সমর্থন
অন্তর্বর্তী সরকার ও সংস্কার প্রচেষ্টায় জাপানের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার এবং দেশের সংস্কার ও শান্তিপূর্ণ রূপান্তর প্রচেষ্টার প্রতি জাপানের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইশিবা।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩০ মে) সকালে টোকিওতে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ইশিবা এ সমর্থনের আশ্বাস দেন।
পরে এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ইশিবা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্রগঠনের উদ্যোগ, সংস্কার প্রচেষ্টা ও শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের অঙ্গীকারের প্রতি জাপানের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’
বৈঠকে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে জাপানের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন অধ্যাপক ইউনূস। বিশেষ করে বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিগ-বি) উদ্যোগের আওতায় মহেশখালী-মাতারবাড়ী সমন্বিত অবকাঠামো প্রকল্পসহ বিভিন্ন প্রকল্পে জাপানের সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করে উভয়পক্ষ কৌশলগত অংশীদারত্বের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। পাশাপাশি তারা ‘ফ্রি অ্যান্ড ওপেন ইন্দো-প্যাসিফিক’ ধারণার প্রতি সমর্থন জানিয়ে সকলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার অভিন্ন লক্ষ্যের কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: মহেশখালী-মাতারবাড়ী উন্নয়ন জোরদারে জাইকার সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
বৈঠকে উভয় দেশ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করে এবং জাতিসংঘ সনদের মূলনীতিকে ভিত্তি করে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহযোগিতা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দেয়। উভয় দেশই এ সময় আইনের শাসনের ভিত্তিতে বহুত্ববাদ ও গণতন্ত্রের প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে। এ ছাড়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়েও আলোচনা করেন দুই নেতা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক সংস্কার ও জলবায়ু সহনশীলতা জোরদারে দুটি ঋণচুক্তি এবং জয়দেবপুর-ঈশ্বরদী সেকশনে ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের জন্য ঋণচুক্তি-সংক্রান্ত ‘এক্সচেঞ্জ অব নোটস’ স্বাক্ষরকে উভয়পক্ষ স্বাগত জানায়।
বৈঠকে বাংলাদেশে জাপানি বিনিয়োগ বাড়াতে বিডায় ওয়ান স্টপ সার্ভিস, প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন, ব্যাটারিচালিত সাইকেল তৈরির কারখানা, তথ্য নিরাপত্তাবিষয়ক পাইলট প্রকল্প এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভূমি চুক্তিসহ একাধিক সমঝোতা স্মারক ও সহযোগিতা চুক্তি সই হয়। পাশাপাশি উভয় পক্ষই পারস্পরিক লাভজনকভাবে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি চূড়ান্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরে এবং দ্রুততম সময়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে নিজ নিজ মন্ত্রণালয় ও আলোচক দলগুলোকে আলোচনা এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেয়।
নিরাপত্তা সহযোগিতায় পাঁচটি টহল নৌকা বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে সরবরাহের বিষয়টি তুলে ধরা হয় এবং প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের চুক্তির বিষয়ে নীতিগত সম্মতির কথাও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে এক লাখ শ্রমিক নেবে জাপান
এ সময় দক্ষ মানবসম্পদ ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারের উপায় নিয়েও আলোচনা করেন দুই নেতা। এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশে মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জাপানের ধারাবাহিক সমর্থনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ইশিবাকে ধন্যবাদ জানান অধ্যাপক ইউনূস।
অন্যদিকে, রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের অস্থায়ী আশ্রয় ও তাদের জন্য বাংলাদেশের অব্যাহত মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী ইশিবা। এদের মধ্যে ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য জাপানের মানবিক সহায়তার প্রশংসা করেন অধ্যাপক ইউনূস। আর এ বিষয়ে জাপান তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেয়।
বৈঠকে উভয় পক্ষই সম্মত হয় যে, রোহিঙ্গা সংকটের চূড়ান্ত সমাধান হলো তাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, সম্মানজনক ও টেকসই প্রত্যাবাসন, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে সহায়ক হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের আন্তরিক সংলাপের প্রয়োজনীয়তার কথাও স্বীকার করেন তারা।
বৈঠকের শেষে অধ্যাপক ইউনূস জাপান সরকারের উষ্ণ আতিথেয়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান এবং সুবিধাজনক সময়ে প্রধানমন্ত্রী ইশিবাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
১৮৯ দিন আগে
বিএনপি সংস্কার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তার দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগগুলোতে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছে।
রবিবার (২০ এপ্রিল) সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফার সংলাপে বিএনপি প্রতিনিধি দলের যোগ দেওয়ার আগে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা সকল বিষয়ে স্বচ্ছতা, আন্তরিকতা এবং গুরুত্বের সঙ্গে সংস্কার উদ্যোগগুলোতে সহযোগিতা করছি।’
কমিশনের সঙ্গে আজকের সংলাপে অংশ নিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিএনপি প্রতিনিধি দল।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে আলোচনা চলছে।
সংলাপে অংশ নেওয়া প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাবেক সচিব আবু মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট থেকে বিকাল পৌনে ৫টা পর্যন্ত কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করে বিএনপি। তবে এই সময়ের মধ্যে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিও ছিল।
আরও পড়ুন: ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় বিএনপি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রস্তাবগুলোতে একটি অংশীদারিত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরির লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ২০ মার্চ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে।
এখন পর্যন্ত কমিশনের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়েছেন ১৩টি রাজনৈতিক দল।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশনকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের উপর একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় অবস্থান তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২২৯ দিন আগে
ফিলিস্তিনের সমর্থনে বরিশালে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে বৈশ্বিক ধর্মঘট কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বরিশালে বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেছে জনতা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে সদর রোডে বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ। এরপর ‘মার্চ টু ফিলিস্তিন’লেখা ব্যানার নিয়ে সদর রোডে ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ শেষ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের "দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা" কর্মসূচি: জাবি প্রশাসনের সংহতি
এ সময় ফিলিস্তিনের গাজা ও রাফায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যার তীব্র নিন্দা এবং ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানানো হয়।
এর আগে ফিলিস্তিনের জাতীয় ও ইসলামি শক্তিগুলো এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিন বিশ্বজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দেয় এবং বৈশ্বিকভাবে তা পালনের আহ্বান জানায়।
বক্তারা বলেন, ইসরায়েল যদি এখনই হামলা বন্ধ না করে, তবে মুসলিম বিশ্ব ‘মার্চ টু ফিলিস্তিন’ কর্মসূচির মাধ্যমে জবাব দেবে। তাই বিশ্বের সকল দেশ, বিশেষ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ফিলিস্তিন রক্ষায় কার্যকর কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগ এবং আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।
২৪২ দিন আগে
ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভ, শিক্ষার্থীকে আত্মসমর্পণে মার্কিন পুলিশের চিঠি
যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেওয়ায় মোমোদু তাল নামের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে আত্মসমর্পণ করতে বলেছে মার্কিন অভিবাসন পুলিশ। শুক্রবার (২২ মার্চ) তার আইনজীবী দলকে এই চিঠি মেইল করা হয়েছে। দেশ থেকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মার্কিন অভিবাসন ও শুল্ক কর্মকর্তারা এই চিঠি দেন।
আফ্রিকানা অধ্যয়নের ওপর পিএইচডি করছেন মোমোদু তাল। তিনি অবশ্য যুক্তরাজ্য ও গাম্বিয়ার দ্বৈত নাগরিক। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এরপর গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভে অংশ নেন এই শিক্ষার্থী।-খবর সিএনএনের
ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হামাসকে সমর্থন ও ইহুদিবিদ্বেষী হওয়ার অভিযোগ তোলেন তাদের বিরুদ্ধে।
আত্মসমর্পণের এই চিঠিকে বাকস্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে আখ্যায়িত করেন মোমোদু তালের আইনজীবীরা। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার পর তাকে যাতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেওয়া না হয়, তা আটকে দিতে আগেই একটি মামলা দায়ের করে রেখেছিলেন মোমোদু তাল।
কয়েকটি ইহুদি গোষ্ঠীসহ বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাদের ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভ ও ইসরাইলের সমালোচনাকে ভুলভাবে ইহুদিবিদ্বেষের সঙ্গে মিশিয়ে তালগোল পাকানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলি হামলায় দুই সাংবাদিকসহ ৯ ফিলিস্তিনি নিহত
মোমোদু তালকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘নিউইয়র্কের সিরাকিউজে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ইনভেস্টিগেশনস অফিসে সরাসরি হাজির হতে মোমোদু তাল ও তার আইনজীবীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আইসিই হাজতখানায় তাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে।’
গেল বছরে, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের একটি ক্যারিয়ার মেলা বন্ধ করে দিয়েছিলেন তালসহ একদল শিক্ষার্থী। ওই মেলায় বোয়িং ও এল৩হ্যারিসের প্রতিরক্ষা ঠিকাদাররা অংশ নিয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তারা যেসব অস্ত্র উৎপাদন করছে, তা গাজায় ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলিদের সহিংসতায় ব্যবহার করা হচ্ছে।
এরপর থেকে ক্যাম্পাসে না এসে তালকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লেখাপড়া করতে বলেছেন কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরআগে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাহমুদ খলিলকে আটক করে মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
২৫৭ দিন আগে
‘গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে সমর্থন করে ভারত’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে তারা একটি গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, প্রগতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশকে সমর্থন করে। এ বিষয়ে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ‘এটিই বাংলাদেশের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক।’
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে জয়সওয়াল বলেন, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধা, উদ্বেগ ও স্বার্থের ওপর ভিত্তি করে বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে ভারত।
সম্প্রতি দুই দেশের পররাষ্ট্র দপ্তরের বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেখানে আমাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আমাদের (ভারতের) দৃষ্টিভঙ্গি খুব স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।’
‘ভারত জোর দিয়ে বলছে যে, বাংলাদেশের জনগণই দুই দেশের সম্পর্কের প্রধান অংশীদার। বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা, যোগাযোগ, বাণিজ্য, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বহুমুখী ক্ষেত্রে সম্পৃক্ত ভারত। বাংলাদেশের জনগণের সুবিধার জন্যই এসব কার্যক্রম পরিচালিত হয়।’
আরও পড়ুন: সম্পর্কোন্নয়নে একাত্তরের সমস্যা সমাধানে পাকিস্তানের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান
গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের রাতে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ফেসবুক পোস্টে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, ত্রিপুরা, মণিপুরসহ উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে যুক্ত করে একটি মানচিত্র প্রকাশ করেন। ১৯৪৭ সালে বাংলা ভাগের ধারাবাহিকতায় যে বাংলাদেশ হয়েছে, সেই ভূখণ্ডকে ‘খণ্ডিত’ আখ্যা দিয়ে তিনি লেখেন, ‘নতুন ভূখণ্ড ও বন্দোবস্ত লাগবে।’ অবশ্য পরে পোস্টটি ডিলিট করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে এক সাংবাদিক ভারতের অবস্থান জানতে চাইলে মুখপাত্র জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সরকারের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেছি। এই ইস্যুতে আমাদের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। পোস্ট সরিয়ে ফেলার বিষয়ে জেনেছি। জনসম্মুখে মন্তব্যের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রত্যেককে আমরা সতর্ক থাকার বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ভারত যখন বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বারবার আগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েছে, তখন জনসম্মুখে এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলতা দেখানো দরকার।’
জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থের ওপর প্রভাব ফেলে এমন সব ঘটনা ভারত নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এ ধরনের বিষয়গুলো আমরা খুব গুরুত্ব সহকারে নেই এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেসকে ২০২৫ সালে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ
৩৪৮ দিন আগে
ক্ষমা পেয়ে আরব আমিরাত থেকে ফিরলেন আরও ২৬ বাংলাদেশি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে গ্রেপ্তার হওয়া আরও ২৬ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
ইন্ডিগো এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে এই ২৬ বাংলাদেশি দেশে ফেরেন।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম ও ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে এই ২৬ বাংলাদেশিকে পরিবহন খরচসহ প্রয়োজনীয় সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন ১৩ বাংলাদেশি
তিনি বলেন, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও ব্র্যাক এই প্রবাসীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনরেকত্রীকরণে কাজ করবে।
