অবস্থান
জনপ্রশাসন সচিবের কক্ষের সামনে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের অবস্থান
কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের কক্ষের সামনে আওয়ামী লীগ আমলে অবসরে যাওয়া বঞ্চিত কর্মকর্তারা অবস্থান নেন। এ সময় তাদের অনেকে মেঝেতে বসে পড়েন।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার পর বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ৫০-৬০ জন সচিবের দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন। পরে বেলা সাড়ে ১১টায় জনপ্রশাসন সচিব তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য দপ্তরের বাইরে বের হলে তাদের তোপের মুখে পড়েন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ বঞ্চিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উচ্চস্বরে সচিবের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। কেউ কেউ জনপ্রশাসন সচিবকে পদত্যাগ করতে বলেন।
এ সময় বিক্ষুব্ধ বঞ্চিত কর্মকর্তারা উচ্চস্বরে সচিবের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। কেউ কেউ জনপ্রশাসন সচিবকে পদত্যাগ করতে বলেন।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন সংস্কারে বিএনপির প্রস্তাব
তখন জনপ্রশাসন সচিব তাদের জানান, বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে তার কাছ থেকে কোনো ফাইল আসেনি। ওই ফাইল আসার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তার প্রক্রিয়া শুরু করবেন।
পরে নিজ দপ্তরে জনপ্রশাসন সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘বঞ্চিত কর্মকর্তাদের পদমর্যাদা দিয়ে আর্থিক সুবিধা দেওয়া হবে। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো ফাইলপত্র পাঠায়নি। আমাদের এখানে ফাইল আসার পরে সেটি প্রসেস করতে একদি নের বেশি সময় নেব না।’
তবে জনপ্রশাসন সচিবের বক্তব্যে আশ্বস্ত হতে পারেননি বঞ্চিত কর্মকর্তারা। তাদের পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না করা পর্যন্ত তারা সচিবের দপ্তরের সামনে অবস্থান করবেন বলে ঘোষণা দেন।
গত ১০ ডিসেম্বর পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা কমিটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন পেশ করে। কমিটির প্রধান ও সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খান কমিটির অন্যান্য সদস্যদের উপস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় প্রয়োজনীয় সুপারিশসহ প্রতিবেদন পেশ করেন। এতে ৭৬৪ জনকে উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতির সুপারিশ করেছে কমিটি।
আরও পড়ুন: জনপ্রশাসন একাডেমির জন্য ৭০০ একর বনভূমির বন্দোবস্ত বাতিল
৩ দিন আগে
শেখ হাসিনার অবস্থান জানে না সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নয়া দিল্লি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে খোঁজ নিলেও তার অবস্থান সরকার নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা দিল্লি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুসন্ধান করেছি। কেউ আমাদের নিশ্চিত করতে পারেনি।’
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গণমাধ্যমে তারাও তার(শেখ হাসিনার) সংযুক্ত আরব আমিরাত ভ্রমণের বিষয়ে খবর দেখেছেন।
আরও পড়ুন: সুসম্পর্ক স্থাপনে সম্মত ঢাকা-দিল্লি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি(শেখ হাসিনা) সম্ভবত আজমানে আছেন। তবে তারা এটি পুনরায় নিশ্চিত করার চেষ্টা করেও সফল হননি।
তিনি বলেন, 'সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে আমি আপনাদের বলেছি, তার পরিকল্পনা সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো হালনাগাদ তথ্য নেই।’
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরকারি মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নয়া দিল্লিতে সাংবাদিকদের বলেন, 'সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে আমি আপনাদের বলেছি, তার পরিকল্পনা সম্পর্কে আমাদের কাছে কোনো হালনাগাদ তথ্য নেই। এটি তার উপর নির্ভর করছে, তিনি কীভাবে বিষয়গুলো এগিয়ে নেবেন’ ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর পার্লামেন্টে স্বপ্রণোদিত হয়ে দেওয়া বিবৃতিতে স্পষ্টভাবে বলেছেন, সংক্ষিপ্ত নোটিশে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
ভারতে পলাতক এমপি-মন্ত্রী ও সরকারি কর্মকর্তাদের দেশে ফেরত আসার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা হোসেন বলেন, বাংলাদেশ মিশন শুধু বাংলাদেশে আসার জন্য ট্রাভেল পাস ইস্যু করতে পারে, অন্য দেশে যাওয়ার জন্য নয়। 'এটা বাংলাদেশে একমুখী সফর।'
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপরাধ করে থাকলে তাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
নিউইয়র্ক টাইমস ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড ইভেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কেন হবে না? তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তাহলে তাকে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনা উচিত। তাকেও বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।’
শেখ হাসিনার প্রসঙ্গ টেনে আইনবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সম্প্রতি বলেছেন, বিচার শুরু হলে বাংলাদেশ অবশ্যই ভারতের সঙ্গে অপরাধী প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় যেকোনো দণ্ডিত ব্যক্তির প্রত্যর্পণ চাইবে।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, কোনো দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তি ভারতে থেকে গেলে আমরা তার প্রত্যর্পণ চাইতে পারি।
ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা শিগগিরই আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আপনাদের জানাব।
৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের তদন্তে কোনো হস্তক্ষেপ করব না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদের ভাষাকে আরও ‘শক্তিশালী’ করেছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
২ মাস আগে
জলবায়ুজনিত দুর্যোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নবম
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পঞ্চম জনবহুল দেশ বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, বন্যা, উপকূলীয় এলাকা ও নদীর তীরে ভাঙন, খরা ও ভূমিধসের মতো জলবায়ু-জনিত দুর্যোগের উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে নবম স্থানে রয়েছে।
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়তে থাকায় ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ১৭ শতাংশ ভূমি পানিতে তলিয়ে যাবে, যার ফলে দেশটি তার ৩০ শতাংশ কৃষিজমি হারাবে। এটি উপকূলীয় এলাকার জনগোষ্ঠীকে শহরে স্থানান্তরিত হতে বাধ্য করবে, যেখানে তারা দারিদ্র্য ও বেকারত্বের শিকার হতে পারে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নতুন এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ২০২৩ সালে একটি মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এই সময়ে প্রথমবারের মতো এই অঞ্চলের অর্ধেকের বেশি জনগোষ্ঠী (৫৩.৬ শতাংশ) অন্তত একটি সামাজিক নিরাপত্তা সুবিধার আওতায় এসেছে।
তবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বারবার একই এবং নতুন ও পরিবর্তনমূলক– উভয় ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। এই অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা কাজে লাগানোর জন্য দেশগুলো উল্লেখযোগ্য মাত্রায় শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
‘বিশ্ব সামাজিক নিরাপত্তা প্রতিবেদন ২০২৪-২৬ এর এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় আঞ্চলিক সহায়ক প্রতিবেদন: জলবায়ু পদক্ষেপ ও জাস্ট ট্রানজিশনের জন্য সর্বজনীন সামাজিক নিরাপত্তা’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, এই অঞ্চলে সামাজিক নিরাপত্তা সেবার কার্যকর আওতা বৈশ্বিক গড়কে (৫২.৪ শতাংশ) ছাড়িয়ে গেছে। তা সত্ত্বেও প্রায় ২১০ কোটি মানুষ তাদের জীবনের বিভিন্ন পর্যায় এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক বিভিন্ন ঝুঁকির ক্ষেত্রে এখনও অরক্ষিত। সামাজিক সুরক্ষা প্রসারে অগ্রগতিও অসম।
আরও পড়ুন: ৩২ হাজার কৃষককে জলবায়ু বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে সরকার
