স্বাধীনভাবে
বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমের বিকাশ তার আমলেই হয়েছে এবং যা বলতে চায় তা বলার স্বাধীনতা রয়েছে গণমাধ্যমের।
মঙ্গলবার প্রচারিত ভয়েস অব আমেরিকার (ভোয়া) বাংলা বিভাগের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সব কিছু বলার পর কেউ যদি বলে যে তাকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না, তার উত্তর কী হবে? আমি এটাই জানতে চাই।’
মার্কিন ওই গণমাধ্যমটিকে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী তার সরকার কর্তৃক প্রণীত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর এর প্রভাব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাব এসব কথা বলেন। তিনি এখন যুক্তরাষ্ট্র সফরে ওয়াশিংটনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে আপোষ করেননি: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে তিনি ক্ষমতায় আসার আগে বাংলাদেশে মাত্র কয়েকটি টিভি ও রেডিও স্টেশন ছিল এবং সেগুলো সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর বেসরকারি খাতকে অবাধে মিডিয়া হাউস চালানোর পথ খুলে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, অনুমোদিত ৪৪টি টিভি চ্যানেলের মধ্যে এখন ৩২টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল চালু রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ টেলিভিশন টকশোতে অংশ নিচ্ছে এবং তারা স্বাধীনভাবে কথা বলছে- সত্য বা মিথ্যা এবং তারা সরকারের সমালোচনা করে।
তিনি আরও বলেন, সামরিক স্বৈরাচারের সময় বাক বা চলাফেরার স্বাধীনতা ছিল না।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী হলেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন বুধবার
২ বছর আগে
বিচার বিভাগকে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার আহ্বান বিএনপির
সংকীর্ণ রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সরকারকে সাহায্য না করে নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটি।
শুক্রবার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কারণ আপিল বিভাগ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের করা লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, তাদের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেছেন ‘দুর্ভাগ্যবশত জনসাধারণের মনে ধারণা রয়েছে যে বিচার বিভাগসংবিধানে অর্পিত স্বাধীনতা রক্ষার পরিবর্তে অন্যায়ভাবে ক্ষমতাসীন দলের অবৈধ, দখলদার ও অনির্বাচিত সরকারকে সংকীর্ণ উদ্দেশ্যে সহযোগিতা করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের সভা এ ধরনের ঘৃণ্য প্রচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
তিনি বলেন,আমরা সংবিধানকে সমুন্নত রেখে নিরপেক্ষ মনোভাব নিয়ে স্বাধীনভাবে বিচার বিভাগীয় কার্যাবলী সম্পাদন করার জন্য বিচার বিভাগের প্রতি আহ্বান জানাই।
আরও পড়ুন: বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা ন্যায়বিচার পাচ্ছে না: বিএনপি
এর আগে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের একটি রায় বহাল রাখে। যা ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলার বিচার কার্যক্রম পুনরায় শুরু করার জন্য নিম্ন আদালতের পথ পরিষ্কার করে।
ফখরুল বলেন, ডা. জুবাইদার রাজনীতির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে এ মামলায় জড়িয়েছে।
তিনি আরও বলেন,‘কোনো ভিত্তি ছাড়াই শুধুমাত্র জিয়া পরিবারকে হয়রানি ও অপমান করার জন্য মামলাটি করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছে তা নির্দেশিত (অন্য কারো) বলে মনে হচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, সরকার বিচার বিভাগের ওপর ‘নিয়ন্ত্রণ’ ও ‘প্রভাব’ প্রতিষ্ঠা করে ‘মিথ্যা’ মামলা করে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, একইভাবে তারা (সরকার) রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বেআইনিভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে।
সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে সংবিধানের গণতান্ত্রিক চরিত্র বিনষ্ট করে একদলীয় স্বৈরাচারী শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
আরও পড়ুন: মেগা প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হচ্ছে: বিএনপি
ক্ষমতাসীন দলের দুর্নীতি তদন্তে দুদকের প্রতি বিএনপির আহ্বান
২ বছর আগে