কাজী জাফর উল্লাহ
আচরণবিধি লঙ্ঘন: ফরিদপুর-৪ আসনের কাজী জাফর উল্লাহকে শোকজ
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্লাহকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক নোটিশ দিয়ে কাজী জাফর উল্লাহকে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
নোটিশে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: ফেনীতে নৌকার প্রার্থীকে শোকজ
একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমান চৌধুরীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে এই কারণ দর্শাতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
নোটিশে বলা হয়েছে, অনুমতি ছাড়া সংসদীয় এলাকায় সভা করে প্রতিপক্ষকে হেয় করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচনী প্রচার ও প্রচারণার আগেই নিজ দলের প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন যা, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১(ক) এর পরিপন্থী।
একইসঙ্গে, আপনি উক্ত সভা সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অনুমতি গ্রহণ ও স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে সভায় অংশ গ্রহণ করে ওই বিধিমালার বিধি ৬(খ) ও ৬(গ) লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।
নোটিশে আরও বলা হয়, জাফর উল্লাহ সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১(ক), ৬(খ) ও ৬(গ) এর বিধান এবং তৎসহ বিধি ১২ এর বিধান লঙ্ঘন করেছেন যা নির্বাচনপূর্ব অনিয়ম হিসেবে গণ্য করে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্ত কেন বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠানো হবে না- সেই মর্মে ১৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩টার মধ্যে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয় যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, দ্বিতীয় আদালত, জেলা ও দায়রা জজ্ঞ আদালত, ফরিদপুর এ ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে কাজী জাফর উল্লাহর সহকারী একান্ত সচিব মামুনুর রশিদ বলেন, নোটিশটি আমরা হাতে পাইনি, পেলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় বেলকুচি পৌরসভার মেয়রকে শোকজ
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন: নওগাঁয় ২ প্রার্থীকে শোকজ
১১ মাস আগে
একরাম উল্লাহ’র মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বিশিষ্ট উদ্যোক্তা এবং সামাজসেবক কাজী একরাম উল্লাহ গত ১৪ মে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেডের স্পনসর শেয়ারহোল্ডার এবং ভাঙ্গার কাজী মাহবুবুল্লাহ কলেজের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
মৃত্যুকালে কাজী একরাম উল্লাহ স্ত্রী, দুই সন্তান ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর ছোট ভাই।
১৬ মে (সোমবার) তার মরদেহ ঢাকায় আনার কথা রয়েছে।
১৭ মে (মঙ্গলবার) আছরের নামাজের পর লালমাটিয়া মসজিদে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার কাজী একরাম উল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
পড়ুন: আমিরাতের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
নেতাদের সমালোচনা নয়, সরকারের উন্নয়নের কথা বলুন: কাজী জাফর উল্লাহ
নেতাদের সমালোচনা না করে দলীয় নেতাকর্মীদের জনগণের কাছে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘দলের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে আগামী নির্বাচনের জন্য শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন। অযথা নিজেরে মধ্যে ভাঙন ধরাবেন না। দলের নেতাদের সমালোচনা না করে, সরকারের উন্নয়নের কথা বলুন।’
বুধবার ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিজ বাড়ী কাউলি বেড়া জেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলার আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
জাফর উল্লাহ বলেন, ‘আমরা নেতারা যদি সকলেই মিলেমিশে চলতে পারি তাহলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা উৎসাহিত হবে, আর এতে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হবে।
পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে শনিবার বিএনপির গণঅনশন কর্মসূচি
তিনি বলেন, নিজেরদের গীবত করে যদি কেউ বাহবাহ নিতে চান, তারা নিশ্চয় বোকার স্বর্গের বাস করছেন, নিজের যেমন ক্ষতি করছেন, তেমনি দলেরও।
আওয়ামী লীগের এই প্রবীন নেতা বলেন, নৌকায় ভোট দিলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়। নিজেকে এবং দেশের মানুষকে ভালো রাখেতে হলে নৌকাকে বিজয়ী করার বিকল্প নেই।
এসময় ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপুল ঘোষসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পড়ুন: দ্রব্যমূল্য কমায় জনগণ স্বস্তিতে, বিএনপি অস্বস্তিতে: তথ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে