জোড়া
চুয়াডাঙ্গায় জোড়া খুন: গ্রেপ্তার ৪
জেলার আলমডাঙ্গা পৌরসভায় ২৪ সেপ্টেম্বর এক বৃদ্ধ দম্পতিকে হত্যার ঘটনায় জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন-উপজেলার বজলুর রহমানের ছেলে শাহাবুল হক, পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন, মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলি ও তাজ উদ্দিনের ছেলে সাকিল হোসেন।
চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জেলার পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
তিনি জানান, পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে হ্যান্ড ব্যাগ, নগদ ৪৩ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য জিনিসপত্র উদ্ধার করেছে। তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
২৪ সেপ্টেম্বর সকালে চুয়াডাঙ্গার আালমডাঙ্গার পুরাতন বাজারপাড়ার নজির উদ্দিন উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে ডালিয়ারা পারভিন শিলা বাদী হয়ে ঘটনার পর দিন অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় আ.লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
কন্যা দিবসে ঘুমন্ত শিশুকন্যাকে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা, বাবা গ্রেপ্তার
সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ৯ জনের যাবজ্জীবন
২ বছর আগে
ভোলায় কোমড় জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম
ভোলায় কোমড়ে জোড়া লাগানো যমজ দুই মেয়ে শিশুর জন্ম হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে সিজার অপারেশনের মাধ্যমে এই দুই মেয়ে শিশুর জন্ম দিয়েছেন মনি মুক্তা (২২) নামের এক নারী।
মনি মুক্তা ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামী সাইফুল ইসলাম একটি বেসরকারি কোম্পানির সেলসম্যান।
মুক্তার স্বামী সাইফুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকালে তার স্ত্রীকে শহরের বন্ধন হেলথ কেয়ার এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। দুপুর ১টার দিকে গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ ডা. জান্নাত ই আলমের অস্ত্রোপাচারের (সিজার) মাধ্যমে মনি মুক্তা জোড়া লাগানো যমজ দুই শিশুর জন্ম দেন। শিশু দুইটির কোমরের অংশে জোড়া লাগানো।
আরও পড়ুন: পাবনায় জোড়া লাগা যমজ শিশুর জন্ম
তিনি আরও জানান, দুই মাস আগে তিনি মনি মুক্তাকে ঢাকায় ডাক্তার দেখিয়েছিলেন। তখন ডাক্তার আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট দেখে তাকে জানিয়েছিল গর্ভে যমজ শিশু দুইটি রয়েছে। তারা গর্ভে উল্টো অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়াও বৃহস্পতিবার দুপুরে মনি মুক্তাকে পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়। অস্ত্রোপাচার করা ডাক্তার সর্বশেষ রিপোর্ট দেখে একই কথাই জানিয়েছিলেন। তবে যমজ বাচ্চা দুইটির কোমরের অংশে যে জোড়া লাগানো তা কোনো রিপোর্টেই আসেনি।
তিনি আরও জানান, সদ্য ভূমিষ্ট হওয়া শিশু দুটি সাইফুল ইসলামের দ্বিতীয় সন্তান। তার চার বছর বয়সী আরেকটি মেয়ে শিশু রয়েছে।
অস্ত্রোপাচার করা চিকিৎসক ডা. জান্নাত ই আলম গণমাধ্যমকে জানান, সাধারণত নারীদের গর্ভে সন্তানের অবস্থান কেমন সেটা জানতে হলে ২৪ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা থাকাবস্থায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হয়। তাহলে বাচ্চা জোড়া লাগানো কিনা সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়। মনি মুক্তা যথাসময়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করেনি। তার আল্ট্রাসনোগ্রামে বিলম্ব ছিল। যার ফলে তার আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে যমজ শিশু থাকার বিষয়টি এসেছে। কিন্তু শিশু দুইটি যে জোড়া লাগানো তা আসেনি।
এ চিকিৎসক আরও জানান, বর্তমানে নবজাতক দুইটি ও তাদের মা মনি মুক্তা সুস্থই আছেন।
বন্ধন হেলথ কেয়ার এর পরিচালক সাদ্দাম জানান, যমজ নবজাতক ও প্রসূতি মা ভালো আছেন। যমজ জোড়া লাগানো নবজাতক শিশু দুটোর উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তাররা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ব বিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মায়ের পাশে ঘুমন্ত যমজ শিশুর লাশ মিলল পুকুরে
কুষ্টিয়ায় জন্মের ৩ ঘণ্টা পর জোড়া লাগানো যমজ শিশুর মৃত্যু
২ বছর আগে
শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: দ্বিতীয় সন্দেহভাজন ১ দিনের রিমান্ডে
শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ও কলেজছাত্রী হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি আরফানউল্লাহ দামালের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা এ আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দারা আরফানউল্লাহকে গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা শাখার (মতিঝিল বিভাগ) উপ-কমিশনার রিফাত মোহাম্মদ শামীম।
উপ-কমিশনার ইউএনবিকে বলেন, ‘তার কাছ থেকে একটি বন্দুক জব্দ করা হয়েছে।’
আরফানুল্লাহর বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
গত ২৪ মার্চ রাতে ইসলামী ব্যাংকের সামনে গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতি।
নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপু আওয়ামী লীগের মতিঝিল থানা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সামিয়া আফরিন প্রীতি বদরুন্নেসা সরকারি কলেজের ছাত্রী ছিলেন। এসময় গুলিতে টিপুর গাড়ির চালকও আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: দ্বিতীয় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার
পুলিশ জানায়, ‘জাহিদুল গাড়িতে করে এবং প্রীতি রিকশায় করে বাসায় ফেরার সময় রাত সোয়া ১০ টার দিকে ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তারা সবাই যানজটে আটকা পড়েছিলেন। এ সময় মুখে মাস্ক ও হেলমেট পরা এক ব্যক্তি তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।’
পরদিন অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে জোড়া খুনের ঘটনায় মামলা হয়।
গত ২৭ মার্চ বগুড়া থেকে জোড়া খুনের মামলার প্রধান আসামি আকাশকে (৩৪) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরদিন ঢাকার একটি আদালত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আকাশের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
আরও পড়ুন: শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: প্রধান আসামি ৭ দিনের রিমান্ডে
শাহজাহানপুরে জোড়া খুন: প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
২ বছর আগে