নিগার সুলতানা
নারী এশিয়া কাপ: সেমিফাইনালে চোখ বাংলাদেশের
আসন্ন এসিসি নারী এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টিতে অংশ নিতে শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে উড়াল দিতে প্রস্তুত বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল।
সোমবার আনুষ্ঠানিক ফটোশুটের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জানান, এশিয়া কাপের এবারের আসরে বাংলাদেশের লক্ষ্য সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার।
সাবেক চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে ফলাফলের উত্থান-পতন দেখছে। গত বছর ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে খেললেও প্রত্যাশা পূরণ হয়নি তাদের।
নিগার বলেন, 'আমাদের প্রথম লক্ষ্য সেমিফাইনালে ওঠা। শেষ দুই সিরিজে আমরা ভালো করতে পারিনি। আমরা কোনো ম্যাচ জিততে পারিনি। তাই এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এর আগে ১২ বার মুখোমুখি হয়ে তিন বার জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে বেশ শক্তিশালী দল। অর্থাৎ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারাতে নিগার ও তার দলকে নিজেদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে।
২০১৮ সালে, বাংলাদেশ ফাইনালসহ দুইবার ভারতকে পরাজিত করে এবং প্রথমবারের মতো শিরোপা লাভ করে। এশিয়া কাপে এই অর্জন পুরুষ ক্রিকেট দলেরও আসেনি। কিন্তু এই দারুণ সফলতার পর আর কখনো সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ।
নিগার বলেন, 'আমাদের ভালো মোমেন্টাম দরকার এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি জয় সেটা এনে দিতে পারে।’
বাংলাদেশ নারী দলের কোচের দায়িত্ব পালন করছেন হাসান তিলকরত্নে। শ্রীলঙ্কার সাবেক এই ক্রিকেটার মনে করেন, সাম্প্রতিক সময়ে দল খারাপ খেলছে এবং তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলা দরকার যাতে তারা ব্যর্থতার ভয় কাটিয়ে উঠে ভালো পারফর্ম করতে পারে।
হাসান বলেন, 'আমাদের মেনে নিতে হবে যে, সাম্প্রতিক সময়ে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারিনি। তবে আমাদের ভালো করার সামর্থ্য আছে।’
প্রায় এক বছর জাতীয় দলের বাইরে থাকা দুই জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড় রুমানা আহমেদ ও জাহানারা আলমের প্রত্যাবর্তন দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেবে বলে প্রত্যাশা টিমের।
অধিনায়ক এবং কোচ উভয়ই বলেছিলেন যে তারা আত্মবিশ্বাসী যে দুই সিনিয়র খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তি এশিয়া কাপে দলকে গতি পেতে সহায়তা করতে পারে।
নিগার বলেন, 'দীর্ঘদিন পর তারা দলে ফিরেছেন। গত ঘরোয়া আসরে দুজনই ভালো করেছে। আমি মনে করি, তারা আমাদের খেলায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারবে।’
বাংলাদেশে নারী ক্রিকেটের উন্নয়নে কোনো টি-টোয়েন্টি ইভেন্ট নেই। বারবার ক্রিকেটারদের তোপের মুখে পড়লেও এখনও নারী ক্রিকেটারদের জন্য কোনো টি-টোয়েন্টি ইভেন্ট চালু করেনি বিসিবি। তবে বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও নারী উইংয়ের বর্তমান প্রধান হাবিবুল বাশার বলছেন, নারী ক্রিকেটের জন্য আরও উন্নয়নের সুযোগ আনতে কাজ করছেন তারা।
নারী ক্রিকেটারদের জন্য আরও সুযোগ ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বিসিবি কাজ করছে উল্লেখ করে বাশার বলেন, 'এটা করার বিষয়ে বিসিবির মধ্যে আলোচনা হয়েছে। এটা এখন সময়ের দাবি। কবে পাব জানি না, তবে বিসিবি এটা নিয়ে আলোচনা করছে।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের আম্পায়ার হওয়ার ইচ্ছা সাথিরা জাকিরের
৫ মাস আগে
নিগার সুলতানার ৭৫ রানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ
কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে মঙ্গলবার বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল শ্রীলঙ্কা সফরের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে এক বল বাকি থাকতেই রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শ্রীলঙ্কা নারী দলকে ৬ উইকেটে পরাজিত করেছে।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা নারী দল। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু মাত্র ২৮ বলে দ্রুতগতিতে ৩৮ রান করে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন।
তবে ৯ম ওভারে নাহিদা আক্তারের বলে আউট হন তিনি। হার্শিতা সামারাবিক্রমা ৪৪ বলে ৪৫ রান করে ইনিংস ধরে রাখলেও অন্য প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে। শেষ পর্যন্ত নীলাক্ষী ডি সিলভার অপরাজিত ২৯ রানে শ্রীলঙ্কা তাদের ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ১৪৫ রান করে।
বাংলাদেশের পক্ষে ফাহিমা খাতুন ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন ফারিহা তৃষ্ণা, সুলতানা খাতুন ও নাহিদা আক্তার।
আরও পড়ুন: অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না: নিগার সুলতানা
জয়ের জন্য ১৪৬ রান তাড়া করতে গিয়ে বাংলাদেশ দলের ওপেনার শামীমা সুলতানাকে হারায়। তবে অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও শোভনা মোস্তারি ৫১ রানের জুটিতে ইনিংসকে স্থির রাখেন। মোস্তারি ১৭ রানে ওশাদি রানাসিংহের বলে আউট হন। কিন্তু নিগার সুলতানা আক্রমণাত্মকভাবে খেলতে থাকেন এবং স্কোরবোর্ডকে এগিয়ে নিয়ে যান। তিনি রিতু মনিকে যোগ্য পার্টনার হিসেবে পান, যিনি মাত্র ২৩ বলে ৩৩ রান করেন।
শেষ দুই ওভারে ১৬ রানের যখন প্রয়োজন, সেসময় বাংলাদেশ শেষ ওভারে মনির রান আউটে অনেকটাই সমস্যায় পড়েছিল। তবে নিগার সুলতানা তার ধৈর্য ও বিশ্বাস ধরে রেখে শেষ ওভারে দুটি বাউন্ডারি হাকিয়ে বাংলাদেশকে রোমাঞ্চকর জয় উপহার দেন। তিনি মাত্র ৫১ বলে ৭৫ রানে অপরাজিত থাকেন, যার মধ্যে সাতটি চার ও দু’টি ছক্কা ছিল।
শ্রীলঙ্কার তিনজন বোলার একটি করে উইকেট নিলেও তারা তাদের দলের হয়ে ম্যাচ জিততে পারেনি। সিরিজের বাকি দুটি ম্যাচ একই ভেন্যুতে ১১ ও ১২ মে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
১ বছর আগে
নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ
নারী এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে থাইল্যান্ডকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় সিলেটে বিভাগীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় থাইল্যান্ড। কিন্তু বাংলাদেশের বোলিং আঘাতে তারা বড় স্কোর করার সুযোগ পায়নি।
থাই নারী দল ১৯ ওভার ৪ বল খেলে মাত্র ৮২ রানে গুটিয়ে যায়। এরমধ্যে ফন্নিতা মায়া ২৬ রান করেন এবং রোজেনান কানহ ১১ রান করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে রুমানা তিনটি এবং নাহিদা আক্তার, সানজিদা আক্তার মেঘলা ও সোহেলী আক্তার দুটি করে উইকেট নেন।
আরও পড়ুন: নারী এশিয়া কাপ: সিলেটে পৌঁছেছে ৬ দল, আজ আসছে ভারত
জবাবে, ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১১ ওভার ৪ বল খেলেই কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করে বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশের পক্ষে শামীমা সুলতানা সর্বোচ্চ ৪৯ রান করেন। এছাড়া ফারজানা হক ও নিগার যথাক্রমে ২৬ ও ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
বর্তমান সময়ে টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত ফর্মে আছে বাংলাদেশ নারী দল। বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছেন, তারা ঘরের মাঠে শিরোপা ধরে রাখতে আগ্রহী।
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে ভারত।
৩ অক্টোবর নিজেদের পরের ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপ খেলতে সিলেটে জাহানারা-জ্যোতিরা
নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের দল ঘোষণা
২ বছর আগে
অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না: নিগার সুলতানা
পাকিস্তানের বিপক্ষে সোমবার বিশ্বকাপ ম্যাচে প্রথম ঐতিহাসিক জয়ে বাংলাদেশ নারী দলের উচ্ছ্বসিত অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছেন, ‘আমি আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানকে বিশ্বকাপে হারিয়েছি। এটা একটা ইতিহাস। আমি আমার অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। এটি একটি বড় অর্জন এবং আমরা জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চাই।’
নিগার বলেন, ‘আমরা পাকিস্তান দলকে অন্যান্য দলের চেয়ে ভালো জানি কারণ আমরা তাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচে খেলেছি। যেটা কি না বিশ্বকাপে তাদের হারাতে সাহায্য করেছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
সোমবার হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ২৩৪ রান করে বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে এটি ছিল বাংলাদেশের মেয়েদের সর্বোচ্চ স্কোর। বাংলাদেশের পক্ষে ফারজানা হক ৭১, অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৪৬ এবং শারমিন আক্তার ৪৪ রান করেন।
জবাবে সিদরা আমিনের সেঞ্চুরি সত্ত্বেও পাকিস্তান নারী দল ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৫ রানের বেশি করতে পারিনি।
বাংলাদেশের ফাহিমা খাতুন তিনটি এবং রুমানা আহমেদ দুটি উইকেট নেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জিতেছিল। সোমবার পাকিস্তান নারী ক্রিকেট দলকে হারিয়ে সেই ইতিহাসে নিজেদেরও নাম লিখালেন বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশের মেয়েরা
২ বছর আগে