এজন্য তাদের চাহিদা নিরূপণ করে প্রয়োজন অনুযায়ী মনো-সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা করা হবে বলে জানান শরিফুল হাসান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় গত জুলাই মাসে ৫৭ জন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার ও শাস্তি পান।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৫০ অনিয়মিত বাংলাদেশি
পরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে ৫৭ বাংলাদেশির ক্ষমার আদেশ দেন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারাদণ্ড প্রত্যাহার করা হয়। এরপর ৩১ জন তিন দফায় দেশে ফিরে আসেন। বাকি ২৬ জন শুক্রবার ফিরলেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়া থেকে ফিরলেন ১৪৪ অনিয়মিত বাংলাদেশি
৪৪৭ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দেবে জাতিসংঘ: মুখপাত্র
জাতিসংঘ বলেছে, তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণকে প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা করতে ইচ্ছুক।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) মুশফিকুল ফজল আনসারীর এক প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক বলেন, 'বাংলাদেশের প্রতি সমর্থনের বিষয়ে আপনি যা বলেছেন সে সম্পর্কে আমি নির্দ্বিধায় নিশ্চিত করতে পারি যে, প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে সমর্থন করতে ইচ্ছুক।’
তিনি বলেন, জবাবদিহিতার বিষয়সহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য তাদের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে 'বিস্তৃত পরিসরের সহায়তার' বিষয় নিয়ে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার তুর্ক এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আলোচনা করেছেন।
ফারহান বলেন, সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্তে সহায়তার ক্ষেত্র এবং পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার জন্য একটি দল আগামী সপ্তাহ থেকে ঢাকা সফর করবে।
তিনি বলেন, হাইকমিশনার মানবাধিকার সুরক্ষা জোরদার করে এমন একটি সফল রূপান্তরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণকে সমর্থন করতে অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অন্যদিকে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
তিনি বলেন, তাদের কিছু টেকনিক্যাল সহকর্মী থাকবেন যারা আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর ইউএনআরসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা প্রাথমিকভাবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং করবে, তবে ঘোষণা, বিশদ বিবরণ এবং দলটি কীভাবে সরকারের সঙ্গে কাজ করবে - সবকিছুর বিষয়ে একমত হওয়া দরকার।’
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জাতিসংঘের সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমকে পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের কাজ চালিয়ে যাওয়ার উপর জোর দেন।
তিনি সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের গঠনমূলক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
লুইস স্বাধীন তদন্ত, অন্তর্বর্তীকালীন ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য আরও সমর্থনের বিষয়ে দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার তদন্তে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে জাতিসংঘ
সাক্ষাৎকালে তারা অর্থনৈতিক সহযোগিতা, এলডিসি উত্তরণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাংলাদেশের বিষয়ে জাতিসংঘের চলমান মানবিক কার্যক্রম নিয়েও আলোচনা করেন।
উপদেষ্টা জনগণের, বিশেষ করে তরুণদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তাদের প্রত্যাশা পূরণে জাতিসংঘের অর্থবহ সমর্থন কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ৭ রাষ্ট্রদূতকে দেশে ফেরার নির্দেশ
৪৭৬ দিন আগে
চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের সমর্থন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনে তাদের পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (জেসিডি)। কারণ, তারা মনে করে সীমিত সংখ্যক বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন লোক ছাড়া সরকারি চাকরিতে কোটার কোনো প্রয়োজন নেই।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির বলেন, ‘আমরা ২০১৮ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিলাম। এখন যে আন্দোলন চলছে তাতেও আমরা সমর্থন দিচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রতি ছাত্রদলের সমর্থনের কথা জানান নাসির।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রদল মনে করে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা এখন যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে, তার মাধ্যমে কোটা সংস্কারের বিষয়টি চূড়ান্ত সমাধান হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আমাদের বক্তব্য হলো, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য খুব সীমিত সংখ্যক কোটা ছাড়া এই মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো কোটার প্রয়োজন নেই। এটা আমাদের আনুষ্ঠানিক বিবৃতি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছাত্রদলের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’
