সমর্থন
‘গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে সমর্থন করে ভারত’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে তারা একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে সমর্থন করে। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘এটিই বাংলাদেশের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক।’
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল বলেন, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, উদ্বেগ ও স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।
সম্প্রতি দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আমাদের (ভারতের) দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।’
‘ভারত জোর দিয়ে বলছে যে, বাংলাদেশের জনগণই দুই দেশের সম্পর্কের প্রধান অংশীদার। বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা, যোগাযোগ, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বহুমুখী ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত ভারত। বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার জন্যই এসব কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’
আরও পড়ুন: সম্পর্কোন্নয়নে একাত্তরের সমস্যা সমাধানে পাকিস্তানের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান
গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুরসহ উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে যুক্ত করে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন। ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগের ধারাবাহিকতায় যে বাংলাদেশ হয়েছে, সেই ভূখণ্ডকে ‘খণ্ডিত’ আখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘নতুন ভূখণ্ড ও বন্দোবস্ত লাগবে।’ অবশ্য পরে পোস্টটি ডিলিট করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে এক সাংবাদিক ভারতের অবস্থান জানতে চাইলে মুখপাত্র জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি। এই ইস্যুতে আমাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। পোস্ট সরিয়ে ফেলার বিষয়ে জেনেছি। জনসম্মুখে মন্তব্যের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে আমরা সতর্ক থাকার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ভারত যখন বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বারবার আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছে, তখন জনসম্মুখে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা দেখানো দরকার।’
জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থের ওপর প্রভাব ফেলে এমন সব ঘটনা ভারত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের বিষয়গুলো আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে নেই এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসকে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
১২ ঘণ্টা আগে
ক্ষমা পেয়ে আরব আমিরাত থেকে ফিরলেন আরও ২৬ বাংলাদেশি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ২৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
ইন্ডিগো এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে এই ২৬ বাংলাদেশি দেশে ফেরেন।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে এই ২৬ বাংলাদেশিকে পরিবহন খরচসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি
তিনি বলেন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও ব্র্যাক এই প্রবাসীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনরেকত্রীকরণে কাজ করবে।
এজন্য তাদের চাহিদা নিরূপণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী মনো-সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা করা হবে বলে জানান শরিফুল হাসান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় গত জুলাই মাসে ৫৭ জন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার ও শাস্তি পান।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে ৫৭ বাংলাদেশির ক্ষমার আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারাদণ্ড প্রত্যাহার করা হয়। এরপর ৩১ জন তিন দফায় দেশে ফিরে আসেন। বাকি ২৬ জন শুক্রবার ফিরলেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৪ অনিয়মিত বাংলাদেশি
৩ মাস আগে
অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবে জাতিসংঘ: মুখপাত্র
জাতিসংঘ বলেছে, তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণকে প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা করতে ইচ্ছুক।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) মুশফিকুল ফজল আনসারীর এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক বলেন, 'বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের বিষয়ে আপনি যা বলেছেন সে সম্পর্কে আমি নির্দ্বিধায় নিশ্চিত করতে পারি যে, প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে সমর্থন করতে ইচ্ছুক।’
তিনি বলেন, জবাবদিহিতার বিষয়সহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য তাদের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে 'বিস্তৃত পরিসরের সহায়তার' বিষয় নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোচনা করেছেন।
ফারহান বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তে সহায়তার ক্ষেত্র এবং পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি দল আগামী সপ্তাহ থেকে ঢাকা সফর করবে।
তিনি বলেন, হাইকমিশনার মানবাধিকার সুরক্ষা জোরদার করে এমন একটি সফল রূপান্তরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণকে সমর্থন করতে অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অন্যদিকে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
তিনি বলেন, তাদের কিছু টেকনিক্যাল সহকর্মী থাকবেন যারা আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর ইউএনআরসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা প্রাথমিকভাবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং করবে, তবে ঘোষণা, বিশদ বিবরণ এবং দলটি কীভাবে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে - সবকিছুর বিষয়ে একমত হওয়া দরকার।’
