বৈঠক
ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কের নতুন অধ্যায়: নিউইয়র্কে বাইডেন-ইউনূস বৈঠক ২৪ সেপ্টেম্বর
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের উদাহরণ এ বৈঠক।
নিউইয়র্কে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে বলেন, শুধু দুইজনের মধ্যেই বৈঠকটি হতে যাচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ গত কয়েক দশকে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেননি।
আগামী ২৩-২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে বাইডেন নিউইয়র্ক সফর করবেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নিউইয়র্ক সফর নিয়ে প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিন-পিয়েরে বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়ার পাশাপাশি প্রেসিডেন্ট বাইডেন আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি মোকাবিলা, বৈশ্বিক সমৃদ্ধি এগিয়ে নেওয়া এবং মানবাধিকার রক্ষায় সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করতে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার রাতে (স্থানীয় সময়) নিউ ইয়র্কে পোঁছাবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। এখানে সাইড লাইনে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তার বৈঠকের কথা রয়েছে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত আবদুল মুহিত এবং ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সিডিএ সালাহউদ্দিন মাহমুদ স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।
সম্প্রতি ঢাকায় মার্কিন প্রতিনিধি দলের কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চ্যালেঞ্জগুলো বর্ণনা করেছেন ইউনূস। তিনি বলেন, তার প্রশাসন অর্থনৈতিক 'পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও পুনরায় চালু' করতে, আর্থিক খাত, বিচার বিভাগ ও পুলিশের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংস্কার করতে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব বলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশের জনগণের কল্যাণে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠান গঠন ও উন্নয়নে তাদের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
দূতাবাসের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশ আরও ন্যায়সঙ্গত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের রূপরেখা খুঁজছে, তাই যুক্তরাষ্ট্র এই প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে প্রস্তুত।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন ইউনূস।
তৌহিদ হোসেনের মতে, নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জাতিসংঘ মহাসচিব, জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএসএইড প্রশাসকসহ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই সময়ে সভার অনেক সিদ্ধান্ত শেষ মুহূর্তে নেওয়া হয়। সেই বিবেচনায় নতুন সভা যুক্ত হতে পারে; আবার সময়ের অভাবে কোনো সভা বাদ পড়তে পারে।
ইতালির প্রেসিডেন্ট ও কুয়েতের যুবরাজের সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন বলে জানান তিনি।
২৪ সেপ্টেম্বর ইউনূস জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা।
সেখানে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অধিবেশনে যোগ দেবেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত, এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, পররাষ্ট্র সচিব রিয়াজ হামিদুল্লাহ প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টা 'মিট দ্য ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ' নামে একটি উচ্চ পর্যায়ের সাইড ইভেন্টেও যোগ দেবেন।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মুহাম্মদ ইউনূসের আয়োজনে একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সফরে সাইডলাইনে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ড. ইউনূস ও তার উপদেষ্টাদের শ্রদ্ধা
১ মাস আগে
বিজিবি-বিএসএফ বৈঠকে ২০০ একর জমি বাংলাদেশকে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তে পদ্মা নদীর ভাঙনে ভারতীয় সীমান্তে বিলীন হওয়া প্রায় ২০০ একর জমির মালিকানা ফিরে পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশি মালিকেরা।
রবিবার অনুষ্ঠিত দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সৌজন্য বৈঠকে বিবাদমান জমি নিয়ে আলোচনায় পুনরায় জরিপ করে মালিকানা প্রকৃত মালিকদের বুঝিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান। তিনি বলেন, ‘বিবাদমান জমি পুনরায় জরিপ করে প্রকৃত মালিকদের ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বিবাদমান জমিগুলো ভারত সীমান্তে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীঘেঁষা চল্লিশ পাড়া এলাকায়।
