সমুদ্রবন্দর
প্রতিকূল আবহাওয়ার নেতিবাচক প্রভাবে বিপর্যস্ত জনজীবন
মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ১৩ বার সমুদ্র বন্দরসমূহকে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। টানা নিম্নচাপ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর কারণে সৃষ্ট বৈরি আবহাওয়ার কারণে প্রায়ই সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়ে থাকে।
আবহাওয়ার এই অবনতির কারণে একদিকে যেমন বাংলাদেশের দুর্যোগঝুঁকিতে থাকার বিষয়টি সামনে এসেছে, তেমনি সারা দেশেই এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
বিরুপ আবহাওয়ার কারণে উপকূলে বারবার আছড়ে পড়ছে জোয়ারের প্রচণ্ড ঢেউ, নদনদীর পানি ফুলে উঠে অতিক্রম করেছে বিপৎসীমা। আবার কখনো কখনো ভারী বৃষ্টিপাতে জনজীবনে নেমে আসে চরম দুর্ভোগ। বিরূপ আবহাওয়ার এসব প্রত্যক্ষ প্রভাবে আচমকাই জনমানুষের জীবনযাত্রা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটছে।
এ তো গেল প্রত্যক্ষ প্রভাবের কথা, জোয়ারের পানি কিংবা ভারী বৃষ্টিপাতে কৃষকের ফসল যখন তলিয়ে যায়, তখন নগরবাসীকে সবজি কিনতে গুনতে হয় বাড়তি টাকা। আকস্মিক বন্যায় এ বছরও বহু মানুষের ঘরবাড়ি তলিয়েছে, ভেসে গেছে চাষের মাছ, গবাদি পশুসহ আরও অনেক কিছু।
আবার লঘুচাপ সৃষ্টির কারণে মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে প্রায়ই উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়ে থাকে। লঘুচাপ থাকাকালে জেলেদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়।
এসবের পরোক্ষ প্রভাবে সারা দেশের বাজারগুলোতে বাড়ে মূল্যস্ফীতি। বিশেষত ইলিশ ও সবজির দাম চলে যায় নাগালের বাইরে। আর এসব প্রভাবই বর্তমানে দেশের কাঁচাবাজারগুলোতে বিরাজমান। কাঁচা খাদ্যদ্রব্য কিনতে মানুষের নাভিশ্বাস উঠছে।
পটুয়াখালীর মহিপুরের মাছ ব্যবসায়ী আল আমিন বলেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে এবার ইলিশ উৎপাদন অনেক কমেছে। সাগর এতবার উত্তাল থাকায় মাছ ধরতে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে পাঠানো তার তিনটি ট্রলার দুই দিনের মধ্যেই ফিরে এসেছে। প্রতিটি ট্রলারে গড়ে মাত্র ৫ লাখ টাকার মতো ইলিশ ধরা পড়েছে, যা মৌসুমের স্বাভাবিক উৎপাদনের পাঁচভাগের একভাগ।
বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও ইলিশ গবেষক মো. আনিসুর রহমান বলেন, বার্ষিক ইলিশ উৎপাদনের অন্তত ৭০ শতাংশ আসে সাগর থেকে। সাধারণত ইলিশ ধরতে জেলেদের ১২ ঘণ্টার সমুদ্রপথ অতিক্রম করতে হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপকূল থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে ট্রলার দিয়ে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। অথচ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস পৌঁছায় সর্বোচ্চ ৫৭ কিলোমিটার পর্যন্ত।
যেখানে আগস্ট মাস সাধারণত ইলিশ মৌসুমের প্রধান সময়, সেখানে এই মাসের ২৭ থেকে ২৯ তারিখের মধ্য বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এ সময় নদী ও উপকূলে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ে এবং গৃহস্থের রান্নাঘর ভরে ওঠে ইলিশের ঘ্রাণে।
অক্টোবরের নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়া পর্যন্ত পর্যন্ত ইলিশ ধরার এই মৌসুম চলতে থাকে। কিন্তু ১৩ আগস্টের পর থেকে চারবার সতর্ক সংকেত জারি করা হয়। এ ছাড়া জুলাইয়ে চারবার, জুনে তিনবার ও মে মাসেও দুবার সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল।
মার্চ-এপ্রিলের দুই মাসব্যাপী সার্বিক নিষেধাজ্ঞার পর এই ঘনঘন সতর্ক সংকেত জারির ফলে মাছ ধরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রতিটি সতর্ক সংকেত কার্যকর থাকে অন্তত তিন থেকে পাঁচ দিন। এ সময় ভারী বৃষ্টি, ৫০ কিলোমিটার গতির বাতাস এবং পাঁচ মিটার পর্যন্ত জোয়ার একসঙ্গে বা আলাদাভাবে দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাতাস ও তাপমাত্রার মিথস্ক্রিয়ার কারণে গত প্রায় ১০০ দিনের মধ্যে ৩৯ থেকে ৬৫ দিনই বঙ্গোপসাগরে এমন আবহাওয়া বিরাজ করেছে।
আরও পড়ুন: আরও একটি লঘুচাপ আসছে, তিন নম্বর সংকেত বহাল
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবুল কালাম মাল্লিক বলেন, এ বছর মৌসুমি বায়ু বেশ শক্তিশালী ছিল, সামগ্রিক আবহাওয়া অনেকের জন্য আরামদায়ক ছিল না।
আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে দেশের আবহাওয়া পরিস্থিতি