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে পূর্ব এশিয়ায় সামাজিক নিরাপত্তার কার্যকর আওতার হার ১৫.২ শতাংশ পয়েন্ট (৬৩.৩ থেকে বেড়ে ৭৮.৫ শতাংশ), দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ১৩.৪ শতাংশ পয়েন্ট (৩২.৫ থেকে বেড়ে ৪৫.৯ শতাংশ), দক্ষিণ এশিয়ায় ১৬.৭ শতাংশ পয়েন্ট (১৮.৭ থেকে বেড়ে ৩৫.৪ শতাংশ) এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপগুলোতে ৬.৮ শতাংশ পয়েন্ট (৬৫.৭ থেকে বেড়ে ৭২.৫ শতাংশ) বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৈষম্য বিদ্যমান।
অঞ্চলটি সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার সুবিধার পর্যাপ্ততা ও আর্থিক স্থায়িত্বের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। ২০২৩ সালে অঞ্চলটি সামাজিক সুরক্ষার পেছনে জিডিপির ১১.৮ শতাংশ ব্যয় করেছে, যা বৈশ্বিক গড়ের (১৯.৩ শতাংশ) চেয়ে অনেক কম।
এরই সাথে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, অন্তত একটি সুবিধা দিয়ে কার্যকর সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় আনা পুরুষের তুলনায় নারীরা ৬.৮ শতাংশ পয়েন্ট পিছিয়ে রয়েছে। এই ব্যবধান বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় আরও বেশি। দক্ষিণ এশিয়ায় এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান ব্যবধানের হার ১১.১ শতাংশ পয়েন্ট।
বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেন বলেন, ‘বাংলাদেশে যেহেতু ক্রমবর্ধমানভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অনুভূত হচ্ছে, তাই বন্যা, তাপপ্রবাহ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সহনশীলতা গড়ে তুলতে সামাজিক নিরাপত্তার গুরুত্ব আরও বেড়েছে। সঠিকভাবে পরিকল্পিত ও অর্থায়ন করে কার্যকর সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব অনেকটাই কমিয়ে দিতে পারে, জাস্ট ট্রানজিশন বা ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তন সহজতর করতে পারে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আয়ের সুরক্ষা দিতে পারে।’
আইএলওর সহকারী মহাপরিচালক এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক চিহোকো আসাদা-মিয়াকাওয়া বলেন, ‘যদিও ২০১৫ সাল থেকে অঞ্চলটিতে অর্জিত অগ্রগতি আশাব্যঞ্জক, তবে সর্বজনীন আওতা অর্জন এবং পর্যাপ্ত ও বিস্তৃত সুরক্ষার জন্য অঞ্চলটিকে এখনও অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে। বিস্তৃত ও সহনশীল সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বিনিয়োগ আজ যতটা জরুরি ততটা আগে কখনোই ছিল না।’
আইএলওর পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য আইএলওর ডিসেন্ট ওয়ার্ক টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিমের সিনিয়র সামাজিক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ কেনিচি হিরোসে বলেন, ‘এটি বিশেষভাবে উদ্বেগের বিষয় যে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অনেক দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের উচ্চ ঝুঁকির সম্মুখীন। তবে এসব দেশে সামাজিক নিরাপত্তার কার্যকর আওতা এখনো কম। জলবায়ু অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টায় সহায়তার ক্ষেত্রে এবং সবার জন্য, বিশেষ করে অরক্ষিত সম্প্রদায়গুলোর সহনশীলতা বাড়ানোর মাধ্যমে একটি জাস্ট ট্রানজিশন বা ন্যায়সঙ্গত পরিবর্তনে সহায়তা প্রদানে সামাজিক নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
২০১৫ সাল থেকে বাংলাদেশের একটি বিস্তৃত জাতীয় সামাজিক সুরক্ষা কৌশল (এনএসএসএস) থাকলেও এটি এখনও সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে এমন প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারেনি, যা আকস্মিক জলবায়ুজনিত অভিঘাত এবং একটি বিস্তৃত সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থার দীর্ঘমেয়াদি সুবিধাগুলো চিহ্নিত করতে পারে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানি মহাপরিকল্পনার দ্রুত সংশোধনের দাবি তরুণ জলবায়ুকর্মীদের
বাংলাদেশে জলবায়ু অর্থায়ন বাড়াতে উন্নত বিশ্বের প্রতি আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
২ মাস আগে
চট্টগ্রামে নাশকতা কিংবা ‘পাল্টা অভ্যুত্থান’ ঠেকাতে ছাত্র-জনতার অবস্থান
১৫ আগস্টকে ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা কিংবা ‘পাল্টা অভ্যুত্থান’ ঠেকাতে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে চট্টগ্রাম মহানগরীর নিউমার্কেট মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা।
