কলেরা
বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ থেকে সতর্ক থাকার উপায়
প্রতিবারের মতো এ বছরের বর্ষা মৌসুমেও বন্যাগ্রস্ত অবস্থায় দিন অতিবাহিত করছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি সামলাতে হচ্ছে দেশের উত্তর-পূর্বের বিভাগ সিলেটের অধিবাসীদের। বন্যার পানি ও শিল্পকারখানার বর্জ্যের সঙ্গে মিশ্রিত পানি সৃষ্টি করছে অস্বাস্থ্যকর বিপজ্জনক পরিবেশ। ফলে শঙ্কা বাড়ছে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড ও হেপাটাইটিস এ-এর মতো রোগের সংক্রমণের। ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পর্যাপ্ত সেবা নিশ্চিত করতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে চিকিৎসা সেবা কেন্দ্রগুলোকে। এমন ক্রমবর্ধমান সঙ্কটে প্রতিটি মহল্লা বা পাড়া, পরিবার, এমনকি ব্যক্তি পর্যায় থেকেও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলুন, বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ থেকে দূরে থাকার উপায়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
বন্যা পরবর্তী পানিবাহিত রোগ প্রতিরোধে করণীয়
পানি ফুটিয়ে নেওয়া
পানি থেকে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও অন্যান্য পরজীবীর মতো ক্ষতিকারক রোগজীবাণু নির্মূল করার সর্বোৎকৃষ্ট উপায় হচ্ছে পানি ফুটানো। এর জন্য কমপক্ষে এক মিনিট থেকে সর্বোচ্চ তিন মিনিট পর্যন্ত পানি গরম করা উচিৎ। অতঃপর ঠান্ডা করে পান করা সহ প্রয়োজনীয় কাজে এই পানি ব্যবহার করা যাবে। ফুটানোর বিকল্প হিসেবে পানি পরিশোধন ট্যাবলেট বা পানির ফিল্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এগুলোর থেকে ফুটানোর মাধ্যমেই সবচেয়ে কার্যকরী ভাবে জীবাণু নির্মূল হয়। সর্বত ভাবে বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে বন্যার পর ডায়রিয়া বা কলেরার সংক্রমণ থেকে দূরে থাকা যায়।
আরও পড়ুন: বন্যার সময় খাবার পানি পরিশোধিত করার উপায়
বন্যার পানি যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলা
পয়ঃনিষ্কাশন, রাসায়নিক পদার্থ এবং অন্যান্য আবর্জনার কারণে বন্যার পানি দূষিত হয়। প্লাবিত রাস্তাঘাটে যাতায়াতের সময় এবং ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকে পড়লে হরহামেশাই মানুষ এই দূষিত পানির সংস্পর্শে আসে। আর এ থেকেই তৈরি হয় নানা ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি। বন্যার পানিতে থাকে রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু, যা বিভিন্ন ভাবে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই সংস্পর্শ যতটা সম্ভব কমানোর জন্য পানিরোধী বুট এবং গ্লাভ্স পরা যেতে পারে। এছাড়া সংস্পর্শের সঙ্গে সঙ্গেই সাবান এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে সংস্পর্শে যাওয়া শরীরের স্থানটি ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই সাবধানতা ত্বকের সংক্রমণের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা হ্রাস করে।
ঘরবাড়ির মেঝে জীবাণুমুক্ত করা
অতিরিক্ত বন্যায় দূষিত পানি বাড়ির আঙ্গিনা সহ ঘরের ভেতরে ঢুকে যেয়ে সর্বত্রে রোগজীবাণু ছড়াতে পারে। গ্রামের ঘরবাড়ি এবং শহরের নিচ তলার বারান্দা ও ঘরগুলো এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে। তাই বাড়ির চারপাশ সহ ঘরের মেঝে, ফার্নিচার, দরজার হাতল এবং পানির কলগুলো জীবাণুমুক্ত করা আবশ্যক। এর জন্য এক গ্যালন পানিতে এক কাপ পরিমাণ ব্লিচ মিশিয়ে তৈরিকৃত দ্রবণ দিয়ে স্থানগুলো মুছতে হবে। পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলার আগে দ্রবণটিকে কমপক্ষে ১০ মিনিটের জন্য ভালভাবে মিশতে দিতে হবে। এ সময় হাতে ডিস্পোজেবল গ্লাভ্স পরতে হবে, আর ধোয়া-মোছার সময় জানালা খুলে দিয়ে ঘরে বায়ুচলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
শুকনো খাবার, পানি ও চিকিৎসা সামগ্রী সংরক্ষণ
ভারী বর্ষণে এবং পরবর্তীতে বন্যার সময় দীর্ঘ সময় যাবৎ পানিবন্দি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এমন অবস্থায় তাৎক্ষণিক ভাবে খাদ্যসামগ্রী, খাবার পানি এবং ঔষধপত্র সংগ্রহের উপায় থাকে না। তাই আগে থেকেই মুখবন্ধ পানিরোধী পাত্রে জরুরি খাবার এবং খাবার পানি সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। টিনজাত এবং শুকনো খাবারের মতো অ-পচনশীল খাবার বা যেগুলোর জন্য খুব বেশি রান্নার প্রয়োজন হয় না এমন খাবার জমিয়ে রাখতে হবে। পানীয় এবং স্যানিটেশনের প্রয়োজনে পর্যাপ্ত পানি সঞ্চয় করতে হবে। সঞ্চয়ের তালিকায় প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দরকারি প্রতিটি ঔষধও রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বন্যা বা ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বেই যেসব খাবার সংরক্ষণ করা জরুরি
