শনিবার
শনিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি'
বাংলাদেশের জনবহুল রাজধানী ঢাকার বাতাস মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে একিউআই স্কোর ৯৭ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৮তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
পাকিস্তানের লাহোর, ভারতের দিল্লি ও উগান্ডার কাম্পালা যথাক্রমে ৩৫৫, ৩৫৩ ও ১৬৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে উঠে এসেছে।
সাধারণত, একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মানের অবনতি
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও বিভিন্ন নির্মাণ কাজের সময় সৃষ্ট ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ভারী বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে ঢাকাবাসী
৪ দিন আগে
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ শনিবার
অংশীজনদের সঙ্গে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস শনিবার আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবেন।
শনিবারের (১৯ অক্টোবর) সংলাপে গণফোরাম, লিবারেল ডেমোক্রেটস পার্টি (এলডিপি) ও বাংলাদেশ জাতীয় পার্টিসহ (আন্দালিভ) ১৫টি রাজনৈতিক দল অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক সংকট সমাধান করতে হবে রাজনৈতিক নেতাদেরই: সিজিএস সংলাপে বক্তারা
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উপসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার মঙ্গলবার(১৫ অক্টোবর) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
জাতীয় পার্টির (এরশাদ-জিএম কাদের) বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আজাদ বলেন, সংলাপ একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত হলে সে অনুযায়ী জানানো হবে।
কথিত 'মাইনাস টু' ফর্মুলার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, এটি সরকারের বিষয় নয় এবং এটি নিয়ে কখনও আলোচনা হয়নি।
বিএনপি, জামায়াত, সিপিবিসহ কয়েকটি দলের অংশগ্রহণে গত ৬ অক্টোবর শুরু হওয়া দ্বিতীয় দফায় দ্বিতীয় সংলাপ শুরু হয়েছে।
সংলাপের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সংস্কার কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে রাজনৈতিক দলগুলোকে অবহিত করা এবং তাদের পরামর্শ নেওয়া।আরও পড়ুন: সংলাপে সব দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে: মাহফুজ আলম
১ সপ্তাহ আগে
শনিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি'
আজ সকাল সোয়া ৯টায় একিউআই স্কোর ৯০ নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি' পর্যায়ে রয়েছে। আর দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১২তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
ভিয়েতনামের হ্যানয়, পাকিস্তানের লাহোর ও উগান্ডার কাম্পালা যথাক্রমে ১৭২, ১৭২ ও ১৬০ একিউআই স্কোর নিয়ে যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
সাধারণত, একিউআই স্কোর ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মাঝারি’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয় এবং ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান মাঝারি পর্যায়ে আছে
২ সপ্তাহ আগে
শনিবার ঢাকার বাতাসের মান 'মাঝারি'
একিউআই সূচক অনুযায়ী শনিবার সকালে ঢাকার বাতাসকে ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে।
আজ সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে একিউআই স্কোর ৬১ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৪৫তম অবস্থানে রয়েছে ঢাকা।
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, ভারতের দিল্লি ও উগান্ডার কাম্পালা যথাক্রমে ১৭৮, ১৬৩ ও ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে বাতাসের মান 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর', ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা
২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' বলা হয়, ৩০১+ একিউআই স্কোরকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বেড়ে গিয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ঢাকার বাতাসের মান ‘মাঝারি’
১ মাস আগে
ছুটির দিন শনিবারেও চালু থাকবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের শুল্কায়ন-সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে।
এ অবস্থায় কাজে আবারও গতি ফিরিয়ে আনতে সরকারি ছুটির দিন শনিবারেও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আমদানি ও রপ্তানিকারকদের সুবিধার্থে ছুটির দিন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কাস্টমস সূত্র জানায়।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানিতে কাস্টমস হাউজের সহযোগিতার আহ্বান বিজিএমইএর
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারের পক্ষে ডেপুটি কমিশনার ইমাম গাজ্জালীর সই করা অফিস আদেশে শনিবার (১৭ আগস্ট) অফিস খোলা রেখে দাপ্তরিক কার্যক্রম সচল রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংক খোলা না রেখে কাস্টমস হাউজ খোলা রাখলে বিশেষ কোনো সুবিধা পাওয়া যাবে না। তাদের মতে, সব ধরনের শুল্ক ব্যাংকে জমা দিতে হয় ও ডকুমেন্টেশনের কাজ হয় কাস্টমস হাউজে।
তাই শনিবার খোলা থাকলে শুধু কাস্টমসের শুল্কায়নের কিছু কাগজপত্রের কাজ এগিয়ে নেওয়া যাবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘শনিবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস খোলা থাকলেও ব্যাংক খোলা থাকবে কি না জানা যায়নি। ব্যাংক খোলা না থাকলে কাস্টমস হাউজ খোলা রাখার বিশেষ কোনো সুবিধা মিলবে না।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমস হাউসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায়
বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব ফাঁকি রোধে ব্যাপক কড়াকড়ি
২ মাস আগে
শনিবার থেকে মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হচ্ছে না: ডিএমটিসিএল
কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় কারিগরি পরীক্ষা শেষ করতে না পারায় পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার থেকে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে না।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) ।
তবে কবে নাগাদ মেট্রোরেলের কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে তার কোনো নতুন তারিখও উল্লেখ করা হয়নি।
সম্প্রতি ছাত্র আন্দোলনের সময় মিরপুর-১০ মোড় ও কাজীপাড়া স্টেশন দুটিতে ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১৮ জুলাই মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২ মাস আগে
বরগুনায় সেতু ধস: ৬ মাসের সাবরিন জানে না তার মা নেই
সব শিশুর কাছেই মা তার স্বর্গ। কিন্তু ৬ মাসের সাবরিন জানে না, তার স্বর্গ পৃথিবী ছেড়ে সত্যিই চলে গেছে স্বর্গে।
শনিবার বরগুনার আমতলী উপজেলায় হলদিয়া সেতুর ওপর লোহার তৈরি সেতু ভেঙে পড়ার পর কনেযাত্রী বহনকারী মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়।
সেই দুর্ঘটনায় সোহেল খানের স্ত্রী রাইতির মৃত্যু হয়। এ দম্পতির ৬ মাস বয়সি কন্যা সাবরিন। এখন মায়ের যত্ন ছাড়া ছয় মাসের শিশু সাবরিনকে কীভাবে বড় করবেন তা নিয়ে চিন্তিত সোহেল।
বেঁচে যাওয়া শিশু সাবরিনের বাবা সোহেল খান জানান, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে একটি মাইক্রোবাসে ছিল সাবরিন ও তার মা রাইতি। লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাসটি যখন নদীতে ডুবে যাচ্ছিল তখন রাইতি কোল থেকে সাবরিনকে খালের উপর ভাসমান কচুরিপানার মধ্যে ফেলে দেয়। পেছনে একটি অটোতে সোহেলসহ দুইজন আত্মীয় ছিল। তারাও পানিতে ডুবে যাচ্ছিল। সোহেল কোনোভাবে সাঁতরে ওপরে উঠে আসতেই কচুরিপানার ওপর তার চোখ পড়ে। দেখেন কচুরিপানার ওপর সাবরিন, সঙ্গে সঙ্গে নিজের সন্তানকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: বরগুনায় পিস্তলসহ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আটক
সোহেল খান আরও বলেন, ‘এভাবে আমার সবকিছু কেড়ে নিল আল্লাহ! ছোট মেয়েটাকে নিয়ে আমি এখন কীভাবে বাঁচব?’
জানা যায়, কনের বাড়ি আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন থেকে পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ছেলের বাড়িতে বউ ভাতের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মাইক্রোবাস ও অটোরিকশাযোগে যাচ্ছিলেন কনে পক্ষের লোকজন।
এসময় উপজেলার ৫ নম্বর চাওড়া ইউনিয়ন এবং ৪ নম্বর হলদিয়া ইউনিয়নের সংযোগ সেতু হলদিয়া ব্রিজ ভেঙে একটি মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা পড়ে যায় নদীতে। এসময় মাইক্রোবাসের মধ্যে থাকা দুই শিশুসহ ৯ জন নিহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- রুবিয়া (৪৫), রাইতি (২২), ফাতেমা (৫৫), জাকিয়া (৩৫), রুকাইয়াত ইসলাম (৪), তাহিয়া মেহজাবিন আজাদ (৭), তাসফিয়া (১৪), ঋধি (৪) ও রুবি বেগম (৩৫)।
এদের মধ্যে রুকাইয়াত ইসলাম ও জাকিয়ার বাড়ী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামে। অপর নিহত ৭ জনের বাড়ী মাদারিপুর জেলার শিবচর উপজেলার কোকরার চর গ্রামের বাসিন্দা। এরা কনে হুমায়রার মামা বাড়ির আত্মীয়স্বজন।
জীবিত উদ্ধার হওয়া মাহবুব খান জানান, হলদিয়া ইউনিয়নের গুরুদল গ্রাম থেকে মাইক্রোবাসে শনিবার (২২ জুন) দুপুর ১টার সময় ভাগ্নি জামাইয়ের আমতলীর বাড়ির অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য রওনা দেন। দুপুর আনুমানিক দুইটার দিকে সময় হলদিয়া সেতুর মাঝখানে মাইক্রোবাসটি পৌঁছালে কচুরি পানায় ভর্তি খালে পড়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘এরপর আর কিছুই বলতে পারি না। জ্ঞান ফিরে দেখি হাসপাতালে। আল্লায় মোগো বাঁচাইলেও সব শ্যাষ অইয়া গ্যাছে।’
আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস নদীতে ডুবে নিয়ে বিয়ের কনে পক্ষের ৯ জন মানুষ মারা গেছে। নিহতদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন ভেঙে পড়া সেতু সম্পর্কে জানান, হালকা যান প্রকল্পের আওতায় ২০০৫-০৬ অর্থবছরে দৈর্ঘ্য ৮৫ মিটার এই লোহার সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। প্রকল্পটির পরিচালক ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। ১৯ বছর আগে নির্মিত সেতুটিতে চলাচলে সতর্কতা নোটিশ টাঙানো ছিল। সেতুটির দুই প্রান্তেই গাছে সতর্কীকরণ নোটিশ টাঙানো রয়েছে। তাতে লেখা রয়েছে, ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু, ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ।’ সেটি উপেক্ষা করার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় সেতু ভেঙে ৯ জন নিহতের ঘটনায় ঠিকাদারের বিচার দাবি
বরগুনায় সেতু ভেঙে কনেযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে নিহত ৯
৩ মাস আগে
৮ দিন পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রপ্তানি শুরু
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে আট দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (২২ জুন) থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ঈদ উপলক্ষে ১৪ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে টানা আট দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়টি ভারতের হিলি এক্সপোর্টার্স অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ বাংলাদেশ অংশের হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন ও বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট কর্তৃপক্ষ, আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী, কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস, শ্রমিক সংগঠনসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের একটি চিঠির মাধ্যমে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ৬ মাস পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আমদানি শুরু
তিনি আরও জানান, আট দিন বন্ধের পর শনিবার থেকে যথারীতি বন্দরের কার্যক্রম চালু হয়েছে। বেলা ১২টায় ভারত থেকে বেশকিছু পণ্যবাহী ট্রাক হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করেছে। ফলে বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে কর্মচাঞ্চল্যতা লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, বেলা ১২টার পর ভারত থেকে বেশকিছু আমদানি করা পণ্যবাহী ট্রাক বন্দরের ওয়্যারহাউজে প্রবেশ করেছে। এর মধ্য দিয়ে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
কাস্টমসের শুল্ক পরিশোধ সাপেক্ষে তা দ্রুততার সঙ্গে খালাস কার্যক্রমে সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বৌদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৪ মাস আগে
৭ দিন পর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দরে ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ৭ দিনের ছুটি শেষে শনিবার (২২ জুন) সকাল থেকে আবারও আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন আর রশিদ জানান, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত টানা ৭ দিন বন্দরে ছুটি ঘোষণা করা হয়। ফলে এই সময়ে বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
ছুটি শেষে শনিবার সকাল থেকে যথারিতি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ৭ দিন পর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু
ঈদুল আজহা উপলক্ষে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে টানা ৭ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৪ মাস আগে
দেশজুড়ে ভিটামিন ‘এ প্লাস’ ক্যাম্পেইন শনিবার
