শাহবাজ শরীফ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে শাহবাজ শরীফের অভিনন্দন
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।
শুক্রবার (৯ আগস্ট) সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে তিনি এই অভিনন্দন জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ায় ড. ইউনূসকে মোদির অভিনন্দন
শাহবাজ লিখেছেন, 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করায় অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশকে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার সাফল্য কামনা করি। আগামী দিনগুলোতে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতা গভীর করতে তার সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছি।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে মমতার অভিনন্দন
২ মাস আগে
ইমরান খানকে মুক্তির নির্দেশ পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত জানিয়েছেন, খানকে গ্রেপ্তারের পর থেকে গত দুই দিনে দেশজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। তাই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বন্দিয়াল ইমরান খানকে তার সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ থাকার আহ্বান জানাতে বলেছেন।
এদিন তার মুক্তি উদযাপন করতে আদালত ভবনের কাছে খানের সমর্থকদের নাচতে দেখা গেছে।
আইন প্রণেতাদের অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর, খান পাকিস্তানি আদালতে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগের সম্মুখীন হন।
পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হেফাজতে নেওয়ার পর থেকেই সহিংসতা শুরু হয়। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তার সমর্থকদের সংঘর্ষে বহু মানুষ আহত হয় এবং রাতারাতি অভিযানে কয়েকশ’ মানুষকে আটক করা হয়।
সামরিক দখল, রাজনৈতিক সঙ্কট ও সহিংসতায় অভ্যস্ত এই জাতির জন্য এই ধরনের সহিংসতার ঘটনা নজিরবিহীন। এটি রাওয়ালপিন্ডির গ্যারিসন সিটিতে একটি নির্বাচনী সমাবেশে ২০০৭ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে হত্যার পরে সৃষ্ট পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। সে সময় তার সমর্থকরা, তার হত্যাকাণ্ডে বিক্ষুব্ধ হয়ে সারা পাকিস্তানে কয়েকদিন ধরে তাণ্ডব চালিয়েছিল।
মঙ্গলবার খানের নাটকীয় গ্রেপ্তারের পর থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে তার অন্তত ১০ জন সমর্থক নিহত এবং কয়েক ডজন আহত হয়েছে। পাশাপাশি ২০০ জনেরও বেশি পুলিশ আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইমরান খান গ্রেপ্তার: বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষে নিহত ১০
বুধবার রাতে রাজধানী ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে একটি রেলস্টেশন পুড়িয়ে দেয় বিক্ষোভকারীরা। বৃহস্পতিবার, তারা পাকিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর লাহোরের আশেপাশের এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে, একটি পুলিশের গাড়িতে আগুন দেয় এবং একটি ট্রেন অবরোধ করে।
পুলিশ বৃহস্পতিবার বলেছে যে ইমরান খানের প্রায় এক হাজার ৬০০ সমর্থককে সারাদেশে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি এবং সামরিক স্থাপনায় হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ফলে মঙ্গলবার থেকে আটককৃতদের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ৩০০ জনে পৌঁছেছে।
বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় ট্রাক, গাড়ি ও পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে এবং মহাসড়ক অবরোধ করে সরকারি ও সামরিক ভবনে হামলার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
খানের গ্রেপ্তারের কয়েক ঘন্টা পরে মঙ্গলবার লাহোরে একজন শীর্ষ সেনা কমান্ডারের বাসভবনে উত্তেজিত জনতা আগুন ধরিয়ে দেয়।
সার্বিক দিক বিবেচনায় দেশটির সরকার সহিংস এলাকাগুলোতে বুধবার থেকে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে।
খানকে ইসলামাবাদের একটি আদালত কক্ষ থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় যেখানে তিনি মঙ্গলবার দুর্নীতির অভিযোগের মুখোমুখি হন।
তাকে এখন ইসলামাবাদের একটি পুলিশ কম্পাউন্ডে রাখা হয়েছে। যেখানে একটি অস্থায়ী আদালতে বুধবার একজন বিচারক ৭০ বছর বয়সী খানকে কমপক্ষে আরও আট দিনের জন্য আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
খানের আইনজীবীর কাছ থেকে একটি আবেদনের সংক্ষিপ্ত শুনানির পর, বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট খানকে যেভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং কর্তৃপক্ষকে তাকে এক ঘন্টার মধ্যে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে। এতে ধারণা করা হয় এবার খানকে মুক্তি দেওয়া হবে।
খানের গ্রেপ্তারকে বেআইনি বলে যুক্তি দিয়ে তার আইনজীবীরা তার মুক্তি চেয়েছিলেন।
পুলিশ বৃহস্পতিবার খানকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে গেলে, সরকার তাকে হেফাজতে রাখার দাবি জানায়।
শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তথ্যমন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আপনারা যদি তাকে কোনো ছাড় দেন তাহলে এটা অন্যায় হবে।’
তিনি খানের অনুসারীদের করা সহিংসতার দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি দিলে আদালত ‘সবাইকে হত্যা করার লাইসেন্স’ দেবে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার পুলিশ জনতাকে সহিংসতায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে খান এবং তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে নতুন করে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর অস্থিরতা থামাতে সেনা মোতায়েন
বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর অনুসারীদের অস্থিরতা ‘সংবেদনশীল সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তির ক্ষতি করেছে।’
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর শরীফ বলেন, ‘এ ধরনের দৃশ্য পাকিস্তানের জনগণ কখনো দেখেনি। এমনকি রোগীদের অ্যাম্বুলেন্স থেকে বের করে এনে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দেওয়া হয়েছে।’
শরীফ হামলাকে ‘শাস্তিযোগ্য’ বলে অভিহিত করেছেন এবং সতর্ক করেছেন যে সহিংসতায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, খানকে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং এই অভিযোগগুলোর স্বপক্ষে প্রমাণ রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বৃহস্পতিবার খানের অনুসারীদের সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে তিনি বলেছেন, তাদের (খানের সমর্থকদের) শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করার অধিকার আছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যা হয়েছে, হয়েছে। নিজের জন্য বিষয়গুলোকে আরও কঠিন করবেন না।’
সহিংসতার পরে সরকার পাঞ্জাব এবং উত্তর-পশ্চিম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়। কেননা সেখানে খানের ব্যাপক সমর্থক রয়েছে এবং সেখানেই বেশিরভাগ সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে।
এ পর্যন্ত অন্তত সাতজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে খাইবার পাখতুনখোয়ায় এবং দুইজন পাঞ্জাবের রাজধানী লাহোরে এবং একজন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর কোয়েটায়।
সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ইন্টারনেট পরিষেবা স্থগিত করেছে।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী মহসন নকভি বলেছেন, ‘যারা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করেছে আমরা তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করব।’
কর্মকর্তারা বলছেন যে খানের সমর্থকরা বিশেষ করে সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, কারণ তিনি তার ২০২২ সালের ক্ষমতাচ্যুতির জন্য সামরিক বাহিনীকে দোষারোপ করেছেন।
আরও পড়ুন: ৮ দিনের রিমান্ডে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান
পাশাপাশি খান দাবি করেছেন যে এটি ওয়াশিংটন এবং শরীফের সরকারের একটি ষড়যন্ত্র ছিল।
তবে এ অভিযোগগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং শরীফ উভয়ই অস্বীকার করেছেন।
সামরিক বাহিনীও বলেছে যে তারা খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার ক্ষেত্রে কোনো ভূমিকা পালন করেনি।
সহিংসতার মধ্যে খানের সমর্থকরা রাওয়ালপিন্ডিতে সামরিক সদর দপ্তর এবং উত্তর-পশ্চিমে নিরাপত্তা চৌকিতে হামলা চালিয়েছে, আফগানিস্তানের সীমান্তে নিরাপত্তা চাকদারা দুর্গে আগুন দিয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে লাহোরে, বিক্ষোভকারীরা আঞ্চলিক কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল সালমান ফাইয়াজ গনির বাসভবন ভাঙচুর করে ও পুড়িয়ে দেয়।
বুধবার সেনাবাহিনী পূর্ণ শক্তি দিয়ে বিক্ষোভকারীদের আক্রমণের জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করে।
