কসমস গ্রুপ
ঢাকায় প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করলেন আইরিশ মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে আয়ারল্যান্ডের প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করেছেন আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানবিষয়ক মন্ত্রী সাইমন কভেনি। এটিকে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ঢাকার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত করতে সম্প্রতি কসমস গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খানকে বাংলাদেশে অনারারি কনসাল নিয়োগ করেছে আয়ারল্যান্ড।
৮ মাস আগে
এনায়েতউল্লাহ খানকে 'ন্যাশনাল অর্ডার ফর মেরিট' পদকে ভূষিত করেছে রোমানিয়া
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রোমানিয়ার অনারারি কনসাল এনায়েতউল্লাহ খান নাইট পদমর্যাদায় 'ন্যাশনাল অর্ডার ফর মেরিট' পদকে ভূষিত হয়েছেন।
রোমানিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় অনুসারে, বাংলাদেশ ও রোমানিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং উচ্চ পর্যায়ের সংলাপ সমর্থন ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য উচ্চ প্রশংসার নিদর্শন স্বরূপ তাকে এই মর্যাদাপূর্ণ পদকে ভূষিত করা হয়েছে।
এই পদক প্রদান করেন রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এনআইসি সদস্য হলেন এনায়েতউল্লাহ খান
১১ মাস আগে
সমৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়ার যৌথ বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে: রাষ্ট্রদূত সুবোলো
বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়ার প্রকৃত অংশীদারিত্বকে শক্তিশালী করতে এবং আরও ভালোভাবে এগিয়ে নিতে দুই দেশের জাতীয় ক্ষমতার সর্বোচ্চ অন্তর্ভুক্ত করে ‘বৃহত্তর কর্মপরিকল্পনার’ পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবোলো।
বাংলাদেশে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ আছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত সুবোলো বলেন, এখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা ‘অনেক বেশি বিস্তৃত’।
বুধবার ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত কসমস ডায়ালগের সর্বশেষ পর্বে মূল বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়াকে মূলত নিজেদের অন্যতম বন্ধু ও অংশীদার হিসাবে দেখতে হবে। কেননা বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়াকে একসঙ্গে সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়ালগের প্রিমিয়ার বুধবার
দুই দেশ তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই সম্পর্ক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব জোরদার, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও ডিজিটাল অর্থনৈতিক পরিবেশকে আরও গভীর করা, জ্বালানি বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণে বিনিয়োগ এবং জনগণকে তাদের ক্ষমতার সঙ্গে সংযুক্ত করার সুযোগ দিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ইন্দোনেশিয়ার কৌশলগত ও নেতৃস্থানীয় শিল্পের জন্য একটি সম্ভাবনাময় বাজার।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা কসমস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক এই সংলাপটির আয়োজন করা হয়।
কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান সংলাপে সূচনা বক্তব্য রাখেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: কসমস আতেলিয়ার৭১ এর আয়োজনে 'আর্টিস্ট রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন, কসমস ফাউন্ডেশনের সম্মানিত উপদেষ্টা ইমেরিটাস রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ করিম ও ঢাকা কুরিয়ারের নির্বাহী সম্পাদক শায়ান এস খান আলোচক প্যানেলে যোগ দেন।
সেশনে আরও বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান।
২ বছর আগে
ঢাকা-জাকার্তা সম্পর্ক নিয়ে কসমস ডায়ালগের প্রিমিয়ার বুধবার
কসমস গ্রুপের জনহিতকর শাখা কসমস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘বাংলাদেশ-ইন্দোনেশিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের জন্য পূর্বাভাস’ শীর্ষক একটি সংলাপ বুধবার সন্ধ্যায় প্রিমিয়ার হবে।
কসমস ডায়ালগের সর্বশেষ পর্বে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু এইচ সুবোলো মূল বক্তব্য দেবেন।
এই সংলাপটি কসমস ফাউন্ডেশনের চলমান ‘অ্যাম্বাসেডরস লেকচার সিরিজ’ এর অংশ।
আরও পড়ুন: 'ইনসাইড আউট’: শিশুদের জন্য গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী পেইন্টিং ও অরিগামি ওয়ার্কশপ
কসমস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নাহার খান সংলাপে সূচনা বক্তব্য রাখবেন।
বিশিষ্ট কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিন, কসমস ফাউন্ডেশনের সম্মানিত উপদেষ্টা ইমেরিটাস রাষ্ট্রদূত (অব.) তারিক এ করিম ও ঢাকা কুরিয়ারের নির্বাহী সম্পাদক শায়ান এস খান আলোচক প্যানেলে যোগ দেবেন।
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া এ বছর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে।
আরও পড়ুন: কালিদাস কর্মকারের স্মরণে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আয়োজন
২ বছর আগে
ইউএনবিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন
কসমস গ্রুপের অধীনে বাংলাদেশের একমাত্র বেসরকারি সংবাদ সংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশে (ইউএনবি) আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষে শুভেচ্ছা বার্তা জানিয়েছেন কসমস গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ইউএনবির ডিরেক্টর নাহার খান।
মঙ্গলবার দিবসটি উপলক্ষ্যে ইউএনবিতে নারী কর্মীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো এবং কেক কাটা হয়।
এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে 'টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য।’
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবসে জাতিসংঘ মহাসচিবের বাণী
ইউএন উইমেন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ২০২২ সালে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে লিঙ্গ সমতা অর্জনের জন্য পরিবেশগত ও দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস গুরুত্বপূর্ণ। যা একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলোর একটি৷
ইউএন উইমেন বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘লিঙ্গ সমতা ছাড়া টেকসই ও সমতাভিত্তিক ভবিষ্যত আমাদের নাগালের বাইরে থেকে যাবে।’ আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২-এর প্রচারের থিম হল হ্যাশট্যাগ ব্রেক দ্য বায়াস।
সমতার জন্য নারীদের আন্দোলন ও সংগ্রামকে উদযাপন করতে প্রতি বছর ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস আজ
২ বছর আগে
বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং
বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতায় বৈচিত্র্য চান বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং কিউন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তৈরি পোশাক শিল্পের (আরএমজি) বাইরে যেতে হবে এবং দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতা বিশেষায়িত করতে হবে।’
বৃহস্পতিবার কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশনের অ্যাম্বাসেডর লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে ‘বাংলাদেশ-দক্ষিণ কোরিয়া সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপের মূল বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
সংলাপে বক্তারা বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সহযোগিতা আরও প্রশস্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। দক্ষিণ কোরিয়া যেহেতু বাংলাদেশে আরও সফল গল্প খুঁজছে সেহেতু আরএমজির বাইরে বিশেষ করে প্রযুক্তি বিনিময় থেকে ভার্চুয়াল মার্কেটপ্লেস, ফ্যাশন, উদ্যোগ, উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে সহায়তা প্রশস্ত করার ওপর গুরুত্ব দেন তারা।
সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চায় দ.কোরিয়া: রাষ্ট্রদূত
৩ বছর আগে
কালিদাস কর্মকারের স্মরণে গ্যালারি কসমসের দিনব্যাপী আয়োজন
একুশে পদক বিজয়ী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী কালিদাস কর্মকারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার দিনব্যাপী কর্মসূচির মাধ্যমে তাকে স্মরণ করেছে গ্যালারি কসমস।
রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারে গ্যালারি কসমস এবং কসমস আতেলিয়ার৭১ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কালিদাস কর্মকার তার মনোমুগ্ধকর শিল্পকর্মের মাধ্যমে বাংলাদেশি শিল্প ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রশংসিত। ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর ৭৩ বছর বয়সে কালিদাস কর্মকার মারা যান।
গ্যালারি কসমসের একজন উপদেষ্টা ছিলেন কালিদাস কর্মকার। স্মরণ সভায় কালিদাস কর্মকারের শুভাকাঙ্ক্ষীরা দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: শিল্পী কালিদাস কর্মকারের ৭৫তম জন্মবার্ষিকী রবিবার
৩ বছর আগে
ঢাকা ডকল্যাবে কসমস ফাউন্ডেশন পুরস্কার