স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর ভাঙনে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগে চল্লিশপাড়া বর্ডার আউট পোস্টের (বিওপি) পিলার ১৫৭ /এমপি থেকে ৮৫ / ১০-এস এলাকা পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার সীমানা এলোমেলো হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সীমান্ত অপরাধ দমনে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ ফেব্রুয়ারি উভয় দেশের সার্ভেয়ার, বিজিবি ও বিএসএফের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের আনুমানিক ২০০ একর জমি এবং বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতের আনুমানিক ৪০ একর জমির গরমিল পাওয়া যায়। গতকাল রবিবার দুপুরে বিএসএফের আহ্বানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দৌলতপুর উপজেলার মহিষকুন্ডির জামালপুর বিওপির সীমান্ত পিলার ১৫২ /৭-এস থেকে আনুমানিক ১৫০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বিবাদমান জমি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও সীমান্তে হত্যা বন্ধ ও মাদক পাচার রোধে গুরুত্বারোপ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিজিবির পক্ষে কুষ্টিয়ার বিজিবি ৪৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মাহবুব মুর্শেদ রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে রওশনবাগ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট বিক্রম দেব সিং নেতৃত্ব দেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, ‘গত ১০ ফেব্রুয়ারি সার্ভেতে বাংলাদেশের পাওনা প্রায় ২০০ একর জমি ও ভারতের পাওনা প্রায় ৪০ একর জমির গরমিল পাওয়া গেছে। যা আগামী অক্টোবর মাসে সুবিধাজনক সময়ে উভয় দেশের সার্ভেয়ার, বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে পুনরায় জরিপ করে জমির প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করতে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডাররা ঐকমত্যে পৌঁছেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মূলত সীমান্তের বিবাদমান অংশটি নদী এলাকায়। পদ্মার ভাঙন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে দুই দেশের সঠিক সীমানা নির্ধারণে জটিলতা ছিল। দুই দেশের প্রচেষ্টায় তা সমাধানে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দ্রুত সঠিক সীমানা নির্ধারণ করা হবে। তবে জমি বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত কেউ তা ব্যবহার করতে পারবে না।’
সীমান্তে বিএসএফকে বাংলাদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে কড়া প্রতিবাদ জানানো হয়েছে বলে জানান মাহবুব মুর্শেদ। তিনি বলেন, ‘নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের সীমান্তে আটক না করা, ভারত থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য ও নিষিদ্ধ কোনো পণ্য যাতে বাংলাদেশে পাচার হতে না পারে এবং আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে সীমান্তবর্তী জনসাধারণ যাতে অবৈধভাবে দুই দেশের সীমান্তের পূজামণ্ডপে যাওয়া-আসা করতে না পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজিবি-বিএসএফ সম্মেলন: সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার অঙ্গীকার
২ মাস আগে
বাংলাদেশের প্রয়োজন 'ব্যাপক ও দূরদর্শী' নিরাপত্তা এজেন্ডা: গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (বিআইপিএসএস) সভাপতি মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এ এন এম মুনিরুজ্জামান বলেছেন, বাংলাদেশ এখন যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি তা কার্যকরভাবে মোকাবিলায় একটি ‘বিস্তৃত ও দূরদর্শী নিরাপত্তা এজেন্ডা’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সময়ে জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে অনন্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) 'বাংলাদেশ ২.০: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য একটি নতুন নিরাপত্তা এজেন্ডা' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে ফ্যাসিবাদ থেকে উচ্চাকাঙ্ক্ষী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রূপান্তরের সঙ্গে গণতন্ত্রের সহজ ও শান্তিপূর্ণ উত্তরণ নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, প্রথম যে কাজটি হাতে নেওয়া দরকার তার মধ্যে একটি হচ্ছে সামরিক বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং পুলিশসহ নিরাপত্তা খাতের ব্যাপক সংস্কার।
মিয়ানমারের সাবেক ডিফেন্স অ্যাটাশে ও লিবিয়ায় সাবেক রাষ্ট্রদূত শহীদুল হক, বিআইপিএসএস সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাফকাত মুনির এবং ডেইলি স্টারের সাবেক সহযোগী সম্পাদক ও ডিফেন্স অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্সের সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শাহেদুল আনাম খান গোলটেবিল আলোচনায় বক্তব্য দেন।
শহীদুল হক বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকির বিষয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার পাশাপাশি এই ইস্যুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কী নীতি গ্রহণ করা উচিত সে বিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করবে দিল্লি
তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, বাংলাদেশকে এমন একটি নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে, যা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত ও বাণিজ্য রুট নিয়ন্ত্রণকারী আরাকান আর্মির মতো অরাষ্ট্রীয় শক্তিগুলোর সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ করবে তা নির্দেশ করে।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়ে পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে ভূ-কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে মিয়ানমার সংকটকে বাংলাদেশের কীভাবে মোকাবিলা করা উচিত সে বিষয়েও কথা বলেন শহীদুল হক।
সব দেশের সঙ্গে আলোচনার সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কীভাবে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থকে সমুন্নত রাখবে, সে বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি।
শাফকাত মুনির সার্বক্ষণিক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) এবং পূর্ণ ক্ষমতাসম্পন্ন জাতীয় নিরাপত্তা সমন্বিত সচিবালয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি আরও বলেন, এই জাতীয় সচিবালয়ের ডোমেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ থাকা দরকার।
মুনির সাইবার নিরাপত্তা, জলবায়ু নিরাপত্তার মতো নতুন ও উদীয়মান হুমকি মোকাবিলা এবং সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় অব্যাহতভাবে গুরুত্ব দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা হুমকি ও চ্যালেঞ্জ পর্যালোচনা এবং জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল প্রণয়নের এখনই উপযুক্ত সময়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নিরাপত্তা এজেন্ডা পুনরুজ্জীবিত না হলে 'বর্ষা বিপ্লবের' আকাঙ্ক্ষা পুরোপুরি বাস্তবায়িত হবে না। তিনি বাংলাদেশ ২.০ এর বিশ্বব্যাপী সমর্থন আদায়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বিদেশে বাংলাদেশের ব্যাপক কার্যক্রম বিশেষ করে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৃহত্তর রাজনৈতিক-সামরিক সমন্বয়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন মুনির।
তিনি বাংলাদেশে সামরিক শিক্ষার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ পুনর্গঠন ও পুনরুজ্জীবিত করার বিষয়েও কথা বলেন। নিরাপত্তা খাতের সম্পূর্ণ বিরাজনীতিকরণের প্রয়োজনীয়তার কথাও পুনর্ব্যক্ত করেন মুনীর।
শাহেদুল আনাম খান তার নিজের মন্তব্যে সর্বপ্রথম শ্রোতাদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন কেন বিপ্লব ঘটানোর প্রয়োজন।
তিনি নিরাপত্তা এজেন্ডা নিয়ে কথা বলার আগে অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক উভয় ধরনের নিরাপত্তা হুমকি চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, 'দেশের মানুষ সুরক্ষিত না হলে জাতি গঠন হতে পারে না।’
সবকিছুর ঊর্ধ্বে জনগণের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সুশাসন ছাড়া কোনোভাবে নিরাপত্তা বজায় রাখা যায় না।
তিনি আরও বলেন, হাসিনা সরকারের সুশাসনের কোনো বৈশিষ্ট্যই ছিল না।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আনাম বলেন, আমাদের দেশের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সেবক, প্রভু নন এবং তাদের পরিচালনা করতে হবে, শাসন নয়।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অপব্যবহার ও রাজনীতিকরণ করা হয়েছে এবং সম্পূর্ণ বিরাজনীতিকরণ হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, দোষ এজেন্সিগুলোর নয় বরং হাসিনা সরকারের দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদদের। যারা তাদের নিজের স্বার্থে এগুলোর অপব্যবহার করেছে।
প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতিবিষয়ক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হাফিজ (অবসরপ্রাপ্ত) গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত থেকে এ বিষয়ে তার চিন্তাভাবনা তুলে ধরেন।
সঞ্চালক মুনিরুজ্জামান প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে সংসদীয় তত্ত্বাবধান পুনরুজ্জীবিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বিশেষ করে দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর গণতান্ত্রিক তদারকির ওপর জোর দেন, যাতে আর কখনো আয়নাঘরের মতো অতীতের ভয়াবহতার পুনরাবৃত্তি না করতে হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীকে অবশ্যই নতুন ও উদীয়মান হুমকি যেমন হাইব্রিড যুদ্ধ এবং 'গ্রে জোনে' লড়াই করার সক্ষমতা থাকতে হবে। তিনি সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকীকরণের প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দেন।
এক আলোচনা পর্বে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভবিষ্যৎ, সীমান্ত নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা কৌশলের গুরুত্ব, জাতি যে বিশাল ঋণের মুখে পড়েছে তা কীভাবে মোকাবিলা করবে ইত্যাদি বিষয় উত্থাপিত ও আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান, রাষ্ট্রদূত, সিনিয়র কূটনীতিক, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষাবিদ এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বাইডেন-মোদির আলোচনা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় গুরুত্বারোপ
