বন্ধুকে হত্যা
রংপুরে বন্ধুকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
রংপুরের পীরগাছায় বন্ধুকে হত্যার দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মো. নাজির এই রায় ঘোষণা করেন।
এসময় আসামি সাইফুল ইসলাম আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হেরোইন বহনের দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের সুবিদ গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে তৌকির আহম্মেদ তুষার রংপুর কারমাইকেল কলেজে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স প্রথমবর্ষে লেখাপড়া করতেন। তার বন্ধু পাশের মীরাপাড়া গ্রামের টাবলু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি প্রথমবর্ষের ছাত্র ছিলেন। তুষার ও সাইফুল পরস্পর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। প্রেমঘটিত কারণে ২০১৪ সালের ৩০ জুলাই বিকালে সাইফুলের সঙ্গে তুষারের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর রাত ৯টার দিকে তুষার ৭ থেকে ৮ জন বন্ধু মিলে পীরগাছা উপজেলার দেবী চৌধুরাণী স্কুল মাঠে তুষারকে পেটে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন সাইফুল।
তৌকিরের বাবা প্রবাসী হওয়ায় তৌকিরের চাচা আব্দুল হামিদ মিয়া বাদী হয়ে পীরগাছা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সাইফুল ইসলামের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল মালেক এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী মো. আব্দুল হক প্রমাণিক।
আরও পড়ুন: হেরোইন রাখার দায়ে মাদক কারবারির কারাদণ্ড
৭ মাস আগে
ক্যামেরার জন্য বন্ধুকে হত্যা, সেপটিক ট্যাংক থেকে লাশ উদ্ধার
গাইবান্ধার সাঘাটায় সেপটিক ট্যাংক থেকে সম্রাট নামের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় রিফাত নামে একজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতের দিকে উপজেলার বাটি গ্রামের মতিয়ার রহমানের সেপটিক ট্যাংক থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে সড়কের পাশের খাল থেকে রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
নিহত সম্রাট উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আটক রিফাত বাটি গ্রামের বাসিন্দা। তারা একে-অপরের বন্ধু এবং এক সঙ্গে চলাফেরা ও পড়ালেখা করতেন।
স্থানীয়রা জানান, সম্রাটের কাছ থেকে রিফাত ১ হাজার ৫০০ টাকায় একটি ক্যামেরা কেনেন। পরে আবার সম্রাট ক্যামেরাটি ফেরত চাইলে রিফাত তার বাড়িতে সম্রাটকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে লাশ রেখে দেয়।
এদিকে, ১৭ এপ্রিল থেকে সম্রাট বাড়িতে না ফেরায় তার মা মিনি বেগম সাঘাটা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং জিডির পর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিফাতকে আটক করে।
এক পর্যায়ে রিফাত হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ মতিয়ার রহমানের সেপটিক ট্যাংক থেকে সম্রাটের লাশ উদ্ধার করে।
সাঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ঘটনার পেছনে আরও যারা জড়িত আছে তাদের আটকের চেষ্টা চলছে। আর সে কারণে অন্য অভিযুক্তদের নাম তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোবিন্দগঞ্জে অটোচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার
খুলনায় কার্গোডুবির ঘটনায় আরও ১ জনের লাশ উদ্ধার
৮ মাস আগে
স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে, ছুরিকাঘাতে বন্ধুকে হত্যা
বাগেরহাটের মোংলায় স্ত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করায় ছুরিকাঘাতে বন্ধুকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার রাত ৮টার দিকে মোংলা পৌর শহরের ছাড়াবাড়ি এলাকায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত মো. শাহিন (২৮) মোংলা উপজেলার ছাড়াবাড়ি এলাকার মো. একরামুল হকের ছেলে ও পেশায় মার্চেন্ট শ্রমিক।
আরও পড়ুন: রাঙামাটিতে ছাত্রলীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, শাহিন ও মারুফ দুজনে মোংলার ছাড়াবাড়ি এলাকায় বসবাস করে আসছে। তাদের দুজনেই দীর্ঘদিনের বন্ধু। মারুফ প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে করে এবং তার আট বছরের একটি ছেলে রয়েছে। বন্ধুত্বের সূত্রে মারুফের বাড়িতে শাহিনের আসা-যাওয়া ছিল। এক পর্যায়ে শাহিনের সঙ্গে মারুফের স্ত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
আরও পড়ুন: যশোরে তৃতীয় লিঙ্গের একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
ওসি জানান, প্রায় এক বছর আগে শাহিন মারুফের স্ত্রীকে ভাগিয়ে এনে বিয়ে করে। এরপর দুজনের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়। এর জের ধরে বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
২ বছর আগে