এ বছর বাংলাদেশে মৌসুমি বায়ু প্রায় চার দশকের মধ্যে সবচেয়ে আগে চলে এসেছে। সাধারণত জুনে শুরু হলেও এবার মে মাসের শেষ সপ্তাহেই সারা দেশে পড়তে শুরু করে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২০২৪ সালের ‘চেঞ্জিং ক্লাইমেট অব বাংলাদেশ’ নামক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮১ সালের পর থেকে মে মাসের শেষ দিকে ১১ বার দেশে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে, যার মধ্যে আটবারই প্রবেশ করেছে ২০০০ সালের পর।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবে মৌসুমি বায়ুর আগমন ও প্রকৃতি পরিবর্তিত হচ্ছে কিনা, তা এখনো গবেষণার বিষয়। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির হার কমছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত গবেষণাটি বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেখানে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বাংলাদেশে আবহাওয়ার ধরন পাল্টে দিতে শুরু করেছে।
১৯৮১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে প্রতি মৌসুমে ১০টির বেশি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে মাত্র ছয়বার। তার মধ্যে ১৯৮৯ সালে সর্বোচ্চ ১৩টি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল।
চলতি মৌসুমে ইতোমধ্যে ছয়টি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, অথচ মৌসুমের শেষ মাস সেপ্টেম্বর এখনো বাকি। এই মাসেই সবচেয়ে বেশি নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ার ইতিহাস রয়েছে।
এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) এক পূর্বাভাসে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে মৌসুমি বায়ু ও ঘূর্ণিঝড় মৌসুম একসঙ্গে মিলে গিয়ে দশকে একবার শতাব্দী-বিরল জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি করতে পারে।
বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ। বারবার নিম্নচাপ তৈরি হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি বিপদ ডেকে আনছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলতি মৌসুমে নিম্নচাপজনিত বৈরি আবহাওয়ায় বাঁধ ভেঙেছে, ঘরবাড়ি-ফসল ভাসিয়ে নিয়েছে, বহু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। এ সময় বন্ধ থেকেছে নৌপথে যোগাযোগ, গ্রাম-শহর প্লাবিত হয়েছে, পাহাড়ি এলাকায় আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে শত শত মানুষ গৃহহীন হয়েছে।
আর্থিকভাবে সচ্ছল মানুষ এই বিপদের আঁচ তুলনামূলক কম পেলেও দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনে এর প্রভাব হয়ে উঠছে ভয়াবহ। বিশেষত কৃষক, রিকশাচালক, পরিবহনশ্রমিক বা নির্মাণশ্রমিকদের মতো মানুষ, যাদের জীবিকা প্রতিদিন বাইরে গিয়ে রোজগারের ওপর নির্ভরশীল, তাদের জন্য এসব দুর্যোগের সময় হয়ে ওঠে দুঃসহ।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়োবৃষ্টি ও উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
চলতি বছরের জুন মাসে প্রায় রেকর্ড ভাঙা বৃষ্টি হয়েছে। টেকনাফে ১ হাজার ১৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, যা স্বাভাবিকের চার গুন বেশি। একই মাসে খাগড়াছড়ির রামগড় ও ফেনীর পরশুরামেও স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
জুলাই মাসে টেকনাফেও স্বাভাবিকের চার গুন বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কক্সবাজারে রেকর্ড হয়েছে ১ হাজার ৪০১ মিলিমিটার বৃষ্টি, যেখানে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৯৪৫ মিলিমিটার। নোয়াখালীতে ১ হাজার ১৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যেখানে স্বাভাবিক ৭৩৯ মিলিমিটার, আর পরশুরামে ৮৭২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যেখানে সাধারণত ৫৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে।
৯৫ দিন আগে
নিম্নচাপের প্রভাবে ঝড়োবৃষ্টি ও উপকূলীয় অঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
ঢাকা, ২৬ জুলাই (ইউএনবি)- সাগরের নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এতে উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি, উপকূলীয় জেলাগুলো ও চরে এক থেকে তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস দেখা দেতে পারে।
শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তর এমন তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল ৬টায় ঝাড়খণ্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, নিম্নচাপের কেন্দ্রস্থল, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
এতে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
এদিকে আজ সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুৎেলার জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চল সমূহের উপর দিয়ে দক্ষিণ কিংবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
১৩১ দিন আগে
উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কসংকেত
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে দেশের চারটি সমদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে এক সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ু চাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরগুলোর উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৫ বিভাগে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, ভূমিধসের সতর্কতা
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সাথে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
১৪৪ দিন আগে
সমুদ্রবন্দরে ফের সংকেত, সারা দেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস
দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে গতকাল সংকেত নামিয়ে ফেলতেও বললেও ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের ব্যবধানে ফের তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি আজ শুক্রবার সারা দেশে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
শুক্রবার (৪ জুলাই) আবহাওয়ার নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ ছাড়া এই বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজ করছে।
এর প্রভাবে আগামীকাল (শনিবার) সকাল ৯টা পর্যন্ত খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এই সময়ে সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
নদীবন্দরে ১ নম্বর সংকেত
এদিকে আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পাশাপাশি অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
১৫৩ দিন আগে
নামল ৩ নম্বর সংকেত, সারা দেশে তাপমাত্রা বাড়ার পূর্বাভাস
গত সপ্তাহে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে বর্তমানে ভারতের দিকে সরে গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে দেওয়া তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে বৃষ্টিপাতে প্রবণতা মোটামুটি অব্যাহত থাকলেও গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা যতটা কমে গিয়েছিল, তা কিছুটা বাড়ার আভাস দিয়েছে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।
শনিবার (২১ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটের স্ক্রল থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া আজ সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।
এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধসের সতর্কতা, সাগরে ৩ নম্বর সংকেত
আবহাওয়ার পূর্বাভাস
এদিকে, আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হকের সই করা আবহাওয়ার নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড় ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে ভারতের আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এই বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আজ (শনিবার) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ ছাড়া সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃষ্টিপাতের এই প্রবণতা পরের কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। তবে তাপমাত্রা আগামীকালও কিছুটা বেড়ে পরের কয়েকদিন তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে।
টানা বৃষ্টিপাতের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই সারা দেশের তাপমাত্রা বেশ কমে গেছে। এর ফলে গরম কমে জনমনে ফিরেছে স্বস্তি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় রেকর্ড করা হয় এই তাপমাত্রা। অপরদিকে, বান্দরবানে রেকর্ড করা হয় ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা, সারা দেশে এই সময়ে তা সর্বনিম্ন। এ ছাড়া, এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় নেত্রকোণা জেলায়।
১৬৬ দিন আগে
বছরের শুরুতেই মোংলা বন্দরে বিদেশি জাহাজের চাপ
সম্প্রতি দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলায় বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বৃদ্ধি পেয়েছে। নতুন বছরের প্রথম ১০ দিনে বন্দরে ভিড়েছে মোট ২৮টি বাণিজ্যিক জাহাজ। এতে করে ব্যস্ত সময় পার করছেন বন্দরের শ্রমিক-কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রুপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের মালামাল নিয়ে দুটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ মোংলা বন্দরে নোঙ্গর করে। এর ফলে বন্দরের বিভিন্ন পয়েন্টে বর্তমানে ১৮টি জাহাজ অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, কর্তৃপক্ষের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, সাড়ে ৭ মিটার গভীরতা ও ১৪২ দশমিক ৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের বারমুডার পতাকাবাহী এমভি পাকান্ডা অ্যান্টিগা নামের একটি জাহাজ বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে ভিড়েছে। জাহাজটিতে ১৯০টি টিউজ কন্টেইনার রয়েছে।
এছাড়া ২০৭টি টিউজ নিয়ে মার্কস ঢাকা নামে আরও একটি কন্টেইনারবাহী জাহাজ ৮ নম্বর জেটিতে ভেড়ার কথা রয়েছে। পানামার পতাকাবাহী এই জাহাজটি ১৮৬ মিটার বিশাল দীর্ঘ ও ৭ দশমিক ১০ মিটার গভীর।
পাশাপাশি রাশিয়ার পতাকাবাহী এমভি মেলিনা নামের একটি জাহাজ রুপপুর পাওয়ার প্ল্যান্টের জেনারেল কার্গো (মেশিনারি) বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে মোংলা বন্দরের উপপরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, ২০২৫ সালের শুরুতে মোংলা বন্দরে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমন বেড়েছে। বর্তমানে বন্দরের পশুর চ্যানেলের বিভিন্ন স্থানে ১৮টি বাণিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। এসব জাহাজে কয়লা, সার (জিপসাম, ড্যাপ, টিএসপি ও এমওপি), ক্লিংকার, এলপিজি ও পাথরসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি থেকে আরও জানা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের প্রথম ৬ মাসে মোংলা বন্দর মোট ৪১৩টি বাণিজ্যিক জাহাজ আসে। এ সময়ে ১০ হাজার ৩৮৬টি টিউজ কন্টেইনার খালাস করা হয়।
প্রথম ছয় মাসে গাড়ি বহনকারী ১০টি জাহাজ থেকে ৫ হাজার ৬৩৭টি গাড়ি আমদানি করা হয়েছে। এই সময়ে বন্দর দিয়ে সর্বমোট আমদানি-রপ্তানি হয়েছে ৫২ লাখ ৮৪ হাজার ৪৭১ টন পণ্য, যা থেকে ২১০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২০২৪-এ মোংলা বন্দরে বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের আগমনের ক্ষেত্রে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ, কার্গো ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ, কন্টেইনারবাহী জাহাজ ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং গাড়ির ক্ষেত্রে ১৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
৩২৮ দিন আগে
সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থানরত লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এটি এখন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি অঞ্চলে অবস্থান করছে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, সমুদ্রবন্দরগুলোসহ উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
৪৬৫ দিন আগে
সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সংকেত দেখিয়ে যাওয়ার নির্দেশ আবহাওয়া অফিসের
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুন) বিকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবল অবস্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ সব বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে গভীর সঞ্চালন হচ্ছে এবং গভীর চাপের আধিক্য বিরাজ করছে।’
এসময় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস
দেশজুড়ে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা
৫২২ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় 'মিগজাউম' আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তর আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ঘূর্ণিঝড়টি আজ সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫১০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৪০৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এতে আরও বলা হয়, এটি আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: বিদ্যুৎহীন ঝালকাঠি, গাছপালা-ফসলের ক্ষতি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুদ্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি ও আমনের ক্ষতি
ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’: জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি
৭৩১ দিন আগে
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিম্নচাপটি আজ (১৬ নভেম্বর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আরও পড়ুন: ‘হামুন’ দুর্বল হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত, সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
যা আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হতে পারে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
৭৫০ দিন আগে