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাতিসংঘের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমকে পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দেন।
তিনি সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের গঠনমূলক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
লুইস স্বাধীন তদন্ত, অন্তর্বর্তীকালীন ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য আরও সমর্থনের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার তদন্তে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ
সাক্ষাৎকালে তারা অর্থনৈতিক সহযোগিতা, এলডিসি উত্তরণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশের বিষয়ে জাতিসংঘের চলমান মানবিক কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা জনগণের, বিশেষ করে তরুণদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তাদের প্রত্যাশা পূরণে জাতিসংঘের অর্থবহ সমর্থন কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ৭ রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ
৪ মাস আগে
চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি)। কারণ, তারা মনে করে সীমিত সংখ্যক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন লোক ছাড়া সরকারি চাকরিতে কোটার কোনো প্রয়োজন নেই।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলাম। এখন যে আন্দোলন চলছে তাতেও আমরা সমর্থন দিচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রতি ছাত্রদলের সমর্থনের কথা জানান নাসির।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদল মনে করে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে, তার মাধ্যমে কোটা সংস্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত সমাধান হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমাদের বক্তব্য হলো, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য খুব সীমিত সংখ্যক কোটা ছাড়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো কোটার প্রয়োজন নেই। এটা আমাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রদলের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
আরও পড়ুন: অসুস্থ খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডারদের প্রতিহত করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন সফল হবে বলে তারা আশাবাদী।
নাছির বলেন, ২০১৮ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবি না জানিয়ে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু অবৈধ প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার না করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে ইচ্ছাকৃতভাবে কোটা বাতিল করেছেন।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেমন আদালতকে ব্যবহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়ের রায় তার পক্ষে নিয়ে গেছেন, তেমনি একটি মীমাংসিত বিষয়ও তিনি এখন বিচার বিভাগের মাধ্যমে কোটা পুনর্বহালের চেষ্টা করছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার গত ১০ থেকে ১২ বছরে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ থেকে ১৩ হাজার নেতা-কর্মীকে মুক্তিযোদ্ধাদের জাল সনদ দিয়েছে।
নাছির বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধার্থে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে যারা আছেন তাদের অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে এই ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ সরকার যে গুম ও হত্যার সংস্কৃতি চালু করেছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্যও আমরা আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ভারতের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের পক্ষে কথা বলার আহ্বান জানান।
রাকিব বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ঢাকা কলেজের সকল নেতাদের আমি বলছি, আপনার কলেজের সহপাঠী আতিকুর রহমান রাসেলকে গুম করা হয়েছে। আমরা আশা করি, আপনারাও তার অবস্থান জানতে চাইবেন।’
ছাত্রদলের ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান রাসেলের সন্ধান চেয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিযোগ, গত ১ জুলাই রাতে রাজধানীর আজিমপুর এলাকা থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ রাসেলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: চলমান আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি, সরকারের এ অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ফখরুল
রাকিব বলেন, কোনো অভিযোগ বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকলেও কোনো কারণ ছাড়াই রাসেল নিখোঁজ হয়েছেন। ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছাত্রদল ভয় পায় না। ছাত্রদলের একজন নেতাকর্মীও ভয় পায় না। রাসেলের সন্ধান চাইতে রাস্তায় নামবে ছাত্রদল।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘রাসেল ১২ দিন ধরে নিখোঁজ। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। রাসেলের পরিবারও খুব কঠিন সময় পার করছে।’
রাসেল নিখোঁজের বিষয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নীরব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দেরি না করে রাসেলকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া না হলে আগামী দুই দিনের মধ্যে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বকুল।
সংবাদ সম্মেলনে রাসেলের বাবা আবুল হোসেন সরদারও তার প্রিয় ছেলেকে নিরাপদে ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন।
রাসেলের বাবা আবেগাল্পুত হয়ে বলেন, 'আমি ১১ দিন ধরে খুব অসুস্থ ছিলাম কারণ আমি খেতে বা পান করতে পারি না। আমার দুই ছেলে আছে, একজন বিদেশে থাকে, আরেকজন পড়াশোনার জন্য ঢাকায় থাকে। কিন্তু এখন আমরা তার অবস্থান জানি না। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত ২ জুন লালবাগ থানায় জিডি করি। কিন্তু এখনও তার কোনও সন্ধান মেলেনি। আমরা পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু কোনো ফল হয়নি।’
সরদার উল্লেখ করেন, ১১ দিন আগে রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় রাসেল নিখোঁজ হন। তিনি বলেন, 'আমার ছেলে ১১ দিন ধরে কোথায় আছে, কী খাচ্ছে জানি না। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই। আমি জানি না আমার ছেলে কী অপরাধ করেছে... রাজনীতিতে যুক্ত হওয়াটা যদি অপরাধ হয় তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।’
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসন দেশকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
৫ মাস আগে
যেকোনো ফরম্যাটে ব্রিকসে যোগ দিতে ভারতের সমর্থন চায় বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ব্রিকস গ্রুপের সদস্য বা অংশীদার দেশ হিসেবে যেকোনো ফরম্যাটে যোগ দিতে ভারতের সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার (২২ জুন) নয়া দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন কর্মসূচির ফলাফল নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বেনজীরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আমরা যেকোনো ফরম্যাটে ব্রিকসে যোগ দিতে ভারতের সমর্থন চেয়েছি।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে (ব্রিকস-এ যোগদানে বাংলাদেশকে সহায়তা করার বিষয়ে)।
তিনি বলেন, ব্রিকস যদি নতুন সদস্য বা অংশীদার দেশ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বাংলাদেশ যেভাবেই হোক ব্রিকসের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত- এই ৯টি দেশ নিয়ে ব্রিকস একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার ভারতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার শুধু শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির (টেট-এ-টেট) মধ্যে বৈঠক হয়েছে। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন এবং হায়দরাবাদ হাউসে ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখায় প্রবাসীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫ মাস আগে
ইউসিএলএ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে আবারও বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২৭
লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভকারীরা আবারও ক্যাম্প স্থাপনের চেষ্টা করলে পুলিশ তা ভণ্ডুল করে দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের পরে আগে স্থাপন করা শিবিরটি উচ্ছেদ করেছে কর্মকর্তারা।
ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অ্যাসিসট্যান্টট ভাইস চ্যান্সেলর রিক ব্রাজিয়েল এক বিবৃতিতে বলেন, সোমবার রাতে বিক্ষোভের সময় কর্মকর্তারা ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
ইউসিএলএ পুলিশ জানিয়েছে, এই বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেছেন এবং একজন কর্মকর্তার কাজে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তাদের ইউসিএলএ থেকে দূরে থাকতে ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছিল এবং তারপরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাইডেনের গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সমর্থন করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
ব্রাজিয়েল বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে ক্যাম্পাস থেকে নিষিদ্ধ করা এবং ফাইনাল বা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে না পারাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্থানে বারবার তাবু ও ছাউনি স্থাপন ও বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এর ফলে আশেপাশের চূড়ান্ত পরীক্ষা পরিচালনা ব্যাহত হয়।
পুলিশ বলছে, আন্দোলনকারীরা একটি ফোয়ারা, স্প্রে-পেইন্ট ইটের ওয়াকওয়েগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, অগ্নি সুরক্ষা সরঞ্জামগুলোতে হস্তক্ষেপ করেছে, প্যাটিওর আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, বৈদ্যুতিক ফিক্সচার থেকে তার ছিঁড়েছে এবং যানবাহন ভাঙচুর করেছে।
ব্রাজিয়েল জানান, বিক্ষোভ চলাকালীন, এমন হামলাও হয়েছিল যার ফলে ছয়জন ইউসিএলএ পুলিশ আহত হয়েছে। পাশাপাশি একজন নিরাপত্তা প্রহরী মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তক্ষরণও হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পাস
বিবৃতিতে ব্রাজিয়েল বলেন, ‘সহজভাবে বলতে গেলে, সহিংস প্রতিবাদের এই কাজগুলো ঘৃণ্য এবং এটি চলতে পারে না।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে প্রতিবাদ শিবির গড়ে উঠেছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েল বা এর যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করা বন্ধের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আয়োজকরা গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধকে ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা আখ্যা দিয়ে তা বন্ধের আহ্বান জোরদার করার চেষ্টা করছে।
বিক্ষোভের কারণে ইউসিএলএ বারবার উত্তাল হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এক পর্যায়ে, ফিলিস্তিনপন্থী একটি শিবিরে ইসরায়েলপন্থীরা পাল্টা আক্রমণ করেছিল। এতে পুলিশ তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। শিবিরটি উচ্ছেদ করার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক ডজন লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই ঘটনা ক্যাম্পাস পুলিশ প্রধানকে পুনরায় নিযুক্ত এবং একটি নতুন ক্যাম্পাস সুরক্ষা অফিস তৈরির দিকে পরিচালিত করে। পরে নতুন বিক্ষোভ শিবির স্থাপনের প্রচেষ্টাও ভণ্ডুল করে দেওয়া হয়।
ইউসিএলএ সোমবারের প্রতিবাদটি শুরু হয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া রিজেন্টদের আসন্ন সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান উদ্বোধনের ঠিক কয়েকদিন আগে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ঝুলে যাওয়ায় আবারও মধ্যপ্রাচ্য সফরে ব্লিঙ্কেন
৬ মাস আগে
ঢাকার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফাতাহ কর্মকর্তার, ইসরায়েলকে থামাতে আরো বেশি পদক্ষেপের আহ্বান
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েল সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেছেন ঢাকায় সফররত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফাতাহর কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিবরিল রাজৌব।