আরও পড়ুন: অসুস্থ খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকিতে: ফখরুল
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডারদের প্রতিহত করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন সফল হবে বলে তারা আশাবাদী।
নাছির বলেন, ২০১৮ সালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবি না জানিয়ে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেছিল।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু অবৈধ প্রধানমন্ত্রী কোটা সংস্কার না করে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে ইচ্ছাকৃতভাবে কোটা বাতিল করেছেন।’
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেমন আদালতকে ব্যবহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একটি নিষ্পত্তিকৃত বিষয়ের রায় তার পক্ষে নিয়ে গেছেন, তেমনি একটি মীমাংসিত বিষয়ও তিনি এখন বিচার বিভাগের মাধ্যমে কোটা পুনর্বহালের চেষ্টা করছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার গত ১০ থেকে ১২ বছরে ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ১২ থেকে ১৩ হাজার নেতা-কর্মীকে মুক্তিযোদ্ধাদের জাল সনদ দিয়েছে।
নাছির বলেন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের সুবিধার্থে বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে যারা আছেন তাদের অভিনন্দন জানাই। একই সঙ্গে এই ফ্যাসিবাদী ও অবৈধ সরকার যে গুম ও হত্যার সংস্কৃতি চালু করেছে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার জন্যও আমরা আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাংলাদেশে ভারতের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনের পক্ষে কথা বলার আহ্বান জানান।
রাকিব বলেন, ‘কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ঢাকা কলেজের সকল নেতাদের আমি বলছি, আপনার কলেজের সহপাঠী আতিকুর রহমান রাসেলকে গুম করা হয়েছে। আমরা আশা করি, আপনারাও তার অবস্থান জানতে চাইবেন।’
ছাত্রদলের ঢাকা কলেজ শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান রাসেলের সন্ধান চেয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিযোগ, গত ১ জুলাই রাতে রাজধানীর আজিমপুর এলাকা থেকে সাদা পোশাকধারী পুলিশ রাসেলকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: চলমান আন্দোলনে উসকানি দিচ্ছে বিএনপি, সরকারের এ অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন ফখরুল
রাকিব বলেন, কোনো অভিযোগ বা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকলেও কোনো কারণ ছাড়াই রাসেল নিখোঁজ হয়েছেন। ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ছাত্রদল ভয় পায় না। ছাত্রদলের একজন নেতাকর্মীও ভয় পায় না। রাসেলের সন্ধান চাইতে রাস্তায় নামবে ছাত্রদল।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বকুল বলেন, ‘রাসেল ১২ দিন ধরে নিখোঁজ। আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত। রাসেলের পরিবারও খুব কঠিন সময় পার করছে।’
রাসেল নিখোঁজের বিষয়ে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নীরব রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দেরি না করে রাসেলকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া না হলে আগামী দুই দিনের মধ্যে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বকুল।
সংবাদ সম্মেলনে রাসেলের বাবা আবুল হোসেন সরদারও তার প্রিয় ছেলেকে নিরাপদে ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন।
রাসেলের বাবা আবেগাল্পুত হয়ে বলেন, 'আমি ১১ দিন ধরে খুব অসুস্থ ছিলাম কারণ আমি খেতে বা পান করতে পারি না। আমার দুই ছেলে আছে, একজন বিদেশে থাকে, আরেকজন পড়াশোনার জন্য ঢাকায় থাকে। কিন্তু এখন আমরা তার অবস্থান জানি না। তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। গত ২ জুন লালবাগ থানায় জিডি করি। কিন্তু এখনও তার কোনও সন্ধান মেলেনি। আমরা পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কিন্তু কোনো ফল হয়নি।’
সরদার উল্লেখ করেন, ১১ দিন আগে রাজধানীর আজিমপুর এলাকায় রাসেল নিখোঁজ হন। তিনি বলেন, 'আমার ছেলে ১১ দিন ধরে কোথায় আছে, কী খাচ্ছে জানি না। আমি আমার সন্তানকে ফেরত চাই। আমি জানি না আমার ছেলে কী অপরাধ করেছে... রাজনীতিতে যুক্ত হওয়াটা যদি অপরাধ হয় তাহলে আমার আর কিছু বলার নেই।’
আরও পড়ুন: সরকারের দুঃশাসন দেশকে ধ্বংস করছে: ফখরুল
৫১১ দিন আগে
যেকোনো ফরম্যাটে ব্রিকসে যোগ দিতে ভারতের সমর্থন চায় বাংলাদেশ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ব্রিকস গ্রুপের সদস্য বা অংশীদার দেশ হিসেবে যেকোনো ফরম্যাটে যোগ দিতে ভারতের সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ।
শনিবার (২২ জুন) নয়া দিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন কর্মসূচির ফলাফল নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বেনজীরের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আমরা যেকোনো ফরম্যাটে ব্রিকসে যোগ দিতে ভারতের সমর্থন চেয়েছি।’
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারত এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে (ব্রিকস-এ যোগদানে বাংলাদেশকে সহায়তা করার বিষয়ে)।
তিনি বলেন, ব্রিকস যদি নতুন সদস্য বা অংশীদার দেশ যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে বাংলাদেশ যেভাবেই হোক ব্রিকসের সঙ্গে যুক্ত হতে চায়।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত- এই ৯টি দেশ নিয়ে ব্রিকস একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে শুক্রবার ভারতে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার শুধু শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির (টেট-এ-টেট) মধ্যে বৈঠক হয়েছে। এছাড়া দ্বিপক্ষীয় প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেন এবং হায়দরাবাদ হাউসে ১০টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অর্থনীতিতে অবদান রাখায় প্রবাসীদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন
ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৩০ দিন আগে
ইউসিএলএ বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে আবারও বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ২৭
লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিলিস্তিনের সমর্থনে বিক্ষোভকারীরা আবারও ক্যাম্প স্থাপনের চেষ্টা করলে পুলিশ তা ভণ্ডুল করে দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের পরে আগে স্থাপন করা শিবিরটি উচ্ছেদ করেছে কর্মকর্তারা।
ইউসিএলএ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা অ্যাসিসট্যান্টট ভাইস চ্যান্সেলর রিক ব্রাজিয়েল এক বিবৃতিতে বলেন, সোমবার রাতে বিক্ষোভের সময় কর্মকর্তারা ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন।
ইউসিএলএ পুলিশ জানিয়েছে, এই বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করেছেন এবং একজন কর্মকর্তার কাজে হস্তক্ষেপ করেছিলেন। তাদের ইউসিএলএ থেকে দূরে থাকতে ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছিল এবং তারপরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: বাইডেনের গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব সমর্থন করতে নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
ব্রাজিয়েল বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এর মধ্যে ক্যাম্পাস থেকে নিষিদ্ধ করা এবং ফাইনাল বা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে না পারাও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্থানে বারবার তাবু ও ছাউনি স্থাপন ও বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এর ফলে আশেপাশের চূড়ান্ত পরীক্ষা পরিচালনা ব্যাহত হয়।
পুলিশ বলছে, আন্দোলনকারীরা একটি ফোয়ারা, স্প্রে-পেইন্ট ইটের ওয়াকওয়েগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, অগ্নি সুরক্ষা সরঞ্জামগুলোতে হস্তক্ষেপ করেছে, প্যাটিওর আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, বৈদ্যুতিক ফিক্সচার থেকে তার ছিঁড়েছে এবং যানবাহন ভাঙচুর করেছে।
ব্রাজিয়েল জানান, বিক্ষোভ চলাকালীন, এমন হামলাও হয়েছিল যার ফলে ছয়জন ইউসিএলএ পুলিশ আহত হয়েছে। পাশাপাশি একজন নিরাপত্তা প্রহরী মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রক্তক্ষরণও হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির পর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পাস
বিবৃতিতে ব্রাজিয়েল বলেন, ‘সহজভাবে বলতে গেলে, সহিংস প্রতিবাদের এই কাজগুলো ঘৃণ্য এবং এটি চলতে পারে না।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে প্রতিবাদ শিবির গড়ে উঠেছে। যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ইসরায়েল বা এর যুদ্ধ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে এমন সংস্থাগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করা বন্ধের দাবি জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। আয়োজকরা গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের যুদ্ধকে ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা আখ্যা দিয়ে তা বন্ধের আহ্বান জোরদার করার চেষ্টা করছে।
বিক্ষোভের কারণে ইউসিএলএ বারবার উত্তাল হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এক পর্যায়ে, ফিলিস্তিনপন্থী একটি শিবিরে ইসরায়েলপন্থীরা পাল্টা আক্রমণ করেছিল। এতে পুলিশ তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। শিবিরটি উচ্ছেদ করার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক ডজন লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এই ঘটনা ক্যাম্পাস পুলিশ প্রধানকে পুনরায় নিযুক্ত এবং একটি নতুন ক্যাম্পাস সুরক্ষা অফিস তৈরির দিকে পরিচালিত করে। পরে নতুন বিক্ষোভ শিবির স্থাপনের প্রচেষ্টাও ভণ্ডুল করে দেওয়া হয়।
ইউসিএলএ সোমবারের প্রতিবাদটি শুরু হয় ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া রিজেন্টদের আসন্ন সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান উদ্বোধনের ঠিক কয়েকদিন আগে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ঝুলে যাওয়ায় আবারও মধ্যপ্রাচ্য সফরে ব্লিঙ্কেন
৫৪০ দিন আগে