নিগার সুলতানা
নিগার সুলতানার ৭৫ রানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কা সফরের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এক বল বাকি থাকতেই রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কা নারী দলকে ৬ উইকেটে পরাজিত করেছে।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা নারী দল। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু মাত্র ২৮ বলে দ্রুতগতিতে ৩৮ রান করে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন।
তবে ৯ম ওভারে নাহিদা আক্তারের বলে আউট হন তিনি। হার্শিতা সামারাবিক্রমা ৪৪ বলে ৪৫ রান করে ইনিংস ধরে রাখলেও অন্য প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত নীলাক্ষী ডি সিলভার অপরাজিত ২৯ রানে শ্রীলঙ্কা তাদের ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ১৪৫ রান করে।
বাংলাদেশের পক্ষে ফাহিমা খাতুন ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন ফারিহা তৃষ্ণা, সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তার।
আরও পড়ুন: অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না: নিগার সুলতানা
জয়ের জন্য ১৪৬ রান তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ দলের ওপেনার শামীমা সুলতানাকে হারায়। তবে অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও শোভনা মোস্তারি ৫১ রানের জুটিতে ইনিংসকে স্থির রাখেন। মোস্তারি ১৭ রানে ওশাদি রানাসিংহের বলে আউট হন। কিন্তু নিগার সুলতানা আক্রমণাত্মকভাবে খেলতে থাকেন এবং স্কোরবোর্ডকে এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি রিতু মনিকে যোগ্য পার্টনার হিসেবে পান, যিনি মাত্র ২৩ বলে ৩৩ রান করেন।
শেষ দুই ওভারে ১৬ রানের যখন প্রয়োজন, সেসময় বাংলাদেশ শেষ ওভারে মনির রান আউটে অনেকটাই সমস্যায় পড়েছিল। তবে নিগার সুলতানা তার ধৈর্য ও বিশ্বাস ধরে রেখে শেষ ওভারে দুটি বাউন্ডারি হাকিয়ে বাংলাদেশকে রোমাঞ্চকর জয় উপহার দেন। তিনি মাত্র ৫১ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন, যার মধ্যে সাতটি চার ও দু’টি ছক্কা ছিল।
শ্রীলঙ্কার তিনজন বোলার একটি করে উইকেট নিলেও তারা তাদের দলের হয়ে ম্যাচ জিততে পারেনি। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ একই ভেন্যুতে ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ
নারী এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় সিলেটে বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় থাইল্যান্ড। কিন্তু বাংলাদেশের বোলিং আঘাতে তারা বড় স্কোর করার সুযোগ পায়নি।
থাই নারী দল ১৯ ওভার ৪ বল খেলে মাত্র ৮২ রানে গুটিয়ে যায়। এরমধ্যে ফন্নিতা মায়া ২৬ রান করেন এবং রোজেনান কানহ ১১ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে রুমানা তিনটি এবং নাহিদা আক্তার, সানজিদা আক্তার মেঘলা ও সোহেলী আক্তার দুটি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: নারী এশিয়া কাপ: সিলেটে পৌঁছেছে ৬ দল, আজ আসছে ভারত
জবাবে, ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১১ ওভার ৪ বল খেলেই কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করে বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশের পক্ষে শামীমা সুলতানা সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন। এছাড়া ফারজানা হক ও নিগার যথাক্রমে ২৬ ও ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
বর্তমান সময়ে টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত ফর্মে আছে বাংলাদেশ নারী দল। বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছেন, তারা ঘরের মাঠে শিরোপা ধরে রাখতে আগ্রহী।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে ভারত।
৩ অক্টোবর নিজেদের পরের ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ খেলতে সিলেটে জাহানারা-জ্যোতিরা
নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের দল ঘোষণা
অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না: নিগার সুলতানা
পাকিস্তানের বিপক্ষে সোমবার বিশ্বকাপ ম্যাচে প্রথম ঐতিহাসিক জয়ে বাংলাদেশ নারী দলের উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছেন, ‘আমি আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানকে বিশ্বকাপে হারিয়েছি। এটা একটা ইতিহাস। আমি আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এটি একটি বড় অর্জন এবং আমরা জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।’
নিগার বলেন, ‘আমরা পাকিস্তান দলকে অন্যান্য দলের চেয়ে ভালো জানি কারণ আমরা তাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচে খেলেছি। যেটা কি না বিশ্বকাপে তাদের হারাতে সাহায্য করেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
সোমবার হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান করে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে এটি ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের সর্বোচ্চ স্কোর। বাংলাদেশের পক্ষে ফারজানা হক ৭১, অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৪৬ এবং শারমিন আক্তার ৪৪ রান করেন।
জবাবে সিদরা আমিনের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও পাকিস্তান নারী দল ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৫ রানের বেশি করতে পারিনি।
বাংলাদেশের ফাহিমা খাতুন তিনটি এবং রুমানা আহমেদ দুটি উইকেট নেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জিতেছিল। সোমবার পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলকে হারিয়ে সেই ইতিহাসে নিজেদেরও নাম লিখালেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশের মেয়েরা