ক্ষমতাচ্যুত
ফ্যাসিস্ট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতেই ছাত্র জনতার আত্মত্যাগ: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে ছাত্র জনতার আত্মত্যাগ রয়েছে। আমরা একটি বিশেষ অবস্থা পার করছি।
তিনি বলেন, আমরা যদি সেই পরিবর্তনটা আনতে না পারি, তাহলে তাদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে। তাদের কাছে ঋণী হয়ে থাকব।
আরও পড়ুন: বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য: উপদেষ্টা নাহিদ
তিনি আরও বলেন, আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। তাহলে পরিবর্তনটা আসবে। কারণ ছাত্র জনতার আত্মত্যাগ রয়েছে।
রবিবার (৬ অক্টোবর) ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ ভবনের ভাষা শহীদ আব্দুল জব্বার মিলনায়তনে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগের সরকারি দপ্তরসমূহের বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট সরকার ছিল না। কোনো অঘটন ঘটেনি। আপনারা দায়িত্ব পালন করেছেন, কাজ চালিয়ে গেছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রাকৃতিক পরিবর্তনের ফলে বন্যা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি কর্মকর্তারা মোকাবিলা করছেন। রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজের একটি হলো-নিরাপত্তা। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে সরকারের প্লাস পয়েন্ট। এতে করে পরে ওই ধরনের ঘটনা কম ঘটবে।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি ও বন্যাজনিত রোগ মোকাবিলায় সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: সংস্কার ছাড়া নির্বাচন গ্রহণ করতে পারবেন: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার প্রশ্ন
১ মাস আগে
আন্দোলন করে আ. লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আন্দোলন করে কোনো দিনই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না। উল্টো ব্যর্থ হয়ে চুড়ান্ত খেলায় বিএনপির বিপর্যয় হবে।
তিনি বলেন, হতাশাযুক্ত নেতা-কর্মীরা ঘরে ফিরে যাবে। আর নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার তা দমনে আগের তুলনায় সক্ষমতা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: মঙ্গাপীড়িত এলাকার মানুষও এখন তিন বেলা পেট ভরে খায়: কৃষিমন্ত্রী
মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুরে গম ও ভুটা গবেষনা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত ৪ দিনব্যাপী বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন শীর্ষক কর্মমালার পাশাপাশি গ্রিন হাউজে গমের ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী জাতের উদ্বোধনের সময় গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় এসব কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, বিক্ষোভ পদযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরকারের পতন হয়নি, শেখ হাসিনাকে বিদেশে পালাতে হয়নি। শুভ বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে জন রায় নিতে বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সংবিধানের বাইরে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই।
তিনি বলেন, দেশে অস্তিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিএনপি চেষ্টা করে যাচ্ছে। তারা চরমভাবে ব্যর্থ হবে এবং হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে বিএনপি তাদের অস্তিত্ব হারাবে।
আরও পড়ুন: আন্দোলন করে আবারও ব্যর্থ হয়ে হতাশ হবেন: বিএনপির উদ্দেশে কৃষিমন্ত্রী
অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
১ বছর আগে
ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে আরও জেগে ওঠুন: জনগণের প্রতি ফখরুল
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে দেশবাসীকে আরও জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে এবং আমাদের শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার জন্য সত্যিকারের জনগণের বাংলাদেশ গড়তে আমাদের এখন আরও বেশি করে জেগে উঠতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেয়ার সময় বিএনপি নেতা বর্তমান 'স্বৈরাচারী' সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার জন্য সর্বস্তরের জনগণকে তাদের চলমান যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
এছাড়া যার মাধ্যমে একটি গণমুখী সরকার ও সংসদ প্রতিষ্ঠার পথ প্রশস্ত হয়।
আরও পড়ুন: পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ বিরোধীদের তথ্য সংগ্রহ করছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, আসুন আমরা সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাই। আমাদের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। এছাড়া দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা এই লক্ষ্যে এগিয়ে আসছেন এটি একটি ভাল লক্ষণ।
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসাবে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করে বিএনপি।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ তাদের ১০ দফা দাবি আদায়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এবং দেশের আরও নয়টি বিভাগে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করেছে অন্যান্য সমমনা বিরোধী দল, জোট ও সংগঠনগুলো।
বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপল্টনে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি।
৩০ ডিসেম্বর ৩৩টি বিরোধী দলের গণমিছিলের পর এটি ছিল একযোগে আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি। এর আগে ৩০ ডিসেম্বর বিএনপিসহ ৩২টি সমমনা বিরোধী দল একযোগে আন্দোলনের প্রথম কর্মসূচি হিসাবে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে গণমিছিল কর্মসূচি পালন করে।
আওয়ামী লীগ জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের রাজনৈতিক দল হিসাবে পরিচয় দেয়। আমরা জানি যে তারা অনেক পুরানো পরিচিত দল। কিন্তু এখন তারা তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাই বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের এখন পুলিশ ও আমলাদের ওপর নির্ভর করতে হবে।
বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটের অধিকারের জন্য বর্তমান সরকারকে অপসারণে সব বিরোধী রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। তারা ১০ দফা দাবি আদায় করে এই আন্দোলন সফল করবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তাই আমরা রাজ্য সংস্কারের জন্য ২৭ দফার কথা বলছি।
ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে বাড়ি তৈরি করছেন।
তিনি অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের লোকজন লুটপাট ও বিদেশে বিপুল অর্থ পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে।
এছাড়া ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ব্যাংকসহ সব প্রতিষ্ঠানে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছেন বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধান টার্গেট জনগণের সব অধিকার কেড়ে নিয়ে একদলীয় বাকশাল শাসন পুনরুদ্ধার করা। আমরা সরকারকে তা করতে দেব না। এই শাসনের পতন নিশ্চিত করতে আমরা জনগণের সঙ্গে একসাথে এগিয়ে যাব।
ফখরুল বলেন, তাদের দলের অনেক নেতাকর্মী এখনও অসহনীয় দুর্ভোগ সহ্য করে কারাগারে বন্দি।
তিনি সরকারের কাছে অবিলম্বে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আবদুস সালাম, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন ও প্রচার বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানিসহ দলের গ্রেপ্তার হওয়া কেন্দ্রীয় নেতাদের মুক্তির দাবি জানান।
ফখরুল অভিযোগ করেন, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহে তাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হামলা চালিয়েছে।
আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার বলত বিএনপি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য কর্মসূচি ঘোষণা করে। তবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ১০টি সমাবেশ ও পরবর্তী কর্মসূচির আয়োজন করেছি।
তিনি বলেন, আগামী দিনেও তারা একইভাবে জনগণের সঙ্গে একত্রে সরকারকে উৎখাত করতে এবং রাষ্ট্রের সংস্কারে তাদের ২৭ দফা বাস্তবায়নে তাদের সব কর্মসূচি পালন করবেন।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যাপক অংশগ্রহণে অবস্থান কর্মসূচি সফল করার জন্য ধন্যবাদ জানান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, জনগণ জেগে উঠেছে বলে এই সরকারকে যেতেই হবে।
তিনি বলেন, আমরা এই শাসনকে নিচে ঠেলে সরিয়ে দিতে চাই না। আমরা একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে এর পতন নিশ্চিত করতে চাই।
আব্বাস বলেন, বিএনপি গণতন্ত্র ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিশ্বাসী হওয়ায় তাদের দল কোনো সহিংসতার আশ্রয় নিতে চায় না। সরকার অহেতুক আতঙ্কে ভুগছে। বিএনপি কোনো বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি চায় না। আমরা সরকারকে উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। এমনটা করলে পরিণতি ভালো হবে না। জোর করে ক্ষমতায় থাকার দিন শেষ।
তিনি তাদের দলের ১০ দফা দাবি মেনে নিয়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানান।
এদিকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান কর্মসূচিতে যোগ দিলে এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হয়।
এছাড়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চ একই কর্মসূচি পালন করে, বিজয় নগর পানির ট্যাঙ্কের কাছে ১২ দলীয় জোট, পুরানা পল্টনে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এফডিসি ক্রসিংয়ে এলডিপি এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের পূর্ব পাশে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য এবং আরামবাগে ক্লাব ও গণফোরাম (মন্টু)।
আরও পড়ুন: ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ বানচালে নয়াপল্টনে সংঘর্ষ করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কর্মকর্তাদের অপসারণ করছে সরকার: মির্জা ফখরুল
১ বছর আগে
নির্বাচনই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার একমাত্র পথ: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন ছাড়া পেছন দরজা দিয়ে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনও সুযোগ নেই।
শুক্রবার ‘সরকারকে না সরানো হলে জাতির অস্তিত্ব থাকবে না' বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে দেয়া এক বিবৃতিতে আ.লীগ নেতা এ কথা বলেন ।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের রায় মেনে নিয়েছে। নির্বাচন ছাড়া অন্য কোন কিছুর আড়ালে সরকার পতনের সুযোগ নেই। নির্বাচনই সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায়।’
