এজেন্সি
ওমরাহ নিয়ে এজেন্সির বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ
মক্কা ও মদিনায় ওমরাহ পালন করতে যাওয়া ব্যক্তিদের আবাসন, পরিবহন ও আর্থিক হেনস্তাসহ নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি এজেন্সির বিরুদ্ধে। এজেন্সির অনিয়মে ওমরাহ ও হজ পালন করতে যাওয়া ব্যক্তিরা পড়ছেন মারাত্মক সংকটে।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (ডুজা) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা সৈয়দা খাদিজা বেগম।
এ সময় হজ ও ওমরাহ সংশ্লিষ্ট সব সরকারি সংস্থাকে এ সমস্যা দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী খাদিজা বেগম বলেন, তিনি প্রাথমিকভাবে ‘মুজদালিফা’ নামের একটি এজেন্সির মাধ্যমে ১ লাখ ৩৬ হাজার টাকা জমা দিয়ে ওমরাহ প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন। কিন্তু, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর এজেন্সিটি তাদের ‘মা আম্বিয়া ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস’ নামের আরেকটি এজেন্সির হাতে তুলে দেয়। পরে তাদের ভিন্ন ভিন্ন এজেন্সির তত্ত্বাবধায়নে থাকতে বাধ্য করা হয়।
আরও পড়ুন: ‘হজ ম্যানেজমেন্ট সেন্টার’ চালুর নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘৯ জানুয়ারি দুপুরে সৌদি এয়ারের ফ্লাইটে ওমরার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করি। জেদ্দায় পৌঁছাতে রাত হয়ে যায়। তখন একজন মোয়াল্লেম (গাইড) আমাদের একটি বাসে তুলে দেন, সেখান থেকেই শুরু হয় ভোগান্তি।’
তিনি বলেন, ‘বাসে ওঠার পরই তারা আমাদের পাসপোর্ট কেড়ে নিয়ে জোর করে বাস ভাড়া আদায় করে।’
এ ছাড়াও এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, ‘মক্কায় তুলনামূলক ভালো খাবার দিলেও মদিনায় অধিক লাভের আশায় খারাপ খাবার দেওয়া হয়েছে।’
তার ভাষ্যে, ওমরাহতে গাইড হিসেবে থাকা মুয়াল্লিম নিজের ইচ্ছামতো তাদের প্রয়োজনীয় জায়গাগুলোতে নিয়ে গিয়েছে। এমনকি তুলনামূলক কম রোদে যে জায়গাগুলোতে যাওয়া যেত, সেখানে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এজেন্সির সহায়তায় ওমরাহ করতে গিয়ে ইবাদতের পরিবর্তে দুশ্চিন্তা করতে হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের বলা হয় হারেম শরিফের একদম পাশে বাসা দেবে, কিন্তু গিয়ে দেখি অনেক দূরে একটি গলির ভেতরে বাসা দেওয়া হয়েছে।’
এজেন্সিগুলো অব্যবস্থাপনার কারণে একসঙ্গে গাদাগাদি করে থাকার পাশাপাশি শৌচাগার নিয়েও বিড়ম্বনাতেও পড়তে হয় বলে অভিযোগ তার।
আরও পড়ুন: হজ্জ ব্যবস্থাপনায় নতুন আইন করতে সংসদে বিল উত্থাপন
সংবাদ সম্মেলনে খাদিজা বেগম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে হজ এজেন্সিগুলোর অব্যবস্থাপনা ও যাত্রীদের প্রতারণার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।
এ সময় হজ এজেন্সিগুলোর ভুয়া লাইসেন্স বাতিল করার দাবি জানান তিনি। এ ছাড়াও এক এজেন্সির লোক নিয়ে যেন আরেক এজেন্সি কোনোরকম হয়রানি করতে না পারে, সেটি সরকারকে শক্ত হাতে প্রতিহত করার দাবিও জানা ভুক্তভোগী দাবি করা এই নারী।
খাদিজা বেগমের অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত হজ এসেন্সি মুজদালিফার পরিচালক হাবিবুর রহমানের যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইল ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে মা আম্বিয়া ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসে যোগাযোগ করা হলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. তোফায়েল ইসলাম জানান, একজন বা একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে একাধিক এজেন্সি পরিচালনা করা যায়।
এ সময় যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি ‘মিটিংয়ে আছি’ বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
২৮ দিন আগে
হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রির জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের
হজ ফ্লাইট ডাটা যথাসময়ে এন্ট্রি করার জন্য হজ এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
একইসঙ্গে হজযাত্রীদের কাছ থেকে কোরবানির অর্থ না নেওয়ার জন্য তাদের সতর্ক করা হয়েছে।
এছাড়া, হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টন না পাঠানোসহ কতিপয় বিষয়ে হজ এজেন্সিগুলোকে হুঁশিয়ারও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার থাইল্যান্ড সফরে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচনের প্রত্যাশা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
রবিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জুম প্লাটফর্মে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের জেদ্দা এয়ারপোর্ট সার্ভিসের মহাপরিচালক আব্দুর রহমান ঘ্যানামের সঙ্গে সভা শেষে এ নির্দেশনাসমূহ জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এ সভায় ধর্ম মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ হজ অফিস, মক্কা ও জেদ্দার কর্মকর্তা এবং হজ এজেন্সির মালিকেরা অংশ নেয়।
এ সভায় সৌদি আরবের পক্ষ থেকে হজ এজেন্সির ফ্লাইট ডাটা সঠিকভাবে ও নিয়মিত সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি না দেওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, হজ ফ্লাইট ডাটা এন্ট্রি না দেওয়ার কারণে মদিনা ও জেদ্দা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারছে না সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে কোন ফ্লাইটে কতজন হজযাত্রী আসছে, তারা কোন মোয়াল্লেমের হজযাত্রী এবং কোন হোটেল বা বাড়িতে তাদের আবাসন ইত্যাদি বিষয়ে সমস্যা হচ্ছে।
এছাড়া, হজযাত্রী ও তাদের লাগেজ পরিবহনের ক্ষেত্রেও সমস্যা হচ্ছে।
মোয়াল্লেমের প্রতিনিধিও হোটেল বা বাড়িতে সার্ভিস দেওয়ার জন্য উপস্থিত থাকছে না। এ কারণে হজযাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত সেবা দেওয়া যাচ্ছে না এবং রুট-টু-মক্কার সুবিধা থেকে হজযাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ সভায় হজ ফ্লাইট যাত্রা শুরুর পূর্বেই সঠিকভাবে ফ্লাইট ডাটা সৌদি ই-হজ সিস্টেমে এন্ট্রি করার অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এছাড়াও ধর্ম মন্ত্রণালয় হজ এজেন্সিগুলোকে আরও কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। কিছু এজেন্সি তাদের হজযাত্রীদের মাধ্যমে জর্দার কার্টন পাঠিয়েছে, যা জেদ্দা বিমানবন্দরে আটক হয়েছে। এতে দেশের সম্মান নষ্ট হচ্ছে। অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের সঙ্গে হজ গাইড বা প্রতিনিধি না পাঠানোর কারণে হজযাত্রীরা বিড়ম্বনায় পড়ছেন।
হজ প্যাকেজে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও অনেক এজেন্সি হজযাত্রীদের কাছ থেকে কুরবানি বাবদ অর্থ নিচ্ছে। হজযাত্রী তার ইচ্ছামাফিক সৌদি সরকারের ব্যাংকের কুপন কিনে বা তার নিজের ব্যবস্থাপনায় কুরবানি সম্পন্ন করবেন। এজেন্সি কোনোভাবেই কোরবানির টাকা নিতে পারবে না।
এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় একটি পত্র জারি করেছে।
আরও পড়ুন: মৌলিক শিক্ষা অধিকার: প্রাথমিক থেকে নিম্ন-মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণে কাজ করবে দুই মন্ত্রণালয়
অ্যাকটিভ অর্গানাইজেশন অ্যাওয়ার্ড অর্জন করল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
৩১৬ দিন আগে
নির্বাচনে কারচুপি করতে সরকার এজেন্সিগুলো ব্যবহার করে কিংস পার্টি গঠন করছে: রিজভী
বিএনপি অভিযোগ করেছে, সরকার বিভিন্ন এজেন্সি ব্যবহার করে বিভিন্ন ভিত্তিহীন ও তথাকথিত কিংস পার্টি গঠন করছে এবং আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের নামে প্রহসন করার জন্য বিভিন্ন দলের লোক নিয়োগ করছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, কিছু লোক সামান্য অর্থ ও বিভিন্ন সুবিধার লোভে প্রহসনমূলক নির্বাচনে অংশ নিতে আত্মা বিক্রি করছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ মাফিয়া গোষ্ঠীর এই নির্বাচনী তফসিল প্রত্যাখ্যান করায় ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা এখন তথাকথিত কিংস পার্টি তৈরি করে নির্বাচনের নামে প্রহসন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।’
সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের নির্বাচনে অংশ নিতে চাপ সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনা তার বিভিন্ন সংস্থাকে মাঠে নামিয়েছেন তথাকথিত কিংস পার্টি গঠনের জন্য। বিভিন্ন দলের নেতাদের ভাড়া করতে গরুর হাটের মতো দর কষাকষি চলছে। অনেক দেশপ্রেমিক নেতাকে আওয়ামী লীগের কিংস পার্টিতে যোগদানের জন্য চাপ ও ভয় দেখানো হচ্ছে।’
