প্রয়োজন
নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন কম শব্দযুক্ত পরিবেশ: রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অনেক চালক হর্ন বাজিয়ে বিরক্ত করেন। তাই নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য প্রয়োজন কম শব্দযুক্ত পরিবেশ।
তিনি বলেন, নিরাপদ ভবিষ্যৎ গড়তে কম শব্দযুক্ত দেশে থাকতে হবে। আমরা যদি বাস, ট্রাক বা গাড়িতে অপ্রয়োজনীয় হর্ন না বাজাই, তাহলে অনেক মানুষের স্বাস্থ্যহানি রোধ করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করে তুলতে পারিনি: উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পরিবেশ অধিদপ্তরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির প্রশিক্ষকদের শব্দ সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, রেড লাইট থেকে গ্রিন লাইটে আসলেই সব গাড়ি হর্ন বাজানো শুরু করে। এটা উচিত নয়। হর্ন বাজানোর আগে ভাবতে হবে, এটি জরুরি কি না। সকল ড্রাইভারকে হর্ন না বাজানোর জন্য সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে, বাচ্চাদের স্কুলে নেওয়ার সময় রিকশায় যে শব্দ হয়, তাতে অনেক সময় কানের সমস্যা হতে পারে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ইসলাম ধর্মে উচ্চস্বরে নয়, নিচু করে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনভাবে কথা বলতে হবে যাতে মানুষের বিরক্তির কারণ না হয়। আমরা মনে করি যে যত জোরে কথা বলতে পারি, সে তত শক্তিশালী। কিন্তু আসলে যুক্তিপূর্ণ কথা বলাই আসল ক্ষমতা। আমাদের ব্যক্তিগত পর্যায়ে পরিবর্তন আনলেই সমাজে ও রাষ্ট্রে পরিবর্তন আনা সম্ভব।
বক্তব্য দেন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের পরিচালক।
আরও পড়ুন: সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম ও মুরগি ভোক্তার কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করতে হবে: উপদেষ্টা
২ মাস আগে
সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার প্রয়োজন আছে: আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের ৪২ ধারার আইনি প্রয়োজন আছে। কারণ পুলিশের কাজ হলো, যদি অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে সেটা বন্ধ করা। অপরাধ সংঘটিত হলে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারে সোপর্দ করা এবং সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা।
মন্ত্রী বলেন, বিচারে সোপর্দ করতে গেলে কিছু ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রয়োজন হয় এবং এই সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা তাদের দায়িত্ব। ওইখানে যদি পুলিশের হাতটা বেঁধে দেওয়া হয়, তাহলে তো তারা সাক্ষ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবে না, কাজ করতে পারবে না। এমন এমন জায়গা আছে, যেখানে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের প্রয়োজন হয়। এ ধরনের ক্ষেত্রেই কেবল ৪২ ধারা প্রয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হবে: আইনমন্ত্রী
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বাংলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার-বিজেসির চতুর্থ সম্প্রচার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে আনিসুল হক বলেন, ২০০৬ সালের আইসিটি আইনে ৫৭ ধারা যুক্ত করা হয়েছিল। এ ধারার বিষয়ে অনেক প্রশ্ন ও আপত্তি ছিল। আবার সাইবার স্পেস নিয়ন্ত্রণ বা সুরক্ষারও প্রয়োজন ছিল। এমন প্রেক্ষাপটেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছিল। এই আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ছিল না- সাংবাদিক, সংবাদমাধ্যম বা স্বাধীন সাংবাদিকতা করার জন্য এটা একটা বাধা হয়ে দাঁড়াক। মোটেই এটা ইচ্ছা ছিল না এবং এটাও সত্য যে বাংলাদেশের সংবিধানে বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার কথাটা একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে নিশ্চয়তা দেওয়া আছে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে অপব্যবহার হয়েছে তা সরকার সবসময় স্বীকার করেছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ৭০০১টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে এখন আছে ৫ হাজার ৯৯৫টি মামলা। এই মামলার শতকরা ৯৫ ভাগ দায়ের করেছে বাংলাদেশের জনগণ। এর মধ্যে হয়তো রাজনীতিবিদরাও আছেন। কিন্তু যখন দেখা গেল, এই আইনের কিছুটা অপব্যবহার করা হচ্ছে, তখন কিন্তু সরকার এটা নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছে। এরপর সারা পৃথিবীর বেস্ট প্রাকটিসগুলো সম্বন্ধেও সরকার জ্ঞাত হয়েছে।
এরপর যখন দেখা গেছে আইনটিতে কিছু কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন তখন সেটা নিয়ে কথা হয়েছে, সাইবার নিরাপত্তা আইনের খসড়া তৈরির সময়ও আলোচনা হয়েছে। প্রথম দফার আলাপে সরকার এটাকে আরও সহজ করার চেষ্টা করেছে। এখানে যেসব যৌক্তিক আপত্তি পাওয়া গেছে, সেগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।
