ডব্লিউএইচও-এর এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, বিশ্বের ৯৯ শতাংশ মানুষ খুবই নিম্নমানের বাতাসে নিঃশ্বাস নেয়। এ ধরণের বাতাস দূষিত পদার্ত ও কণা দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে, যা ফুসফুসের গভীরে বা শিরা-ধমনীতে প্রবেশ করায় বিভিন্ন ধরনের রোগের কারণ হতে পারে।
জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের বায়ুর মান নিয়ে প্রায় ছয়মাস গবেষণার পর সোমবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই গবেষণার তথ্যসমূহ বিশ্বের বিভিন্ন শহর ও গ্রাম থেকে সংগৃহীত।
ডব্লিউএইচও-র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফ্রিকার পরে পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে বায়ুর গুণমান সবচেয়ে খারাপ।
ডব্লিউএইচও বলেছে, গবেষণায় পিএম২.৫ এবং পিএম১০ নামে পরিচিত দুই ধরনের কণা বিবেচনা করে প্রথমবারের জন্য নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের স্থল পরিমাপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বে আত্মহত্যা প্রবণতায় বাংলাদেশের অবস্থান দশম: ডব্লিউএইচও
নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের উৎপত্তি মূলত মানব সৃষ্ট জ্বালানী পোড়ানোর ফলে। যেমন-গাড়ির কালো ধোঁয়ার মাধ্যমে এবং এটি শহরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়।
এর ফলে হাঁপানির মতো শ্বাসযন্ত্রের রোগ, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের মতো রোগীর সংখ্যা সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের সর্বাধিক ঘনত্ব পাওয়া গেছে।
কণা পদার্থের অনেক উৎস রয়েছে। যেমন পরিবহন, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কৃষি, বর্জ্য পোড়ানো এবং শিল্পকারখানা; সেইসঙ্গে মরুভূমির ধুলোর থেকেও এর উৎপত্তি হতে পারে।
উন্নয়নশীল বিশ্বে বাতাসের অবস্থা শোচনীয়। ভারতে উচ্চ মাত্রার পিএম১০। এছাড়া চীনে পিএম২.৫-এর উচ্চ মাত্রা দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: করোনার টিকা পায়নি ৩৬টি দেশ: ডব্লিউএইচও
কোভিড ভ্যাকসিনের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য জরুরি পদক্ষেপ দরকার: ডব্লিউএইচও