আগামী ১ জুন (শনিবার) সারাদেশে জাতীয় ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করা হবে। এদিন ৬-৫৯ মাস বয়সি সব শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য ভবনে সংবাদ সম্মেলনে ভিটামিন 'এ' প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৬-৫৯ মাস বয়সি প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে দিনব্যাপী এই ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা প্রায় ২৭ লাখ ও ১২-৫৯ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৯৫ লাখ। প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও প্রায় ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী এই ক্যাপসুল খাওয়াবেন।
এ ক্যাম্পেইনে অংশ হিসেবে মেহেরপুরে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে ৭০ হাজার শিশুকে।
আরও পড়ুন: প্রায় ৭ লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়াবে ডিএসসিসি
শনিবার (১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৪৭৫টি কেন্দ্রে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর প্রস্তুতি নিয়েছে মেহেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। আর ৭৫৪ স্বেচ্ছাসেবক ও ১৯৯ স্বাস্থ্যকর্মী টিকা খাওয়ানোর কাজটি পরিচালনা করবেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জেলা সিভিল সার্জন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান সিভিল সার্জন ডা. মহীউদ্দিন আহমেদ।
তিনি জানান, জেলার ৫৪টি ওয়ার্ডে এবার ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮ হাজার ৫৭০ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ ইউনিট) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৬১ হাজার ৫৫৭ শিশুকে একটি করে নীল রঙের ক্যাপসুল (২ লাখ ইউনিট) খাওয়ানো হবে। একই সঙ্গে শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত শুধু মায়ের দুধ খাওয়ানোসহ পুষ্টিবার্তা প্রচার করা হবে।
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান জেলা সিভিল সার্জন ডা. মহীউদ্দিন আহমেদ।
এছাড়াও চুয়াডাঙ্গায় এক লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৮ শিশুকে শনিবার (১ জুন) ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় জেলার সদর হাসপাতাল কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আওলিয়ার রহমান।
তিনি জানান, শনিবার সারা দেশের সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। একই সঙ্গে উপকারভোগী শিশুর পরিবারকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হবে।
ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনে জেলার ৯০৬টি কেন্দ্র থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজার ৬৯৮ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ কাজে নিয়োজিত থাকবে ১১৮ জন প্রথম সারির তত্ত্বাবধায়ক এবং ১ হাজার ৮১২ জন স্বেচ্ছাসেবক।
চাঁদপুরে ৬ থেকে ১১ মাস এবং ১২ থেকে থেকে ৫৯ মাস বয়সি মোট ৩ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৯ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বেলা ১১টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সভা কক্ষে
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ, শারীরিক বিকাশ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। রাতকানা রোগ কম হয়। সরকারিভাবে স্বাস্থ্য বিভাগের এ ধরনের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করায় দেশে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমে আসছে। মায়েরাও বিভিন্নভাবে ভিটামিনের আওতায় আসছেন।
তিনি আরও বলেন, ১ জুন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমাদের নির্দিষ্ট টিকা কেন্দ্র এবং ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্রে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। তবে কোনো অসুস্থ শিশুকে খাওয়ানো হবে না। সুস্থ হলে খাওয়ানো হবে। ১ জুনের পরেও পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত আমাদের নির্দিষ্ট টিকা কেন্দ্রে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ভিটামিন ‘এ’র প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. আবদুল্লাহ জোবায়ের।
কুমিল্লায় ৯ লাখ ৫৫ হাজার ৬৮১ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
জেলায় সর্বমোট ৪ হাজার ৯৩২টি কেন্দ্রে এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম চলবে সারা দিনব্যাপী।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্যমতে, ৬ থেকে ১১ মাস বয়সি ১ লাখ ৮ হাজার ৭৮৪ জন শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সি ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯৭ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এসময় দায়িত্ব পালন করবেন ৯ হাজার ৮৬৪ জন মাঠ কর্মী।
কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন জানান, শনিবার ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর এই ক্যাম্পেইন চলবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।
এসময় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুল আলম, সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন, সাংবাদিক আবুল হাসানাত বাবুল ও সাইয়িদ মাহমুদ পারভেজ।
আরও পড়ুন: ফর্টিফায়েড ভোজ্য তেল ভিটামিন ডি’র ঘাটতি পূরণ করতে পারে: বক্তারা
৪ মাস আগে