পাঠ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে মোনাজাতে যোগ দেন।
রবিবার সকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি টুঙ্গিপাড়া উপজেলার স্থানীয় নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এরপর ওই দিনই তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে দুই দিনের সফরে কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
৭৬১,৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী
২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এই বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী।
এটি অর্থমন্ত্রীর টানা পঞ্চম এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বাজেট।
বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারের সঙ্গে মিল রেখে একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক-প্রবৃদ্ধির দিকে দেশকে চালিত করার এবং ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেট মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ দশমিক ২ শতাংশ।
মোট প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে ৪ লাখ ৭৫ হাজার ২৮১ কোটি টাকা পরিচালন ব্যয়ের জন্য এবং বাকি ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা উন্নয়নের উদ্দেশ্যে বরাদ্দ করা হয়েছে।
মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল আনুমানিক ৫ লাখ কোটি টাকা, যার মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংগ্রহ করবে ৪ দশমিক ৩০ লাখ কোটি টাকা এবং বাকিটা সংগ্রহ করবে অন্যান্য উৎস থেকে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী
প্রস্তাবিত বাজেটে অনুদানসহ সামগ্রিক ঘাটতি হবে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ যদিও বর্তমান মূল্যস্ফীতির হার ৯ শতাংশের বেশি।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার থেকে রেমিট্যান্সের জন্য মার্কিন ডলারের দর ১০৮.৫ টাকা, রপ্তানির জন্য ১০৭ টাকা
১ বছর আগে
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ৭ লাখ ৬১ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার বিকালে সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য সবচেয়ে বড় ৭ দশমিক ৬১ লাখ কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এটি হবে অর্থমন্ত্রীর টানা পঞ্চম এবং বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ বাজেট।
বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারের সঙ্গে মিল রেখে একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক-প্রবৃদ্ধির পথে দেশকে চালিত করা এবং ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণের ওপর এই বাজেটে জোর দেওয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা এবং বাজেট কর্মকর্তারা বলছেন, যদিও সরকার রাজস্ব সংগ্রহ এবং সরকারি ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করেছে এবং কৃচ্ছ্রতা সাধনের কৌশল গ্রহণ করেছে। তবে রাজস্ব ঘাটতির প্রেক্ষাপটে সরকারের বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতে, বাজেটে ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ২ দশমিক ৬১ লাখ কোটি টাকা ঘাটতিসহ রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হতে পারে। যার মধ্যে ১ দশমিক ০২ লাখ কোটি টাকা ঋণ করা হবে বাহ্যিক উৎস থেকে এবং ১ দশমিক ৫৫ লাখ কোটি টাকা আসবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে।
অর্থমন্ত্রী ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে ১ দশমিক ৩২ লাখ কোটি টাকা, সঞ্চয় প্রশংসাপত্র থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা, নন-ব্যাংক উৎস থেকে ২৩ হাজার কোটি টাকা পাওয়ার আশা করছেন।
আরও পড়ুন: সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু
এছাড়া সরকারের পরিচালন ব্যয় ৪ দশমকি ৭৫ লাখ কোটি টাকা এবং মোট উন্নয়ন ব্যয় ২ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ এবং বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সময় আগামী অর্থবছরের বাজেট ব্যতিক্রমী হতে পারে এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব যা অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকেও সমস্যায় ফেলেছে।
অর্থমন্ত্রী উন্নয়ন ব্যয়ের জন্য ২ দশমকি ৭৭ লাখ কোটি টাকা প্রাক্কলন করেছেন। আগামী অর্থবছরে দেশীয় সুদ পরিশোধে সরকার ব্যয় করবে ৮২ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণের সুদ বাবদ ১২ হাজার ৩৭৬ কোটি টাকা।
প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা মূলধন ব্যয় হিসাবে ব্যয় করা হবে, ৫০২ কোটি টাকা খাদ্য খাতে ব্যয় করা হবে এবং ৮ হাজার ৪০২ কোটি টাকা ঋণ ও অগ্রিম হিসাবে রাখা হবে।
২০২৩-২৪ সালের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থায়নের জন্য ২ দশমিক ৬৩ লাখ কোটি টাকা, নন-এডিপি বিশেষ প্রকল্পের জন্য ৭ হাজার ৯৮৬ কোটি টাকা, নন-এডিপি কাজের বিনিময়ে খাদ্য এবং স্থানান্তর হিসাবে ২ হাজার ৮২৮ কোটি টাকা এবং স্কিম হিসাবে ৩ হাজার ৭৬৮ কোটি টাকা যা কিছু উন্নয়ন কর্মসূচী অন্তর্ভুক্ত করে যা নিজস্ব উৎস থেকে অর্থায়ন করা হয় কিন্তু এডিপিতে অন্তর্ভুক্ত নয়।
আসন্ন অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৫ লাখ কোটি টাকা যার মধ্যে ৪ দশমিক ৫ লাখ কোটি টাকা আসবে কর-রাজস্ব হিসেবে এবং ৫০ হাজার কোটি টাকা অ-কর রাজস্ব হিসেবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) ৪ দশমিক ৩ লাখ কোটি টাকা আদায়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে যেখানে এনবিআর বহির্ভূত কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ২০ হাজার কোটি টাকা।
বৈদেশিক অনুদান হিসেবে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা আসবে বলে অনুমান করেছে সরকার।
আরও পড়ুন: সংসদের ২৩তম অধিবেশনের জন্য ৫ সদস্যের প্যানেল চেয়ারম্যান মনোনীত
১ বছর আগে