আরও পড়ুন: বিআরটি প্রকল্প এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, বিএনপি তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ও ব্যর্থতা ঢাকতে অনেক কথা বলছে। কিন্তু দেশের জনগণ এসব কথায় কান দেয় না বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, জাতির অস্তিত্ব হাজার বছর ধরে টিকে আছে এবং থাকবে। তিনি বলেন, ‘অবিচক্ষণ রাজনীতির জন্য বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে কি না, আজকে সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ব্যালটের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে।
তিনি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অস্তিত্ব সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত।
তিনি আরও বলেন, সকল আর্থ-সামাজিক ও ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান অতীতের যেকোনও সময়ের চেয়ে আরও বেশি সুসংহত হয়েছে।
বিরোধিতার নামে বিএনপি বরং এদেশের অস্তিত্ব বিপন্ন করার বহুমুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, বিএনপিই দেশের অস্তিত্ব, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে প্রধান অন্তরায়।
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য বিএনপি আন্দোলন করছে উল্লেখ করে আ.লীগ নেতা প্রশ্ন করেন, কারা তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বাধা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বরং আমরা চাই একজন দণ্ডিত আসামিকে দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করা হোক। তার অন্তরে সৎ সাহস থাকলে সে দেশে ফিরতে পারে। এর জন্য কোনও আন্দোলনের প্রয়োজন নেই।’
উল্লেখ্য, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন।
আরও পড়ুন: হলে আসন নিয়ে বাণিজ্য আ.লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে, ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি কাদেরের
দেশের নিরাপত্তা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়: ওবায়দুল কাদের
২ বছর আগে
জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আ.লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকারের জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আ স ম হান্নান শাহ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে শুধুমাত্র আগামী নির্বাচনে ডিজিটালভাবে ভোট কারচুপির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে আরও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, দেশে এখন স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ নিজেদের শাসনকে সুসংহত করতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে এই শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। এ কারণেই বিএনপি আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবি তুলেছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ‘বিদেশিদের’ পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে না: খন্দকার মোশাররফ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে মোশাররফ বলেন, মানুষ যখন নিজের হাতে ভোট দিতে চায় কমিশন তাদের মেশিন ব্যবহার করতে বাধ্য করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (সরকার) ২০১৮ সালের মতো রাতে আর ভোট কারচুপি করতে পারবে না। সে কারণেই তারা এখন ইভিএম ব্যবহার করে ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দুর্ভিক্ষের মতো’ পরিস্থিতির মধ্যে যখন দেশের মানুষ তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে না। তখন আট হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম কেনার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ বেঁচে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে এবং তারা গ্রামীণ এলাকায় ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছে…এমন পরিস্থিতিতে তারা (সরকার) ইভিএমের জন্য এত টাকা খরচ করতে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারকে আবার ক্ষমতায় বসতে দিলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই দেশ এবং এর অর্থনীতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন মোশাররফ।
তিনি বলেন, ‘তারা রক্ষীবাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে এবং এভাবে দেশে হত্যার রাজনীতির সূচনা করেছে। তারা ১৪ বছর ধরে বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় আছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গিয়ে বলেছেন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের হাওয়া বইছে।’
তিনি বিএনপিতে হান্নান শাহের অবদান এবং ২০০৭ সালে ১/১১-এর রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় গণতন্ত্রের পক্ষে তার ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ইমামদের বড় ভূমিকা রয়েছে: খন্দকার মোশাররফ
২ বছর আগে
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ইমরান খানের
সংসদীয় অনাস্থা ভোটে পদচ্যুত হওয়ার পরেও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি তার সমর্থকদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার সারাদিন জাতীয় পরিষদের অধিবেশন কয়েক দফা মুলতুবি হওয়ার পর মধ্যরাতের পর অনাস্থা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পরিষদের ৩৪২জন সদস্যের মধ্যে ১৭৪ জন সদস্য তার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে ভোট দেন। পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম একজন প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা ভোটে পরাজিত হয়ে ক্ষমতা ছাড়তে হল।
