বৈঠক
বাণিজ্য সম্প্রসারণে নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত
নেপালের কাকরভিটা স্থলবন্দর থেকে কীভাবে সরাসরি বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে যুক্ত হওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও নেপালের বাণিজ্যমন্ত্রী দামোদার ভান্ডারি।
শনিবার নেপালের স্থানীয় এক হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তারা বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন।
এ ছাড়া তারা দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেও স্থলপথে বাংলাবান্ধা ও কাকরভিটার মধ্যে সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
আরও পড়ুন: নেপাল-ভুটানের সঙ্গে সংযোগ সহজ করবে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর: স্পিকার
প্রতিমন্ত্রী শনিবার সকালে নেপালের 'কাকরভিটা স্থলবন্দর' পরিদর্শন করেন। কাকরভিটা থেকে ভদ্রাপুর বিমানবন্দর দিয়ে কাঠমান্ডুতে পৌঁছেন। কাকরভিটা স্থলবন্দর বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর থেকে ৩৭ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। এই ৩৭ কিলোমিটার ভূখণ্ড ভারতের অংশ। ভারতের ৩৭ কিলোমিটার ভূমি সরাসরি ব্যবহার করে কীভাবে নেপাল বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই রুটটি সরাসরি ব্যবহারে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপাল একসঙ্গে কাজ করবে।
এসময় বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সালাউদ্দিন রোমান চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুন্সী মো. মনিরুজ্জামান, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালনা বোর্ডের খণ্ডকালীন সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া এবং স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম হাসান আলী উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল পঞ্চগড় জেলার 'বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর' দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ী স্থলবন্দর হয়ে ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্ত পরিদর্শনে যান।
ভুটানের ফুন্টসিলিং সীমান্তে প্রতিমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ফুন্টসিলিংএর গভর্নর কারমি জারমি। ফুন্টসিলিং সীমান্ত থেকে তারা 'পাসাখা স্থলবন্দর' পরিদর্শনে যান। তারা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন। বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাবান্ধা থেকে ভুটানের ফুন্টসিলিঙ সীমান্ত এলাকার দূরত্ব ১৪২ কিলোমিটার।
আরও পড়ুন: নেপাল-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখী: বাকৃবিতে নেপাল রাষ্ট্রদূত
দেশে ব্লেন্ডেড লার্নিংয়ের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক
বাংলাদেশে ব্লেন্ডেড লার্নিংয়ের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে ডিজিটাল লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ‘চলপড়ি’র উদ্যোগে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এই বৈঠকে বিভিন্ন এনজিও, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও সরকারের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
‘স্কেলিং ব্লেন্ডেড লার্নিং ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক বৈঠকটিতে সভাপতিত্ব করেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী এবং চলপড়ির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরীন মাহমুদ হোসেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
অনুষ্ঠানে হাটহাজারী উপজেলার ৫৬টি স্কুলে ব্লেন্ডেড লার্নিংয়ের উপর চলপড়ির পরিচালিত প্রকল্পের ফলাফল তুলে ধরা হয়।
সেখানে দেখা যায়, শিক্ষার্থীদের গণিত ও ইংরেজির ফলাফল এবং ক্লাসে অংশগ্রহণ আগের চেয়ে বেড়েছে।
বৈঠকে উঠে আসে ব্লেন্ডেড লার্নিংয়ের বিস্তার ও দীর্ঘমেয়াদি সাফল্যের জন্য কার্যকর পরিকল্পনা ও উদ্যোগের কথা।
এছাড়া বাংলাদেশে তুলনামূলক নতুন এই পদ্ধতিটির সঙ্গে পরিচয়ের জন্য যথাযথ শিক্ষক প্রশিক্ষণ, পাঠ্যক্রমে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও শিক্ষা কার্যক্রমে অভিভাবকদের সংযুক্তি নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সভাপতির বক্তব্যে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী বলেন, শিক্ষক যখন বলবেন ‘আই অ্যাম দ্য সলিউশন’, তখনই ডিজিটাল এডুকেশন আর ব্লেন্ডেড লার্নিং বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আর এই দায়িত্ব থেকে সরকারকে আমরা সরে যেতে দেব না। আর সেজন্য শুধু সফলতার গল্প নয়, আমাদের প্রমাণনির্ভর অ্যাডভোকেসি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমকে সফল করতে হলে অন্য সব অংশীজনের মতো আমাদের অভিভাবকদের কথাও শুনতে হবে। তারা এই বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।