তারা বলেছে, তাদের স্থাপনাগুলোতে আক্রমণগুলো একটি সাজানো পরিকল্পনা অনুসারে করা হয়েছে এবং এই সহিংসতা দেশের ইতিহাসে একটি ‘কালো অধ্যায়’।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন থেকে দেশটি স্বাধীনতা লাভের পর থেকে সামরিক বাহিনী ৭৫ বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে সরাসরি পাকিস্তান শাসন করেছে এবং বেসামরিক সরকারগুলোর ওপর প্রভাব বিস্তার করে রাখে।
১ বছর আগে
পাকিস্তানে বন্যা: ১৬ কোটি ডলারের জরুরি সহায়তার আবেদন জাতিসংঘের
পাকিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ১৬ কোটি ডলারের জরুরি তহবিলের আবেদন জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে কয়েক সপ্তাহের ভয়াবহ মৌসুমী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য বিশ্বের কাছে একটি সংকেত।’
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের বিশ্ব যেভাবে ধ্বংস হচ্ছে, তা চোখ বন্ধ না করে ব্যবস্থা নেই। আজ, এটা পাকিস্তানে হচ্ছে, আগামীকাল, এটা আপনার দেশে হতে পারে।’
এদিকে, জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক মঙ্গলবার জানিয়েছেন, ‘এই ভয়াবহ জলবায়ু বিপর্যয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করতে গুতেরেস ৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান সফর করবেন। জাতিসংঘের প্রধান বাস্তুচ্যুত পরিবারের সাথে দেখা করবেন।’
পড়ুন: পাকিস্তানে বন্যা: ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
পাকিস্তানে জুনের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া মৌসুমী বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় এক হাজার ১৬০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে। চলমান বন্যার কারণে তিন কোটি ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ বলেছেন, বন্যায় ফসল নষ্ট হয়েছে এবং তার সরকার খাদ্যের ঘাটতি এড়াতে গম আমদানির কথা ভাবছে।
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ এই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যে কোনও অনিচ্ছাকৃত বিলম্ব, তার দেশের জনগণের জন্য ধ্বংসাত্মক হবে।’
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থ স্বচ্ছভাবে ব্যয় করা হবে এবং সমস্ত সাহায্য অসহায়দের কাছে পৌঁছানো হবে।
পড়ুন: বন্যা: পাকিস্তানে মৃত্যু হাজার ছাড়াল
পাকিস্তানে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার
২ বছর আগে
পাকিস্তানকে ৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে আইএমএফ
গুরুতর অর্থনৈতিক সঙ্কটের সম্মুখীন পাকিস্তানকে বেল-আউট প্যাকেজের অধীনে ৬ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা দিতে দেশটির সাথে প্রাথমিক একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
মূলত ২০১৯ সালে পাকিস্তান এবং আইএমএফ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। কিন্তু এই বছরের শুরু থেকে এক বিলিয়নের কিছু বেশি ঋণ আটকে পড়ে। তখন আইএমএফ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অধীনে বেলআউটের শর্তগুলোর সাথে পাকিস্তানের সম্মতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। গত এপ্রিলে সংসদ তাকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করে।
নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ অধীনে সরকার শ্রীলঙ্কার মতো ঋণখেলাপি এড়াতে মে মাস থেকে আইএমএফের সাথে আলোচনা করছে।
শরীফ টুইটারে লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সাথে চুক্তি দেশকে অর্থনৈতিক সংকট থেকে বের করে আনার মঞ্চ তৈরি করেছে।’
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে পাকিস্তান সরকার আইএমএফের শর্ত পূরণের জন্য জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করেছে এবং ভর্তুকি কমিয়ে দিয়েছে।
এ পদক্ষেপ সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়ছে, তবে প্রধানমন্ত্রী শরীফ বলেছেন, এ পদক্ষেপগুলো প্রয়োজনীয় ছিল।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আইএমএফ জানিয়েছে, ‘পাকিস্তান কর্তৃপক্ষের সাথে একটি স্টাফ-লেভেল চুক্তিতে (এসএলএ) পৌঁছেছে। চুক্তিটি আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে।’
এতে বলা হয়, পাকিস্তান প্রায় এক দশমিক ১৭ বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, আইএমএফের নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদন সাপেক্ষে বেলআউটের পরিমাণ ৬ বিলিয়ন থেকে ৭ বিলিয়ন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে, যা সাধারণত একটি আনুষ্ঠানিকতা হিসাবে বিবেচিত হয়।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল দেশটিতে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি তৈরির জন্য ইমরান খানকে দায়ী করেছেন
তিনি বলেছেন, জনপ্রিয়তার জন্য ইমরান খান ইচ্ছাকৃতভাবে আইএমএফের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, আইএমএফের বেলআউটের প্যাকেজের আওতায় সরকারকে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। কেননা তহবিল থেকে ঋণের কিস্তি মুক্তি অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাকিস্তানের সাথে জড়িত হতে উৎসাহিত করবে।
পড়ুন: বৈদশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে কঠোর বাংলাদেশ ব্যাংক, বিলাসবহুল পণ্যে আমদানি ঋণ নিষিদ্ধ
ঢাকা ও ময়মনসিংহে গ্রিড আধুনিকীকরণে ৫০০ মিলিয়নের বেশি ডলার ঋণ দিলো বিশ্বব্যাংক
২ বছর আগে
শাহবাজ শরীফকে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তানের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোহাম্মদ শাহবাজ শরীফকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বুধবার পাঠানো এক বার্তায় এ অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক অভিন্ন সুবিধার ক্ষেত্রে উত্থাপিত চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সমগ্র অঞ্চলকে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পিএমএল-এন সভাপতি শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। জাতীয় পরিষদের ১৭৪ জন সদস্য তার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) জাতীয় পরিষদের সদস্যরা এ নির্বাচন বর্জন করেছে।
ডনের খবরে বলা হয়, এর আগে পিটিআই থেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী শাহ মাহমুদ কুরেশির নেতৃত্বে দলটির জাতীয় পরিষদের সদস্যরা অধিবেশন বর্জন করে এবং গণপদত্যাগের ঘোষণা দেয়।
পিএমএল-এন-এর আয়াজ সাদিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
তিনি বলেন, ‘মিয়াঁ মোহাম্মদ শাহবাজ শরিফ ১৭৪ ভোট পেয়েছেন।’
আরও পড়ুন: শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত
এরপর তিনি ঘোষণা করেন, ‘মিয়াঁ মোহাম্মদ শাহবাজ শরিফ ইসলামিক রিপাবলিক অব পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।’
পরে স্পিকার তাকে সংসদের প্রধানমন্ত্রীর আসন গ্রহণের অনুরোধ করেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সংসদে প্রথম ভাষণে শাহবাজ ‘পাকিস্তানকে বাঁচানোর’ জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব সফল হয়েছে। ‘ভালো মন্দের ওপর জয় লাভ করেছে।’
সোমবার পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় পরিষদ থেকে গণপদত্যাগের ঘোষণা পিটিআইয়ের
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন আজ
২ বছর আগে
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন আজ
অনাস্থা ভোটে রবিবার ভোরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের জন্য পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসছে আজ।
বিবিসি জানিয়েছে, ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার ব্যাপারে অনত্যম ভূমিকা পালনকারী দেশটির বিরোধী জোট নেতা শাহবাজ শরীফ ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জিতবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় ২টায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হবে।
৬৯ বছর বয়সী ইমরান খানকে রাজনৈতিক নাটকীয়তা ও সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপের পর ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ইমরান খানের
এর আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে এবং আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার প্রচেষ্টাকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
তবে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিরোধী পিটিশনকে বহাল রেখে ঘোষণা দিয়েছেন যে তার সিদ্ধান্তগুলো অসাংবিধানিক ছিল।
উল্লেখ্য, শাহবাজ শরীফ পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ও পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) প্রধান নেতা। তিনি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নওয়াজ শরীফের ভাই।
আরও পড়ুন: অনাস্থা ভোটে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারালেন ইমরান খান
২ বছর আগে