‘রেজিস্ট্যান্স উইক’র অংশ হিসেবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। সেখানে তারা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচারসহ চার দফা দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল থেকে নিউমার্কেট এলাকায় জড়ো হন শিক্ষার্থী ও নানা পেশার মানুষ।
সকাল ১০টার পরপরই প্রায় হাজারখানেক শিক্ষার্থী-জনতা উপস্থিত হন নিউমার্কেট চত্বরে। এসময় তারা চত্বরে জড়ো হয়ে ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘খুনি হাসিনার ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘শেখ হাসিনার দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।
আন্দোলনকারীদের অবস্থানের কারণে নিউমার্কেট মোড়ের চারপাশে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কারও রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বা সুবিধা নেওয়ার ইচ্ছা নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
মাঝেমধ্যে রিকশা ও দুয়েকটি মোটরসাইকেল চলাচল করতে দিচ্ছিলেন আন্দোলনকারীরা। এছাড়া চট্টগ্রাম রেলস্টেশনের মুখে তল্লাশি চালাচ্ছেন তারা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগীরা আজ ১৫ আগস্টে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে। তারা ‘পাল্টা অভ্যুত্থানের’ চেষ্টা করতে পারেন, এমন খবরে ছাত্র-জনতা রাস্তায় নেমেছে। সব ধরনের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে ছাত্র-জনতা মাঠে থাকবে। কোথাও আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতা-কর্মীদের পাওয়া গেলে শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে।’
আন্দোলনকারীরা বলেন, সপ্তাহব্যাপী রেজিস্ট্যান্স উইক কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। হাজার হাজার আন্দোলনকারী মাঠ থেকে উঠে যাননি। সড়কে সড়কে এখনও শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজ করছেন। দেয়াললিখনও চলছে। স্বৈরাচারদের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
গত ১৩ আগস্ট থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চার দফা দাবিতে সারাদেশে সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচি ঘোষণা করে। তারই অংশ হিসেবে পরপর দুদিন নগরীর ষোলশহর স্টেশন এলাকায় মিছিল-সমাবেশ করেন তারা। এরপর আজ সর্বাত্মক অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, গত মঙ্গলবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-রাশিয়া সম্পর্ক জোরদারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ল্যাভরভ
৪ মাস আগে
নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া চত্বর ও বঙ্গবন্ধু সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
কোটা সংস্কার ইস্যুতে শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে হত্যার প্রতিবাদ এবং নয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর ২ নম্বর রেলগেট থেকে মিছিল নিয়ে চাষাড়ায় গিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ও বিজয়স্তম্ভের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর, পুলিশসহ আহত ২
এসময় নারায়ণগঞ্জের সবগুলো প্রবেশপথ বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষোভ চলাকালে বন্ধ থাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে ছেড়ে যাওয়া সব ধরনের যান চলাচল।
নারায়ণগঞ্জ তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, নারায়ণগঞ্জ কলেজ ও নারায়ণগঞ্জ মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েকশত শিক্ষার্থী সেখানে অবস্থান নেয়।
‘উই ওয়ান জাস্টিস’, ‘শহীদ হওয়া শিক্ষার্থীদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এরপর চাষাড়া মোড়ে শিক্ষার্থীর বিজিবির গাড়ি আটকে দিলে তাদের প্রতি সহমর্মিত জানিয়ে স্থান ত্যাগ করেন বিজিবি সসস্যরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানায়, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না। আমাদের ভাইদের রক্ত বৃথা যাবে না। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি।
