তামাকজাত
যাত্রীবাহী জাহাজে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি নিষিদ্ধের দাবি
যাত্রীবাহী জাহাজে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি নিষিদ্ধে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধিত খসড়া দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপথ (যাত্রীবাহী) অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইডব্লিউপিসিএ) নেতারা।
শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সঙ্গে যৌথ আলোচনায় সংগঠনটির নেতারা এ দাবি জানান।
আরও পড়ুন: তামাকপণ্যে কর ও মূল্য বৃদ্ধির দাবি
তারা লক্ষ্য করেছে যে এখন অনেক ক্রুজ জাহাজে ধূমপান অনুমোদিত। এ ছাড়া নৌকায় তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি অব্যাহত রয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘আইনে এ বিষয়ে সরাসরি কোনো বাধা না থাকায় সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারছে না’।
‘ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিডস বাংলাদেশ’র অনুদান ব্যবস্থাপক আবদুস সালাম মিয়া, বিআইডব্লিউপিসিএ-এর সহ-সভাপতি আবুল কালাম খান, পরিচালক এসএম আব্দুল জব্বার, সদস্য মো. মামুন অর রশিদ, আব্দুল কাইয়ুম শেখ, সচিব সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমান সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বেশ কিছু ত্রুটি তুলে ধরা হয়।
আবদুস সালাম মিয়া বলেন, সংশোধিত খসড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস হলে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ফাঁক-ফোকর কমবে।
এছাড়া তামাকের ব্যবহার কমবে এবং নতুনরা তামাক গ্রহনে নিরুৎসাহিত হবে। অন্যদিকে লঞ্চসহ গণপরিবহনে ধূমপান পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: গণমাধ্যম কর্মীদের ‘তামাক বিরোধী ওরিয়েন্টেশন’
তামাক নিয়ন্ত্রণে আইন শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে সরকার: মোজাম্মেল হক
২ বছর আগে
ক্ষতি কমাতে তামাকজাত পণ্যের দাম বৃদ্ধির দাবি
তরুণ প্রজন্মকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সিগারেট ও অন্যান্য তামাকজাত পণ্যের ওপর কর বৃদ্ধির দাবিতে রবিবার একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দাবি জানাতে ‘রেইজ ট্যাক্স সেভস লাইভস বিডি’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ফেসবুকে ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ডসহ তাদের ছবি আপলোড করে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো-ফ্রি কিডসের সহযোগিতায় তামাকবিরোধী অ্যাডভোকেসি সংস্থা প্রজ্ঞা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: তামাকবিরোধী সাংবাদিকতায় ফেলোশিপ পেলেন ৪ গণমাধ্যমকর্মী
অনুষ্ঠানে আসন্ন অর্থবছর ২০২২-২৩ এ জাতীয় বাজেটে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানোর দাবি জানানো হয়।
তামাকবিরোধী সংগঠনগুলো দাবি জানায়, আগামী জাতীয় বাজেটে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক (এসডি) হিসেবে সাড়ে ৩২ টাকা আরোপ করে ১০ স্টিকের নিম্ন-স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য ৫০ টাকা নির্ধারণ করা।
১০টি মাঝারি স্তরের সিগারেটের খুচরা মূল্য ৪৮ টাকা ৭৫ পয়সা সম্পূরক শুল্কসহ ৭৫ টাকা; ১০টি উচ্চ-স্তরের সিগারেটের ৭৮টাকা সম্পূরক শুল্কসহ ১২০ টাকা এবং ১০টি প্রিমিয়াম স্তরের সিগারেট সাড়ে ৯৭ টাকা সম্পূরক শুল্কসহ ১৫০ টাকা দাম নির্ধারণ করা।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের অন্তরায়
প্রস্তাবিত হারে তামাকের দাম বাড়ানো হলে এটি ১৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ককে ধূমপান থেকে বিরত থাকতে উৎসাহিত করবে। এছাড়া চার লাখ ৪৫ হাজার প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে চার লাখ ৪৮ হাজার যুবকের মৃত্যু প্রতিরোধ করবে। এছাড়া সরকারকে ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় করতে সহায়তা করবে।
এছাড়া বিড়ি, জর্দা ও গুলের ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এ বি এম জুবায়ের বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপ করে তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ালে সরকারের রাজস্ব বাড়বে ও তামাকজনিত মৃত্যু ও ক্ষয়-ক্ষতি কমবে।’
২ বছর আগে