শনিবার
বরগুনায় সেতু ধস: ৬ মাসের সাবরিন জানে না তার মা নেই
সব শিশুর কাছেই মা তার স্বর্গ। কিন্তু ৬ মাসের সাবরিন জানে না, তার স্বর্গ পৃথিবী ছেড়ে সত্যিই চলে গেছে স্বর্গে।
শনিবার বরগুনার আমতলী উপজেলায় হলদিয়া সেতুর ওপর লোহার তৈরি সেতু ভেঙে পড়ার পর কনেযাত্রী বহনকারী মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়।
সেই দুর্ঘটনায় সোহেল খানের স্ত্রী রাইতির মৃত্যু হয়। এ দম্পতির ৬ মাস বয়সি কন্যা সাবরিন। এখন মায়ের যত্ন ছাড়া ছয় মাসের শিশু সাবরিনকে কীভাবে বড় করবেন তা নিয়ে চিন্তিত সোহেল।
বেঁচে যাওয়া শিশু সাবরিনের বাবা সোহেল খান জানান, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসে ছিল সাবরিন ও তার মা রাইতি। লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাসটি যখন নদীতে ডুবে যাচ্ছিল তখন রাইতি কোল থেকে সাবরিনকে খালের উপর ভাসমান কচুরিপানার মধ্যে ফেলে দেয়। পেছনে একটি অটোতে সোহেলসহ দুইজন আত্মীয় ছিল। তারাও পানিতে ডুবে যাচ্ছিল। সোহেল কোনোভাবে সাঁতরে ওপরে উঠে আসতেই কচুরিপানার ওপর তার চোখ পড়ে। দেখেন কচুরিপানার ওপর সাবরিন, সঙ্গে সঙ্গে নিজের সন্তানকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় পিস্তলসহ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আটক
সোহেল খান আরও বলেন, ‘এভাবে আমার সবকিছু কেড়ে নিল আল্লাহ! ছোট মেয়েটাকে নিয়ে আমি এখন কীভাবে বাঁচব?’
জানা যায়, কনের বাড়ি আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন থেকে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ছেলের বাড়িতে বউ ভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাযোগে যাচ্ছিলেন কনে পক্ষের লোকজন।
এসময় উপজেলার ৫ নম্বর চাওড়া ইউনিয়ন এবং ৪ নম্বর হলদিয়া ইউনিয়নের সংযোগ সেতু হলদিয়া ব্রিজ ভেঙে একটি মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা পড়ে যায় নদীতে। এসময় মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা দুই শিশুসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- রুবিয়া (৪৫), রাইতি (২২), ফাতেমা (৫৫), জাকিয়া (৩৫), রুকাইয়াত ইসলাম (৪), তাহিয়া মেহজাবিন আজাদ (৭), তাসফিয়া (১৪), ঋধি (৪) ও রুবি বেগম (৩৫)।
এদের মধ্যে রুকাইয়াত ইসলাম ও জাকিয়ার বাড়ী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে। অপর নিহত ৭ জনের বাড়ী মাদারিপুর জেলার শিবচর উপজেলার কোকরার চর গ্রামের বাসিন্দা। এরা কনে হুমায়রার মামা বাড়ির আত্মীয়স্বজন।
জীবিত উদ্ধার হওয়া মাহবুব খান জানান, হলদিয়া ইউনিয়নের গুরুদল গ্রাম থেকে মাইক্রোবাসে শনিবার (২২ জুন) দুপুর ১টার সময় ভাগ্নি জামাইয়ের আমতলীর বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য রওনা দেন। দুপুর আনুমানিক দুইটার দিকে সময় হলদিয়া সেতুর মাঝখানে মাইক্রোবাসটি পৌঁছালে কচুরি পানায় ভর্তি খালে পড়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘এরপর আর কিছুই বলতে পারি না। জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে। আল্লায় মোগো বাঁচাইলেও সব শ্যাষ অইয়া গ্যাছে।’
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস নদীতে ডুবে নিয়ে বিয়ের কনে পক্ষের ৯ জন মানুষ মারা গেছে। নিহতদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন ভেঙে পড়া সেতু সম্পর্কে জানান, হালকা যান প্রকল্পের আওতায় ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দৈর্ঘ্য ৮৫ মিটার এই লোহার সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। প্রকল্পটির পরিচালক ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। ১৯ বছর আগে নির্মিত সেতুটিতে চলাচলে সতর্কতা নোটিশ টাঙানো ছিল। সেতুটির দুই প্রান্তেই গাছে সতর্কীকরণ নোটিশ টাঙানো রয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ।’ সেটি উপেক্ষা করার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় সেতু ভেঙে ৯ জন নিহতের ঘটনায় ঠিকাদারের বিচার দাবি
বরগুনায় সেতু ভেঙে কনেযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে নিহত ৯
৮ দিন পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি শুরু
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আট দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (২২ জুন) থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ঈদ উপলক্ষে ১৪ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা আট দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়টি ভারতের হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বাংলাদেশ অংশের হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন ও বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট কর্তৃপক্ষ, আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী, কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস, শ্রমিক সংগঠনসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের একটি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ৬ মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