২ মাস আগে
বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক চলছে
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকে বসেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকাল ৪টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বৈঠকটি শুরু হয়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠকে যোগ দেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
আরও পড়ুন: জনগণ-ব্যবসায়ীরা নির্বাচিত সরকার ও গণতন্ত্র চান: ফখরুল
প্রতিনিধি দলের অন্য দুই সদস্য হলেন- স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ।
গত কয়েকদিন ধরেই জাতীয় নির্বাচন ও রাষ্ট্রীয় সংস্কারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছেন মির্জা ফখরুল।
ড. ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর গত ১২ আগস্ট বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল তার সঙ্গে প্রথম বৈঠক করে।
আরও পড়ুন: বন্যার কারণে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করবে বিএনপি
২ মাস আগে
বিদ্যুৎ বিভাগ ও পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নেতারা
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান ও বিদ্যুৎ বিভাগের কমিটির প্রধানের সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করবেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বৈঠকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় আরইবি কার্যালয়ে নতুন চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এস এম জিয়া-উল-আজিম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: সেলিম উদ্দিন বিআরইবির নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত
পরে দুপুর ২টায় বিদ্যুৎ বিভাগে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মচারীদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গঠিত কমিটির সভাপতি অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিত্বকারী নেতা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. মকবুল হোসেন আশা প্রকাশ করেন, এসব সভা কার্যকরভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করবে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশব্যাপী ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের দাবির পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন। চাকরির শর্তাবলীতে বৈষম্যের অবসান চেয়ে স্থায়ী কর্মসংস্থানের মর্যাদা সুরক্ষিত করার বিষয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাদের দাবি মানা না হলে গণছুটি ও পদত্যাগের হুমকি দিয়েছেন তারা।
তবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে এসব দাবির কারণে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে যে এসব আন্দোলন প্রশাসনকে অস্থিতিশীল করার বৃহত্তর কৌশলের অংশ হতে পারে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনেকেই পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিকভাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন বলেই এই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বিআরইবির ৯৩,ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের ৮৭ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকায় বিদ্যুৎ বিভাগ অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুম আহমেদ চৌধুরীকে প্রধান করে ৯ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। কমিটিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চারজন, পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের তিনজন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের দুজন প্রতিনিধি রয়েছেন।
সৈয়দ মাসুম বলেন, 'আমরা আশা করছি কমিটির প্রথম বৈঠকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সমস্যাগুলো নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা করে একটি কার্যকর সমাধান হবে।’
গত ৮ আগস্ট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকার নিকুঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ সদর দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। তারপর এ অস্থিরতার সৃষ্টি হয়। অভিন্ন নিয়োগ বিধিমালা বাস্তবায়ন ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
পরে সেনাবাহিনীর মধ্যস্থতায় পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত যেকোনো কর্মী বদলি স্থগিত রাখতে সম্মত হওয়ার পর অবরোধ থেকে সরে আসে আন্দোলনকারীরা।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয় এবং দেশের বিদ্যুতায়ন প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। নিয়োগে বৈষম্যকে কেন্দ্র করে এই অভিযোগগুলো তৈরি হয়েছে। একই যোগ্যতা ও একই সমান কাজ করা সত্ত্বেও তাদের পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ডের সহকর্মীদের তুলনায় বৈষম্য করা হয় বলে অভিযোগ করছেন কর্মীরা।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পে পোল ও ১৪০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কিনবে বিআরইবি
