বৈঠক
বাংলাদেশ-পাকিস্তান পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক চলছে
গেল পনেরো বছরের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক চলছে। এমন এক সময় এই বৈঠক শুরু হয়েছে, যখন দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ তাদের সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এই বৈঠক শুরু হয়েছে। সর্বশেষ দুই দেশের মধ্যে ফরেন অফিস কনসাল্টেশনস (এফওসি) হয়েছে ২০১০ সালে।
বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন। আর পাকিস্তানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। এই বৈঠকে অংশ নিতে গতকাল বুধবার আমনা বালুচ ঢাকায় আসেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া শাখার মহাপরিচালক ইশরাত জাহান ও পাকিস্তানে ঢাকার হাইকমিশনারও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দল
চলতি মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইশহাক দারের বাংলাদেশে সরকারি সফরে আশার কথা রয়েছে। এরআগে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় এসেছিলেন।
মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেন, বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থের সব বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হবে।
সম্প্রতি পাকিস্তানের কয়েকটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দলও ঢাকায় সফরে আসেন। এতে দুপক্ষই পারস্পরিক আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে নির্দিষ্ট পণ্যভিত্তিক বাণিজ্য প্রতিনিধিদের পাকিস্তান সফরের প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
এনসিপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠকের অংশ হিসেবে নাহিদ ইসলামসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাজ্যের সমর্থন এবং একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথ নিয়ে তারা আলোচনা করেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) এ তথ্য জানায় হাইকমিশন।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ইউরোপীয় দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এনসিপির নেতারা। সে সময় দলের দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকার নিয়ে আলোচনা করেন তারা। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমর্থনের বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার উপস্থিত ছিলেন।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা বৈঠকে দলটির প্রতিনিধিত্ব করেন।
বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং যে প্রেক্ষাপটে এনসিপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সে সম্পর্কে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া এনসিপির প্রস্তাবিত সংস্কার ও বিচার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারের কথা বৈঠকে তুলে ধরা হয়।
১৬ ঘণ্টা আগে
ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দল
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করছেন বিএনপির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক শুরু হয়েছে।
এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান। বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১২টার মধ্যে আলাদা আলাদাভাবে বিএনপির প্রতিনিধিদলের সদস্যরা যমুনায় প্রবেশ করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় যমুনায় পৌঁছান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
পরে সেখানে আসেন দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। এরপর তাঁরা যমুনায় প্রবেশ করেন। দুপুর পৌনে ১২টায় যমুনায় প্রবেশ করেন বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খান। এরপর উপস্থিত হন দলটির নেতা জমির উদ্দিন সরকার।
আরও পড়ুন: দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
দুপুর ১২টায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমদ একসঙ্গে যমুনায় প্রবেশ করেন। সবশেষ আসেন দলটির নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
এ ছাড়া সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টার গাড়ি যমুনায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
