নিম্নচাপ
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ: আবহাওয়া অধিপ্তর
আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে,বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী পাঁচ দিনের মধ্যে এটি তৈরি হতে পারে। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে মৌসুমী লঘুচাপ অবস্থান করছে, যা উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
আরও পড়ুন: ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে ঢাকার বাতাস
এতে আরও বলা হয়, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে, চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শেষরাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: তাপমাত্রা কমেছে, শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
১ মাস আগে
বাংলাদেশে আঘাত হানা সবচেয়ে ভয়াল ১০টি ঘূর্ণিঝড়
অনন্য ভৌগলিক অবস্থানের কারণে ঘন ঘন বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের শিকার হয়ে এসেছে বাংলাদেশ। দেশের উপকূল স্পর্শ করে বিস্তৃত বঙ্গোপসাগরের উত্তরাংশ অনেকটা ফানেল-আকৃতির। ফলে স্থলভাগের ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে রূপ নেয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়গুলো। আর এই বিভীষিকার নির্মম শিকারে পরিণত হয় হাজার হাজার মানুষ। এই দুর্যোগপ্রবণতার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কয়েক শতাব্দির ইতিহাস। চলুন, স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ১০ ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে জেনে নেয়া যাক।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বিধ্বংসী ১০টি সাইক্লোন
বাকেরগঞ্জ সাইক্লোন, ১৮৭৬
১৮৭৬ সালের ২৭ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরের গভীরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ ২৯ অক্টোবর নাগাদ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। অতঃপর ৩০ অক্টোবর আরও প্রবল হয়ে তা উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে অগ্রসর হয়। ঘূর্ণিঝড়ের আশপাশে সেসময় বাতাসের গতি উঠেছিল ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২২০ কিলোমিটার।
ওই ঘূর্ণিঝড় থেকে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে পানির উচ্চতা ছিল ১২ দশমিক ২ মিটার। আর এই মাত্রা অব্যাহত রেখেই ৩১ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে বরিশালের ব্যাকেরগঞ্জ উপজেলার ওপর। পাশাপাশি আঘাত হানে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সিসহ ব্রিটিশ ভারতের উপকূল বরাবর, যেটি বর্তমানে বরিশালে মেঘনা নদীর মোহনার কাছাকাছি একটি স্থান।
ঘূর্ণিঝড়টির আঘাতে সেবার হতাহতের সংখ্যা হয়েছিল প্রায় ২ লাখ, যাদের অর্ধেকই মারা গিয়েছিল জলোচ্ছ্বাসে। এ ছাড়াও ঘরবাড়িসহ সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করে ১ নভেম্বর থামে ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু এরপর আরও অনেক মানুষ মারা যায় ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী দুর্ভিক্ষ ও মহামারিতে।
আরও পড়ুন: কিভাবে নেবেন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার প্রস্তুতি
চট্টগ্রাম সাইক্লোন, ১৮৯৭
কুতুবদিয়া দ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় এই ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়ে ১৮৯৭ সালের ২৪ অক্টোবর। ঝড় ও জলোচ্ছ্বাস মিলে ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে হতাহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১৪ হাজারে। ঝড়-পরবর্তী সময়ে কলেরা মহামারিতে আরও ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
খুলনার ঘূর্ণিঝড়, ১৯৬১
১৯৬১ সালের ৯ মে সংঘটিত হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল বাগেরহাট ও খুলনার বেশকিছু অঞ্চল। ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৬১ কিলোমিটার, আর জলোচ্ছ্বাসে ঢেউয়ের উচ্চতা পৌঁছেছিল ২ দশমিক ৪৪ থেকে ৩ দশমিক ০৫ মিটারে।
ঝড়ে ১১ হাজার ৪৬৮ জন নিহতের অধিকাংশই ছিল চর আলেকজান্ডারের অধিবাসী। জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল ২৫ হাজার। অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে বিশেষ করে নোয়াখালী ও হরিনারায়ণপুরের মধ্যকার রেলপথটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
৬ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ পরিণত হয়েছে নিম্নচাপটি, বন্দরে ৭ নম্বর সংকেত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ পরিণত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটির ঘূর্ণঝড়-সংক্রান্ত এক বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত নামিয়ে ৭ নম্বর সর্তক দেখাতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে বর্তমান উত্তর-পশ্মিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালে’ পরিণত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আতঙ্ক, প্রস্তুত ৩৫৯ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘুর্ণিঝড়টি শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালা, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘রিমালের’ প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে সতর্ক করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রেমাল: খুলনায় প্রস্তুত ৬০৪ আশ্রয়কেন্দ্র
ঘূর্ণিঝড় রেমাল: সাতক্ষীরায় বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া
৬ মাস আগে
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে
দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে একই এলাকায় ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমে পরিণত হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, এটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
সব সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আগামী পাঁচ দিন দিনের প্রথমার্ধে দেশের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আজ সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। গভীর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বিদ্যুৎহীন ঝালকাঠি, গাছপালা-ফসলের ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’: জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি: বিএমডি
আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের নিকটবর্তী একটি নিম্নচাপ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
এতে বলা হয়, আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বঙ্গোপসাগরে ২টি ট্রলারসহ নিখোঁজ ২৫ জেলে, উদ্ধার ১৪
এটি আরও তীব্র হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারাদেশে আজ রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বিদ্যুৎহীন ঝালকাঠি, গাছপালা-ফসলের ক্ষতি
১ বছর আগে
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি'র প্রভাবে ঢাকার বাতাসের মানে উন্নতি
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ঢাকায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হওয়ায় বাতাসের মান 'মধ্যম' পর্যায়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ৮টা ৫৭ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ৬২ নিয়ে বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ৩০তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ভারতের দিল্লি, পাকিস্তানের লাহোর এবং কুয়েতের কুয়েত সিটি যথাক্রমে ৩২৮, ৩১৭ এবং ১৮৬ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: উপকূলবর্তী ফায়ার স্টেশনগুলোতে উচ্চ সতর্কতা জারি
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া, ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের ৫টি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় মাইকিং
১ বছর আগে
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপটি আজ (১৬ নভেম্বর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আরও পড়ুন: ‘হামুন’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
যা আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
১ বছর আগে
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: পর্যটকদের সেন্টমার্টিন ছাড়ার নির্দেশ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ও সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে পর্যটকদের সোমবার দুপিুর আড়াইটার মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় প্রশাসন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী জানান, নিরাপত্তার স্বার্থে সোমবার দুপুর আড়াইটার মধ্যে সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থানরত পর্যটকদের টেকনাফে ফিরে যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এছাড়াও, সোমবার টেকনাফ-সেন্টমার্টিন, সেন্টমার্টিন-কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন-চট্টগ্রাম রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার দুপুর ১২টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৫৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে এবং আরও তীব্র হতে পারে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালন ঘটছে।
বুলেটিনে বলা হয়, সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল থাকবে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থাকতে বলা হয়েছে, যাতে তারা অতি অল্প সময়ের মধ্যে আশ্রয় নিতে পারে। তাদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত, আরও ঘনীভূত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
নিম্নচাপে ভোলায় ৫ ট্রলারডুবি, ৬ জেলে নিখোঁজ
১ বছর আগে
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত, আরও ঘনীভূত হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এর অবস্থান- ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬ দশমিক ১° পূর্ব দ্রাঘিমাংশ।
যা আজ (২২ অক্টোবর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৮৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সতর্কবার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্ব্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ আরও ঘনীভূত হতে পারে
নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতেও বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়।
এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়, আজ সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে; তবে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুই-এক জায়গায় হালকা বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তাছাড়া, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন: টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ঢাকার বাতাস
আগামী ৭২ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারা দেশে শুষ্ক আবহাওয়া থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
১ বছর আগে
নিম্নচাপে ভোলায় ৫ ট্রলারডুবি, ৬ জেলে নিখোঁজ
নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর মোহনায় প্রবল ঝড় ও ঢেউয়ের কবলে পড়ে ভোলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরার ৫৮ জেলেসহ ৫টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে।
এতে অর্ধশতাধিক জেলের মধ্যে ৫২ জেলে উদ্ধার হলেও ৬ জেলে নিখোঁজ রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়ার উড়িরচরের পূর্বপাশে সাগর মোহনায় ও সাঙ্গু গ্যাসফিল্ড সংলগ্ন সাগর মোহনায় এই ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে।
ডুবে যাওয়া ট্রলারগুলো হলো- উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের মৎস্য আড়তদার মাইনুদ্দিনের ট্রলার এফবি মায়ের দোয়া, মনপুরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন হাওলাদারের মৎস্য আড়তের লতিফ মাঝির ট্রলার, দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের পঁচাকোড়ালিয়া ঘাটের ইউনুচ বলির ট্রলার, সূর্যমুখী ঘাটের জান্টু মাঝির ট্রলার, উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের মাষ্টারহাট খালের জামাল মাঝির ট্রলার।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে তিস্তায় নৌকাডুবি, ৩ কৃষক নিখোঁজ
১ বছর আগে