তিনি আরও জানান, আট দিন বন্ধের পর শনিবার থেকে যথারীতি বন্দরের কার্যক্রম চালু হয়েছে। বেলা ১২টায় ভারত থেকে বেশকিছু পণ্যবাহী ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে। ফলে বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, বেলা ১২টার পর ভারত থেকে বেশকিছু আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরের ওয়্যারহাউজে প্রবেশ করেছে। এর মধ্য দিয়ে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কাস্টমসের শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে তা দ্রুততার সঙ্গে খালাস কার্যক্রমে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৭ দিন পর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ৭ দিনের ছুটি শেষে শনিবার (২২ জুন) সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন আর রশিদ জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত টানা ৭ দিন বন্দরে ছুটি ঘোষণা করা হয়। ফলে এই সময়ে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
ছুটি শেষে শনিবার সকাল থেকে যথারিতি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৭ দিন পর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা ৭ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
দেশজুড়ে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন শনিবার
আগামী ১ জুন (শনিবার) সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হবে। এদিন ৬-৫৯ মাস বয়সি সব শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৬-৫৯ মাস বয়সি প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে দিনব্যাপী এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ ও ১২-৫৯ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ। প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও প্রায় ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এই ক্যাপসুল খাওয়াবেন।
এ ক্যাম্পেইনে অংশ হিসেবে মেহেরপুরে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ৭০ হাজার শিশুকে।
আরও পড়ুন: প্রায় ৭ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
শনিবার (১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৪৭৫টি কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে মেহেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আর ৭৫৪ স্বেচ্ছাসেবক ও ১৯৯ স্বাস্থ্যকর্মী টিকা খাওয়ানোর কাজটি পরিচালনা করবেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জেলা সিভিল সার্জন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. মহীউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, জেলার ৫৪টি ওয়ার্ডে এবার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ৫৭০ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ ইউনিট) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৬১ হাজার ৫৫৭ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ক্যাপসুল (২ লাখ ইউনিট) খাওয়ানো হবে। একই সঙ্গে শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোসহ পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মহীউদ্দিন আহমেদ।
এছাড়াও চুয়াডাঙ্গায় এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৮ শিশুকে শনিবার (১ জুন) ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় জেলার সদর হাসপাতাল কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আওলিয়ার রহমান।
তিনি জানান, শনিবার সারা দেশের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একই সঙ্গে উপকারভোগী শিশুর পরিবারকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হবে।
ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে জেলার ৯০৬টি কেন্দ্র থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ কাজে নিয়োজিত থাকবে ১১৮ জন প্রথম সারির তত্ত্বাবধায়ক এবং ১ হাজার ৮১২ জন স্বেচ্ছাসেবক।
চাঁদপুরে ৬ থেকে ১১ মাস এবং ১২ থেকে থেকে ৫৯ মাস বয়সি মোট ৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৯ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা ১১টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভা কক্ষে
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ, শারীরিক বিকাশ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। রাতকানা রোগ কম হয়। সরকারিভাবে স্বাস্থ্য বিভাগের এ ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় দেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে আসছে। মায়েরাও বিভিন্নভাবে ভিটামিনের আওতায় আসছেন।
