নিম্নচাপ
বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি শনিবার সকাল ৬টায় পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, পরে এটি পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিম্নচাপ এলাকায় না যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশজুড়ে হালকা থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে: আবহাওয়া অফিস
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত
দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ আকারে দক্ষিণ-পূর্ব ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
বুধবার সকাল ৬টায় নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৮০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে এক হাজার ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
বুলেটিনে সতর্ক করা হয়, নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে বলেও জানানো হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সবধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে যেতে না করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার মধ্যরাতে ভোলার নিকটে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করলেও বৃষ্টিপাতের কারণে দ্রুত দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়। বিষয়টি আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর অনুসারে, সিত্রাং খুব দ্রুত উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয় ও বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে এবং বর্তমানে ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে।
মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুটের অধিক উচ্চতায় বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের সামনের অংশটি সোমবার সন্ধ্যা থেকে বাংলাদেশে আঘাত হানতে শুরু করে এবং এর কেন্দ্র মঙ্গলবার ভোরে স্থলভাগে আছড়ে পড়ে।
ওই সময়ে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ায় ঘণ্টায় ৮৮ কিলোমিটারে পৌঁছেছিল।
সিত্রাং দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত করা শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে উপড়ে যাওয়া গাছ ও এর ডালপালার আঘাতে মানুষ মারা যায়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয় এবং অবিরাম বৃষ্টির কারণে শহর এলাকায় সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় প্রায় সমগ্র বাংলাদেশ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সম্মুখীন হয়।
১৯টি উপকূলীয় জেলায় কর্তৃপক্ষ ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের আশেপাশের প্রায় সাত হাজার আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য জোর দিয়েছিল। সোমবার গভীর রাতের এক প্রতিবেদন অনুসারে, সিত্রাং আছড়ে পড়ার সময় পর্যন্ত দুই লাখেরও বেশি মানুষকে এইসব আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়।
ইতোমধ্যে দক্ষিণের তিনটি বিভাগের কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কিছু ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
নদীবন্দর সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফরিদপুর, ঢাকা, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাবিবগঞ্জ, বরিশাল সিলেট, ময়মনসিংহ ও কক্সবাজারকে ৩ নম্বর নদী বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সোমবার ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ মানুষকে সরিয়ে নেয়ার জন্য সাত হাজারেরও বেশি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করেছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে সমস্ত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নোঙর রাখতে বলা হয়েছে।
অবিরাম বর্ষণ অব্যাহত থাকলে ভূমিধস হতে পারে বলে সতর্ক করেছে চট্টগ্রাম ও অন্যান্য পার্বত্য জেলার কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল জুড়ে ইউএনবি সংবাদদাতারা সোমবার সকাল থেকে ভারী বৃষ্টিপাত ও জলোচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন।
এদিকে, রাজধানী ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জের অনেক এলাকা অন্ধকারে নিমজ্জিত। যেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক বিঘ্ন ঘটার কারণ হিসেবে কর্তৃপক্ষ ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংকে দায়ী করেছে।
ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে সরবরাহ নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণকারী দুটি সংস্থা ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) ও ডেসকোর কর্মকর্তাদের মতে, সিমপুর, উলান ও মানিকনগর গ্রিড লাইনে ত্রুটির কারণে অনেক এলাকা ঘন্টার পর ঘন্টা ব্ল্যাকআউটের সম্মুখীন হয়েছে।
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান ইউএনবিকে বলেন, ‘গ্রিড বিপর্যয়ের কারণে ঢাকার ধানমন্ডি, শেরেবাংলানগর, কাকরাইল, কাজলা ও নারায়ণগঞ্জ শহরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনে গাছ ভেঙে পড়ায় অনেক এলাকায় ব্ল্যাকআউটও হয়েছে।
বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে
পূর্ব-মধ্যবঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট নিম্নচাপটি রবিবার সকালে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ভারতের আবহাওয়া বিভাগ অনুসারে, গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং ২৫ অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশের উপকূলে পৌঁছাবে।
বুলেটিনতে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে ভারি অর্থাৎ ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার থেকে অতিভারি অর্থাৎ ৮৯ বা তার বেশি মিলিমিটার বর্ষণ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গভীর নিম্নচাপটির বর্ধিতাংশ, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপের পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেলী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুটের বেশি উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হটে পারে। যা পরবর্তীতে আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
বঙ্গোপসাগরে দুই জাহাজের সংঘর্ষ: ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
আন্দামান সাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে শনিবার জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপ দুর্বল হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রংপুর বিভাগের তেতুলিয়ায়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
দেশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
আন্দামান সাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এটি ঘণীভূত হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।
অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, সারাদেশে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে ।
এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে আগামী ৭২ ঘণ্টায় আবহাওয়ার অবনতি হতে পারে।
এদিকে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে আরও প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সাবধানতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’
দেশে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
বাংলাদেশের উপকূলে সুপার সাইক্লোন ‘সিতারাং’ আঘাত হানার সম্ভাবনা নেই: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেছেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুপার সাইক্লোন ‘সিতারাং’ বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার কোনো সম্ভাবনা নেই।
বুধবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে এখনও কোনো নিম্নচাপ তৈরি হয়নি।
আরও পড়ুন: নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল ফোরকাস্ট সেন্টার (জিএফএস) একটি বার্তা দিয়েছে যে সুপার সাইক্লোন ‘সিতারাং’ চলতি মাসে উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানতে পারে।
জিএফএস কে উদ্ধৃত করে তিনি আরও বলেন, ১৭ অক্টোবর উপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে এবং এটি একটি ঘূর্ণিঝড়ে ঘনীভূত হবে। এটি পশ্চিমবঙ্গের কিছু অংশ এবং অন্ধ্র প্রদেশ হয়ে সুন্দরবনে আঘাত হানতে পারে।
এটি ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের মতো হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের আবহাওয়াবিদরা পর্যবেক্ষণ করছেন এবং রিপোর্ট করেছেন যে উপসাগরে এখনও কোনও নিম্নচাপ তৈরি হয়নি।’
আরও পড়ুন: গৃহহীনদের ঘর নির্মাণে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এনামুর আরও বলেন, ‘যদি ঘূর্ণিঝড়টি এই অঞ্চলে আঘাত হানে। তবে এটিকে থাইল্যান্ডের নামকরণ করা ‘সিতারাং’ বলা হবে।’
জাপান ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগ বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। ‘আমরা যখন সিদ্ধান্তে আসবো তখন আমরা আমাদের প্রস্তুতির বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।’
তিনি আরও বলেন, সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য না থাকলেও সরকার ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতি ৮৬,৮১১ কোটি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ের সব প্রশাসন, জেলা প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
‘সাধারণত আমরা বিষণ্ণতার পরে প্রস্তুতিমূলক কাজ শুরু করি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাইক্লোন শেল্টার তৈরি করতে হবে। ‘আমরা সেখানে শুকনো খাবার, পানীয় জল এবং নগদ অর্থ প্রদান করব।’
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি বর্তমানে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করায় সোমবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে এবং দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপ: সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা
তবে আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও বুলেটিনে জানানো হয়েছে।
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সকালে বৃষ্টির পর ঢাকার বাতাসের মানের উন্নতি
একই সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের মাইজদীকোর্টে সর্বোচ্চ ১৩৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
রংপুর বিভাগের তেঁতুলিয়ায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং খুলনা বিভাগের কুমারখালীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।
এদিকে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বুলেটিনে বলা হয়েছে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
নিম্নচাপ: সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির সম্ভাবনা
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় রবিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
অবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি অথবা ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা
আগামী তিন দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
রবিবার সকালে ঢাকায় ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টি হতে পারে
রাজশাহীর তাড়াশ এবং রংপুরের সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং খুলনা বিভাগের কুমারখালীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এদিকে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষ উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
বুলেটিন অনুসারে এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, নামল সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত নামাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস এর আগে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছিল।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়া অফিসের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
তবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বুধবার উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপে পরিণত ‘অশনি’, নামল সতর্ক সংকেত
ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা নেই, নামল সতর্ক সংকেত