ছাত্রলীগ সভাপতি
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দামের বাড়িতে ‘অগ্নিসংযোগ’
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের বাড়ির একটি খড়ের ঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে দাবি করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। তবে ঘরটি মূল বাড়ির সীমানার বাইরে হওয়ায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৫ এপ্রিল) গভীর রাতে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতখামার এলাকায় সাদ্দামের গ্রামের বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড়ের ঘরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।
তবে কারা আগুন দিয়েছে—তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি বাড়ির সদস্যরা। ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকেও আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
বোদা ফায়ার সার্ভিস অফিস জানায়, বাড়ির প্রাচীর সংলগ্ন একটি খড় ও খড়ি রাখার ঘরে অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ৩০ ফিট দৈর্ঘ্য ও ১০ ফিট প্রস্থের টিনশেডের ঘরটিতে খড় ও খড়ি রাখা ছিল। মধ্যরাতে ওই ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে প্রতিবেশী ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে এবং ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হয়।
সাদ্দাম হোসেনের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, ‘মধ্যরাতে কে বা কারা আমাদের খড়ের ঘরে আগুন দেয়। প্রতিবেশীরা আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার করে। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। সময়মতো তারা না আসলে আগুন আমাদের থাকার ঘরেও লাগত।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী ৩ বছর ধরে বিছানায় পড়ে রয়েছেন। আমরা এখন খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা চাই, প্রশাসন এই ঘটনা তদন্ত করে কারা আগুন দিয়েছে তা খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’
বোদা ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর রায়হান ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে ১ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে হিসাব করেছি। তবে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’
আটোয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, এ বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় তাদের কাছে থাকা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল।
১৯ দিন আগে
শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি খলিলুর গ্রেপ্তার
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমানকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকায় র্যাব-৯ ও র্যাব ১৪ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার জেনেভা ক্যাম্প থেকে 'পিচ্চি রাজা'সহ ৩৪ জন গ্রেপ্তার, অস্ত্র জব্দ
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়। খলিলুর নেত্রকোণার কেন্দুয়া থানার আব্দুল আওয়াল ছেলে।
র্যাব-৯ জানান, যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯ ও ১৪। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেপ্তার আসামিকে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে গত বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি গ্রেপ্তার
২১৮ দিন আগে
শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি খলিলুরকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ছাত্রলীগ সভাপতি খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে র্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. মশিহুর রহমান সোহেল সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার খলিলুর রহমান নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার শিবপুর গ্রামের মো. আব্দুল আওয়ালের ছেলে।
এর আগে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নাহিয়ান-লেখকসহ ৬৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার দুপুরে ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকায় র্যাব-৯ ও র্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে খলিলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
তার বিরুদ্ধে সিলেট মহানগরী পুলিশের কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পর তাকে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলায় অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপড়তা ও অভিযান অব্যাহত রেখেছে র্যাব-৯।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
২১৮ দিন আগে
সংবাদে ছাত্রলীগ সভাপতির নাম 'উল্লেখ না করায়' সাংবাদিককে 'মারধর'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সংবাদে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের নাম উল্লেখ না করায় এক সাংবাদিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আশিকুল হক রিফাত ‘দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস’ নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি স্যার এ এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র।
আরও পড়ুন: কড়া নিরাপত্তার মধ্যে ঢাবিতে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে দেয়া অভিযোগপত্রে রিফাত অভিযোগ করেন, ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং একই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফারহান তানভীর নাসিফ বৃহস্পতিবার সংবাদে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের নাম উল্লেখ না করায় তাকে কটূক্তি করেন।
রিফাত বলেন, ‘একটি প্রতিবেদনে আল নাহিয়ান খান জয়ের নাম হাইলাইট না করায় এর আগে নাসিফ ও আমার মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয়। বৃহস্পতিবার একই বিষয় নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং তিনি আমাকে মারধর করেন।’
তবে এ বিষয়ে নাসিফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।
স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমি তাদের দুজনের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছি।
আরও পড়ুন: দুই বছর পর মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য প্রস্তুত ঢাবি
এ এফ আর হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাইফুল হক বলেন, ‘অভিযোগ তদন্তে দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
১১১৬ দিন আগে