সমুদ্রবন্দর
পায়রা সমুদ্রবন্দরে রিজার্ভের টাকা কীভাবে খরচ হয়েছে ব্যাখ্যা করুন: সরকারের উদ্দেশে ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের কাছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের অর্থ পায়রা সমুদ্রবন্দরে কীভাবে ব্যয় হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন।
এক আলোচনা সভায় তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকার লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) জোর দিয়ে বলেছেন যে রিজার্ভ থেকে অর্থ পায়রা সমুদ্রবন্দরে ব্যয় করা হয়েছিল। আমরা জানতে চাই কিভাবে টাকা খরচ হয়েছে, কার দ্বারা খরচ হয়েছে এবং রিজার্ভের টাকা কোথায় গেছে।’
শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আগামী নির্বাচন তদারকিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
এর আগে বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি পায়রা বন্দরে ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: রাজধানীর জলাবদ্ধতা সরকারের অপরিকল্পিত মেগা প্রকল্পের ফল: ফখরুল
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন রিজার্ভের টাকা কোথায় গেল। রিজার্ভের টাকা গেছে পায়রা বন্দরে। রিজার্ভের টাকা গেছে দেশের জনগণের জন্য খাদ্য ও সার কিনতে। রিজার্ভের টাকা জনগণের কল্যাণে ও আমদানিতে ব্যয় হয়েছে। কেউ এই অর্থ আত্মসাৎ বা অপব্যবহার করেনি।’
রিজার্ভের টাকা পায়রা সমুদ্রবন্দরে যায় এমন মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, মজুদের টাকা বন্দর নির্মাণের জন্য নয়।
তিনি বলেন, রিজার্ভের অর্থ আমদানিকৃত পণ্যের বিল পরিশোধ এবং বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করার কথা।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সরকার ৪২ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নিয়ে বড়াই করত। তাহলে রিজার্ভের টাকা গেল কোথায়?’
তিনি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতা করে (রিজার্ভ থেকে টাকা কেউ চিবিয়ে খায়নি) বলেন, ‘আপনারা রিজার্ভ চিবিয়ে খাননি, কিন্তু গিলেছেন। আপনারা বাংলাদেশের পুরো অর্থনীতি গিলে ফেলেছেন।’
ফখরুল বলেন, বর্তমান সরকারের একমাত্র কাজ জনগণের টাকা লুটপাট করা। ‘তারা প্রতিটি সেক্টরে সবকিছু খেয়ে ফেলছে। তারা (সরকার) বাংলাদেশকে ধ্বংস করেছে। আওয়ামী লীগের হাত থেকে বাংলাদেশকে বাঁচাতে না পারলে অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।
আরও পড়ুন: দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ধ্বংস করেছে আ.লীগ: ফখরুল
বিশেষজ্ঞদের মতামত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পায়রা সমুদ্রবন্দর বন্দরে জাহাজ আসার প্রয়োজনীয় নাব্যতা না থাকায় অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে না। ‘তারা এখন আরও অর্থ লুট করার জন্য মূলধন ড্রেজিংয়ের একটি প্রকল্প নিয়েছে। তারা এভাবে দেশের সম্পদ নষ্ট করছে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আন্দোলন করার জন্য তাদের দলের কোনো বিকল্প নেই।
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সংসদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের মাধ্যমে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ প্রশস্ত করার আহ্বান জানান ফখরুল।
অন্যথায় গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে দেশের জনগণ সরকারের পতন নিশ্চিত করবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিএনপি নেতা।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: সমুদ্রবন্দরে ৪ নম্বর সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এ পরিণত হওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
সোমবার সকালে এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রের নিকটবর্তী সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি ৪০-৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
গভীর নিম্নচাপ, অমাবস্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা এবং তাদের উপকূলবর্তী দ্বীপ ও চর এলাকা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পড়ুন: সিত্রাং বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার: ত্রাণপ্রতিমন্ত্রী
বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে
সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন অন্ধ উপকূলে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, এর প্রভাবে সামুদ্রিক বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো আবহাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, নামল সতর্ক সংকেত
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার বুলেটিনে বলা হয়েছে, রংপুর, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
এতে বলা হয়, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং দেশের বিচ্ছিন্ন জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে এবং দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সুস্পষ্ট নিম্নচাপ পশ্চিম-উত্তর দিকে সরে গিয়ে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন এটি পূর্ব মধ্যপ্রদেশ ও এর তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত।
বাংলাদেশের সমুদ্র বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা নেই, নামল সতর্ক সংকেত
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
তাদের গভীর সমুদ্রে না যেতেও পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
নামল ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ: সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় তৈরি হওয়া নিম্নচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তর এক বুলেটিনে জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপ দুর্বল হতে পারে: আবহাওয়া অফিস
এর প্রভাবে দেশের সমুদ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘণ্টায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
এ সময় তাদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শও দেয়া হয়েছে।
ঝড়ের আশঙ্কায় সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
স্থল নিম্নচাপ দুর্বল হলেও ঝড়ের আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার আবহাওয়া অফিস এক বিশেষ বুলেটিনে জানিয়েছে, ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলের ওপর স্থল নিম্নচাপ আরও পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে দুর্বল হয়ে একটি সুচিহ্নিত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং মধ্যপ্রদেশের কেন্দ্রীয় অংশ ও এর সংলগ্ন এলাকায় কেন্দ্রীভূত হয়েছে।
আরও পড়ুন:সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
বুলেটিনে আরও উল্লেখ করা হয়, এটি আরও দুর্বল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চালন ঘটছে। ঝড়ো হাওয়া সামুদ্রিক বন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় প্রভাব ফেলতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি আসতে এবং সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এদিকে, উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল এবং তাদের উপকূলীয় দ্বীপ ও চরগুলো জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই জেলাগুলো হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার।
আরও পড়ুন:সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল
সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত
সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
সম্ভাব্য ঝড়-বৃষ্টির আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, পূর্ব মধ্য-বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘণীভূত হতে পারে।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপে পরিণত ‘অশনি’, নামল সতর্ক সংকেত
এতে বলা হয়, এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। সমুন্দ্রবন্দর, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নামল ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
নামল সতর্ক সংকেত
সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল
উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা অব্যাহত থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, সমুদ্রবন্দর,উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এতে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব ধরনের মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস
বন্যার সময় খাবার পানি পরিশোধিত করার উপায়
বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’, ২ নম্বর সংকেত বহাল
পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বুলেটিনে বলা হয়, শনিবার সকাল ৬টায় এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৮৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে বুলেটিনে বলা হয়।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’, সমুদ্র বন্দরে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরগুলোকে দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করার জন্য বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আরও একটি বন্যহাতির মরদেহ উদ্ধার
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের কারণে দেশের সমুদ্র বন্দরসমূহকে এক নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) শুক্রবার জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অফিসের বুলেটিনে বলা হয়েছে, শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ১৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার বন্দর থেকে এক হাজার ১০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা বন্দর থেকে এক হাজার ৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা বন্দর থেকে এক হাজার ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণ পূর্বে কেন্দ্রীভূত ছিল।
আরও পড়ুন: নিম্নচাপরের প্রভাবে সাতক্ষীরায় বৃষ্টিপাত
এটি আরও ঘনীভূত হতে পারে এবং উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ প্রায় ৫০ কিলোমিটার যা প্রতি ঘণ্টায় বেড়ে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উত্তর বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি আসতে বলা হয়েছে। এছাড়া তাদের গভীর সমুদ্রে না যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ বিভাগে হালকা বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর