মানবিক
প্রাণী রক্ষায় আরও মানবিক হতে হওয়ার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ‘মানুষ বুদ্ধিমান প্রাণী- ভূপৃষ্ঠে সবচেয়ে প্রভাবশালী ও সভ্যতা নির্মাণকারী হলেও প্রয়োজনের অতিরিক্ত বিনাশ মানুষের বেঁচে থাকার পরিবেশকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে। মানবিক ও প্রাণবিক বিষয়গুলো আমরা এক করে ফেলছি। প্রাণী রক্ষায় আমাদের আরও মানবিক হতে হবে, এক্ষেত্রে মানুষ আর প্রাণীর বিভাজন নয়। আসুন না, একটু মানবিক হই।’
রবিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) বিশ্ব জলাতঙ্ক দিবস-২০২৪ উপলক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর ও ইউএসএআইডি ওয়ান হেলথ এক্টিভিটির সম্মিলিত আয়োজিত সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
বিভিন্ন সেক্টরের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা বাড়ানো আহ্বান জানিয়ে প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ‘ওয়ান হেলথ অ্যাপ্রোচ’ থেকে ‘ওয়ান লাইফ অ্যাপ্রোচ’-এ পরিবর্তন করতে চাই, যেখানে মানবিক উন্নয়ন ও সুস্থতা, প্রাণিজীবনের সংরক্ষণ, পরিবেশের ভারসাম্য, সামাজিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, সামগ্রিক জীবনধারা ও দৃষ্টিভঙ্গি থাকবে। এক্ষেত্রে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় একসঙ্গে কাজ করতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন যাত্রা সফল করতে বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা প্রধান উপদেষ্টার
তিনি আরও বলেন, জলাতঙ্ক প্রতিরোধী ভ্যাকসিন প্রদানের ফলে জলাতঙ্কের হার পূর্বের তুলনায় কমলেও অসচেতনতা, ভৌগোলিক অবস্থান, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অনিয়ন্ত্রিত আচরণ ও ভ্রান্ত ধারণার জন্য দেশে জলাতঙ্কের ঝুঁকি এখনও বিদ্যমান। তাই সচেতনতা বাড়ানো, কুসংস্কার দূর করা ও মানুষের আচরণ পরিবর্তনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসমূহের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া খুবই জরুরি।
এছাড়াও পোষা ও বেওয়ারিশ কুকুর-বিড়ালকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে আহ্বান জানান ফরিদা আখতার।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থার লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে জলাতঙ্কমুক্ত বিশ্ব গড়তে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বৈশ্বিক উদ্যোগের অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশও ২০৩০ সালের মধ্যে শতভাগ জলাতঙ্ক রোগ নির্মূল করার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ইউএসএআইডি ওয়ান হেলথ এক্টিভিটির অ্যানিমেল হেলথ টিম লিড অধ্যাপক পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. শেখ ছাইদুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ডা. মো. বয়জার রহমান।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ‘জলাতঙ্ক নির্মূলে প্রয়োজন, সব প্রতিবন্ধকতা নিরসন’ এ প্রতিপাদ্য নিয়ে জলাতঙ্ক সচেতনতাবিষয়ক একটি শোভাযাত্রা আয়োজন করে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্যদপ্তর, প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী জলাতঙ্কের ওপর বিভিন্ন সচেতনতামূলক লেখাযুক্ত প্ল্যাকার্ড, পোস্টার ও ব্যানার হাতে নিয়ে শোভাযাত্রাটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে শুরু হয়ে খামারবাড়ি মোড়ে এসে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: লেফটেন্যান্ট তানজিমের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
১ মাস আগে
বিদেশে কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিকে মানবিক হতে হবে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
বিদেশে কর্মী পাঠাতে রিক্রুটিং এজেন্সিকে অবশ্যই মানবিক দিক বিবেচনা করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যেন আরও উজ্জ্বল হয়, তা বিবেচনা করে দক্ষ কর্মী পাঠাতে সবাইকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।
আরও পড়ুন: সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিক/কর্মীদের ন্যূনতম বেতন-ভাতা ও অন্যান্য বিষয়সম্পর্কিত আলোচনা সভায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বায়রা এ মন্ত্রণালয়ের প্রধান অংশীজন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি কর্মীদের ন্যূনতম বেতন কাঠামোসংক্রান্ত বিষয়ে যৌক্তিক প্রস্তাব পাঠাবেন। ন্যূনতম বেতনের বিষয়ে মন্ত্রণালয় কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। পাশাপাশি, আমরা আরও কম অভিবাসন ব্যয়ে কর্মী পাঠাতে চাই।
তিনি আরও বলেন, বিদেশে কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বায়রাকে একত্রে কাজ করতে হবে। প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও এর অংশীজনরা সমন্বিতভাবে কাজ করলে মন্ত্রণালয়ের সুনাম আরও বাড়বে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুত সময়ে একটি স্মার্ট মন্ত্রণালয় তৈরি করা সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দক্ষ কর্মী পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে আধুনিক ও যুগোপযোগী যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: অনিবন্ধিত অনলাইনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির বিকল্প ব্যবস্থা হচ্ছে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে
ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশকে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং দেশ থেকে নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি চিরতরে নির্মূল করাই বিজয় দিবসের প্রত্যয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) আয়োজিত ‘বিজয়ের ৫২ বছর’শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতিগত উন্নয়নের জন্য শুধু বস্তুগত নয় মানুষের আত্মিক উন্নয়নও অত্যন্ত প্রয়োজন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখন আর দরিদ্র নই তবু অনেকের চেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন, মূল্যবোধে আমরা অনেকের চেয়ে এগিয়ে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের বিবৃতি বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একটি সামাজিক রাষ্ট্র গঠন করার লক্ষ্যেই বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, তালাকপ্রাপ্তা ভাতা, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা চালু করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, এভাবে দেশকে আমরা একটি মানবিক, সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চাই, যেখানে সমস্ত আর্ত-পীড়িত, দরিদ্রদের দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করবে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ সমস্ত প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। এখন জিডিপিতে আমরা বিশ্বের ৩৫তম আর পিপিপিতে ৩১তম অর্থনীতির দেশ। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ২৫ কিংবা ২৭তম অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, এই উন্নয়ন অগ্রগতি আমরা আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে পারতাম যদি দেশে ধ্বংসাত্মক, নেতিবাচক, গুজব ছড়ানোর রাজনীতি না থাকত, কারণ এগুলো দেশের অগ্রগতিকে শ্লথ করেছে। আজকে রাজনীতির নামে মানুষ, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হচ্ছে, ট্রেন লাইন কেটে ফেলা হচ্ছে, ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে।
এগুলো কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনীতির নামে এই সন্ত্রাস আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং করছে। সুতরাং দেশকে যদি স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে হয় তাহলে রাজনীতির নামে এই সন্ত্রাস চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে। আমরা সেটি বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। সুতরাং আজকে বিজয় দিবসে আমাদের প্রত্যেকের শপথ হওয়া প্রয়োজন এই নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে চিরতরে দেশ থেকে নির্মূল করতে হবে।
আরও পড়ুন: রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
১১ মাস আগে
শৈশবেই শেখ রাসেল ছিলেন মানবিক: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, শৈশবেই শেখ রাসেলের মাঝে পরিমিতিবোধ, মানবতাবোধ, গুরুজনদের প্রতি সম্মানবোধ, পশু-পাখির প্রতি গভীর ভালোবাসার বিকাশ ঘটেছিল।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২৩’ পালন উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতার নামে পাঠাগার স্থাপন অনেক আত্মতৃপ্তির: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, জন্মের পর থেকেই দীর্ঘ সময় পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত থাকতে হয়েছে শিশু শেখ রাসেলকে। ‘রাজনৈতিক বন্দি’ বাবার সঙ্গে দেখা হতো কালেভদ্রে-কেন্দ্রীয় কারাগারে অথবা সেনানিবাসে।
শাহরিয়ার আলম বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং ভিশন ২০৪১, স্মার্ট বাংলাদেশ, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ বাস্তবায়নে অবদান রেখে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ প্রশস্ত করতে পারতেন।
তিনি আরও বলেন, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশর ভবিষ্যতের নেতৃত্বকে ধ্বংস করার জন্য শিশু রাসেলকে হত্যা করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যা করে নতুন বাংলাদেশকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল।
১ বছর আগে
মানবিক কারণে ইউক্রেনের পক্ষে ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ইউক্রেনের মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গৃহীত সর্বশেষ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়ার ব্যাপারে বলেছেন, মানবিক কারণে ইউক্রেন প্রস্তাবে হ্যাঁ ভোট দিয়েছে বাংলাদেশ। কারণ মানবিক ইস্যুতে আমরা সব সময় অত্যন্ত সোচ্চার।
তিনি বলেন, ‘আমরা মানবিক কারণে ভোট দিয়েছি। আমরা বিশ্বে মানবিক দেশ হিসেবে পরিচিত। মানবিক ইস্যুতে আমরা খুবই সোচ্চার থাকি। তাই, আমরা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছি।’
শুক্রবার রাজধানীতে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগদানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি এখন ‘মানবতার মা’ হিসেবে পরিচিত।
বাংলাদেশ কেন সাধারণ পরিষদের উত্থাপিত আগের প্রস্তাবে (২ মার্চ) ভোটদানে বিরত ছিল জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, তখনকার প্রস্তাবটি একতরফা ছিল, যেখানে রাশিয়াকে বর্বরভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
মোমেন বলেন, ‘কিন্তু যুদ্ধ এক পক্ষের দ্বারা সংঘটিত হয় না। আপনি এক হাতে তালি দিতে পারবেন না। আমরা মনে করি ওই প্রস্তাবটি খুবই পক্ষপাতমূলক ছিল এবং এই ধরনের প্রস্তাব দিয়ে যুদ্ধ থামবে না। যুদ্ধ বন্ধ করতে উভয় পক্ষকে সমান আন্তরিকতার নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিতস্কি বলেন, জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের উত্থাপিত এর আগের প্রস্তাবে বাংলাদেশের ‘দায়িত্বশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ’ মনোভাবের ভূয়সী প্রশংসা করে রাশিয়া।
তিনি বলেন, ‘ ওই ভোটের সময় বাইরের প্রচণ্ড চাপ সত্ত্বেও নিরপেক্ষ অবস্থান নেয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশি পক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের সাক্ষাৎ
২ বছর আগে