আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার আকাঙ্খাকে সমর্থন দেবে আইএমএফ: ডিএমডি
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হতে বাংলাদেশের আকাঙ্খার প্রতি অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে।
আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আন্তোয়েনেট মনসিও সায়েহ সোমবার (১৬ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক বৈঠকে এই আশ্বাস দেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম।
আইএমএফের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ এবং উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হতে চায়। আইএমএফ এই আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে।’
সায়েহকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফের দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব রয়েছে। ‘আইএমএফ এই অংশীদারিত্বকে ধারণ করে। আমি এখানে এসেছি এই অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করতে।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অপরিমেয় প্রভাবের কারণে পুরো বিশ্ব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এ অবস্থায় বাংলাদেশের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলো বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে মুদ্রাস্ফীতি, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ পড়েছে।
এসব সমস্যা মোকাবিলায় আইএমএফ বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় সহায়তা করবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এর ফলে নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে দেশের অগ্রগতির ধারা শ্লথ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশও পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে।
শেখ হাসিনা আইএমএফ কর্মকর্তাকে বলেন, তার সরকার দারিদ্র্য বিমোচন ও খাদ্য নিরাপত্তাকে লক্ষ্য করে উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে পতিত জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, অনেক উন্নত দেশেও উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ অগ্রিম ব্যবস্থা হিসেবে আইএমএফের কাছে সহায়তা চেয়েছে। ‘আমরা আইএমএফের কাছে সাহায্য চেয়েছি বেলআউট হিসেবে নয়, একটি পূর্ব-প্রস্তূতিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে।’
আইএমএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক পরিবর্তনের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গত এক দশকে প্রায় ৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে।
এছাড়া বৈঠকে নারীর ক্ষমতায়ন, বালিকা শিক্ষা, কমিউনিটি ক্লিনিক ও আইসিটি নিয়ে আলোচনা হয়।
ঢাকায় বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, সিনিয়র অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও আইএমএফের আবাসিক প্রতিনিধি ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর কাছে দুটি ছবি হস্তান্তর করেন। যেগুলো বাংলাদেশ যখন ১৯৭২ সালের ১৭ আগস্ট এর সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আইএমএফ -এর আর্টিকেল অব এগ্রিমেন্টে সই করে তখন তোলা হয়েছিল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের আশা আইএমএফ ঋণের প্রথম কিস্তি আগামী মাসের মধ্যে আসবে: মুখপাত্র
সফররত আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আন্তোয়েনেট মনসিও সায়েহ এর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং তাদের কাছ থেকে ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ঋণের অনুরোধ নিয়ে আলোচনা করেছে।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো.মেজবাউল হক সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দপ্তরে গভর্নর আবদুর রউফ, ডেপুটি গভর্নর এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইএমএফের চার সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন।
তিনি বলেন, বৈঠকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপসহ অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের নেয়া বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইএমএফ প্রতিনিধিদল কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পদক্ষেপসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ তুলে ধরা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আসছেন আইএমএফ’র ডিএমডি
বিবির মুখপাত্র বলেন, বৈঠকে ঋণ ও আর্থিক খাতের সংস্কার নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
মেজবাউল বলেন যে আইএমএফ থেকে ঋণ পেতে কোন সমস্যা হবে না। আইএমএফ-এর ৩১ জানুয়ারির বোর্ড সভায় ঋণ অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ক্রমহ্রাসমান রিজার্ভ মোকাবিলা এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইএমএফের কাছে ঋণের অনুরোধ করেছে।
আইএমএফ প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে।
আলোচনায় জড়িত বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের মতে, আইএমএফ বোর্ড চলতি মাসের শেষের দিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ঋণের প্রথম কিস্তি ফেব্রুয়ারির শুরুতে পাওয়া যাবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র জানিয়েছে।
ঢাকার ঋণের অনুরোধের বিষয়ে আরও আলোচনা করতে শনিবার আইএমএফের প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র ঋণ একটি চারিত্রিক সনদের মতো: প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিকে অসামান্য বলেছে আইএমএফ: অর্থমন্ত্রী
সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি চূড়ান্ত করতে ঢাকায় আসছেন আইএমএফ’র ডিএমডি
