নিম্নমান
নিম্নমানের অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধে এফবিসিসিআইয়ের আহ্বান
আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প-কারখানার অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিতে বাজারে মানহীন অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জামের সরবরাহ রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের আহ্বান জানিয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই।
রবিবার (২ জুন) সকালে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত ফায়ার সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি, ডিজাস্টার অ্যান্ড এক্সপ্লোশন বিষয়ক এফবিসিসিআইর স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের দিকনির্দেশনা দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, যেকোনো ভবন বা কারখানা নির্মাণের সময় অগ্নি নিরাপত্তার জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে। মানহীন ফায়ার সেফটি সরঞ্জাম কারা বাজারে আনছে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। এজন্য ইসাবসহ এই খাতের সব অংশীজনকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
অগ্নি নিরাপত্তাসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা তৈরির ওপর জোর দেন মাহবুবুল আলম।
আরও পড়ুন: সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআই ও সরকারের সহযোগিতা চায় জেলা চেম্বারগুলো
তিনি বলেন, অনেকে বাড়ি নির্মাণে দামি উপকরণ ব্যবহার করেন কিন্তু অগ্নি নিরাপত্তার জন্য কোনো খরচ করেন না। সম্পদ ও জান-মালের নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে টেকসই করতে ফায়ার সেইফটি এবং সিকিউরিটির বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। ফায়ার সেইফটির প্রয়োজনীয়তা, যন্ত্রপাতির বাজার ও চাহিদা, আমদানি নির্ভরতা, স্থানীয় পর্যায়ে শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে একটি সমৃদ্ধ ডাটাবেজ তৈরি করার কথা বলেন তিনি।
এ বিষয়ে ইসাবসহ ফায়ার সেইফটি ইকুইপমেন্ট শিল্পের অংশীজনদের নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
নকল ও মানহীন সরঞ্জাম বাজারজাতকারীদের তথ্য স্ট্যান্ডিং কমিটিকে সরবরাহের আহ্বান জানান কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. নিয়াজ আলী চিশতি।
বিষয়টি নিয়ে ইসাবের উদ্যোগে বিএসটিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এফবিসিসিআই ও বিএসটিআইয়ের সহযোগিতা নিয়ে ইসাব এবং সহযোগী সংগঠনগুলো নকল পণ্য রোধে আরও কঠোর হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সুরক্ষা মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, বিএসটিআই, এনবিআরসহ সব অংশীজনকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার আয়োজনের কথাও জানান তিনি।
স্থানীয় পর্যায়ে ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্টের উৎপাদন শুরুর ওপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
এছাড়াও নকল ও মানহীন যন্ত্র ব্যবহারের ঝুঁকি সম্পর্কে ভোক্তাদের সচেতন করা, মানহীন পণ্য আমদানি নিরুৎসাহীতকরণ, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে সঠিক ফায়ার কোড বা স্ট্যান্ডার্ড নির্ধারণ, ফায়ার সেইফটি যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানির ব্যয় হ্রাস, ভবনে ঝুঁকিপূর্ণ সাজসজ্জায় নিরুৎসাহিতকরণ, ফায়ার সেইফটি শিল্প এবং এই খাতের ট্রেডিং হাউজের জন্য অভিন্ন কাস্টমস ডিউটি নির্ধারণ, ফায়ার সেইফটি কনসালটেন্সি সার্ভিসের ওপর থেকে ভ্যাট তুলে নেওয়া, পাঠ্যক্রমে অগ্নি নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়কে আরও গুরুত্বের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।
সভায় আরও ছিলেন- এফবিসিসিআইর পরিচালক আবু মোতালেব, মো. আবুল হাশেম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র দে সরকার, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আবু নাইম মো. শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের জোন কমান্ডার ফয়সালুর রহমান, স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যরা।
আরও পড়ুন: শিল্পায়নে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির
অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে এফবিসিসিআইর আহ্বান
৬ মাস আগে
বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ নিম্নমানের বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়: ডব্লিউএইচও
ডব্লিউএইচও-এর এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ খুবই নিম্নমানের বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়। এ ধরণের বাতাস দূষিত পদার্ত ও কণা দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে, যা ফুসফুসের গভীরে বা শিরা-ধমনীতে প্রবেশ করায় বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে।
জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের বায়ুর মান নিয়ে প্রায় ছয়মাস গবেষণার পর সোমবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই গবেষণার তথ্যসমূহ বিশ্বের বিভিন্ন শহর ও গ্রাম থেকে সংগৃহীত।
ডব্লিউএইচও-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার পরে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে বায়ুর গুণমান সবচেয়ে খারাপ।
ডব্লিউএইচও বলেছে, গবেষণায় পিএম২.৫ এবং পিএম১০ নামে পরিচিত দুই ধরনের কণা বিবেচনা করে প্রথমবারের জন্য নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের স্থল পরিমাপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে আত্মহত্যা প্রবণতায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম: ডব্লিউএইচও
নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের উৎপত্তি মূলত মানব সৃষ্ট জ্বালানী পোড়ানোর ফলে। যেমন-গাড়ির কালো ধোঁয়ার মাধ্যমে এবং এটি শহরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
এর ফলে হাঁপানির মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগ, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো রোগীর সংখ্যা সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের সর্বাধিক ঘনত্ব পাওয়া গেছে।
কণা পদার্থের অনেক উৎস রয়েছে। যেমন পরিবহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কৃষি, বর্জ্য পোড়ানো এবং শিল্পকারখানা; সেইসঙ্গে মরুভূমির ধুলোর থেকেও এর উৎপত্তি হতে পারে।
উন্নয়নশীল বিশ্বে বাতাসের অবস্থা শোচনীয়। ভারতে উচ্চ মাত্রার পিএম১০। এছাড়া চীনে পিএম২.৫-এর উচ্চ মাত্রা দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা পায়নি ৩৬টি দেশ: ডব্লিউএইচও
কোভিড ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ দরকার: ডব্লিউএইচও
২ বছর আগে