এদিকে, আগে চাষাড়া এলাকায় এ ধরনের কর্মসূচির আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থান দেখা গেলেও শনিবার তাদের এমন তৎপরতা দেখা যায়নি।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের সমাগম
বরিশালে পুলিশ ও বক্স ও আমর্ড ব্যাটালিয়নের গাড়ি ভাঙচুর, আহত ৪
৪ মাস আগে
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিং: বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৪তম
ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা এক ধাপ এগিয়ে এবং বাংলাদেশ ১৮৪তম স্থানে নেমে এসেছে।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এই র্যাঙ্কিং প্রকাশ করে ফিফা।
গত বছরের এপ্রিলে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলকে হটিয়ে ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান দখল করা আর্জেন্টিনা এক বছরের জন্য তাদের হট সিট ধরে রেখেছিল।
গত অক্টোবরে ফিফা বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত আরব দেশ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে পরপর দুটি পরাজয়ের ছয় মাস পর ১৮৩তম স্থান থেকে ১৮৪তম স্থানে নেমে আসে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ: ফাইনালে টাইব্রেকারে ভারতকে হারিয়ে বিজয়ী বাংলাদেশ
গত ২১ মার্চ কুয়েতে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচে ০-৫ গোলে হারের পর ২৬ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় নিজেদের দেশের ম্যাচেও ০-১ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ।
এছাড়া শীর্ষ দশের অবস্থানেও দুটি বড় পরিবর্তন এসেছে।
ইংল্যান্ডকে টপকে বেলজিয়াম তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল এক ধাপ এগিয়ে ষষ্ঠ স্থানে স্থির হয়েছে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দশের তালিকায় ফ্রান্স দ্বিতীয়, ইংল্যান্ড চতুর্থ, ব্রাজিল পঞ্চম, নেদারল্যান্ডস সপ্তম, স্পেন অষ্টম, ইতালি নবম ও ক্রোয়েশিয়া দশম।
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব-১৯ নারী সাফ ফুটবলার সাগরিকার ঘর নির্মাণকাজের উদ্বোধন
৮ মাস আগে
মহাজোট প্রার্থীর পক্ষেই অবস্থান সাতক্ষীরা জেলা আ. লীগের
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম বলেছেন, যেখানে নৌকার প্রার্থী রয়েছে সেখানেই নৌকার পক্ষে এবং যেখানে নৌকার প্রার্থী নেই সেখানে মহাজোটের প্রার্থীর পক্ষেই আমাদের অবস্থান থাকবে প্রকাশ্যে।
তিনি বলেন, মহাজোটের প্রার্থী মানেই তো আমাদের প্রার্থী, তাই সেটা নৌকা হোক আর লাঙ্গল হোক।
তিনি আরও বলেন, সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে নৌকার পরিবর্তে লাঙ্গল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিধায় লাঙ্গলের পক্ষেই আমাদের অবস্থান থাকবে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস হ্যান্ডবল: বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি দল বিজয়ী
প্রসঙ্গত. সাতক্ষীরার চারটি নির্বাচনী আসনের মধ্যে-
সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া),
সাতক্ষীরা-৩ (দেবহাটা, আশাশুনি, কালিগঞ্জের একাংশ) ও
সাতক্ষীরা-৪ (শ্যামনগর, কালিগঞ্জের একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী রয়েছে অর্থাৎ নৌকার প্রার্থী রয়েছে।
কিন্তু সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান বাবুকে সরিয়ে সেখানে মহাজোটের জাতীয় পার্টির প্রার্থী আশরাফুজ্জামান আশুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তার প্রতীক লাঙ্গল।
আরও পড়ুন: আবারও হিলি দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
১১৩ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা
১১ মাস আগে
বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে মঙ্গলবার জেনেভা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলেও ২০১৫ সালে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে মাথাপিছু আয় বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার, যা ২০০৬ সালে ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যের হার প্রায় ৪১ দশমকি ৫ শতাংশ থেকে প্রায় ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার পর অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা খুনিরা দেশের মানুষের উন্নয়নে কিছুই করেনি।