বিএনপির সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে দলটির নেতারা প্রধান উপদেষ্টার কাছে সুনির্দিষ্ট করে জানতে চাইবেন কবে নাগাদ নির্বাচন হবে এবং নির্বাচনের রোডম্যাপ কবে ঘোষণা করা হবে। উপদেষ্টার বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে না পারলে বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের নিয়ে আবার মাঠের কর্মসূচিতে যেতে পারে।
১ দিন আগে
মোদি-ইউনূস বৈঠক: হাসিনাকে বিষোদগারের সুযোগ না দেওয়ার অনুরোধ
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যাতে ভারতে বসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করার সুযোগ না দেওয়া হয়, দেশটির কাছে সেই অনুরোধ জানানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপ্রতিনিধি খলিলুর রহমান।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। গেল ৩ থেকে ৪ এপ্রিল থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিমসটেকের ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের উল্লেখযোগ্য বৈঠক ও সফলতা নিয়ে কথা বলতে এই সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। এ সময়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের সময় শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছেন। জবাবে তারা কী বলেছেন, জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘বালাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যার্পণের বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। বলেছি যে প্রত্যার্পণ সাপেক্ষে তিনি (হাসিনা) দেশ ও সরকারের বিরুদ্ধে যে বিষোদগার করেছেন, সেটার সুযোগ যাতে ভারত সরকার তাকে না দেয়।’
শেখ হাসিনাকে প্রত্যার্পণের বিষয়ে মোদির জবাব কী ছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা অনুরোধ করেছি। এ বিষয়ে দুপক্ষ কাজ করবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে বলেছেন যে বাংলাদেশের সাথে যে সম্পর্ক সেটা কোনো ব্যক্তি বা দলের সঙ্গে না, এটা রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে। আমরাও তা মনে করি। সেই ভিত্তিতে আমরা দুটি রাষ্ট্রের সম্পর্ক এগিয়ে নেব।’
গেল ৪ এপ্রিল ব্যাংককের সাংরিলা হোটেলে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের।
সংখ্যালঘুদের দাবিয়ে রাখা ক্ষতিকর
সংখ্যালঘুদের দাবিয়ে রাখার চেষ্টা একটি দেশের জন্য ক্ষতিকারক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার এই উচ্চপ্রতিনিধি। তিনি বলেন, একপক্ষকে আরেকটি পক্ষের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেওয়া ব্রিটিশদের কাজ।
যখনই ভারতের সঙ্গে আলাপ হয়, তখন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন তারা। কিন্তু মোদির সঙ্গে বৈঠকে ভারতের সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়টি তুলছেন কিনা; প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সংখ্যালঘুর প্রশ্নটি ব্রিটিশ আমল থেকেই আছে। দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, ব্রিটিশরা চলে গেছেন, কিন্তু সমস্যাটা আমাদের দেশে রয়ে গেছে। এক সম্প্রদায়কে আরেক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লাগিয়ে দেওয়া ব্রিটিশদের কাজ। আমরা দুপক্ষই ভুক্তভোগী। আমাদের কোনো লাভ নেই, আমাদের বুঝতে হবে।’
‘কোনো দেশের সংখ্যালঘুদের দাবিয়ে রাখার মানে হচ্ছে, একটি জনগোষ্ঠী মূলস্রোতে আসতে পারছেন না। এটা ক্ষতি। যে দেশে এটা ঘটছে, সেটা তাদের ক্ষতি,’ যোগ করেন তিনি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নানা রকমের ঘটনা ঘটেছে বলে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বীকার করছি, ৫ আগস্টের পর পাঁচ-সাতদিন সরকার ছিল না। সে সময়ে নানা ঘটনা ঘটেছে। যে দলের পতন ঘটেছে, তাদের হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সবার ওপর নানা রকম হামলা হয়েছে। যেটা খুব দুঃখজনক। কারণ আইন হাতে নিয়ে নেওয়া উচিত না।’
তবে এখন সবাই বুঝতে পেরেছেন, সেই আগের অবস্থা নেই। সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা ওই স্কেলে তো ঘটেনি। তবুও আমরা বলবো, আমরা কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাব দেখতে চাই না। সরকার সবকিছু করতে পারবে না। আমাদের সামাজিক দায়িত্ববোধেরও একটা বিষয় আছে। আমাদের সবাইকে মিলেই কাজটি করতে হবে। আপনি বলছেন, ভারতে হচ্ছে, ভারতে হচ্ছে বলে আমাদের দেশেও হবে নাকি? আমরা তো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটা উদহারণ বলে নিজেদেরকে অভিহিত করি। সেই কাজটা আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।
গঙ্গা পানি চুক্তি নবায়নে আলোচনা
গঙ্গার পানি চুক্তি ২০২৬ সালে শেষ হচ্ছে। সেটা নবায়নে কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যাতে করে আলোচনাগুলো মসৃণভাবে শুরু হয়, সে জন্য আমরা দুপক্ষই যোগাযোগ রাখছি। আমাদের ধারণা, ভারতের কাছ থেকে আমরা এ বিষয়ে ভালো সহযোগিতা পাবো। তিস্তার বিষয়ে তাদের জানিয়েছি। আমাদের দেশের ১৪ শতাংশ তিস্তা অববাহিকায় বসবাস করেন।’
আরও পড়ুন: আরাকানের যুদ্ধাবস্থা নিরসন করেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন: খলিলুর রহমান
‘তাদের জীবন-জীবিকা, ভবিষ্যত, ওই অঞ্চলের ইকোলজি সবকিছু নির্ভর করছে পানির সহজলভ্যতার ওপর। পানি নেই, পুরো জায়গাটিই নেই।’
খলিলুর রহমান বলেন, ‘এই তিস্তা অববাহিকায় ন্যূনতম পরিমাণ পানি নিশ্চিত করা বাংলাদেশ সরকারের একটি বিশাল অগ্রাধিকার। ১৪ শতাংশ লোককে একেবারে এ ধরনের পরিস্থিতিতে ঠেলে দিতে পারেন না। সে জন্য আমরা সবার সাথে কথা বলেছি। ভারতকে বলেছি, চুক্তিটি করেন। পাশাপাশি, অন্য বিকল্পগুলোও হাতে রাখতে হবে।’
স্মৃতিকথায় থাকবে অজিত দোভালের সঙ্গে কথোপকথন
৩ এপ্রিল রাতে বিমসটেকের অফিশিয়াল নৈশভোজে ছিলেন আপনারা। সেখানে আপনাকে দেখেছি, ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে মগ্ন হয়ে কথা বলতে। সেখানে আপনাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘অজিত দোভালের সঙ্গে যেদিন কথা বলি, তার দুদিন আগে আমেরিকান ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার অ্যালেক্স এন ওয়ংয়ের সঙ্গে আমার আলাপ হয়। তিনি ফোন করেছিলেন।’
‘সেখানে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে কথা হয়েছে। অ্যালেক্স এন কিন্তু চাকরিতে আছেন। কেউ কেউ বলছেন তার চাকরি গেছে। কিন্তু তিনি চাকরিতে আছেন, তিনি ডেপুটি ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার এবং তিনি হোয়াইট হাউসে বসেন।’
প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপ্রতিনিধি বলেন, ‘দোভালের সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরে আলাপ হয়েছে। ঘড়ি ধরে তো আলাপ করিনি। আমরা আলাপে মগ্নই ছিলাম। আমি সব জানাব, আমার স্মৃতিকথায়।’
৮ দিন আগে
ট্রাম্পের শুল্কারোপ: জরুরি বৈঠক ডাকলেন প্রধান উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পণ্যে প্রবেশে অতিরিক্ত ৩৭ শতাংশ শুল্কারোপের ঘটনায় জরুরি বৈঠক ডেকেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, শীর্ষপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ, উপদেষ্টা এবং কর্মকর্তারা বৈঠকে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করব: প্রধান উপদেষ্টা
গেল ৩ এপ্রিল আকস্মিক এই শুল্কারোপে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির ওপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাত। এককভাবে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানি গন্তব্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা কিছুটা কমে আসবে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শিল্পখাত সংশ্লিষ্টরা। এতে ভারত ও পাকিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে যাবে বলেও মনে করেন তারা।
তাদের ভাষ্যে, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে হবে, পাশাপাশি টিকফা চুক্তির আলোকে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বসতে হবে।
আরও পড়ুন: সেভেন সিস্টার্স নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা সৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কথাই বলেছেন: হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ
দুদেশের স্বার্থের ব্যাপারে সমঝোতা করলে বাংলাদেশের ওপর যে শুল্কারোপ করা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসন তা তুলে নিতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তারা। বাংলাদেশ যদি যথাযথ পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তৈরি পোশাক খাতের অর্ডার ভারত, তুরস্ক, মিসর ও হন্ডুরাসের মতো দেশগুলোতে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
১২ দিন আগে
মোদি-ইউনূস বৈঠক: হাসিনাকে প্রত্যর্পণসহ সীমান্ত হত্যা নিয়ে আলোচনা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণসহ দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কথা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের সাংরিলা হোটেলে ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন শেষে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৪ এপ্রিল) মধ্যাহ্নের পর তাদের দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক হয়েছে।
পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের এমন তথ্য দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করবো: প্রধান উপদেষ্টা
দুই নেতার বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বৈঠকে দুদেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট যতগুলো ইস্যু ছিল, সবগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আমাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট যতগুলো বিষয় ছিল, সবগুলো বিষয়ই প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। যেমন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বিষয়ে কথা হয়েছে। শেখ হাসিনা যে ওখানে (ভারতে) বসে ইনসিন্ডিয়ারে (হিংসাত্মক) কথা বলছেন, সেগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। সীমান্ত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘গঙ্গা পানি চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে, নতুন করে সেটা করা নিয়ে কথা হচ্ছে। তিস্তা পানি চুক্তি নিয়েও কথা হয়েছে।’
বৈঠকটি অনেক গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শফিকুল আলম।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপ্রতিনিধি খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মতো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়েছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডে প্রথমবারের মতো মোদি-ইউনূস বৈঠক
১৩ দিন আগে
থাইল্যান্ডে প্রথমবারের মতো মোদি-ইউনূস বৈঠক
থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে দুই নেতার মধ্যে এই বৈঠক হয়। যা জুলাই অভ্যুত্থানের পর ঢাকা-দিল্লির সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বার্তা সংস্থা ইউএনবি এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চপ্রতিনিধি খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি–বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ও পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর এই প্রথমবারের মতো অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির বৈঠক হয়েছে।
এরআগে বৃহস্পতিবার বিমসটেক সম্মেলনের নৈশভোজে দুই নেতার সাক্ষাৎ হয় এবং তারা কুশলাদি বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করবো: প্রধান উপদেষ্টা
১৩ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক, অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে ২৫ ফেব্রুয়ারির অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে দলটি।
আরও পড়ুন: আজহারকে মুক্তি না দিলে নিজেকে গ্রেপ্তারের আর্জি জামায়াত আমিরের
আজ এক বিবৃতিতে দলের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এই ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ২৫ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর সিনিয়র নেতাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান তার স্বেচ্ছায় গ্রেপ্তার হওয়ার কর্মসূচিও আপাতত স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছেন।’
৫১ দিন আগে
দেশে জলবায়ু ন্যায়বিচার ও নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় অব্যাহত সহযোগিতার আশ্বাস অস্ট্রেলিয়ার
জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাসহ সংকট মোকাবিলা, নারীর অধিকার নিশ্চিতসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত একশনএইড বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এই আশ্বাস দেন অস্ট্রেলিয়ার জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক দূত ক্রিস্টিন টিলি। আজ (শুক্রবার) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল এবং একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির।
জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিতে সরকারি, বেসরকারি সংস্থাসহ সবার একাগ্র প্রচেষ্টার আহ্বান জানিয়ে ক্রিস্টিন টিলি বলেন, ‘জলবায়ু ন্যায়বিচার তখনই প্রতিষ্ঠা পাবে যখন জলবায়ু পরিবর্তনে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কথা আমরা তুলে আনতে পারব। এজন্য প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের লড়াইয়ের কথা (আমরা) শুনতে চাই; তাদের সেভাবে সহযোগিতা করতে চাই।’
‘এ লড়াইয়ের যাত্রায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে একশনএইড বাংলাদেশ দেশের উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। আমরা তাদের সঙ্গে এই প্রচেষ্টায় সঙ্গী হতে পেরে আনন্দিত। আশা করছি, জলবায়ু ন্যায়বিচার, নারী অধিকার নিশ্চিতসহ বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারব।’
আরও পড়ুন: পরিবেশগত সহযোগিতা জোরদারে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক
নারী ও তরুণদের নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষদের কথা বৈশ্বিক পর্যায়ে উঠে আসবে বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার সুসান রাইল।
তার কথায়, ‘অস্ট্রেলিয়া ও একশনএইড বাংলাদেশের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। আমরা দুপক্ষই জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের জন্য (আমরা) কাজ করতে চাই। বিশেষ করে জলবায়ু ঝুঁকিপ্রবণ কমিউনিটির পাশে থাকতে চাই। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, নারী ও তরুণ কমিউনিটির জীবন-জীবিকার মানোয়ন্নন ও নেতৃত্ব বিকাশে কাজ করতে চাই। তাদের কণ্ঠই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
একশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির বলেন, ‘১৯৮২ সালে ভোলায় জলবায়ু বিপর্যয়ের মোকাবিলার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে একশনএইড বাংলাদেশ। জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার এই লড়াই অব্যাহত রয়েছে। আমরা লক্ষ করি, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকার প্রান্তিক মানুষ। বিশেষ করে দেশের নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়ে থাকেন। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে অংশীদারত্বে তাদের জীবনমান উন্নয়নে আরও বড় পরিসরে কাজ করা সম্ভব বলে আমরা আশা রাখি।’
বৈঠকের একপর্যায়ে জলবায়ু পরিবর্তনে প্রভাবিত সম্মুখ সারির কমিউনিটির সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করেন ক্রিস্টিন টিলি। এ সময় পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়ার দুলালী বেগম এবং শ্যামনগরের রেক্সোনা খাতুন জলবায়ু বিপর্যয়কালে কাটানো দুর্ভোগ আর মোকাবিলার কথা তার কাছে তুলে ধরেন।
এ সময় জলবায়ু নিয়ে কাজ করা তরুণদের প্রতিনিধি রায়হান নুরনবীসহ বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়ান কমিশন ও একশনএইড বাংলাদেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
৫৪ দিন আগে
কেমন বাংলাদেশ চাই, ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তা নির্ধারিত হবে: প্রেস সচিব
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকের মাধ্যমে আমরা কেমন বাংলাদেশ চাই, তা নির্ধারিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আজকে একটি ঐতিহাসিক দিন। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শুরু হয়েছে। বলা যায়, এটি প্রস্তুতিমূলক সভা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে ২৬টি দল ও জোটের প্রায় ১০০ জন রাজনীতিবিদ এতে অংশগ্রহণ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘যতগুলো দলকে আমরা আমন্ত্রণ জানিয়েছি, তারা সবাই অংশ নিয়েছে। বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আর জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।’
আরও পড়ুন: ইউনূসের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে আ.লীগের পাশাপাশি ভারতীয় মিডিয়াও: প্রেস সচিব
শফিকুল আলম বলেন, ‘ড. ইউনূস বলেছেন যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম অধ্যায় শেষ হয়েছে প্রথম ছয় মাসে। আজকের সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হচ্ছে। আমরা যে বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি, তার প্রতি সবার সমর্থন আছে। বড় বড় দেশগুলো বলেছে— আপনাদের কী চাই? আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘেরও পুরো সমর্থন আছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের যে প্রতিবেদন এসেছে, তাতে পুরো পৃথিবী জানতে পেরেছে— এখানে কীরকম ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড হয়েছে, কে সেই নির্দেশ দিয়েছে ও কীভাবে এ দেশের মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। কাজেই নতুন যে বাংলাদেশ গড়তে চাচ্ছি, তার সঙ্গে পুরো পৃথিবী ও বাংলাদেশের সবাই আছে। এখন এই সংলাপের মাধ্যমে কীরকম বাংলাদেশ আমরা চাই, সেটি নির্ধারিত হবে।’
৬০ দিন আগে