তিনি আরও বলেন, ১ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমাদের নির্দিষ্ট টিকা কেন্দ্র এবং ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে কোনো অসুস্থ শিশুকে খাওয়ানো হবে না। সুস্থ হলে খাওয়ানো হবে। ১ জুনের পরেও পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত আমাদের নির্দিষ্ট টিকা কেন্দ্রে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ভিটামিন ‘এ’র প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. আবদুল্লাহ জোবায়ের।
কুমিল্লায় ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮১ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
জেলায় সর্বমোট ৪ হাজার ৯৩২টি কেন্দ্রে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম চলবে সারা দিনব্যাপী।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি ১ লাখ ৮ হাজার ৭৮৪ জন শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯৭ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এসময় দায়িত্ব পালন করবেন ৯ হাজার ৮৬৪ জন মাঠ কর্মী।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন জানান, শনিবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর এই ক্যাম্পেইন চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এসময় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুল আলম, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন, সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল ও সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ।
আরও পড়ুন: ফর্টিফায়েড ভোজ্য তেল ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণ করতে পারে: বক্তারা
দেশে আরও ১১ জন করোনায় আক্রান্ত
দেশে শনিবার (১৮ মে) সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় নতুন করে ১১ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ২৩৪ জনে।
এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৫ জনের।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৩ জন করোনায় আক্রান্ত
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। একই সময় শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
মোট পরীক্ষায় এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মোট মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ১৭ হাজার ৭০৭ জনে।
আরও পড়ুন: দেশে আরও ১৯ জন করোনায় আক্রান্ত
সুপারিশের কার্যকারিতা নেই, জল ঘোলা করার চেষ্টা হচ্ছে: শিক্ষামন্ত্রী
সংসদে জনপ্রশাসনমন্ত্রীর বক্তব্যের পর চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সুপারিশের চিঠির আর কার্যকারিতা নেই জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, সুপারিশপত্রটি নিয়ে একপক্ষ জল ঘোলা করার চেষ্টা করছে।
রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নীতিমালা করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
এদিকে সম্প্রতি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা সাধারণ ক্ষেত্রে ৩৫ ও কোটার ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের কাছে চিঠি দেন শিক্ষামন্ত্রী।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
সুপারিশের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী।
চাকরিপ্রার্থীরা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন। শনিবার তারা সমাবেশের পর শাহবাগ এলাকা অবরোধও করেন।
চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানো নিয়ে আপনার একটি চিঠি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কিছু চাকরিপ্রার্থী অনুরোধ করেছিল, আমি কিছু কিছু বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। মনে হয়েছে সেটার বিষয়ে একটা সুপারিশ করা যেতে পারে। সেই হিসেবে আমি একটি সুপারিশপত্র দিয়েছি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে সেই সুপারিশপত্র পুঁজি করে অনেকেই জল ঘোলা করার চেষ্টা করছেন।
তিনি আরও বলেন, এরইমধ্যে জনপ্রশাসনমন্ত্রী জাতীয় সংসদে পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন যে, রাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তটা কী। চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে যে এখন সিদ্ধান্ত নেই সেটা বলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে আমার সেই সুপারিশপত্রটি পুঁজি করে এক পক্ষ সংঘাতমূলক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চাচ্ছে। অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি তাদের বলব, এটা অত্যন্ত একটা খারাপ কাজ তারা করছেন। রাষ্ট্র উত্তর দিয়েছেন, এখানেই বিষয়টির সমাপ্তি ঘটেছে। সুপারিশপত্রের কার্যকারিতা আর নেই। এখন এটাকে নিয়ে জলঘোলা করে বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা কখনোই কাম্য নয়।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমি আলোচনা করে জানতে পেরেছি মাত্র ১ শতাংশ চাকরিপ্রার্থীর বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে। সেখানে ৩৫ করলে আর কতই বা বাড়বে সেটা পরিষ্কার বুঝা যাচ্ছে। মন্ত্রী মহোদয়ও আমাকে ব্যাখ্যা করেছেন। সেটা নিয়ে আর জলঘোলা করা উচিত হবে না বলে আমি মনে করি।