গণতন্ত্র ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে দীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে কাজ করেন।
তার সরকার ৫০ লাখ গৃহহীন ও ভূমিহীন মানুষকে ঘর দিয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে একজন মানুষও গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটে যোগ দিতে জেনেভার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
তবে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার এই চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।
একটি জাতির ভবিষ্যৎ গড়তে ভিশন থাকা দরকার উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিল এবং সেই রূপকল্প ইতোমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার রূপকল্প-২০৪১ ঘোষণা করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যাতে মানবতাকে ক্ষুণ্ন করতে না পারে: শেখ হাসিনা
১ বছর আগে
হাতি ও মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে হবে: বনমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ নিরসন করে বন্ধুত্বপূর্ণ অবস্থান তৈরি করতে হবে। বন্য হাতির আবাসস্থল ছিল, কিন্তু আমরা তাদের আবাসস্থল ধ্বংস করে ফেলেছি। তাই বন্য হাতিরা বনে খাবার না পেয়ে লোকালয়ে আসছে।
তিনি বলেন, নতুন করে আমাদেরকে তাদের আবাসস্থলকে নিরাপদ রাখতে হবে। বনের মধ্যে আমাদের হাতির খাবার তৈরি করতে হবে। হাতি যে খাবারগুলো খায় সেই সকল গাছ রোপন করতে হবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা: বনমন্ত্রী
শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকালে মন্ত্রী রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলায় বন্য হাতি ও মানুষের মধ্যে দ্বন্ধ নিসরনে সোলার ফ্রান্সিং প্যানেলের উদ্বোধন ও কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে বন্য হাতির আক্রমণে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তরকালে এই কথা বলেন।
তিনি বন্য এলাকায় বসবাসকারীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, হাতির সঙ্গে আপনারা দ্বন্ধে জড়াবেন না। আপনাদের যে ক্ষতি হবে সেই ক্ষতিপূরণ আমরা দেয়ার চেষ্টা করবো।
রাঙ্গামাটি অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমিন হোসাইন চৌধুরী, চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান বন সংরক্ষক বিপুল চন্দ্র দাস, রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল লতিফ, সিএমসি কমিটির সভাপতি বাবুল আক্তার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু সালেহ মো. শোয়েব খান।
আরও পড়ুন: বন আইন যুগোপযোগী করা হবে: বনমন্ত্রী
২০৩০ সাল পর্যন্ত গাছ না কাটার আহ্বান বনমন্ত্রীর
১ বছর আগে
প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে রাষ্ট্রপতি
প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়া গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বঙ্গভবন থেকে সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা দেন তিনি।
বঙ্গভবন থেকে গাড়ি যোগে রওনা হয়ে তিনি মাওয়া দিয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠেন। সেতুর মাঝামাঝি গিয়ে গাড়ি থেকে নেমে প্রায় ১০ মিনিট সেতুতে অবস্থান করেন তিনি।
আরও পড়ুন: করতোয়ায় নৌকাডুবিতে নিহত এবং মিঠামইনের আ.লীগ নেতার মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
পরে ২ টা ২৭ মিনিটে সেতু থেকে নেমে রাষ্ট্রপতি জাজিরায় পদ্মা সেতুর ২ নম্বর সার্ভিস এরিয়ায় যাত্রা বিরতি করে। পরে ২টা ৫৫ মিনিটে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের উদ্দেশ্যে রওনা হন।
প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতির পদ্মা সেতুতে আগমনের খবরে খুশি পদ্মা পারের মানুষ।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন জানান, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে পদ্মা সেতু এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়ায় রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান।
আরও পড়ুন: বর্ষীয়ান সাংবাদিক তোয়াব খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
নতুন সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ মহিলা দলকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
২ বছর আগে