পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, গণতন্ত্রকে অংশগ্রহণমূলক করতে সব রাজনৈতিক দলকে একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আসতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এ (নির্বাচন) ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প আমার জানা নেই।’
বুধবার পঞ্চম বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় মোমেন বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের অন্যতম ধারক, এখানে যে কেউ নির্বাচনে অবাধে তার ভোট দিতে পারে।
তিনি দাবি করেন, ছবিসহ ভোটার আইডি প্রবর্তনের ফলে বর্তমানে ভোট কারচুপি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে।
আব্দুল মোমেন বলেন, বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রয়েছে। আমাদের ছবিসহ ভোটার আইডি রয়েছে। আমাদের জনগণ মানসিকভাবেও খুব গণতান্ত্রিক। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় এবং প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ আমাদের নির্বাচনে ভোট দেয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলেন রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত
তিনি বলেন, তারা ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করেন এবং কোনো ধরনের বৈষম্যে বিশ্বাস করেন না।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ উল্লেখ করে মোমেন বলেন, আগামী দিনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ২০ মার্চ মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ডের সফরের সময় বাংলাদেশ র্যাব ও এর কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল।
ড. মোমেন বলেন, গত তিন মাসে কোনো মৃত্যু হয়নি। তারা (মার্কিন) খুব খুশি। আমরা বলেছিলাম আমরা প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি।
দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ৪ এপ্রিল ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন-এর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে আব্দুল মোমেনের।
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস এবং অতিরিক্ত সচিব (সার্ক ও বিমসটেক) মো. শামসুল হক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান প্রত্যাবাসনে নিহিত: পররাষ্ট্র সচিব
বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস নর্ডিক দেশগুলোর