রিজভী বলেন, লুটপাটের টাকার ভাগ পাওয়ার অঙ্গীকারে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন ছেড়ে কিছু মানুষ তথাকথিত কিংস পার্টিতে যোগ দিয়ে বঙ্গভবন ও গণভবনে যাচ্ছে।
কোনো দল বা ব্যক্তির নাম সরাসরি উল্লেখ না করে রিজভী বলেন, বিশ্বাসঘাতকদের ইতিহাসের ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া হবে। ‘এই রঙ পরিবর্তনকারী পরজীবী রাজনীতিবিদরা জনগণের সংকেত টের পাচ্ছেন না।’
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার গণতন্ত্রকামী জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপির নেতা-কর্মীদের বাড়িঘরে তল্লাশি চালিয়েছে, গ্রেপ্তার করছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীরা হেলমেট পরা আন্দোলনে সক্রিয় থাকা নেতা-কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
রিজভী আরও বলেন, সরকারের নির্দেশে বিচার বিভাগ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ‘মিথ্যা ও কাল্পনিক’ মামলায় সাজা দিচ্ছে।
বুধবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির অন্তত ৫১৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
৪৯০ দিন আগে
নভোএয়ার এর এক দশক পূর্তি
যাত্রী পরিবহনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় দেশের সেরা দশটি ট্রাভেল এজেন্সিকে নভোএয়ার পুরস্কার প্রদান করেছে।মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে নভোএয়ার এর দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়।
পুরস্কার প্রাপ্ত এজেন্সিগুলো হলো- শেয়ারট্রিপ লিমিটেড, বিফ্রেশ লিমিটেড, গোজায়ান লিমিটেড, এইচআইএস ট্রাভেল লিমিটেড, ট্রিপলাভার লিমিটেড, সায়মন ওভারসিজ লিমিটেড, ফ্লাইট এক্সপার্ট, ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল করপোরেশন, ট্রাভেল চ্যানেল ও ট্রাইওটেল ট্রাভেল লিমিটেড।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী জনাব টিপু মুনশি বলেন, নভোএয়ার সময়ানুযায়ী ভ্রমণ নিশ্চিত করে দেশের ব্যাবসা-বাণিজ্যের প্রসারে একটি বিশেষ অবদান রাখছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে বেশি ফ্লাইট পরিচালনায় ব্যবসা- বাণিজ্যের প্রসার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পর্যটন শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমি আশা করি, নভোএয়ার সুনাম ধরে রেখে অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ সংযোজনের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি করে একটি বিশ্ব মানের এয়ারলাইন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, নভোএয়ার শতভাগ কমপ্লায়েন্স মেনে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। যাত্রীর নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে নভোএয়ার কর্তৃপক্ষ সব সময়ই সচেষ্ট।
আরও পড়ুন: নভোএয়ারের যশোর-কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট চালু
নভোএয়ার এর চেয়ারম্যান ফয়জুর রহমান বলেন, একটি বিশ্বমানের সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু। যাত্রী সেবার মানের ক্ষেত্রে কখনোই আপোষ করেনি। প্রতিনিয়তই চেষ্টা করছি নতুন নতুন সেবা সংযোজনের মাধ্যমে সেবার মান বৃদ্ধি করতে।
নভোএয়ার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমান বলেন, সময়ানুযায়ী ফ্লাইট পরিচালনা ও নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চিত করাই আমাদের ব্যবসায়িক দর্শনের সর্বোচ্চ প্রাধিকার। নিরাপত্তা ও সেবা, এই দুই মুল মন্ত্রকে আমরা সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। নানাবিধ চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকুলতা জয় করে নভোএয়ার সবার কাছে বিশ্বস্ত, নির্ভরযোগ্য এবং আস্থার এয়ারলাইন্স হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
নভোএয়ার এর পরিচালক ও চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার আরশাদ জামাল বলেন, আমরা সম্মানিত যাত্রীদের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক গন্তব্য সম্প্রসারণ, বহরে আরও উড়োজাহাজ সংযোজন এর মাধ্যমে উন্নত যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা, সাংবাদিক বৃন্দ ও নভোএয়ার এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে প্রতিদিন ঢাকা থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট,যশোর ,সৈয়দপুর, রাজশাহী এবং আন্তর্জাতিক রুটে কলকাতায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে।
এছাড়া যশোর থেকে কক্সবাজার রুটে ও রাজশাহী থেকে কক্সবাজার রুটে সরাসরি যাত্রী পরিবহন করছে। নভোএয়ার ১০ বছরে ১ লাখেরও বেশি ফ্লাইট পরিচালনা করে সাড়ে ৫৫ লাখেরও বেশি যাত্রী পরিবহন করেছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার রুটে নভোএয়ারের ফ্লাইট চালু হচ্ছে বৃহস্পতিবার
নভোএয়ারের বিশেষ ফ্লাইটে গোহাটি গেল ১৬ ভারতীয়
৭৯৯ দিন আগে
প্লাস্টিক খাতকে উৎসাহিত করতে আরএমজি সাফল্য মডেল অনুসরণের আহ্বান
এলডিসি পরবর্তী সময়ে প্লাস্টিক খাতের টেকসই উন্নয়ন, প্লাস্টিকের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কাঠামো সহজীকরণ,সংশ্লিষ্ট নীতির আধুনিকীকরণ, বায়ো-প্লাস্টিকের ব্যবহারকে উৎসাহিত করা, সম্ভাব্য দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করার আহ্বান জানিয়েছেন ওয়েবিনারের বক্তারা।
শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এলডিসি-পরবর্তী বিশ্বে টেকসই রপ্তানি বৃদ্ধি: প্লাস্টিক খাতের কৌশল’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বক্তারা এসব বিষয়ের ওপর জোর দেন।
বক্তারা প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগে (এফডিআই) আকৃষ্ট করার জন্য দেশীয় বাজার রক্ষায় আলোচনার দক্ষতা বৃদ্ধি, পণ্যের বৈচিত্র্য আনয়ন, প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার উন্নয়ন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি, স্বীকৃত বিশ্বমানের টেস্টিং ল্যাব সুবিধা বাড়ানোর জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্লাস্টিক ব্যবসা বৃদ্ধি এবং সৃজনশীল পণ্য ডিজাইনিং এর আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আগামী দশকে ৮০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য কমানোর প্রতিশ্রুতি অস্ট্রেলিয়ার
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, সরকারি ও বেসরকারি খাতের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী যা বাংলাদেশকে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।প্লাস্টিক খাতে বিভিন্ন সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করতে তিনি সরকারি ও বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণের সমন্বয়ে একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের পরামর্শ দেন।
তিনি আরও ভালো প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সমাধানের আহ্বান জানান।
কায়কাউস বলেছেন, ‘আমাদের নিজস্ব সার্টিফিকেশন এজেন্সি থাকা উচিত এবং তিনি পিপিপি মডেলকে সর্বোত্তম বিকল্প হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। সার্টিফিকেশনের জন্য এখন আমরা প্রচুর অর্থ ব্যয় করছি। ‘আমরা প্লাস্টিক ব্যবহার এড়াতে পারি না, বরং দূষণ কমানোর জন্য আমাদের ১০০ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা উচিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের ওষুধ, প্লাস্টিক, ইলেক্ট্রিক পণ্য নিতে আগ্রহী ইথিওপিয়া
প্লাস্টিক খাতের রপ্তানির জন্য লজিস্টিক খরচ সত্যিই বেশি এবং এটি হ্রাস করা দরকার বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
রিজওয়ান রহমান বলেন, জিডিপিতে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির অবদান দশমিক ৩৩ শতাংশ। তিনি উল্লেখ করেন, প্লাস্টিক খাতে প্রায় পাঁচ হাজার ১১০টি কোম্পানি কাজ করছে এবং এর মধ্যে ৯৮ শতাংশই এসএমই।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, টেকসই শিল্প প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে সরকার একটি খসড়া প্লাস্টিক নীতি তৈরি করেছে। যেহেতু এলডিসি-পরবর্তী সময়ে অনেক অগ্রাধিকার থাকবে না তাই সম্ভাব্য দেশগুলোর সঙ্গে এফটিএ এবং আরটিএ স্বাক্ষর করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, আমাদের আরএমজি সাফল্যের মডেলটিকে অন্যান্য রপ্তানিমুখী উৎপাদন খাতেও প্রযোজ্য করতে হবে।
১০৮২ দিন আগে