২ মাস আগে
ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ে এনজিওগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তিনি এ বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ভারতীয় হাইকমিশনারের
বন্যা মোকাবিলায় সরকারের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে এনজিওগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
আলোচনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও অন্যান্য সহায়তা প্রদানের জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার উপর জোর দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করার কথাও বলা হয়।
এ সময় উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোর্শেদ, অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, রাশেদা কে চৌধুরী, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের প্রধান ফারাহ কবির, ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিল
বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ-ভারত উচ্চ পর্যায়ের কর্মপরিকল্পনা তৈরির প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার
২ মাস আগে
পেনশন ইস্যুতে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষকরা
সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লাগাতার সর্বাত্মক কর্মবিরতির পর অবশেষে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে এ বৈঠক শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৃত্তি কার্যক্রম ডিজিটালাইজড করা হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছি। এর মাধ্যমে আলোচনার শুরু হলো। পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে- সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। এখানে তো আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। কারণ আমাদের অর্থ মন্ত্রণালয় আছে, আরও অন্যান্য কর্তৃপক্ষ আছে। এখানে কিছু বিষয়ে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সর্বজনীন পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে গত ১ জুলাই থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান দেশের ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ডাকে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
এর আগে, এই ইস্যুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে তাদের বৈঠকও হয়। কিন্তু সে বৈঠকে সমাধান না আসায় আন্দোলন চালু রাখেন তারা।
আরও পড়ুন: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী এডিবি
রমজানে ২৫ মার্চ পর্যন্ত খোলা থাকবে স্কুল: শিক্ষা মন্ত্রণালয়
৩ মাস আগে
ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিপিসিসিআই সভাপতি হুমায়ুন রশীদের বৈঠক
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ ফিলিপাইন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (বিপিসিসিআই) নবনিযুক্ত সভাপতি হুমায়ুন রশীদ।
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন সংগঠনটির সহসভাপতি ইমরান আহমেদ।
সোমবার(১১ জুন) ঢাকাস্থ ফিলিপাইন দূতাবাসে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক চলাকালে, নতুন নির্বাচিত কমিটির পক্ষ থেকে হুমায়ুন রশীদ ও ইমরান আহমেদ বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে কার্যকরী বাণিজ্য কৌশলসহ দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়ের সম্ভাব্য সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন।
বৈঠকে বিপিসিসিআই সভাপতি ও সহসভাপতি ২০২৪ ও ২০২৫ সালে সংগঠনের লক্ষ্য তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যকার অর্থনৈতিক সম্পর্ক শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে সংগঠনের প্রতিশ্রুতির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ফলপ্রসূ এ বৈঠকে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে ভবিষ্যৎ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম এবং অংশীদারিত্বের সুযোগ নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। এতে উভয় পক্ষই নতুন সুযোগ এবং বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ করে।
বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দুই অর্থনীতির দেশ – বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে শীর্ষস্থানীয় প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে বিপিসিসিআই।
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিপিসিসিআই দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে পরিসর বাড়ানোর লক্ষ্য অর্জনেও ভূমিকা রাখে এই সংগঠনটি।
৫ মাস আগে
নেপালের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল প্রচন্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে নেপালের কাঠমান্ডুতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি দপ্তর সিংহ দরবারে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে দীর্ঘদিনের পারস্পরিক সুসম্পর্ক, জলবায়ু পরিবর্তনে দুই দেশের সহযোগিতার সম্ভাব্য ক্ষেত্র, বিদ্যুৎ বাণিজ্যসহ অন্যান্য সম্ভাবনা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: বাণিজ্য সম্পর্ক নিয়ে তিন দেশের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পৃথক বৈঠক
বৈঠকে এই অঞ্চলে পরিবেশ ও জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও নেপালের যৌথ অঙ্গীকার তুলে ধরা হয়।
পরিবেশগত বিভিন্ন উদ্যোগে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র বিষয়ে আলোচনা করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী ও পরিবেশমন্ত্রী।
তারা নবায়নযোগ্য শক্তি উন্নয়ন ও জলবায়ু সহিষ্ণুতার কৌশলগুলোতে জ্ঞান বিনিময় এবং সর্বোত্তম অনুশীলনে পারস্পরিক আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক নেপালি শিক্ষার্থী শিক্ষাগ্রহণ করছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া নেপালের প্রধানমন্ত্রী পরিবেশ সংরক্ষণ এবং টেকসই উন্নয়নে নেপালের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ সময় পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী পরিবেশগত সহিষ্ণুতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু ফোরামে সক্রিয় ভূমিকার উল্লেখ করেন।
এছাড়া পরিবেশমন্ত্রী জোরদার দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা থেকে উভয় দেশের উপকৃত হওয়ার সম্ভাবনা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভবিষ্যৎ সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করে বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার দিকে বৈঠকটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত হবে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ড. রূপক সাপকোটা, প্রধানমন্ত্রীর জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. জনপ্রিয় কোমল ভুসাল, নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী, নেপালের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. গোবিন্দ প্রসাদ শর্মা এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. হুমায়ুন কবিরসহ নেপাল সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অংশীদারিত্ব সংলাপ আয়োজনে জ্যৈষ্ঠ কর্মকর্তা পর্যায়ে প্রথম বৈঠক করেছে বাংলাদেশ-জিসিসি
উপজেলা নির্বাচন: সিরাজগঞ্জে প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক, ৫ প্রিজাইডিং কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
৫ মাস আগে
চীন সফরে স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে চীনের মন্ত্রীর দ্বিপাক্ষিক বৈঠক
রবিবার (২৮ এপ্রিল) তিনি চীনের বেইজিংয়ে পৌঁছেছেন।
বেইজিং এ পৌঁছেই তিনি চীনের হাউজিং অ্যান্ড আরবান-রুরাল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রী নি হং সহ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে উভয় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজের ধরনে মিল থাকায় সহযোগিতার ক্ষেত্র খুঁজে বের করে বিনিয়োগের উপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
আরও পড়ুন: সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ ঘাটতি, লোডশেডিং ছাড়িয়েছে ১৮৬০ মেগাওয়াট
বাংলাদেশ ও চীনের এই দুই মন্ত্রণালয়ের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ফলে উভয় দেশই লাভবান হতে পারে বলে বৈঠকে জানানো হয়।
বৈঠকে পানি শোধনাগার প্রকল্পসহ ঢাকা ওয়াসার বিভিন্ন প্রকল্পে বিনিয়োগ বিষয়ে আলোচনা হয়। সাক্ষাৎকালে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী চীনের হাউজিং অ্যান্ড আরবান-রুরাল ডেভেলপমেন্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নি হংকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানান। চীনের মন্ত্রী আমন্ত্রণ গ্রহণ করে সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ ভ্রমণ করার বিষয়ে সম্মতি দেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসিম উদ্দিন, কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. মনসুর উদ্দীন, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মো. নাসির উদ্দিন।
চীনের প্রতিনিধি দলে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিপার্টমেন্ট অব আরবান ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল হু জিয়ান, ডিপার্টমেন্ট অব ভিলেজ অ্যান্ড টাউনশিপ ডেভেলপমেন্টের ডিরেক্টর জেনারেল নিয়ু জাংবিনসহ আরও অনেক কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: বিএসটিআইতে হালাল সার্টিফিকেটের মূল্যায়ন বিষয়ে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকাসহ ৪ জেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের নন-এসি স্কুল বন্ধ থাকবে সোমবার
৬ মাস আগে