বর্জ্য অপসারণ
নর্দমা এবং বন্যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সামগ্রী বা ধ্বংসস্তূপের ময়লা-আবর্জনার যথাযথ নিষ্পত্তি দরকার। বর্জ্যের জন্য নির্দিষ্ট বিন ব্যবহার এবং তা সময়মতো অপসারণ করা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি। ধোঁয়া ছড়াতে পারে এমন পোড়া উপকরণগুলোর নিষ্পত্তির সময় যথেষ্ট সতর্ক থাকতে হবে। সিটি করপোরেশনের নিয়োজিত আবর্জনা সংগ্রহকারী কর্মীরা যথাসম্ভব দ্রুত বর্জ্য অপসারণে সক্রিয় থাকছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এই বিষয়ে এলাকার সকলের সম্মিলিত অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কেননা অব্যবস্থাপনার শিকার হওয়া বর্জ্য হেপাটাইটিস ই এবং গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসের মতো রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটায়।
বৃষ্টির পানি কাজে লাগানো
বন্যার সময় যখন পানির প্রায় সব কৃত্রিম উৎসগুলো দূষিত হয়ে যায়, তখন বৃষ্টির পানি হতে পারে সব থেকে মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। খোলা জায়গায় মুক্ত ভাবে পড়ন্ত বৃষ্টির পানি সরাসরি একটি পরিষ্কার পাত্রে সংগ্রহ করা যায়। যেখানে এই সুযোগ নেই সেখানে পানি সংগ্রহের পর তা একটি পরিষ্কার কাপড়ের মাধ্যমে ফিল্টার করতে হবে। অতঃপর কমপক্ষে এক মিনিট সিদ্ধ করে যাবতীয় রোগজীবাণু মেরে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন: স্পঞ্জ সিটি: ঢাকা ও অন্যান্য শহরে বন্যা-জলাবদ্ধতা সমস্যার সমাধান
৫ মাস আগে
কলেরা স্যালাইন সংকটে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতাল
হঠাৎ করে গত ১২ দিন ধরে ফরিদপুরে বেড়েই চলেছে ডায়রিয়ার রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি।
এ হাসপাতালে আইভি স্যালাইনের (শিরায় দেওয়া) সংকট দেখা দেওয়ায় রোগীদের চিকিৎসা ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ১০০ শয্যার ফরিদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য রয়েছে মাত্র ১০টি শয্যা।
চলতি শীতের আগমনের শুরুতেই শিশু থেকে বৃদ্ধরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছে এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। আর এতে স্বল্প পরিসরের (১০ শয্রার), সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। প্রতিদিন গড়ে ভর্তি হচ্ছে ৫০ এর বেশি রোগী।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে পদ্মার তীর সংরক্ষণ বাঁধ হুমকির মুখে
এ ছাড়া গত ১২ দিনে প্রতিষ্ঠানটিতে শুধু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৬০০ রোগী। বিপুল সংখ্যক এই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে ওয়ার্ডের মেঝেতে ও ওয়ার্ডের বাইরে।
বৃহস্পতিবার ১০ শয্যার ওই ডায়রিয়া ওয়ার্ডে দেখা যায়, ৫৭ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। অনেক রোগীকে রাখা হয়েছে ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দার ফ্লোরে। আর শিশুদের রাখা হয়েছে একই বেডে দুইজন বা তিনজন করে।
তার উপর রয়েছে স্যালাইন সংকট। এদিকে বাজারে ওষুধের দোকানে মিলছে না কলেরা প্রতিরোধের স্যালাইন। যা পাওয়া যাচ্ছে তাও ক্রয় ক্ষমতার বেশি দরে কিনতে হচ্ছে। অনেক রোগীর স্বজনেরা বেশি দাম দিয়েও স্যালাইন পাচ্ছে না।
এদিকে সরকারি হাসপাতালে স্যালাইন না পেয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
তারা বলছেন, তারা বাজার থেকে টাকা দিয়েও স্যালাইন পাচ্ছেন না। যেটুকু পাচ্ছে তার দাম নিচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। এতে রোগীদের দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েই চলছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন শহরের শোভারামপুর এলাকার আব্দুল জলিলের পরিবার। প্রথমে জলিলের স্ত্রী কলেরায় আক্রান্ত হন। এরপর জলিলের ছেলের বউ। শয্যা না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন তারা।
শয্যা ও কলেরা রোগীর স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে ফরিদপুর সদর জেনারেল হাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার গনেশ কুমার আগরওয়ালা বলেন, এই মুহূর্তে আমরা রোগীদের সচেনতার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে রোগীর চাপ অনেক বেশি। সেই তুলনায় কলেরার স্যালাইন সংকট প্রচুর।
আরও পড়ুন: তেল বরাদ্দ না থাকায় ৪৫ দিন থেকে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ
তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, রোগীর চাপ যদি স্বাভাবিক না হয়, আর সময় মতো স্যালাইন না পাই তাহলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে ৭ হাজার কলেরা স্যালাইনের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়; যার বিপরীতে এ পর্যন্ত পাওয়া গেছে ১ হাজার ২০০।
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে কলেরা টিকাদান কার্যক্রম শুরু ১৭ সেপ্টেম্বর
চট্টগ্রামের বন্দর টিলা ও দক্ষিণ হালিশহরে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে কলেরা টিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) তত্ত্বাবধানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তায় চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও আইসিডিডিআর,বি-র বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বন্দর থানার অধীনে ৩৮ এবং ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড (বন্দর টিলা ও দক্ষিণ হালিশহর)-এ বসবাসকারীদের জন্য কলেরার টিকাদান কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর ৪৫টি কেন্দ্রে বন্দর টিলা ও দক্ষিণ হালিশহর এলাকার এক লাখ ৩৫ হাজার মানুষকে কলেরা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়ার মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়ে চলবে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত টিকাদান চলবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে কলেরা টিকার দ্বিতীয় ডোজ শুরু বুধবার
দক্ষিণ কোরিয়ার ইউবায়োলোজিক্স কো. লিমিটেডের তৈরি দুই ডোজের ইউভিকল প্লাস নামের মুখে খাওয়ার কলেরার টিকা এক বছর থেকে তদূর্ধ্ব বয়সীদেরকে দেওয়া হবে।
গর্ভবতী নারী এবং যারা বিগত ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নিয়েছেন, তারা ছাড়া সকলেই এই টিকা নিতে পারবেন।
টিকাদান কর্মসূচির আয়তাভুক্ত এলাকায় মাইকিং করে টিকা কেন্দ্রের অবস্থান সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে।
পরবর্তীতে অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। কমপক্ষে ১৪ দিন পরপর দেওয়া এই টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ও নিরাপদ।
তবে, এই টিকা নেওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে অন্য কোনো টিকা নেয়া যাবে না।
দ্য ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, গ্যাভি-এর আর্থিক সহায়তায় এই টিকাদান উদ্যোগ পরিচালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মে মাস থেকে দেয়া হবে কলেরার টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ: সচেতন থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
১ বছর আগে
ঢাকায় মে মাস থেকে দেয়া হবে কলেরার টিকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রথম দফায় মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় কলেরার টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারি (বিডিএস) ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শনে গিয়ে এ তথ্য জানান তিনি।
এ সময় মন্ত্রী সবাইকেই কলেরার টিকা নেয়ার আহ্বান জানান।
করোনার টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছরই করোনা টিকা নেয়া লাগবে কি না তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। দেশেই টিকা উৎপাদনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের ৭৫ ভাগ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর করোনার টিকা দিতে হলে ১৩ কোটি মানুষের জন্য ১৩ কোটি টিকা লাগবে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এ ব্যাপারে এখনও কিছু বলেনি। তবে দ্রুত যাতে টিকা উৎপাদন করা যায় সেই প্রস্তুতি আমরা নিচ্ছি।
মন্ত্রী বলেন, এখন শুধু করোনা না, সব টিকাই দেশে উৎপাদনের ব্যবস্থা হবে।
মন্ত্রী বলেন, এবারের বিডিএস পরীক্ষায় সারাদেশের ২৬টি কেন্দ্রে মোট ৬৫ হাজার ৯০৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। যেখানে মোট আসন এক হাজার ৯৫০।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ: সচেতন থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