মহাসচিব আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) সমর্থনসহ ফিলিস্তিনের সমর্থনে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রবিবার (২৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত জিবরিল রাজৌব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মহাসচিব গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত নিয়ে মতবিনিময় করেন।
মহাসচিব গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান ইসরাইলি নৃশংসতার ফলে নজিরবিহীন গণহত্যা, অবকাঠামো ধ্বংস এবং মানবিক সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগ সীমিত হওয়ার ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে সে সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
সাক্ষাৎকালে মহাসচিব গাজায় নতুন বসতি স্থাপন এবং গাজা, পশ্চিম তীর ও এর বাইরেও ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আরোপের মাধ্যমে যুদ্ধোত্তর গাজার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অবৈধ নতুন সংযুক্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলের তাণ্ডব ঠেকাতে বিশ্বের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজা উপত্যকায় কঠিন মানবিক পরিস্থিতিতে শিশু ও নারীসহ বেসামরিক হতাহত এবং কষ্টের জন্য গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি এই যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন। গাজা ও পশ্চিম তীরে পর্যাপ্ত মানবিক প্রবেশাধিকারসহ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি মহাসচিবকে আশ্বস্ত করে বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরব দেশগুলোর ঐকমত্য অর্জনে গাজায় যুদ্ধ অবসানে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান।
তারা বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উন্নয়নে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে সকালে ফাতাহ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা মানব সভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৮ মাস আগে
ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) উগান্ডার কাম্পালায় ১৯তম ন্যাম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
১৯তম ন্যাম সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে ন্যাম সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মাহমুদ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাদের বিচার দাবি করেন।
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর ও সমর্থন করতে সব ধরনের চেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্বিগুণ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে গঠনমূলক ও সংঘাতহীন সংলাপ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শুক্রবার উগান্ডার রাষ্ট্রপতি ইয়োয়েরি মুসেভেনি আন্দোলনের নতুন সভাপতি হিসেবে শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। দুই দিন আলোচনার পর 'কাম্পালা ঘোষণা' ও ফিলিস্তিনের বিষয়ে একটি ঘোষণা গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলন ও বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন।
১১ মাস আগে
মাশরাফিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সমর্থন জানিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নড়াইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল আমির লিটু।
শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ফয়জুল আমির লিটু।
এ সময় তিনি মাশরাফিকে সমর্থন জানিয়ে তার অনুসারী ও সমর্থকদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
লোহাগড়া উপজেলা আাওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ার্যমান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেরুদণ্ডের সমস্যা ও লিভারের রোগে আক্রান্ত। এতে তার পরিবার তাকে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বলে জানান তিনি। তাই নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতির জন্য যে সময় দরকার, এখন আর সেটা নেই বলে মনে করেন এ প্রার্থী।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইবিএফবি নেতাদের আলোচনা সভা
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সমর্থন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তাকে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি, তিনি স্বেচ্ছায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
১১ মাস আগে
ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় অবরোধের সমর্থনে বিএনপির প্রথম মিছিল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকায় অবরোধের সমর্থনে প্রথম মিছিল করেছে বিএনপি।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ মিছিল করা হয়। এরপর মিছিল শেষে নেতা-কর্মীরা সড়কে বসে অবস্থান নেন।
এর আগে বিএনপি তিন দফা অবরোধ ও একদিন হরতাল পালন করলেও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাটে কোনো মিছিল বা পিকেটিং হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মৌন মিছিল
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে অবরোধের সমর্থনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিএনপির সহ-পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের নেতৃত্বে মিছিল করেছে- কবিরহাট উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
কর্মসূচিতে অংশ নেন- কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মনজু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাতের রহমান হাসান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন, সদস্য সচিব আবদুল বাসেত হিরন, বিএনপি নেতা কামরান চৌধুরী ও পৌরসভা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর নবী বাবর।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের প্রতিবাদে আ. লীগের মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি
শান্তি ও উন্নয়নের সমর্থনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমাবেশ ও মিছিল
১ বছর আগে