রবিবার ইমরান খানের উত্তরসূরি নির্বাচিত হবেন এবং সোমবার সংসদে শপথ নেবেন। ইমরান খানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজ শরিফ।
শাহবাজ শরীফ বিরোধী দলগুলোর মিলিত জোটের সবচেয়ে বড় দলের প্রধান। আর প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য ইমরান খানের মনোনীত প্রার্থী হবেন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি।
শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর সঙ্গে তার শীতল সম্পর্কের মধ্যে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হয়। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি এবং পাকিস্তানি রুপির মানের পতনের কারণে বিরোধীরা ইমরান খানের সরকারকে অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার জন্য অভিযুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন: অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেন ইমরান খান
ইমরান খান দাবি করেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের জন্য পর্দার আড়ালে থেকে কাজ করেছে। তার স্বাধীন পররাষ্ট্র নীতি ওয়াশিংটনের অসন্তুষ্টির কারণ।
তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চায় তিনি তার বৈদেশিকনীতি তাদের পছন্দ মতো নির্ধারণ করেন।কারণ তার নীতি প্রায়ই চীন ও রাশিয়ার পক্ষে চলে যায়। ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ এবং ওয়াশিংটনের সঙ্গে সেই যুদ্ধে পাকিস্তানের অংশীদারিত্বেরও কঠোর বিরোধী।
খান বলেন, রাশিয়া ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর ক্রেমলিনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তার বৈঠকের বিরোধিতা করেছিল ওয়াশিংটন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর তার অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক দ্য স্টিমসন সেন্টারের পাকিস্তান বিশেষজ্ঞ এলিজাবেথ থ্রেলকেল্ড বলেন, এমনকি প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও খান প্রায়ই বিরোধী নেতার ভূমিকা পালন করতেন।
তবে, ২০২৩ সালের আগস্টের আগে দেশটির সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা নেই। এমনকি যদি নতুন প্রধানমন্ত্রী আগাম নির্বাচনের পক্ষে থাকেন, তাহলেও অক্টোবরের আগে নির্বাচন হবে না।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন যারা নির্বাচনের তত্ত্বাবধান করে,তারা গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিল যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগে ২০১৭ সালের আদমশুমারির ফলাফলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নির্বাচনী এলাকাগুলিকে পুনরায় সারিবদ্ধ করার কাজ শেষ করতে হবে।
রবিবারের ভোটের পরে ইমরান খান তার সমর্থকদের গভীর রাতে জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এসময় তার সমর্থকেরা বিশালাকার ইস্পাতের কন্টেইনার দিয়ে পার্লামেন্ট এবং রাজধানী ইসলামাবাদের কূটনৈতিক এলাকার প্রধান রাস্তাগুলো অবরুদ্ধ করে।
ওয়াশিংটন-ভিত্তিক উইলসন সেন্টারের এশিয়া প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর মাইকেল কুগেলম্যান পাকিস্তানের জন্য একটি উত্তাল সময়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের অধিবেশন শুরু
কুগেলম্যান বলেছেন, আগামী মাসগুলো রাজনৈতিকভাবে উত্তাল সময় পার করবে পাকিস্তান।
ইমরান খানের সরকার ১৮ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বজায় রাখায় এবং প্রবাসী পাকিস্তানিদের কাছ থেকে গত বছর রেকর্ড ২৯ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আনার কৃতিত্বও রয়েছে। এছাড়া ইমরান খানের দুর্নীতিবিরোধী খ্যাতি প্রবাসী পাকিস্তানিদের বাড়িতে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত করেছে। তার সরকার করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলা এবং দেশব্যাপী শাটডাউনের পরিবর্তে ‘স্মার্ট লকডাউন’ বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক প্রশংসাও পেয়েছে।
কিন্তু তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক কাটিয়ে উঠতে পারেননি। সেনাবাহিনী দেশটির ৭৫ বছর স্বাধীনতার ইতিহাসের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে সরাসরি শাসন করেছে এবং বেসামরিক সরকারগুলোকেও পরোক্ষভাবে চালিত করেছে।
খানের বিরোধীরা বলছেন, পানামা পেপারসে নাম আসার পর দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া নওয়াজ শরিফ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয় ইমরান খান।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজ শরীফকে পদে থাকার অযোগ্য ঘোষণা করেছেন। পাকিস্তানের একটি আদালতে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তিনি স্ব-আরোপিত নির্বাসনে লন্ডনে বসবাস করছেন। তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডও দেয়া হয়েছিল।
গত নভেম্বরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইমরান খানের সম্পর্কের ফাটল শুরু হয়েছিল। যখন তিনি নতুন গোয়েন্দা প্রধান নিয়োগ নিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হন।
গত সপ্তাহে জাভেদ বাজওয়া ইমরান খানের মার্কিন বিরোধী অবস্থান থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে নিয়েছিলেন।
বাজওয়া বলেছে, পাকিস্তান তার বৃহত্তম রপ্তানি বাণিজ্য অংশীদার চীন ও ওয়াশিংটনের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। এবং তিনি রাশিয়ার ইউক্রেন হামলার নিন্দা করেন।
আরও পড়ুন: ফের অনাস্থা প্রস্তাবের মুখোমুখি ইমরান খান
২ বছর আগে