বাংলাদেশ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক তথ্যচিত্র প্রোডাকশন প্রজেক্ট ঢাকা ডকল্যাব এর পঞ্চম আসর পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। এতে বেস্ট সাউথ এশিয়ান প্রজেক্ট পুরস্কার পেয়েছে নেপালের সুবিনা শ্রেষ্ঠার ‘দেবী’ এবং এ পুরস্কারটির পৃষ্ঠপোষকতা করেছে কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন।
কসমস গ্রুপের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, ‘যাত্রার শুরু থেকে ঢাকা ডকল্যাবকে সহযোগিতা করতে পেরে আমরা খুশি। এটি আমাদের সমাজ ও দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনায়নে শক্তিশালী প্লাটফর্ম হতে চলেছে।’
অনন্য এই কর্মশালার পঞ্চম আসরে মোট ছয়টি পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কসমস সংলাপ: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
৩ বছর আগে
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মাধ্যমে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় জাপান
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেছেন, বাংলাদেশের তিনটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজেড) মাধ্যমে জাপান তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে চায়। তবে তিনটি এসইজেডের মধ্যে আড়াইহাজার এসইজেডের সফলতার ওপর জাপানের বিনিয়োগ নির্ভর করছে বলে জানান তিনি।
নাওকি বলেন, ‘আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চলে সর্বোচ্চ বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।’ তার মতে, বাংলাদেশে জাপানের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করবে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো।
আরও পড়ুন: ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ৫ চ্যালেঞ্জ দেখছেন রাষ্ট্রদূত ইতো
জাপানিজ রাষ্ট্রদূত জানান, তিনি অনেক দিন ধরেই আড়াইহাজারকে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তিনি মনে করেন, আড়াইহাজার অর্থনৈতিক অঞ্চল এশিয়ার ভিয়েতনাম, মিয়ানমার এবং ফিলিপাইনের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকেও পিছনে ফেলতে সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, আড়াইহাজারে সফলতা পেলে মীরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর এবং মহেশখালী-মাতারবাড়ি অর্থনৈতিক অঞ্চলেও বিনিয়োগের ব্যাপারে কাজ করবে জাপান।
কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন কর্তৃক রবিবার ‘বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক: ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে মূলবক্তা হিসেবে অংশগ্রহণ করে এসব কথা বলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান খুঁজছে জাপান
ওয়েবিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিখ্যাত কূটনীতিক ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
অনলাইন আলোচনায় অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে যুক্ত ছিলেন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বিশেষ দূত মো. আবুল কালাম আজাদ, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রধান কর্মকর্তা হায়াকাওয়া ইউহো, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, জাপানের স্যাক্রেড হার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাসাকা ওহাশি, সাংবাদিক ও লেখক মনজুরুল হক, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব পাবলিক পলিসির ডিন অধ্যাপক তাকাহারা আকিও এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম।
আলোচনায় জাপানি রাষ্ট্রদূত জানানা, আগামী বছরের শেষ নাগাদ আড়াইহাজার এসইজেডের কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রস্তুত হবে। তবে করোনার কারণে, এখানে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। তার মতে, প্রাথমিকভাবে জাপানের অন্তত ১০০ টি কোম্পানি আড়াইহাজারে বিনিয়োগ করবে।
আরও পড়ুন: ইকিগাই: জাপানিদের সুস্থ জীবনের রহস্য!
রাষ্ট্রদূত নাওকি বলেন, জাইকা ইতোমধ্যেই মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করছে এবং খুব শিগগিরই মাতারবাড়ি অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে কাজ শুরু করবে।
আলোচনায় জাইকার বাংলাদেশ প্রধান হায়াকাওয়া ইউহো উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বড় বাজেটের বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ঢাকার তিনটি মেট্রোরেল লাইন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, ঢাকা বিমান বন্দরের টার্মিনাল-৩, বঙ্গবন্ধু যমুনা রেল সেতু এবং আড়াইহাজার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল।
আলোচনায় এসইজেডগুলোর অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে গিয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, খুব দ্রুতই বিনিয়োগকারীরা আড়াইহাজারে তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের অংশ হিসেবে মীরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চলেও দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান কাজ করে চলেছে। এখানে নিজস্ব পাওয়ার প্ল্যান্টসহ বন্দর সুবিধা থাকবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জাপানে কাদার স্রোতে ২ মৃত্যু, নিখোঁজ ২০
অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোর সম্ভাব্য গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে আড়াইহাজার খুবই ভাল জায়গা। পাশাপশি মাতাড়বাড়িকেও বেশ সম্ভাবনার চোখে দেখছেন তিনি। তবে মীরসরাইকে বেশ জনবহুল উল্লেখ করে এই প্রকল্প নিয়ে তার শঙ্কার কথা জানান এই অর্থনীতিবীদ।
পাবলিক প্রাইভেট বিনিয়োগ আলোচনা সম্পর্কে আশাবাদী জাপানি রাষ্ট্রদূত নাওকি দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্ভাবনার পাশাপাশি বিদ্যমান কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তার মতে, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলোকে তিনটি বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এগুলো হল, কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সে দীর্ঘ সময় নষ্ট হওয়া, লেটার অফ ক্রেডিটের ধীর গতি এবং টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফারের সুযোগ না থাকা।
আরও পড়ুন: দেশে ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে জাইকা
তবে জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বাংলাদেশের চলমান বিনিয়োগ পরিবেশের উন্নতি নিয়ে বেশ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তার মতে, বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশের বিনিয়োগ বান্ধব প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার।
আলোচনায় সমাপনী বক্তব্যে ড. ইফতেখার চৌধুরী বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে জাপানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ।
৩ বছর আগে
ঢাকা-টোকিও সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ৫ চ্যালেঞ্জ দেখছেন রাষ্ট্রদূত ইতো
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো দু'দেশের বহুমুখী সহযোগিতার দৃঢ় অংশীদারিত্ব উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য পাঁচটি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেছেন,এই পাঁচ চ্যালেঞ্জ হলো- বাংলাদেশ-জাপান কৌশলগত অংশীদারিত্ব উন্নয়ন করা, বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য আরও আকর্ষণীয় করা, জনগণের মধ্যে বিনিময় সম্প্রসারণ, অবাধ ও মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতা বাড়ানো এবং এই অঞ্চলে ও এর বাইরে বাংলাদেশের সম্মান বাড়ানোর জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করা।
রবিবার কসমস গ্রুপ আয়োজিত এক অনলাইন সংলাপে রাষ্ট্রদূত ইতো বলেন, ‘আমাদের এগিয়ে যাওয়া দরকার। আমি মনে করি আমাদের সম্পর্ক প্রাকৃতিকভাবে প্রতিটি এজেন্ডার মাধ্যমে গভীরতর হবে।’
কসমস গ্রুপের জনহিতকর প্রতিষ্ঠান কসমস ফাউন্ডেশন ‘বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক সংলাপটি আয়োজন করে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও জাপান আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করবে।
সংলাপে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান। সভাপতিত্ব করেন প্রখ্যাত কূটনীতিক ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী।
আলোচক প্যানেলে ছিলেন ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের বিশেষ দূত মো. আবুল কালাম আজাদ, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি হায়াকাওয়া ইউহো, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, টোকিও’র স্যাক্রেড হার্ট বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক মাসাকা ওহাশি, সাংবাদিক ও লেখক মনজুরুল হক, টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব পাবলিক পলিসির ডীন অধ্যাপক তাকাহারা আকিও এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক এ করিম।
রাষ্ট্রদূত ইতো বলেন, ‘দু’দেশের উচিত সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা উপভোগ করা এবং আরও উন্নত করার জন্য সচেতন এবং প্রাণান্তকর চেষ্টা করা। আমাদের নিজেদের সম্পর্কে আত্মতুষ্ট হওয়া উচিত নয়।’
তিনি বলেন, “২০২২ সাল অংশীদারিত্বকে আরও উচ্চ পর্যায়ে উন্নীত করার জন্য একটি চমৎকার সুযোগ প্রদান করবে এবং আমি আশাবাদী যে দুটি দেশই এই অংশীদারিত্বকে ‘সত্যিকারের কৌশলগত অংশীদার’ হিসেবে অভিহিত করতে পারবে।”
রাষ্ট্রদূত ইতো বলেন, বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথের (বিগ-বি ইনিশিয়েটিভ) অধীনে মানসম্মত অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং যোগাযোগ জোরদারকরণ কেবল বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্যই নয়, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও উপকারী হবে।
তিনি বলেন, ‘এই বিগ-বি কেবল বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য নয়, সমগ্র বে অব বেঙ্গল অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
এনায়েতুল্লাহ খান বলেন, ‘জাপানের ভূ-কৌশলগত ভূমিকা ও অবস্থান এবং বাংলাদেশের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি এখনও বিশ্বস্ত রয়েছে, যা বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্ব কেবল পারস্পরিক স্বার্থের জন্য নয়, মূলত খাঁটি সহানুভূতিরই একটি অংশ।’
প্রখ্যাত জাপানি চিত্রশিল্পী হোকুসাইয়ের আঁকা ফুজি পাহাড়ের ৩৬টি দৃশ্য বাংলাদেশ-জাপানের সর্ম্পককে মনে করিয়ে দেয় বলে এনায়েতুল্লাহ খান উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, জাপান বাঙালির অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে এবং এই সম্পর্কের ভিত্তি বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রামের দিনগুলোতেই অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: কসমস সংলাপ: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্কে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
এনায়েতুল্লাহ খান আরও বলেন, এশিয়া মহাদেশের ভিন্ন অঞ্চলে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বেশ কয়েকটি আকর্ষণীয় মিল রয়েছে।
তিনি বলেন, উভয় পক্ষই সামনের দিনগুলোতে এই সম্পর্ক থেকে বিশেষ করে অর্থনৈতিক ক্ষেত্র এবং জনগণের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সুফল পাওয়ার সুযোগের অপেক্ষায় থাকতে পারে।
ড. ইফতেখার আশা প্রকাশ করেন যে দু'দেশই তাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে একসাথে কাজ করে যাবে। পররাষ্ট্র বিষয়ক এই বিশেষজ্ঞ বলেন, জাপান সর্বদা বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।
ড. ইফতেখার আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে উঠে আসার ক্ষেত্রে জাপান চমৎকার বাণিজ্যিক অংশীদার। তিনি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমি স্পষ্টতই বলতে পারি যে বাংলাদেশ এখন যেখানে পৌঁছেছে তার একটি বড় কারণ জাপান সর্বদা আমাদের পাশে রয়েছে।’
ড. ইফতেখার বলেন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ছাড়াও জাপান বরাবরই এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের তহবিল বাংলাদেশের জন্য সহজতর করেছে।
আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০১৪ সালে শুরু হওয়া পিপিইডি (পাবলিক-প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়লগ) জাপানের সহযোগিতায় বাংলাদেশের উন্নয়নে এক নতুন যুগের ভিত্তি।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে প্রায় ৮০টি জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে ছিল। বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে ৩৪০টিরও বেশি জাপানি কোম্পানি। পিপিইডি অনুসরণ করেই এই অর্জন এসেছে।
আজাদ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা যে পতাকা বহন করছি, জাপান এবং বাংলাদেশের একই পতাকা রয়েছে, সে যাত্রা আরও ত্বরান্বিত হবে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বাস করে যে, জাপানের মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু সর্বদা বাংলাদেশের সাথে থাকলে বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রার গতি ত্বরান্বিত হবে।
হায়াকাওয়া ইউহো বলেন, দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করতে জাইকা বাংলাদেশের উন্নয়নে কার্যকর সহযোগিতা দেবে। তিনি বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী যে জাইকা বিশেষ অংশীদার হিসেবে সবসময় পাশে থাকবে। বাংলাদেশের জনসাধারণের বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোকে সহায়তা করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।’
পড়ুন: কসমস সেন্টারে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে প্রদর্শনী দেখলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
তিনি আরও বলেন, জাইকা অন্যান্য মধ্যম আয়ের দেশগুলোর সাথে পরিবেশগত উন্নতি, উচ্চশিক্ষা, বয়স্ক সমাজের জন্য প্রস্তুতি, প্রতিবন্ধীদের জন্য সহায়তা, শিল্প বৈচিত্র্যকরণ এবং বেসরকারি বিনিয়োগ একত্রিতকরণের মতো ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করে যাচ্ছে।
ইউহো বলেন, ডিজিটাল রূপান্তরকে কাজে লাগানোর জন্যও আমাদের সহযোগিতা বাড়াতে হবে। আমাদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে হবে। আমি বিশ্বাস করি যে বাংলাদেশেও এই নতুন ক্ষেত্রে সহায়তার প্রয়োজনীয়তা বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, তিনি জাপানের প্রতি মুগ্ধ, কারণ দেশটি সর্বদা বাংলাদেশের বন্ধু। তিনি বলেন, ‘জাপান শুধুমাত্র সেতুর মতো অবকাঠামোগত উন্নয়নই নয়, বাংলাদেশে দক্ষতা বিকাশের ক্ষেত্রেও অসামান্য ভূমিকা পালন করে আসছে।’
সাবেক এই গভর্নর বলেন, জাপান তহবিল দেয়ার পাশাপাশি জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা ভাগ করে বাংলাদেশের মানুষের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাকে বলতেই হবে যে কৃষিক্ষেত্রে বিশেষ করে কুমিল্লা একাডেমি এবং অন্যান্য অনেক উপায়ে জাপান প্রচুর অবদান রেখেছে। এটি যথেষ্ট পরিমাণে সহায়তা। শুধু আর্থিক দিক থেকে এই অবদানগুলো পরিমাপ করতে পারবেন না।’
আর্থিক সহায়তার বিষয়ে সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘জাপান সব ঋণকে অনুদানে পরিণত করে একটি দুর্দান্ত কাজ করে। এটি কেবল আমাদের সেতু এবং অবকাঠামো তৈরি করতে সহায়তা করছে না বরং আমাদের অবস্থানকেও সমৃদ্ধ করছে ।’
বঙ্গোপসাগর এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অঞ্চলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে নতুন ধরণের কূটনীতির মাধ্যমে তার অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়টি লক্ষ্য করা উচিত। তিনি বলেন, ‘জাপান এবং বাংলাদেশের মধ্যে কারিগরি ও সামাজিক উন্নয়নের উভয় দিকে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।’
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা এখনও নিম্নপর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, ‘এটি বিকেন্দ্রীকরণ ও উন্নত করা উচিত। জাপান এ ক্ষেত্রে আমাদের সহায়তা করতে পারে কারণ আমি তাদের হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা দেখেছি।’
অধ্যাপক ওহাশি বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে এনজিও- জনগণ পর্যায়ে সহযোগিতা এবং বিনিময় প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন, সর্বজনীন মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য নিজ নিজ দেশে সুশীল সমাজের উপযুক্ত স্থান নিশ্চিত করতে হবে।
পড়ুন: গ্যালারি কসমসের মাসব্যাপী ভার্চুয়াল চিত্র প্রদর্শনী ‘দ্য ব্ল্যাক স্টোরি’ শুরু
মনজুরুল হক বলেন, ‘বাংলাদেশের সাথে জাপানের সম্পর্ক এই অর্থে অনন্য যে এই বন্ধন কখনই বিতর্কিত হয়নি। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সফরের পর দু'দেশের সম্পর্কে এক নতুন মাত্রা পেয়েছিল। আমরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হলেও জাপানের সাথে এক সাথে কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছি।’
অধ্যাপক তাকাহারা আকিও আশা প্রকাশ করেন যে জাপান ও বাংলাদেশ এই অঞ্চলে আরও বেশি আকর্ষণীয় সম্পর্ক তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এটি সম্ভব। এই সংলাপ পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও বাড়িয়ে তুলবে এবং আমাদের ভালো সহযোগিতার ভিত্তি প্রতিষ্ঠায় ব্যাপক অবদান রাখবে।
তারিক এ করিম বলেন, ‘আমরা প্রায় একই অবস্থানে আছি। জাপান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে একটি কঠিন জায়গায় রয়েছে। আমরাও ভারত এবং চীন এবং এখন দুটি ন্যারেটিভের মধ্যে: ইন্দো প্যাসিফিক এবং বিআরআইয়ের মধ্যে একটি কঠিন জায়গায় আছি।’
সাবেক এই কূটনীতিক জানান, তিনি ব্যক্তিগতভাবে উভয়ের সাথে সুসম্পর্ক এবং উভয়ের সাথে সক্রিয় যোগাযোগের ক্ষেত্রে কোনও দ্বন্দ্ব দেখতে পান না। তিনি বলেন, তাদের মূলত পরবর্তী ১০ বছর বা ২৫ বছরের দিকে নজর দেয়া উচিত এবং তাদের পরিপূরকতা কোথায় এবং কীভাবে তারা এই পরিপূরকগুলোকে আরও শক্তিশালী করতে এবং গড়ে তুলতে পারে তা চিহ্নিত করতে হবে।
কসমস ফাউন্ডেশনের এই অনুষ্ঠানটি এর আগে ‘অ্যাম্বাসেডরস লেকচার সিরিজ’ নামে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হতো। মহামারির কারণে এখন অনলাইনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাংলাদেশ-জাপান সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, ভারত এবং চীনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে এ জাতীয় ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দিক এবং ইস্যুতে গঠনমূলক আলোচনার জন্য কসমস ফাউন্ডেশনের এ জাতীয় আরও ওয়েবিনার আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।
৩ বছর আগে