সমর্থন
ঢাকার সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ ফাতাহ কর্মকর্তার, ইসরায়েলকে থামাতে আরো বেশি পদক্ষেপের আহ্বান
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ইসরায়েল সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থন কামনা করেছেন ঢাকায় সফররত ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ফাতাহর কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারি জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিবরিল রাজৌব।
মহাসচিব আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) সমর্থনসহ ফিলিস্তিনের সমর্থনে বাংলাদেশ সরকারের অবস্থানের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রবিবার (২৪ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সফররত জিবরিল রাজৌব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মহাসচিব গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাত নিয়ে মতবিনিময় করেন।
মহাসচিব গাজা ও পশ্চিম তীরে চলমান ইসরাইলি নৃশংসতার ফলে নজিরবিহীন গণহত্যা, অবকাঠামো ধ্বংস এবং মানবিক সহায়তা প্রাপ্তির সুযোগ সীমিত হওয়ার ফলে গাজায় দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছে সে সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
সাক্ষাৎকালে মহাসচিব গাজায় নতুন বসতি স্থাপন এবং গাজা, পশ্চিম তীর ও এর বাইরেও ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ আরোপের মাধ্যমে যুদ্ধোত্তর গাজার জন্য ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অবৈধ নতুন সংযুক্তি পরিকল্পনা সম্পর্কে তাকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলের তাণ্ডব ঠেকাতে বিশ্বের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাজা উপত্যকায় কঠিন মানবিক পরিস্থিতিতে শিশু ও নারীসহ বেসামরিক হতাহত এবং কষ্টের জন্য গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তিনি এই যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন। গাজা ও পশ্চিম তীরে পর্যাপ্ত মানবিক প্রবেশাধিকারসহ অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বানও জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি মহাসচিবকে আশ্বস্ত করে বলেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফিলিস্তিন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরব দেশগুলোর ঐকমত্য অর্জনে গাজায় যুদ্ধ অবসানে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মহাসচিবের প্রতি আহ্বান জানান।
তারা বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে ঐতিহ্যগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও উন্নয়নে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
এর আগে সকালে ফাতাহ মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয় সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: গাজায় গণহত্যা মানব সভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ন্যাম সম্মেলন: ফিলিস্তিনিদের সমর্থন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান এবং বিশ্বব্যাপী শান্তির সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) উগান্ডার কাম্পালায় ১৯তম ন্যাম সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
১৯তম ন্যাম সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান: ইইউ রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি ১৯৭৩ সালে আলজিয়ার্সে ন্যাম সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যের কথা উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর শান্তি, উন্নয়ন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার কাজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাহস ও দৃঢ়তার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
মাহমুদ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের প্রতি বাংলাদেশের অকুণ্ঠ সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং তাদের বিচার দাবি করেন।
তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর ও সমর্থন করতে সব ধরনের চেষ্টার আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম ও সাউথ সামিটে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে উগান্ডায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে দ্বিগুণ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানান।
শান্তিপূর্ণ, ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গড়ে তুলতে গঠনমূলক ও সংঘাতহীন সংলাপ পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শুক্রবার উগান্ডার রাষ্ট্রপতি ইয়োয়েরি মুসেভেনি আন্দোলনের নতুন সভাপতি হিসেবে শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। দুই দিন আলোচনার পর 'কাম্পালা ঘোষণা' ও ফিলিস্তিনের বিষয়ে একটি ঘোষণা গৃহীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ন্যাম সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থান সোয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তারা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ন্যাম সামিট: বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও জাতিসংঘে দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলন ও বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন।
মাশরাফিকে সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়ালেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সমর্থন জানিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন নড়াইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়জুল আমির লিটু।
শারীরিক অসুস্থতা ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ফয়জুল আমির লিটু।
এ সময় তিনি মাশরাফিকে সমর্থন জানিয়ে তার অনুসারী ও সমর্থকদের নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: সিলেট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সভায় হামলার অভিযোগ আ. লীগ প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে
লোহাগড়া উপজেলা আাওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ার্যমান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মেরুদণ্ডের সমস্যা ও লিভারের রোগে আক্রান্ত। এতে তার পরিবার তাকে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার আপিল বিভাগ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন বলে জানান তিনি। তাই নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুতির জন্য যে সময় দরকার, এখন আর সেটা নেই বলে মনে করেন এ প্রার্থী।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইবিএফবি নেতাদের আলোচনা সভা
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাশরাফি বিন মুর্তজাকে সমর্থন করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, তাকে কোনো চাপ দেওয়া হয়নি, তিনি স্বেচ্ছায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় অবরোধের সমর্থনে বিএনপির প্রথম মিছিল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকায় অবরোধের সমর্থনে প্রথম মিছিল করেছে বিএনপি।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ মিছিল করা হয়। এরপর মিছিল শেষে নেতা-কর্মীরা সড়কে বসে অবস্থান নেন।
এর আগে বিএনপি তিন দফা অবরোধ ও একদিন হরতাল পালন করলেও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাটে কোনো মিছিল বা পিকেটিং হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মৌন মিছিল
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে অবরোধের সমর্থনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিএনপির সহ-পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের নেতৃত্বে মিছিল করেছে- কবিরহাট উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
কর্মসূচিতে অংশ নেন- কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মনজু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাতের রহমান হাসান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন, সদস্য সচিব আবদুল বাসেত হিরন, বিএনপি নেতা কামরান চৌধুরী ও পৌরসভা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর নবী বাবর।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের প্রতিবাদে আ. লীগের মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি
শান্তি ও উন্নয়নের সমর্থনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমাবেশ ও মিছিল
বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থন
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে বিএনপি-জামায়াতের এক দফা আন্দোলনে সমর্থন জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিশাল জনসভায় শুক্রবার (৩ নভেম্বর) দলের নেতা চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম এ ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও অবৈধ সরকারের পতনের দাবিতে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর সব শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রতি আমি সমর্থন ঘোষণা করছি।’
আরও পড়ুন: সরকারের কোনো কৌশলই বিএনপির আন্দোলন দমন করতে পারবে না: রিজভী
তিনি সরকারকে ১০ নভেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে সব নিবন্ধিত ও প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে গঠিত একটি জাতীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
রেজাউল করিম বলেন, বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে রাষ্ট্রপতির উচিত আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক কারাবন্দি বিএনপিসহ সব শীর্ষ নেতাকে মুক্তি দিয়ে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জাতীয় সংলাপ শুরু করা।
তিনি বলেন, সরকার যদি এসব দাবি মেনে না নেয়, তাহলে তিনিসহ সব আন্দোলনকারী বিরোধী দল বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিকামী জনতাকে ঢাকার রাজপথে নেমে আসতে হবে: ইসলামী আন্দোলন
জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বেইজিং ঢাকাকে সমর্থন করে: চীনা রাষ্ট্রদূত
চীন জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা এবং বাহ্যিক হস্তক্ষেপের বিরোধিতায় বাংলাদেশকে সমর্থন করে, যাতে দেশটি অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে এবং উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন অর্জন করতে পারে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে এক-চীন নীতি অনুসরণ করে এবং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার উন্নয়নে চীনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করে। উভয় পক্ষ কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করতে এবং এর মাধ্যমে নতুন যুগে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ককে আরও উচ্চ স্তরে উন্নীত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ও চীন যৌথ উন্নয়নের ঘনিষ্ঠ অংশীদার।
আরও পড়ুন: অগ্রাধিকারমূলক ঋণ, জিডিআই ও সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন তহবিলের উপযুক্ত ব্যবহার করবে বাংলাদেশ: প্রত্যাশা চীনা রাষ্ট্রদূতের
সোমবার গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ বছর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর দশম বার্ষিকী।
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিআরআই-এর আওতায় চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার ফল পাওয়ার সময়ে পৌঁছেছে।’
দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বিআরআইতে যোগ দেয়।
এছাড়া গত সাত বছরে বিআরআই সোনালী বঙ্গোপসাগরে শিকড় গেড়েছে এবং প্রস্ফুটিত হয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, পদ্মা বহুমুখী সেতু ও এর রেল সংযোগ, দাশেরকান্দি সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলসহ আরও অনেক মেগা প্রকল্প একের পর এক সম্পন্ন হয়েছে, যা বাংলাদেশের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিআরআই'র ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, এটি বাংলাদেশের জন্য উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, ‘সামনের দিকে তাকিয়ে, উভয় দেশের উচিৎ উন্নয়নের নতুন ঐতিহাসিক সুযোগগুলো গ্রহণ করা, উন্নয়ন কৌশলগুলো আরও সংহত করা, উচ্চ মানের উন্নয়নের লক্ষ্যে বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা পরিচালনা করা এবং একে অপরের পরিপূরক হিসেবে আমাদের নিজ নিজ অর্থনৈতিক সুবিধাগুলো কাজে লাগানো।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হবে বাংলাদেশিদের: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, আমরা অবকাঠামো উন্নয়ন, তথ্য প্রযুক্তি, নতুন জ্বালানি, কৃষি ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর করতে পারি। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা অবশ্যই চীনা জাতির মহান পুনরুজ্জীবনের চীনা স্বপ্ন এবং বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে পারব।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশগুলোর মধ্যে সুসম্পর্ক ঘন ঘন যোগাযোগের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে উদ্ভূত হয়। চীন ও বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দের মধ্যে জনগণ থেকে জনগণে পারস্পরিক যোগাযোগ ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান আরও জোরদার করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐকমত্য।
তিনি বলেন, ‘চীন আন্তর্জাতিক ভ্রমণ এবং কর্মী বিনিময়ের বিশাল চাহিদা মেটাতে বেশ কয়েকটি সুবিধাজনক ব্যবস্থা চালু করেছে।’
তিনি বলেন, আপাতত দুই দেশের মধ্যে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ৫০টি সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ১০ হাজার।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। দূতাবাস দু'দেশের মধ্যে কৌশলগত অংশীদারিত্বকে একটি নতুন স্তরে উন্নীত করতে সর্বস্তরের বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে যৌথ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
তিনি বাংলাদেশে চীনা উদ্যোক্তাদের সক্রিয়ভাবে সামাজিক দায়িত্ব পালন এবং বাংলাদেশে অবস্থানরত চীনা নাগরিকদের স্থানীয় সমাজের সঙ্গে আরও একীভূত হওয়ার আহ্বান জানান, যাতে দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রসারে আরও বেশি অবদান রাখা যায়।
১৯তম এশিয়ান গেমস চীনের হাংঝুতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, বাংলাদেশ ক্রীড়াবিদদের একটি ‘উদীয়মান’ প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই তারা প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করুক এবং বাংলাদেশের নাম সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরুক।’
আরও পড়ুন: যারা মিয়ানমারের পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনের ‘উপযোগী নয়’ বলে দাবি করছে, তারা কখনোই রাখাইন যায়নি: চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও
বিদেশি বন্ধুদের সমর্থন চেয়ে ব্যর্থ হয়েছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি বিদেশি বন্ধুদের কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে যে পক্ষপাতমূলক সমর্থন চেয়েছিল সেটা ব্যর্থ হয়েছে।
তিনি শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশিরা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নয়, তারা বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, বিশেষত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে।
বিদেশি বন্ধুরা আসার আগে বিএনপি তাদের অপপ্রচারের মাধ্যমে এমন আশঙ্কা তৈরির চেষ্টা করেছিল যে- এবার বুঝি সরকারের রেহাই নেই। নিষেধাজ্ঞা আসছে। আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ভিসানীতি সরকারকে বিপদে ফেলবে। সরকারকে হয়ত ফাইনালি বলে দেবে এভাবে নির্বাচন করতে, তত্ত্বাবধায়ক হয়ে যাবে, প্রধানমন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে হবে - এ রকম চেয়েছিল বিএনপি। শেষ পর্যন্ত কী হলো?
আরও পড়ুন: নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী: ওবায়দুল কাদের
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরা মূলত অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চায়। কাউকে ধমক, নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি প্রয়োগ হবে এমন কোনো উক্তি তারা করেননি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা তারা বলেননি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য শান্তিপূর্ণ পরিবেশ দরকার। সে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ আমরা রক্ষা করব। কারো কোনো উস্কানিতে, খারাপ ব্যবহারে সে পরিবেশ ক্ষুণ্ন হয়েছে - এই দুর্নামটা নিতে চাই না।
বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের প্রতি আস্থা থাকলে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার ষড়যন্ত্র পরিহার করে নির্বাচন করুন। কিন্তু বিএনপির নেতা-কর্মীরা যে মনোভাব প্রদর্শন করছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে সন্ত্রাস, অগ্নিসংযোগ, নির্বাচনকে ভণ্ডুল করার যে অপচেষ্টা আছে তার দায় বিএনপিকে নিতে হবে।
ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, বিএনপির দফা কয়টা? দল কয়টা? রাষ্ট্র মেরামতের জন্য এখন ৩২ দফা, আগে ছিল ২৭ দফা। এই আন্দোলন, এক দফার জগাখিচুড়ি ঐক্যের পরিণতি গতবারও দেখেছি, এবারও সেদিকেই যাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি আসলে চিত্রটা বুঝে গেছে। ডিসেম্বর থেকে যে তোড়জোড় করছে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে। আর বাস্তবতা হলো গণঅভ্যুত্থানের ডাক দিয়ে সেখান থেকে পদযাত্রা। কতটা অবনতি হলে তারা এটা করে। তাদের কর্মীরা এখন হতাশ, নেতাদের দোষারোপ করছে। সরকার পতনের এক দফার ডাক দিয়ে পদযাত্রায় গেল। এর কারণ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। যার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় বিএনপি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন থেকে দলীয় যে সমাবেশ হবে তার শিরোনাম হবে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির অনেক নেতা তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে: ওবায়দুল কাদের
মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ওবায়দুল কাদের
আ. লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে, বিদেশি সমর্থনের দরকার নেই: কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের জন্য বিদেশিদের সমর্থন দরকার নেই, জনগণের সমর্থন থাকলেই চলবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, জনগণের সমর্থন থাকলে বিদেশিদের সমর্থনে দরকার নেই। জনগণ এ দেশের মালিক। জনগণ নির্ধারণ করবে, আমাদের প্রতি তাদের সমর্থন আছে কিনা। সেটা নির্বাচনে প্রমাণিত হবে।
শনিবার দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বর্তমান সরকার যে উন্নয়ন করেছে- পদ্মাসেতু, ফোর লেন রাস্তা, স্কুল-কলেজ, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, গ্রামের উন্নয়ন, বাড়িতে বাড়িতে বিদ্যুৎ, শিল্প কারখানাসহ সব দিকেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। এসব উন্নয়নের কারণেই জনগণ আমাদের সাথে রয়েছে। জনগণের সমর্থন থাকলে কোন বিদেশি শক্তি আমাদেরকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারবে না। আমরা বিদেশি সহযোগিতা চাই না। আমাদের প্রতি জনগণের সমর্থন রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপিসহ যারা প্রতিদিন বিদেশিদের কাছে হাত পাতছে, ধরনা দিচ্ছে, তাদের কাছে ভিক্ষা চাচ্ছে, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠিত করে দেয়ার জন্য। তাদেরকে বলতে চাই, কোনো বিদেশি প্রভু এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে পারবে না। সংবিধানের আলোকেই আগামী নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: বাঙালির ইতিহাস লিখতে গেলে আ. লীগের নাম লিখতে হবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করছে। তারা ২০১৪-১৫ সালের মতো দেশে আবারও তাণ্ডব চালাতে চায়। তাদেরকে সেটি করতে দেয়া হবে না। জনগণের নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা, সম্পদের ও জীবনের নিরাপত্তা দেয়া বর্তমান সরকারের পবিত্র দায়িত্ব। দেশের স্বার্থে জাতির স্বার্থেজনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ সর্তকতার সঙ্গে এগুলো মোকাবিলা করব।
মধুপুর সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুশীল কুমার দাসের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক আবু হাদী নূর আলী খান, মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াকুব আলী, আব্দুল গফুর মন্টু, শিক্ষক ফেডারেশনের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরিফ আহমদ নাছির প্রমুখ।
সভায় ফেডারেশনের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন হবে দেশের সংবিধান অনুযায়ী: ওবায়দুল কাদের
বিদেশি শক্তি বন্ধু হতে পারে কিন্তু নির্বাচনে জয়ী করতে পারে না: কাদের
আ. লীগ সরকার দেশে ও বিদেশে সমর্থন হারিয়েছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে দেশের জনগণ বা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সমর্থন করে না।
তিনি বলেন, এটা এখন পরিষ্কার যে শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অতীতে সম্ভব ছিল না বা ভবিষ্যতেও সম্ভব হবে না।
শুক্রবার (২৩ জুন) রাজধানীতে রোডমার্চ কর্মসূচিতে বক্তৃতাকালে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনেও দেশের মানুষ ভোট দিতে পারবে না: ফখরুল
মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি (হাসিনা) বুঝতে পেরেছেন যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার পক্ষে নেই এবং বাংলাদেশেও তার সমর্থন নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটাই কথা বলছে যে তাকে এখনই যেতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সম্পর্কে বিভিন্ন বেপরোয়া মন্তব্য করে দেশকে বিপদে ফেলেছেন।
আমেরিকা থেকে ফিরে আসার পর তিনি বলেছিলেন যে আমেরিকা তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে এমন মন্তব্য আশা করি না।
চলমান লোডশেডিং ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপির ১০ দফা দাবিতে রোডমার্চ কর্মসূচির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের ঢাকা উত্তর মহানগর শাখা।
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা শেষে ফখরুল শ্রমিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি শুরু করেন।
বাড্ডার শাহজাদপুর এলাকার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে থেকে মালিবাগ আবুল হোটেলের দিকে মিছিল করেন শ্রমিক দলের শত শত নেতাকর্মী।
ফখরুল তার সরকারের অধীনে প্রশ্নাতীত স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেন।
তিনি বলেন, তারা (সরকার) বলছে তাদের শাসনামলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, এই সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে আগামী নির্বাচনও সুষ্ঠু হবে না।
নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরকারকে সরে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
কারণ শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য সরকার জনগণের ভোটাধিকারসহ সবধরনের অধিকার সম্পূর্ণভাবে কেড়ে নিয়েছে।
ফখরুল আরও বলেন, সরকার জনগণের চলমান আন্দোলনকে ভয় পেয়ে বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, নির্বাচনে যেতে চাপ দেওয়া হচ্ছে: ফখরুল
সেন্ট মার্টিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক কৌশল ছাড়া কিছুই নয়: ফখরুল
আদিবাসীদের সমর্থন করতে পদত্যাগ করলেন অস্ট্রেলিয়ান আইন প্রণেতা
সংসদে তথাকথিত আদিবাসী ভয়েস তৈরির সরকারের প্রস্তাবকে সমর্থন করতে মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দলের নেতৃত্ব থেকে একজন সিনিয়র আইনপ্রণেতা বিভক্ত হয়েছেন।
ভয়েস তৈরির জন্য অস্ট্রেলিয়ানরা অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময় ভোট দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:তাইওয়ানে ৭০ চীনা সামরিক বিমান ও ১১ নৌ জাহাজ শনাক্ত
একটি নির্বাচিত দল যাকে সংসদে আদিবাসীদের স্বার্থের ওকালতি করার জন্য অভিযুক্ত করা হবে কিন্তু আইনে ভোট দেওয়া হবে না।
রক্ষণশীল লিবারেল পার্টির শ্যাডো অ্যাটর্নি-জেনারেল এবং আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের ছায়ামন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জুলিয়ান লিজার, যাতে তিনি ভয়েস তৈরির পক্ষে ওকালতি করতে পারেন। ছায়া মন্ত্রিসভার সদস্য হিসাবে লিজার সাংবিধানিক পরিবর্তনের বিরোধিতা করতে বাধ্য ছিলেন।
লিজার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ভয়েসের সময় এসেছে।’ ‘আমি স্থানীয় এবং আঞ্চলিক সংস্থাগুলো থেকে টানা একটি জাতীয় কণ্ঠে বিশ্বাস করি এবং আমি এই বছর যে গণভোট করা হচ্ছে তাকে সমর্থন করব।’
সিনিয়র আইন প্রণেতারা ভয়েস-এ পার্টি লাইন অনুসরণ করার জন্য বিরোধী দলের নেতা পিটার ডাটনের সমালোচনা করা হয়েছিল।
আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য প্রাক্তন মন্ত্রী কেন ওয়াট, ভূমিকাটি পূরণ করার জন্য প্রথম আদিবাসী আইন প্রণেতা ভয়েসের বিষয়ে তার অবস্থানের জন্য গত সপ্তাহে লিবারেল পার্টি র সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গত বছর পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার আসন হারান ওয়াট।
লিজার বলেছিলেন যে তিনি নেতা হিসাবে ডাটনের সমর্থক রয়েছেন।
লিজার বলেছিলেন, ‘আমি বিদ্বেষ বা তিক্ততা ছাড়াই পদত্যাগ করছি। আমি একজন অনুগত লিবারেল রয়েছি। পিটার ডাটনের নেতৃত্বে সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
লিজার আরও বলেন, ‘ফ্রন্ট বেঞ্চার হিসাবে আজ আমার পদত্যাগ ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে নয়। এটি বিশ্বাসের দড়ি দিয়ে বিশ্বাস রাখার চেষ্টা করা এবং আমি যা তার অংশ।’
উত্তর-পূর্ব উপকূল থেকে টোরেস স্ট্রেট দ্বীপপুঞ্জের আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানরা মূল ভূখণ্ডের আদিবাসী জনসংখ্যা থেকে সাংস্কৃতিকভাবে আলাদা। দুটি আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ান জনসংখ্যার তিন দশমিক দুই শতাংশ এবং তারা দেশের সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত জাতিগোষ্ঠী।
ভয়েস মূলত ২০১৭ সালে আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীর আইনজীবীদের একটি গ্রুপ দ্বারা প্রস্তাবিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ৪.৩ মাত্রার ভূমিকম্প
দ. কোরিয়ার সমুদ্রতীরবর্তী শহরে দাবানল, পালিয়েছে শত শত মানুষ