আরও পড়ুন: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ রাখার আশা মন্ত্রীর
ঈদের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শনিবার বন্ধ রাখার আশা মন্ত্রীর
আগামী ঈদুল আজহার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শনিবার ফের বন্ধ রাখতে পারবেন বলে আশাবাদী শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
এছাড়া আগামীতে শনিবার স্কুল খোলা থাকবে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিকভাবে সিদ্ধান্তটা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা থাকতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
রবিবার (১২ মে) সচিবালয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা একটি নির্দিষ্ট সময় পাবে বাড়ির কাজ করার জন্য, সেটা বিবেচনায় নিয়ে শনিবারও স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল। আরও অন্যান্য অনেক বিষয় ছিল। যেহেতু আমরা ৯টি কর্মদিবস পাইনি, শনিবার আপাতত একটা ব্যবস্থা করে সেই কর্মসূচি পাওয়ার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকায় তা পুষিয়ে নিতে গত ৪ মে থেকে শনিবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তবে এটা স্থায়ী কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আমরা এনসিটিবির সঙ্গে আলোচনা করছি, ডিরেক্টরেট অফিসগুলোর সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে। শিক্ষকদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে, শিক্ষার্থীদেরও বিশ্রামের প্রয়োজন আছে। শিক্ষার্থীরা বাড়ির কাজ যথাযথভাবে করছে কি না, সেটার জন্য সময় পাওয়া যাচ্ছে কি না, সেটাও দেখার প্রয়োজন আছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, অতিমাত্রায় চাপ দিয়ে সবদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করে অনেক বেশি শিখন ফল অর্জন করব, বিষয়টা কিন্তু তা নয়। এটা একটা সাময়িক বিষয়। আমরা আশা করছি আগামী ঈদুল আজহার পরে এটা (শনিবার ক্লাস) আমাদের হয়তো কন্টিনিউ করতে হবে না। অবস্থা বিবেচনায় সেটা আমরা করব।
আরও পড়ুন: প্রযুক্তির ব্যবহারকারী না হয়ে প্রযুক্তির উদ্ভাবক হতে স্নাতকদের প্রতি আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর
দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটির সিদ্ধান্ত নিতে স্থানীয়ভাবে বিশেষ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে নীতিমালা করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী
গ্লুকোমা: চিকিৎসা পায় ১০% রোগী, অন্ধত্বের ঝুঁকিতে ৯০%
দেশে গ্লুকোমা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২০ লাখের মতো। এর মধ্যে ১৮ লাখ রোগীই চিকিৎসার আওতার বাইরে থাকায় অন্ধত্বের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
শনিবার (৯ মার্চ) রাজধানীর গ্রিন গার্ডেন হোটেলে আয়োজিত আসন্ন বিশ্ব গ্লুকোমা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
হারুন আই ফাউন্ডেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গ্লকোমা সোসাইটির প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক ডা. শেখ এমএ মান্নাফ বলেন, ‘২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৬৫টি উপজেলায় ১৭ হাজার মানুষের মধ্যে আমরা একটি জরিপ করেছি। এতে ৩ দশমিক ২ শতাংশ মানুষের মধ্যে গ্লুকোমা রোগ পাওয়া যায়, যা মোট জনসংখ্যা বিবেচনায় প্রায় ২০ লাখের মতো।’
তিনি বলেন, ‘আশঙ্কাজনক বিষয় হলো ২০ লাখ মানুষ গ্লুকোমায় আক্রান্ত হলেও রোগীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ লাখ মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছেন। অর্থাৎ চিকিৎসার বাইরে এখনও ১৮ লাখ গ্লুকোমা রোগী। জরিপে আমরা দেখেছি শহরাঞ্চলে গ্লুকোমা রোগীর সংখ্যা তুলনামূলক একটু বেশি। ছেলে মেয়েদের মধ্যে দুই লিঙ্গেরই গ্লুকোমা হতে পারে। তবে প্রকারভেদে আক্রান্তের হার ভিন্ন রকম পাওয়া গেছে।’
ডা. এমএ মান্নাফ বলেন, গ্লুকোমার দুটি বিস্তৃত প্রকার আছে। একটি হলো ওপেন-অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা, যার অগ্রগতি বেশ ধীর। অন্যটি হলো তীব্র অ্যাঙ্গেল-ক্লোজার গ্লুকোমা, যা দ্রুত অগ্রসর হয়। এরমধ্যে ওপেন-অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা ছেলেদের ৪ শতাংশ আর মেয়েদের ২ দশমিক ৫ শতাংশ। আর অ্যাঙ্গেল-ক্লোজার গ্লুকোমা মেয়েদের ৬ শতাংশ, ছেলেদের ১ দশমিক ৫ শতাংশ। আর বাইরেও আরও ১০ শতাংশ মানুষ পেয়েছি, যাদের গ্লুকোমা হতে পারে এমন প্রবণতা আছে।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. সিদ্দিকুর রহমান। তিনি বলেন, গ্লুকোমা হলো এমন একটি রোগ, যার ফলে মানুষ নিরবেই অন্ধত্বের দিকে এগুতে থাকে। মানুষ বুঝতেই পারে না। সাধারণত চোখে ছানি পড়লে তা অপারেশনের মাধ্যমে ভালো হয়। কিন্তু কারো গ্লুকোমা হয়ে গেলে তা আর পুরোপুরি ভালো হয় না।
