পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় চালু হতে যাচ্ছে রবিবার
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র রবিবার (২৫ জুন) সকাল থেকে পুনরায় চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ এম খোরশেদুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘আশা করি আমরা ২৫ জুনের শুরুর দিকে প্ল্যান্টের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারব।’
বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড এবং চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) যৌথ উদ্যোগ বিসিপিসিএল ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিক ও অপারেটর।
আরও পড়ুন: পায়রা বন্দরের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ ভিড়বে এপ্রিলে
কয়লা সংকটের কারণে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধের ১৮ দিন পর গতকাল ৪১ হাজার ৩২৭ মেট্রিক টন কয়লা বহনকারী একটি জাহাজ পায়রা বন্দরে এসে পৌঁছায়।
আগামী জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে আরও চারটি কয়লাবাহী জাহাজ পায়রায় পৌঁছাবে বলে বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে।
কয়লা সংকটের কারণে গত ৫ জুন দেশের সর্ববৃহৎ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পায়রা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
ডলার ঘাটতির কারণে ৩৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বকেয়া বিল পরিশোধে ব্যর্থতা হওয়ায় গত ২৫ মে কয়লা সরবরাহ বন্ধ হয়, ফলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
আরেকটি ইউনিটের উৎপাদন ৫ জুন পর্যন্ত অব্যাহত ছিল, তবে কয়লার ঘাটতির কারণে এটিও বন্ধ হয়ে যায়। ফলে রেকর্ড পরিমাণ উষ্ণতম গ্রীষ্মের দিনগুলোতে দেশব্যাপী কয়েক সপ্তাহ ধরে লোডশেডিং হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে নেপাল: প্রধানমন্ত্রী
১৮ দিন উৎপাদন বন্ধের পর অবশেষে জ্বালানি নিয়ে পায়রা বন্দরে জাহাজ ভিড়েছে
১ বছর আগে
পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনকালে তিনি দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ কভারেজ ঘোষণা করেন।
এই মাইলফলক অর্জনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সোমবার পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিসিপিসিএল),রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগ উন্নয়ন অংশীদারিত্বের অংশ হিসাবে দুই বিলিয়ন ডলারে এই প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে।
প্রায় পাঁচ মাস ধরে পরীক্ষা চালানোর পর, পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে।
পাওয়ার ট্রান্সমিশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি সঞ্চালন প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ স্লোগান না দেয়া মানে স্বাধীনতার আদর্শকে অবিশ্বাস করা: প্রধানমন্ত্রী
এই সঞ্চালন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে-পায়রা প্ল্যান্ট থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন নির্মাণ, ১৬৪ দশমিক ৬ কিলোমিটার আমিনবাজার-মাওয়া-গোপালগঞ্জ-মোংলা পর্যন্ত ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন এবং পদ্মা সেতুর কাছে ৯ দশমিক চার কিলোমিটার নদী-ক্রসিং লাইন।
পিজিসিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পগুলো পায়রা ও রামপাল উভয় প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং এতে প্রায় চার হাজার ৬৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। যার মধ্যে তিন হাজার ২৯৪ কোটি টাকা পায়রা প্ল্যান্ট ট্রান্সমিশন সুবিধার জন্য ব্যয় করা হবে।
২ বছর আগে
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম এই মুহূর্তে বাড়াতে চায় না সরকার: নসরুল হামিদ
সরকার এই মুহূর্তে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়াতে চায় না বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করছি। তবে আন্তর্জাতিক দিক থেকে যদি কোনো বড় পরিবর্তন আসে তাহলে সরকারের পক্ষ থেকে দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।’
২১ মার্চ পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধন উপলক্ষে সোমবার মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে সরকারকে ব্যাপক লোকসান গুণতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: গ্যাস ও বিদ্যুতে ভর্তুকি ধাপে ধাপে কমানো উচিত: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১ মার্চ পায়রায় দেশের প্রথম এক হাজার ৩২০ আলট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করবেন বলেও জানান তিনি।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি মাইলফলকে পৌঁছাবে। কেননা বাংলাদেশে এটিই প্রথম আলট্রা-সুপার ক্রিটিক্যাল বিদ্যুৎকেন্দ্র যা পরিবেশবান্ধব।
এ সময় বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, এনডব্লিউপিজিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খুরশেদ আলম, এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীর ও নির্বাহী পরিচালক রিশান নাসরুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ওপর গণশুনানি ২১ থেকে ২৪ মার্চ
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের চাহিদা প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট করে বাড়ছে।
উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উদ্বৃত্ত উৎপাদন না হলে আগামী গ্রীষ্মে দেশে লোডশেডিং হতে পারে।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারে পেট্রোলিয়ামের দাম বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) প্রতিদিন ৮০ কোটি টাকা লোকসান গুণতে হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই অবস্থা চলতে থাকলে মাসিক ক্ষতি হবে আড়াই হাজার কোটি টাকা। এটি একটি বড় প্রশ্ন, আমরা এই বিশাল ক্ষতি কতদূর বহন করতে পারি।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করা হলেও সঞ্চালন লাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্বের কারণে ঢাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছাতে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
২ বছর আগে