এর মধ্যে সরকারি ৫৪৫টি ও বেসরকারিতে এক হাজার ৪০৫। প্রতিটি আসনে গড়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৩ জন। পরীক্ষা প্রশ্নপত্র বিতরণ ও পরীক্ষা ডিজিটাল পদ্ধতিতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সম্প্রতি করোনার টিকা ক্রয় ও পরিচালন ব্যবস্থাপনায় টিআইবির প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকার গড়মিলের প্রতিবেদনের ব্যাপারে জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, এ ব্যাপারে এখনও কিছু জানি না। সবকিছু দেখে শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে জানানো হবে।
২ বছর আগে
রাজধানীতে ২৩ লাখ মানুষ পাবেন ডায়রিয়ার টিকা
দেশে চলমান ডায়রিয়া প্রকোপ মোকাবিলায় রাজধানীর ২৩ লাখ মানুষকে মুখে খাওয়ার কলেরা টিকা দেবে সরকার। গর্ভবতী মহিলা ব্যতীত এক বছরের ঊর্ধ্বে সকল বয়সের মানুষকে এই টিকা দেয়া হবে।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষ প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, দুই ডোজের এই টিকা কর্মসূচির প্রথম ডোজ দেয়া হবে মে মাসে। সব মিলিয়ে ২৩ লাখ ডোজ টিকা দেয়া হবে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে জুন মাসে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে ডায়রিয়া রোগী বাড়ছে
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে রাজধানীর পাঁচটি এলাকায় এই টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। সেগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, দক্ষিণখান, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, সবুজবাগ।
নাজমুল ইসলাম বলেন, টিকা কার্যক্রমটি নিয়ে আমরা এখনও কাজ করছি। এই টিকা নিতে আলাদা কোন নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। নির্দিষ্ট তারিখ ও কেন্দ্র বাছাই হলে সবাইকে জানিয়ে দেয়া হবে। নিকটস্থ কেন্দ্র থেকেই টিকা নেয়া যাবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের সুস্থ ব্যবস্থাপনায় এবং ডায়রিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে হাসপাতালগুলোতে অতিরিক্ত বিছানার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং ডায়রিয়া ওয়ার্ড চালু করা হচ্ছে। ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসায় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৬০ জনের অধিক চিকিৎসককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ, আইভি স্যালাইন, মুখে খাওয়ার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ইত্যাদি চাহিদা মোতাবেক দেয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ: সচেতন থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
২ বছর আগে
ডায়রিয়া ও কলেরার প্রকোপ: সচেতন থাকার পরামর্শ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করেই পানিবাহিত ডায়রিয়া ও কলেরা রোগের প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এই অবস্থায় সবাইকে সচেতন থাকার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য ভালো রাখতে হলে দেশের পানি, বায়ু ও মাটিকে ভালো রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: করোনার গণটিকাদান কর্মসূচি ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহরে দেড় কোটিরও বেশি লোক বসবাস করে। তাদের অনেকেই স্বাস্থ্যগত ক্ষতিকর পরিবেশে বসবাস করে থাকেন। যার ফলে বিভিন্ন ধরণের অসুখ-বিসুখ হচ্ছে। খাদ্যে ভেজালের কারণেও মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে, পৃথিবীর স্বাস্থ্য ভালো থাকলে, প্রাণী ভালো থাকবে।
জাহিদ মালেক বলেন, পৃথিবীর জলবায়ু দূষিত হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো গ্রীন হাউজ এফেক্ট। বায়ু দূষণ, যানবাহনে ধোঁয়া.. এসবের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে বরফ গলে সমুদ্রের পানি বেড়ে যাচ্ছে, বন্যা হচ্ছে, টর্নেডো হচ্ছে। এগুলো প্রতিটিই মানুষের স্বাস্থ্যকে ক্ষতিকর অবস্থায় ঠেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ডোজের ৪ মাস পর বুস্টার ডোজ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নাপা সিরাপ খেয়ে ২ শিশুর মৃত্যু: আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
২ বছর আগে