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক(ডিএমডি) আন্তোয়েনেট মনসিও সায়েহ পাঁচ দিনের সফরে ঢাকা আসছেন ১৪ জানুয়ারি। এই সফরে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলারের ঋণের চুক্তি চূড়ান্ত করা হতে পারে।
মঙ্গলবার অর্থ বিভাগের সূত্র জানায়, সফরকালে আইএমএফের ডিএমডি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
আরও পড়ুন: ঋণ পেতে আইএমএফের শর্ত মেনে কাজ করছে সরকার
বাংলাদেশ গত জুলাই মাসে সাড়ে চার বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আবেদন করার পর শর্ত সাপেক্ষে ঋণ দিতে রাজি হয়েছে আইএমএফ।
গত অক্টোবরে ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সভার ফাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদারের নেতৃত্বে একটি দল আইএমএফের সঙ্গে দেখা করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিকে অসামান্য বলেছে আইএমএফ: অর্থমন্ত্রী
বৈঠক শেষে গভর্নর সাংবাদিকদের বলেন, আইএমএফ থেকে ঋণ পাবে বাংলাদেশ।
আএমএফ-এর একটি দল গতবছরের ২৬ অক্টোবর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকায় দুই সপ্তাহে একাধিক বৈঠক করেছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বিএসইসি, এনবিআর ও বিইআরসির সর্বশেষ অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জানতে রাহুল আনন্দের (বাংলাদেশের মিশন প্রধান) নেতৃত্বে আইএমএফ দল বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়, জ্বালানি বিভাগ, বিবিএস- এর সঙ্গে দেখা করেছে।
আরও পড়ুন: আইএমএফ’র ঋণ একটি চারিত্রিক সনদের মতো: প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মশিউর
বছরে দুবার মুদ্রানীতি: বিবি
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ অনুযায়ী বছরে দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি)।
সোমবার অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে আগামী জানুয়ারিতে চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন শুরু হবে বলে মঙ্গলবার ইউএনবিকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান।
‘আমরা দেশের অর্থনীতিবিদসহ সকল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অর্থ সরবরাহ, রিজার্ভ কারেন্সি এবং সুদের হারসহ সামষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছি। অর্থনীতির বর্তমান চ্যালেঞ্জ নিয়েও আলোচনা হয়েছে,’ তিনি যোগ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাসহ ১০ ভাষায় রেডিও সম্প্রচার বন্ধ করছে বিবিসি
হাবিবুর রহমান বলেন, অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক বছরে দুইবার মুদ্রানীতি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
২০০৬ সাল থেকে বছরে দুবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে, সাবেক গভর্নর ফজলে কবির বছরে একবার মুদ্রানীতি প্রণয়নের ঘোষণা দেন।
সে অনুযায়ী তিনি ওই বছরের ৩১ জুলাই ২০১৯-২০ অর্থবছরের মুদ্রানীতি ঘোষণা করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরবর্তী অর্থবছর ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২-এ শুধুমাত্র একবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে।
সম্প্রতি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ পাওয়ার শর্ত হিসেবে বছরে চারবার মুদ্রানীতি ঘোষণার সুপারিশ করেছে।
কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রানীতি ঘোষণা করে। আর পরিসংখ্যান ব্যুরো বছরে দুবার এই তথ্য প্রকাশ করে। ফলে বছরে দুইবার মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
জানুয়ারিতে আর্থিক বছরের দ্বিতীয়ার্ধের জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আরও পড়ুন: মানি চেঞ্জাররা নগদ ২৫ হাজার ডলারের বেশি রাখতে পারবে না: বিবি
ব্যাংকগুলোকে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে এসিইউ লেনদেন বন্ধের নির্দেশ বিবি’র
মর্যাদা ক্ষুন্ন হলে বাংলাদেশকে আইএমএফ থেকে ঋণ নেয়ার দরকার নেই: এফবিসিসিআই
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, দেশের মর্যাদা ক্ষুন্ন হলে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছ থেকে বাংলাদেশের ঋণ নেয়ার দরকার নেই।
তিনি বর্তমান ঋণের সুদের হার বাড়ানোরও বিরোধিতা করেছেন।
শনিবার ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ইআরএফ এর সংলাপ’-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে জসিম এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে এফবিসিসিআই সভাপতির শোক
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে নেই যে আইএমএফ থেকে কোনো শর্তে ঋণ নিতে হবে।
‘ঋণের সুদের হার বৃদ্ধি উৎপাদন খরচ বাড়াবে এবং সেইসঙ্গে ভোক্তাদের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে’, যোগ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা বিশ্বাস করে না যে সুদের হার বাড়ানোর মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হবে। তবে তিনি ব্যাংকের সক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষে।
তিনি বলেন, ‘যখন সুদের হার কমানো হয়েছিল, তখন অনেক বিনিয়োগকারী এখানে বিনিয়োগ করে... ঋণের হার বাড়ানোর জন্য গবেষণা সংস্থাগুলির বিভিন্ন এজেন্ডা রয়েছে...এক্ষেত্রে শিল্প প্রভাব থেকে বাঁচবে কিনা তা বিবেচনা করা দরকার।’
নির্বাচনী বছরে অর্থ পাচারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেহেতু বলেছে যে তারা আমদানির আড়ালে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি দামের প্রমাণ পেয়েছে, সেহেতু জড়িতদের আইনের আওতায় আনা উচিত। যদি তা না হয়, তবে শুধুমাত্র জনপ্রিয়তার জন্য আপনাদের বড় বড় অভিযোগ তোলা বন্ধ করতে হবে।
জসিম বলেন, যারা চালান কারচুপি করে অর্থ পাচার করে তাদের ধরা উচিত এবং এফবিসিসিআই চায় সরকার এ বিষয়ে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।
সম্ভাব্য আসন্ন দুর্ভিক্ষ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দুর্ভিক্ষ হলে তা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে প্রভাব ফেলবে।
‘আমাদের কঠোরতা বজায় রাখতে হবে। এর পাশাপাশি আমাদের কৃষি খাতে কাজ করতে হবে’, তিনি আরও যোগ করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি শিল্প কারখানায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের ওপর জোর দেন এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে গৃহস্থালির গ্যাস সরবরাহ কমানোর পক্ষে বলেন।
আরও পড়ুন: ডিম ও গোশতের দাম কমতে পারে সরকারের নীতিগত সহায়তায়: এফবিসিসিআই
মার্কিন কোম্পানির জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল: তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান এফবিসিসিআই’র
ঋণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে আইএমএফ দল
বাংলাদেশকে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আলোচক দল। তাদের সফরের দ্বিতীয় দিনে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ভবনে বৈঠকে বসেন তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার এ আলোচনার উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: আইএমএফ থেকে জানুয়ারির আগে ঋণ পাচ্ছে না বাংলাদেশ
উদ্বোধনী অধিবেশনে ডেপুটি গভর্নর কাজী সায়েদুর রহমান ও আহমেদ জামালও বক্তব্য রাখেন।
এসময় ব্যাংকের গভর্নর তালুকদার ব্যাংকিং খাতের সুরক্ষা মূল্যায়ন সহ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা দেন।
ডেপুটি গভর্নররা অর্থপ্রদানের ভারসাম্য, বিনিময় হার উন্নয়ন, বাণিজ্য ঋণ, ক্রস বর্ডার আন্তঃব্যাংক ঋণ, রিজার্ভ ডেভেলপমেন্ট, এফডিআই প্রজেকশন এবং ২৩ অর্থবছর থেকে ২৫ অর্থবছর এর বাজেট সম্পর্কে বিশদভাবে আলোচনা করেছেন।
আরও পড়ুন: আইএমএফ দল আসছে বুধবার: আলোচনায় থাকবে বাংলাদেশের চাওয়া ঋণের শর্তাবলি
বাংলাদেশকে ঋণ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত অক্টোবরে: আইএমএফ
ব্যাংকে ঋণ খেলাপি বৃদ্ধি নিয়ে আইএমএফ’র উদ্বেগ
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সফররত একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার দুর্বলতা এবং নন-পারফর্মিং লোন (এনপিএল) বা খেলাপি ঋণের উচ্চ হার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে সচিবালয়ে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের (এফআইডি) সঙ্গে বৈঠকে আইএমএফ এ উদ্বেগ প্রকাশ করে। ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সুশাসনের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
এফআইডি’র সঙ্গে আলোচনায় ব্যাংকিং খাতের বর্তমান পরিস্থিতিও জানতে চায় আইএমএফ।
তিনি জানান, ‘সরকার খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণে নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়ার পরও তা কমেনি। বরং আগের চেয়ে বেড়েছে।’ কেন এমন হচ্ছে তা জানতে চায় আইএমএফ।
সূত্র জানায়, জবাবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বলেছে, সরকার খেলাপি ঋণ কমানোর চেষ্টা করছে। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক দশমিক ১৩ লাখ কোটি টাকা, যা ৮ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি। খেলাপিদের বেশিরভাগই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের।
আরও পড়ুন: ডিলারদের বৈদেশিক মুদ্রা আমানত হিসাব খোলার অনুমোদন বাংলাদেশ ব্যাংকের
এলসি খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে রিপোর্টের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমাতে শ্রীলঙ্কার সংবিধান পরিবর্তন
শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে বলেছেন, দেশটির প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা কমাতে সংবিধান পরিবর্তন করা হবে।
মঙ্গলবার তিনি আরও জানিয়েছেন, দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের কারণে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রেক্ষিতে সংসদকে আরও ক্ষমতায়ন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে সংসদকে বলেছেন, দেশকে রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল করতে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের পরিকল্পনার জন্য দ্রুত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। সিদ্ধান্তটি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে আলোচনায় সহায়তা করতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ডনবাসে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া: জেলেনস্কি
রাজাপাকসে বলেছেন, অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের দেশে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা আছে। সংসদে সাংবিধানিক ক্ষেত্রে আরও কিছু সংস্কার শুরু করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ভাই, প্রেসিডেন্ট গোটাবায়া রাজাপাকসে ২০১৯ সালে আবারও নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছেন।
অর্থনৈতিক সঙ্কটের জন্য তাকে দায়ী করে মঙ্গলবার ১১ তম দিনের মতো হাজার হাজার বিক্ষোভকারী প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রবেশপথ দখল করে রেখেছেন।
এদিকে গোটাবায়া রাজাপাকসে সোমবার স্বীকার করেছেন তিনি শ্রীলঙ্কার কৃষিকে সম্পূর্ণ জৈব উপায়ে রূপান্তর করার লক্ষ্যে সাহায্যের জন্য আইএমএফের কাছে যেতে দেরি করেছেন। যেটা দেশটিতে সঙ্কটের সৃষ্টি করেছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৪৩