বলা হচ্ছে, সাইবার নিরাপত্তা আইন করার সময় কারও সঙ্গে আলাপ করা হয়নি, কথাটি সম্পূর্ণ সত্য নয়। কেউ হয়তো বলতে পারেন তার সঙ্গে তো আলাপ করা হয়নি, অমুকের সঙ্গে তো আলাপ করা হয়নি। কিন্তু এই আইনের বিষয়ে ধারণা নেওয়ার জন্য কোথায় অসুবিধা হচ্ছে, কোথায় কী করতে হবে, সেসব কথা বলার জন্য কিন্তু আলাপ-আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তারপরও যখনই আপত্তি উঠেছে, তখন আবারও আলাপ-আলোচনা করেছি। যাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে তারা হলেন নির্বাচিত প্রতিনিধি। এরপর সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতেও আলোচনা হয়েছে। সেখানে বিএফইউজের বেশ কয়েকটি পরামর্শ গ্রহণ করা হয়েছে। মিথ্যা মামলার বিষয়ে তাদের যে পরামর্শ ছিল, সেটা নেওয়া হয়েছে। ২১ ধারার বিষয়ে বিএফইউজে থেকে যে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল তা গ্রহণ করা হয়েছে। এখন ৪২ ধারা নিয়ে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু সাংবাদিক নয় সর্বক্ষেত্রে যারা কর্মকর্তা, কর্মচারী ও কর্মী আছেন তাদের সবার স্ব-স্ব অবস্থানের সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে খুবই সিরিয়াস।
আরও পড়ুন: ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে ইমরানকে বরখাস্ত করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
ডিএজি এমরান শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন: আইনমন্ত্রী
১ বছর আগে
গণতন্ত্র কার্যকরে সব দলের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া প্রয়োজন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, গণতন্ত্রকে অংশগ্রহণমূলক করতে সব রাজনৈতিক দলকে একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আসতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ (নির্বাচন) ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প আমার জানা নেই।’
বুধবার পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মোমেন বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের অন্যতম ধারক, এখানে যে কেউ নির্বাচনে অবাধে তার ভোট দিতে পারে।
তিনি দাবি করেন, ছবিসহ ভোটার আইডি প্রবর্তনের ফলে বর্তমানে ভোট কারচুপি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে। আমাদের ছবিসহ ভোটার আইডি রয়েছে। আমাদের জনগণ মানসিকভাবেও খুব গণতান্ত্রিক। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় এবং প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ আমাদের নির্বাচনে ভোট দেয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, তারা ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করেন এবং কোনো ধরনের বৈষম্যে বিশ্বাস করেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ উল্লেখ করে মোমেন বলেন, আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০ মার্চ মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের সফরের সময় বাংলাদেশ র্যাব ও এর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল।
ড. মোমেন বলেন, গত তিন মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি। তারা (মার্কিন) খুব খুশি। আমরা বলেছিলাম আমরা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন-এর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে আব্দুল মোমেনের।
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস এবং অতিরিক্ত সচিব (সার্ক ও বিমসটেক) মো. শামসুল হক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান প্রত্যাবাসনে নিহিত: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস নর্ডিক দেশগুলোর
২ বছর আগে
মৌলিক ক্ষেত্রে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘বাংলাদেশে মৌলিক ক্ষেত্রে গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।’ তরুণ কৃষিবিদদের জ্ঞান-বিজ্ঞান ও গবেষণায় অধিকতর মনযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তোমরা জাগো, ওঠো, বেড়িয়ে পড়ো।’
মঙ্গলবার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বন্দুক-কামানের চেয়ে কলমকে বেশি শক্তিশালী বলে আখ্যায়িত করেছেন।
হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সরকার ঘোষিত কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ. লীগ একটি রাজনৈতিক দল নয়, রাজনৈতিক আন্দোলন: পরিকল্পনামন্ত্রী
ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষকের বক্তৃতায় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মতিয়ার রহমান হাওলাদার বলেন, ‘এইচএসসিতে শিক্ষার্থীরা যে পড়াশোনা করে তার ৪ ভাগের ১ ভাগ পড়াশোনা করলে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্লাস রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব।’
তিনি বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রায় বিনামূল্যে পড়াশোনা করেন। শিক্ষার্থীদের তিনি পড়াশোনা ও জ্ঞান চর্চায় মনযোগী হতে বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসার আহ্বান পরিকল্পনামন্ত্রীর
২ বছর আগে