আরও পড়ুন: চিকিৎসকরা চাইলেই রোগীর সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হতে পারে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিশ্বে ৭.৭ মিলিয়ন মানুষ গ্লোকোমায় আক্রান্ত। চোখে প্রেশারে প্রথমে নার্ভ নষ্ট হয়। পরেশার যদি যাওয়ার পথে বাধাগ্রস্ত হয়, তখনই নার্ভগুলো ভিন্ন কোনো পথ খুঁজে। একটা সময়ে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়।
এই চিকিৎসক বলেন, গ্লুকোমা হলে সাধারণত মানুষ শুরুর দিকে বুঝতে পারে না। ফলে চিকিৎসাও নিতে আসে না। আর যখন অন্ধত্বের কাছাকাছি চলে যায়, তখন চিকিৎসা নিতেও ভয় পায়। মানুষ চিকিৎসা না নেওয়ার আরেকটি কারণ হলো, গ্লুকোমা হলে কোনো ধরনের ব্যথা নেই। তাই আর্লি স্টেজে রোগটি ধরাও পড়ে না।
ডা. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সাধারণত চল্লিশোর্ধ মানুষের গ্লুকোমা বেশি হয়। রোগটি হলে একেবারে ভালো হয় না, তবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এজন্য আমাদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করতে হবে। রোগী ও ডাক্তারের উভয়ের মধ্যে ধারণা থাকতে হবে।
বাংলাদেশ চক্ষুচিকিৎসক সমিতির (ওএসবি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন বলেন, আমরা যদি কাউকে অন্ধত্ব নিরসন করতে চাই, বৈষম্যটা খুঁজে বের করতে হবে। কারণ অনেকেই সমস্যা নিয়েও আমাদের কাছে আসতে পারছে না। কাজ করতে হবে। জনগণকে সচেতন করতে পারলে ধীরে ধীরে ঝুঁকি কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, গার্মেন্টস ওয়ার্কারদের আমরা কাজ করছি। আমাদের চিকিৎসকরা তাদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসা সেবা দেন। আমাদের সুবিধা অনেক। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত আমাদের স্বাস্থ্য সেবা বিদ্যৃমান রয়েছে। সেখানে গ্লোকুমা চিকিৎসাটাকেও আমাদের নিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: বিদেশি রোগীও মেডিকেল ভিসায় বাংলাদেশে চিকিৎসা নিতে আসতে শুরু করেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রামে ফোম কারখানায় আগুনে ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ফোম তৈরির একটি কারখানা আগুনে পুড়ে গেছে।
শনিবার (১৮ ফেব্রয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটার নুরানী ফোম কারখানায় আগুন লাগে। এতে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন কারখানার মালিক।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন কর্ণফুলী মডেল ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল এভিয়েশন স্টেশন অফিসার শোয়াইব হোসেন।
কারখানার ম্যানেজার মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে দৌঁড়ে এসে ফোম তৈরিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থগুলো সরিয়ে ফেলি। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ২
চরপাথরঘাটার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এম মঈন উদ্দীন বলেন, আশেপাশে অনেক বাড়িঘর ছিল। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। সময় মতো ফায়ার সার্ভিস আসায় অনেকটা রক্ষা পেয়েছে। বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। তবে কারখানার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
শোয়াইব হোসেন বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত আমরা ঘটনাস্থলে আসি। কিন্তু রাস্তা সরু হওয়ায় পানির রিজার্ভ ট্যাংক প্রবেশ করাতে পারিনি। পরে পাশের পুকুরের পানি ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এই ঘটনা কেউ হতাহত হয়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত করে জানা যাবে।
তবে কারখানার মালিক মো. জাহাঙ্গীর মিয়া দাবি করেন আগুনে তার ৬০ লাখ টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সিলিকন সিটি হচ্ছে চট্টগ্রাম: পলক
২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হজ নিবন্ধনের বাকি টাকা জমা দেওয়ার নির্দেশ
সৌদি সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় মাধ্যমের হজযাত্রীদের জন্য মিনায় তাঁবু ও মোয়াল্লেম গ্রহণ, বাড়ি বা হোটেল ভাড়া, পরিবহন চুক্তি ইত্যাদি আবশ্যিকভাবে সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দীকের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের হজের জন্য ২ লাখ ৫ হাজার টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিক নিবন্ধনকারী হজযাত্রীদেরকে ২০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিবন্ধনের অবশিষ্ট টাকা জমা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: হজ নিবন্ধনের সময়সীমা ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ল
বেসরকারিভাবে হজ পালনে সর্বনিম্ন খরচ ৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা