পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এক হাজার ৩২০ মেগাওয়াট পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধনকালে তিনি দেশে শতভাগ বিদ্যুৎ কভারেজ ঘোষণা করেন।
এই মাইলফলক অর্জনের মাধ্যমে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে গেলো বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সোমবার পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (বিসিপিসিএল),রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগ উন্নয়ন অংশীদারিত্বের অংশ হিসাবে দুই বিলিয়ন ডলারে এই প্ল্যান্ট স্থাপন করেছে।
প্রায় পাঁচ মাস ধরে পরীক্ষা চালানোর পর, পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি ২০২০ সালের মে মাসে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করে।
পাওয়ার ট্রান্সমিশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) পায়রা বিদ্যুৎ প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি সঞ্চালন প্রকল্প হাতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘জয় বাংলা’ স্লোগান না দেয়া মানে স্বাধীনতার আদর্শকে অবিশ্বাস করা: প্রধানমন্ত্রী
এই সঞ্চালন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে-পায়রা প্ল্যান্ট থেকে গোপালগঞ্জ পর্যন্ত ১৬০ কিলোমিটার ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন নির্মাণ, ১৬৪ দশমিক ৬ কিলোমিটার আমিনবাজার-মাওয়া-গোপালগঞ্জ-মোংলা পর্যন্ত ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইন এবং পদ্মা সেতুর কাছে ৯ দশমিক চার কিলোমিটার নদী-ক্রসিং লাইন।
পিজিসিবি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই প্রকল্পগুলো পায়রা ও রামপাল উভয় প্ল্যান্ট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এবং এতে প্রায় চার হাজার ৬৫০ কোটি টাকা খরচ হবে। যার মধ্যে তিন হাজার ২৯৪ কোটি টাকা পায়রা প্ল্যান্ট ট্রান্সমিশন সুবিধার জন্য ব্যয় করা হবে।