ঠিকানা
ঈদে বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যাওয়া ৩ শিশু চট্টগ্রামে উদ্ধার
ঈদের দিন বেড়াতে বেরিয়ে লক্ষীপুর জেলার রামগতি থানা এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়া তিন শিশুকে চট্টগ্রামের একে খান এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে পরিবারের কাছে তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া তিন শিশু হল, সুমাইয়া আক্তার (১১), রিয়া আক্তার (১০) ও তাসলিমা আক্তার (৭)। তারা সবাই লক্ষীপুরের বাসিন্দা।
সিএমপির আকবরশাহ থানার ওসি (তদন্ত) শাকের আহমেদ বলেন, তিন শিশু ঈদের দিন তাদের ফুফুর বাড়ীতে বেড়াতে গিয়ে ফেরার সময় ভুলে চট্টগ্রামগামী বাসে উঠে যায়। পরে তাদের বাস থেকে একে খানে নামিয়ে দেয়। তিন শিশু একে খান এলাকায় বাস থেকে নেমে কান্নাকাটি করার সময় আকবরশাহ থানার দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাদের হেফাজতে নেয় এবং শিশুদের অভিভাবকদের ঠিকানা নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
আরও পড়ুন: ঈদে ১০ টাকায় ‘গরীবের কসাইখানা’র গরুর মাংস!
শোলাকিয়ায় এশিয়ার বৃহত্তম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত
২ বছর আগে
বিড়ালদের নতুন ঠিকানা ‘লিটল হুইস্কার ফোস্টার হোম’
বিড়াল লালন-পালনের শখ এখন অনেকেরই। শুধু তাই নয়, অনেকের আবার পরিবারের সদস্য বনে যায় বিড়াল। তবে এ নিয়ে আরও বড় পরিসরে ভেবেছিলেন বুশরা সিদ্দিক। বুশরার কথায়, মাস্টার্স পড়াকালীন ঘরে দুটি বিড়াল ছিল তার। কিন্তু সেই সংখ্যাটা যদি আরও বাড়ে তাতে মন্দ হয়না। আর সেই ভাবনা থেকে শখের বসে ২০১৮ সালে শুরু করেন ‘লিটল হুইস্কার ফোস্টার হোম’-এর যাত্রা।
ইউএনবির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বুশরা বলেন,‘আমার দুটি বিড়াল আগে থেকেই ছিল। যেহেতু বিড়ালদের সঙ্গে খেলতে ভালোবাসি, তাই চাচ্ছিলাম আরও বিড়াল যদি আমার কাছে থাকতো। কিন্তু রাখার তো জায়গা নেই। তাই ফোস্টারের চিন্তা করলাম। এতে বিড়ালরা আসবে আবারও চলেও যাবে। কিন্তু ঘরে অনেকেই থাকবে। এক রুম নিয়ে আমি শুরু করি। তখন একসঙ্গে তিনটি বিড়াল ফোস্টার করতে পারতাম।’
বুশরা আরও বলেন,‘প্রথম দিকে চিন্তা ছিল মাস্টার্স শেষ হওয়া পর্যন্ত ফোস্টার হোম চালু রাখব। কিন্তু পরবর্তীতে এতো বিড়াল একসঙ্গে নিয়ে থাকার যে নেশা, সেখান থেকে বের হতে পারিনি। এরপর ভাবলাম চলতে থাকুক। ফেসবুকে একটি পেজ খুলি। সেখান থেকে অনেকের কাছে পৌঁছাতে শুরু করলাম।’
স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি, দুই ধরনের সেবা প্রদান করে থাকে ‘লিটল হুইস্কার ফোস্টার হোম’। স্বল্পমেয়াদী ফোস্টারের মেয়াদ ৩-৭ দিন। আর দীর্ঘমেয়াদির ক্ষেত্রে এক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। দুই ধরনের সেবার জন্য ভিন্ন ভিন্ন খরচের তালিকা।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৫টি বনবিড়াল পিটিয়ে হত্যা
শুধু বিড়াল লালনপালন নয়, ‘লিটল হুইস্কার ফোস্টার হোম’-এ আরও রয়েছে চিকিৎসা সুবিধা। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার বুশরা সিদ্দিক এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ক্যাট ফ্লু বা এফআইভি’র চিকিৎসা আমি করি না। আমার কাছে অনেক অনুরোধ আসে। কিন্তু আমার সেই সক্ষমতা এখন নেই বলে তাদের ফিরিয়ে দিতে হয়। কিন্তু সাধারণ বিভিন্ন সমস্যার চিকিৎসা প্রদান করি। আমি একটি প্রজেক্টের সঙ্গে কাজ করছি, যার নাম টিএনআর। এতে আমার কাছে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিড়াল আসে। এমনও হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এসে সুস্থ করে আবারও নিয়ে গেছেন।’
২ বছর আগে
অপশক্তি নির্মূল করে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নেয়ার শপথ আজ: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী সমস্ত অপশক্তিকে নির্মূল করে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়াই স্বাধীনতা দিবসের শপথ। মহান স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকীর দিন সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ দলীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।ড. হাছান মাহমুদ বলেন, '১৯৭১ সালে ২৫শে মার্চ দিবাগত রাতে ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন এবং তার নেতৃত্বেই নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালিরা তাদের পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে প্রথম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে আমরা সমস্ত সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। অনেক সূচকে ভারতকেও পেছনে ফেলেছি।'
আরও পড়ুন: বিএনপি চায় দেশের মানুষ দরিদ্র থাকুক: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'জাতির পিতার বাংলাদেশ রচনা এবং বঙ্গবন্ধুকন্যার দেশ পরিচালনার সার্থকতা সেখানেই যে পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।'
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'কিন্তু দুঃখের বিষয়, এদেশে এখনও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আজকের দিনে আমাদের শপথ হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী সমস্ত অপশক্তিকে নির্মূল করে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়া।' এর আগে বক্তব্যের শুরুতেই মন্ত্রী হাছান মাহমুদ দিনটি স্মরণে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ, নির্যাতিতা ২ লাখ নারী, জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সকল শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: বিএনপি স্বাধীনতা বিরোধীদের রক্ষাকবচ: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে