সীমান্তবর্তী গ্রাম আনন্দপুর
বাঁশের শো-পিস দেশের বাইরে ছড়িয়ে দিতে চান কুমিল্লার শাহ্ জামাল
বাঁশের তৈরি নান্দনিক জিনিসপত্রের জন্য খ্যাতি ছিল কুমিল্লার বুড়িচংয়ের ভারত সীমান্তবর্তী গ্রাম আনন্দপুরে। আর এই কারণে প্রায় দশ বছর আগে এই গ্রামে বিদেশিদের আনাগোনা ছিল। শুধু বিদেশি পর্যটক নয়, বিদেশি সংস্থাগুলোর সঙ্গে আনন্দপুরের যোগাযোগ ছিল।
জানা গেছে, বাঁশের জিনিসপত্র তৈরি শিল্পের সঙ্গে আনন্দপুর ও আশেপাশের গ্রামের প্রায় তিনশতাধিক পরিবার যুক্ত ছিল। বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র বিক্রির ধুম পড়ে যেতো। এসব গ্রামে দূর-দূরান্তের মানুষ ভিড় করতেন। অর্থনৈতিক সচ্ছলতা ছিলও বেশ। কিন্তু সময়ের বিবর্তনে আনন্দপুরের সেই আনন্দঘন আবহ ম্লান হয়ে গেছে। পর্যাপ্ত চাহিদা থাকলেও দক্ষ জনশক্তি ও প্রযুক্তির অভাবে এ শিল্পের উৎপাদন কমে গেছে। বর্তমানে মাত্র ১১টি পরিবার এই শিল্পের সাথে যুক্ত আছে।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান, শঙ্কায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
তাদের মধ্যে একজন শাহ্ জামাল। তিনি কুমিল্লা আর্টস অ্যান্ড ক্রাফটসের স্বত্বাধিকারী। তার প্রয়াত বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসেমের হাত ধরেই বুড়িচংয়ে এ শিল্প বিস্তার লাভ করে। এই শিল্পকে বাঁচাতে শাহ্ জামাল এখনও সংগ্রাম করছেন। তিনি আবারও আনন্দপুরের বাঁশের শো-পিস ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়িয়ে দিতে চান।
২ বছর আগে