চলপড়ির প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরীন মাহমুদ হোসেন বলেন, ব্লেন্ডেড লার্নিং ও পিয়ার টু পিয়ার লার্নিংয়ের মাধ্যমে আমরা এমন একটি শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে পারি, যা হবে সময়োপযোগী, দায়িত্বশীল ও লক্ষ্যনির্ভর।
বৈঠকে ব্লেন্ডেড লার্নিং বাস্তবায়নের একটি আনুষ্ঠানিক ও কাঠামোগত নীতিমালা তৈরির আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
সেইসঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে একসঙ্গে এই লক্ষ্যে কাজ করার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন বক্তারা।
চলপড়ি সম্পর্কে
বাংলাদেশি ডিজিটাল লার্নিং প্ল্যাটফর্ম চলপড়িতে আছে জাতীয় শিক্ষাক্রমের ভিত্তিতে তৈরি ইংরেজি ও গণিতের মজার মজার মাল্টিমিডিয়া লেসন, প্র্যাকটিস সেট ও রং-বেরঙের বই।
বাংলাদেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিশুর মাঝে মানসম্পন্ন ও আনন্দদায়ক শিক্ষা উপকরণ পৌঁছে দিতে ২০২০ সাল থেকে কাজ করছে চলপড়ি।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিয়ে ওআইসি বৈঠকে যোগ দিতে জেদ্দায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইসরায়েলি আগ্রাসন বিষয়ক ওআইসির বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তুরস্কের স্থানীয় সময় রবিবার আনতালিয়ায় কূটনৈতিক ফোরামের তৃতীয় দিনে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এ সময় হাকান ফিদানকে এ প্রস্তাব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি কৃষক ও বিশেষজ্ঞরা তুরস্কে মৌসুমি চাষ করবেন এবং ফলনের পর বাংলাদেশে ফিরে যাবেন।’
তুরস্ক বিষয়টি পরীক্ষা করবে এবং আগামী জুলাই মাসে ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তরের পরবর্তী পরামর্শের সময় এটি নিয়ে আলোচনার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অভিবাসী ও শরণার্থীদের সংজ্ঞা পরিবর্তন করতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান
গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করা এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে তার দেশের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন ফিদান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা বন্ধ করতে এবং আরব দেশগুলোর সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে তুরস্কের বৃহত্তর ভুমিকা কামনা করেন।
বৈঠকে উভয় নেতা আশা প্রকাশ করেন, ইউক্রেনের যুদ্ধ শিগগিরই শেষ হবে এবং এইভাবে জ্বালানি, এলএনজি ও ফসলের দাম কমবে। যা এখন উভয় দেশের পাশাপাশি উন্নয়নশীল বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তুর্কি হোপ স্কুল নিয়ে তুরস্ক উত্থাপিত বিষয়ের প্রতিক্রিয়ায় ড. হাছান মাহমুদ আশ্বস্ত করেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ও আইন মন্ত্রণালয় উভয়ই শিগগিরই তুর্কি হোপ স্কুল ব্যবস্থাপনার বিষয়টি নিষ্পত্তি করবে।
আনতালিয়া ফোরামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ফেরত চিঠি হাকান ফিদানকে হস্তান্তর করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় নয়জন রাষ্ট্রপ্রধান এবং ৭০ জন পররাষ্ট্রবিষয়ক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর উপস্থিতিতে অত্যন্ত সফলভাবে আনতালিয়া কূটনৈতিক ফোরাম আয়োজনের জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান তিনি।
তুরস্কের স্বাধীনতার শতবর্ষ এবং বাংলাদেশ ও তুরস্কের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উপলক্ষে হাকান ফিদানকে অভিনন্দন জানিয়ে ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের সংগ্রাম থেকে শক্তিশালী অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন এবং দুই ভ্রাতৃপ্রতিম জাতির বন্ধুত্বের উষ্ণ বন্ধন প্রতিনিয়ত দৃঢ়তর হচ্ছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উপযুক্ত সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান তিনি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ শাখার মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী এবং তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আমানুল হক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোড অগ্নিকাণ্ড: জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
গাজায় মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বন্ধে ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
জার্মানির মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের ফাঁকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী আবদুর রহমান আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার(১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকালে মিউনিখের হোটেল বায়েরিসচার হফে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ও আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানি পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
১৬ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে ‘মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন-২০২৪’।
আরও পড়ুন: জার্মানিতে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে এডিবির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের বৈঠক
চাহিদা, এডিবির পোর্টফোলিওর মূল বিষয়গুলো চিহ্নিতকরণ এবং মন্ত্রণালয়কে আরও নিবিড়ভাবে সহায়তা করার লক্ষ্যে আগামী তিন বছরের জন্য স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় বলে জানিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) প্রতিনিধিদল।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল। সাক্ষাৎকালে উভয়পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানের ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের বৈঠক অনুষ্ঠিত
প্রতিনিধিদলের সদস্যরা এ সময় জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবিলায় কী ধরনের প্রকল্প নেওয়া সম্ভব, আন্তঃসম্পদের সঠিক ব্যবহারের জন্য পৌরসভা বন্ড চালুকরণের সম্ভাব্যতা, গ্রামীণ পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নতকরণ, নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্প এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিনিয়োগ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
এছাড়াও রাজধানী ঢাকার চারপাশে নদীগুলোর নাব্য রক্ষা এবং নৌ যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় নদীর দূষণ, দখল ও নাব্য রক্ষায় প্রকল্পের সম্ভাব্যতা নিয়ে মত বিনিময় হয়।
বৈঠকে পরামর্শক দলে ছিলেন- সাউথ এশিয়ার ডিপার্টমেন্টের মহাপরিচালক তাকেও কনিশি, এডিবির বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটিংসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর প্রধানরা।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এডিবি চলমান দ্রুত নগরায়ন এবং মৌলিক নগর অবকাঠামোর জন্য অগ্রাধিকার বিবেচনা করে বড় শহরগুলোতে জল সরবরাহ এবং স্যানিটেশন (বর্জ্য ব্যবস্থাপনা) এবং শহরগুলোকে আরও বাসযোগ্য করে তোলার জন্য সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে বৈঠকে জানানো হয়। মডেল শহর গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় এডিবির আগ্রহ রয়েছে বলে বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।
পরবর্তীতে ফ্রান্সের আন্তর্জাতিক জলবায়ু সমঝোতাবিষয়ক অ্যাম্বাসেডর স্টেফান ক্রুজাটের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি মাসদুপে এবং ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (এএফডি) বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
বৈঠকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন কার্যক্রমের বিস্তারিত আলোচনা শেষে এ সম্পর্কিত প্রকল্পে বিনিয়োগে ফ্রান্সের আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের তিনটি প্রকল্পে ফ্রেঞ্চ ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (এএফডি) অর্থায়ন করেছে, যার পরিমাণ ১৫ হাজার ৪১৫ দশমিক ০৯ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে: জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
দিল্লি সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে অত্যন্ত আন্তরিক পরিবেশে খোলামেলা ও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউজে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে প্রথমে একান্ত ও পরে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দু'দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক যে নতুন উচ্চতায় উঠেছে, সেটিকে আরও ঘনিষ্ঠ ও গভীর করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
ড. হাছান বলেন, ‘সীমান্তে হত্যা নয় সৌহার্দ্য বজায় রাখা, আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ বৃদ্ধিতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরকে ভারতের ব্যবহারের কার্যকর সূচনা, বিদ্যুৎ শক্তির উৎসজনিত সহায়তার বিষয়সমূহের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকারসহ তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারে চলমান পরিস্থিতি নিয়েও একযোগে কাজ করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: উন্নয়ন-অগ্রগতির স্বার্থে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি বজায় রাখা প্রয়োজন: দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আনুষ্ঠানিক বৈঠক পর্বে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব স্মিতা প্যান্ট এবং দু'দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের আমন্ত্রণে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফরে এসে বুধবার দুপুরে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সরদার প্যাটেল ভবনে এ বৈঠক শেষে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর দাহস্থান ও স্মৃতিসৌধ চত্বরে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করে সৌধ পরিদর্শন বইতে সই করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
বিকালে প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়াতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
প্রেসক্লাবে ২০২১ সালে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে থাককালে হাছান মাহমুদের উদ্বোধন করা বঙ্গবন্ধু কর্ণারটি তিনি ঘুরে দেখেন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনে বক্তৃতা এবং ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গয়ালের সঙ্গেসহ একাধিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের কথা রয়েছে মন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: নয়া দিল্লিতে বিমসটেক অ্যাকুয়াটিক চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪-এর উদ্বোধন
নয়া দিল্লিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, জয়শঙ্করের সঙ্গে আজ বৈঠক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের মধ্যে আজ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগের পর প্রথম ৩ দিনের সরকারি সফরে রাত ১টার কিছু আগে নয়া দিল্লি পৌঁছান হাসান মাহমুদ।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান এবং উজবেকিস্তানে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত স্মিতা পন্থ বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
ভারত বলেছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছানের নয়া দিল্লিতে প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর উভয় দেশের সম্পর্ককে উচ্চ গুরুত্ব ও অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয় প্রতিফলিত করে।
আরও পড়ুন: ইন্দো-প্যাসিফিকে সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারে আলোচনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সফরকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বৈঠক করবেন। যেখানে উভয় নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিস্তৃত ক্ষেত্রের অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন এবং ভবিষ্যতের সম্পৃক্ততার এজেন্ডা নির্ধারণ করবেন।
তারা অভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট উপ-আঞ্চলিক, আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় ইস্যু নিয়েও মতবিনিময় করবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটিই হাসানের প্রথম বিদেশ সফর।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে চমকে দিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নয়া দিল্লিতে অবস্থানকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করার কথা রয়েছে।
একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, যেহেতু পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক করবেন, তাই আঞ্চলিক ইস্যুর প্রেক্ষাপটে মিয়ানমারের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তার একটি সেমিনারে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইউ-ইন্দো-প্যাসিফিক ফোরাম: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও সবুজায়নে শক্তিশালী সহযোগিতার প্রস্তাব পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় হাইকমিশনারের বৈঠক
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন ভারতের হাইকমিশনার।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার।
আরও পড়ুন: সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
বৈঠকে দুই দেশের কৃষিখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এ সময় মো. আব্দুস শহীদ ভারতের উদ্ভাবিত বিভিন্ন ফসলের উচ্চ ফলনশীল জাত বাংলাদেশে অবমুক্তি, চাষ ও বীজ উৎপাদনের জন্য ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় সীমান্তমুক্ত বীজের প্রস্তাব দেন তিনি।
এছাড়া সেচকাজে সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহার এবং বাংলাদেশকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞামুক্ত রেখে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন মন্ত্রী।
ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারতেও মাঝে মধ্যে কোনো কোনো পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয়, দাম বেড়ে যায়। সেজন্য অনেক সময় রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক সময় বিশেষ ছাড় বা স্পেশাল এক্সেমশন দেওয়া হয়ে থাকে।
এ সময় কৃষি গবেষণা জোরদার করতে দুই দেশের একসঙ্গে কাজ করার উপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
শিগগিরই উচ্চ পর্যায়ের সাইন্টিফিক ভিজিটের মাধ্যমে গবেষণার অগ্রাধিকার খাত চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভিয়েতনাম,বেলজিয়াম, চেক ও সুইডেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ড. হাছানের বৈঠক
কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি বিশেষ করে ড্রোনের ব্যবহার, এগ্রো-প্রসেসিং, পোস্ট হার্ভেস্ট ব্যবস্থাপনা, কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন প্রভৃতি বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন ভারতের হাইকমিশনার।
এসময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত আমাদের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু। স্বাধীনতার সময় থেকে তারা সবসময় আমাদের পাশে আছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় আমরা ভারতে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলাম। প্রায় এক কোটি মানুষকে ভারতে আশ্রয় দিয়েছিল, বিভিন্ন রকম সহযোগিতা করেছিল, কখনো মনে হয়নি আমরা রিফিউজি হিসাবে ভারতে আছি।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে মন্ত্রী আরও বলেন, ফসলের উন্নত জাতের বীজ সীমান্তমুক্ত থাকলে আমরা ফসলের উৎপাদন আরও বাড়াতে পারব। খাদ্যে উদ্বৃত্ত হওয়াও সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, গবেষণা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। কৃষি গবেষণায় আমরা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাই। দেশে আমরা কৃষি গবেষণার সুযোগসুবিধা ও বিজ্ঞানীর সংখ্যা বাড়াতে চেষ্টা করব।
আরও পড়ুন: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও তাসখন্দ স্টেট ইউনিভার্সিটি অব ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের রেক্টরের বৈঠক
সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের বিচার বিভাগের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতাবিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা বিন ইউসুফ আল-দুহাইলানের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
এছাড়া এটি অত্যন্ত ফলপ্রসু হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: অপপ্রচার ও গুজবকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চান তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বর্তমান সংসদে এমপিদের সংখ্যা এবং এ সংক্রান্ত আইনের অস্পষ্টতার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ব্যাপারটা হচ্ছে সংবিধানে এখন যা আছে, সেভাবেই দেশ চলছে এবং এটা আজকে সংবিধানে সন্নিবেশিত করা হয়নি। এটা চতুর্দশ সংশোধনীতে সংযোজন করা হয়েছিল। এখন যে বিষয়টা নিয়ে আলাপ করা হচ্ছে, এটার বোধহয় খুব একটা গুরুত্ব নেই। তারপরও আমি বলব, নীতি-নির্ধারকরা যদি মনে করেন এখানে কিছু আরও স্পষ্ট করার প্রয়োজন আছে, সেটা দেখা যাবে।
কোন জায়গাটা স্পষ্ট করার প্রয়োজন- এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি এখনো জানি না। নীতি-নির্ধারকরা প্রয়োজন বোধ করলে কোন জায়গায় সেটা নীতি-নির্ধারকরা সিদ্ধান্ত নেবেন। তারপর সেটা হবে। আমার মনে হয় এখন যা হয়েছে সবকিছুই সাংবিধানিক হয়েছে।
বৈঠকে সৌদি রাষ্ট্রদূত আইনমন্ত্রীকে জানান, মুসলিম বিশ্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বোন হিসেবে মনে করেন এবং তারা এই সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে অত্যন্ত আগ্রহী।
এছাড়া বৈঠকে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক উন্নয়নেও তারা উভয়ই একমত পোষণ করেন।
আরও পড়ুন: আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আগামী ৫ বছর উন্নয়ন কাজের গতি বাড়ানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হাছান মাহমুদের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক
উগান্ডার কাম্পালায় ১৯-২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কয়েক দফা বৈঠক করেন।
তিনি নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ প্রকাশ সৌদ, বতসোয়ানার পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেমোগাং কোয়াপে এবং বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই আলেইনিকের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া কাম্পালায় কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল-মুরাইখ এবং ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রবিষয়ক ভাইস মিনিস্টার পাহালা নুগ্রহা মনসুরির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি সহ্য করা হবে না: নতুন মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
তারা বাংলাদেশের নতুন সরকার ও বিশেষ করে ড. হাছান মাহমুদকে তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণ করায় অভিনন্দন জানান।
এসব বৈঠকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক জোরদারসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ।
শনিবার ও রবিবার তার আরও কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
২০২৪ সালের ২১-২২ জানুয়ারির জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) ১৯তম শীর্ষ সম্মেলন এবং জি-৭৭’র দক্ষিণ সম্মেলনে (সাউথ সামিট) বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাছান মাহমুদ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ এ মুহিত এবং কেনিয়া ও উগান্ডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ তারেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: বকেয়া পাওনা আদায়ে টেলিটক-বিটিসিএল-বিটিআরসির বৈঠক অনুষ্ঠিত
শ্রমবাজার ইস্যুতে কাতারের শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বৈঠক