মোশাররফ
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না: মোশাররফ
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পেছানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, সন্দেহ করছি- একটি মহল চেষ্টা করছে সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্ব করতে। অতি দ্রুত সংস্কার করে নির্বাচনি রোডম্যাপ দিতে হবে। নির্বাচন যত বিলম্ব হবে বাংলাদেশে তত নানা রকম ষড়যন্ত্র হবে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্ততা বিষয়ক কুমিল্লা বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম ভুইয়ার সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তারেক রহমান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে দিয়ে দেশের সম্পূর্ণ সংস্কার সম্ভব নয়। রাষ্ট্রের পূর্ণাঙ্গ সরকারের জন্য একটি দলীয় সরকার প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা ব্যর্থ, ভারতবিরোধী অবস্থানে বিএনপি
তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিয়ে একটি দলীয় সরকার গঠন সারা বাংলাদেশের মানুষের দাবি বলে জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।
এই কর্মশালা পরিচালনা করেন বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। অংশ নেন শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ত্রান ও পুনর্বাসন সম্পাদক হাজী আমিন উর রশিদ ইয়াছিনসহ কুমিল্লা ছয়টি জেলা বিএনপি, মহানগর, পৌরসভর শীর্ষ নেতারা।
কর্মশালায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ আলমগীর পাভেল, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা ড. মাহাদী আমিন, প্রশিক্ষণ সম্পাদক রেহানা আক্তার বানু, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক নেওয়াজ হালিমা আরলি, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মোস্তাক মিয়া, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুর সাত্তার পাটোয়ারী ও কৃষক দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবা হাবিব।
আরও পড়ুন: ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
১ সপ্তাহ আগে
অর্থনীতি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থায় নেই, দেশ চালাতে সর্বত্র বৈদেশিক ঋণ খুঁজছে সরকার: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সরকার যখন দেশ চালাতে এদিক-ওদিক বিদেশি ঋণ খুঁজছে, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতি একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বাস্তবতা আড়াল করার চেষ্টা করছেন।
তিনি বলেন, ‘জেনেভায় গিয়ে আমাদের দখলদার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে আমাদের দেশের অর্থনীতি একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে... এভাবে ফাঁপা কথা দিয়ে সত্যকে বেশিদিন চেপে রাখা যাবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতি যেমন আমরা জানি, গোটা বিশ্বও তা জানে।’
এক আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা বলেন, ডলারের অভাবে আমদানি বন্ধ থাকলেও সরকার দেশ পরিচালনার জন্য বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক ঋণ সংস্থার কাছে বিদেশি ঋণ ‘ভিক্ষা’ করছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, সরকার বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনার জন্য জ্বালানি ও বিদ্যুত আমদানি করতে না পারায় মানুষ ভয়াবহ লোডশেডিং-এর সম্মুখীন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতির অবস্থা সবাই জানে। মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে, ডলারের সংকট তীব্র হচ্ছে, পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে, এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকটের মধ্যে রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে। এগুলোই বাস্তবতা। তাহলে প্রধানমন্ত্রী কীভাবে দাবি করবেন বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে?
বৃহস্পতিবার জেনেভায় ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতার কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অর্থনৈতিকভাবে একটি মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদপত্রের কালো দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপি মিডিয়া সেল।
১৯৭৪ সালের ১৬ জুন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার তার অনুগত চারটি পত্রিকা ছাড়া সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। সংবাদপত্র বন্ধের স্মরণে একদল সাংবাদিক দিনটিকে ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছেন।
মোশাররফ বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে শক্তিশালী আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করার বিকল্প নেই।
আরও পড়ুন: স্যাংশনে আ.লীগ সরকারের হাঁটু কাপতে শুরু করেছে: ফখরুল
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশে কখনোই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বাংলাদেশের জনগণও বিশ্বাস করে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে অতীতে যেমন সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন দল যতই চেষ্টা করুক না কেন তাদের দল এবার সরকারের কোনো ফাঁদে পা দেবে না। ‘আমাদের অবশ্যই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এই শাসককে অপসারণ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ঘাবড়ে যাওয়ায় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে পরস্পরবিরোধী মন্তব্য করছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে বিএনপিকে মাঠছাড়া করার ষড়যন্ত্র করছে সরকার: ফখরুল
১ বছর আগে
বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে আ. লীগ সরকার বাধা: বিএনপি নেতা মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার।
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যারা নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের ভিসা দেওয়া হবে না। আমরা এই জনসভা থেকে বলতে চাই, যারা বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতন্ত্র বা জনগণের ভোটাধিকারে বাধা দিচ্ছে তারাই বর্তমান সরকার।’
শনিবার রাজধানীর এক সমাবেশে বক্তব্যে বিএনপি নেতা আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে বর্তমান সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি আওয়ামী লীগের জন্য ‘খুবই লজ্জাজনক’।
তিনি বলেন, সরকার তাদের অধীনে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে বিদেশিদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কিন্তু দেশবাসীর পাশাপাশি বিদেশিরাও দেখেছে এর অধীনে অনুষ্ঠিত আগের দুটি নির্বাচনের কোনো মূল্য ছিল না।
‘তাদের (সরকার) পক্ষে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্রসহ গণতান্ত্রিক দেশগুলো বলছে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হতে হবে। তারা বুঝতে পেরেছেন শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অতীতে হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।
আরও পড়ুম: গাজীপুর নির্বাচন দেশের প্রকৃত ভোটের চিত্র তুলে ধরে: খসরু
১ বছর আগে
বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে দুদক: মোশাররফ
সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী সরকার আবারও বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এই চক্রান্তের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। যেন দুদক এখন বিএনপি দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে।’
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মোশাররফ এ মন্তব্য করেন।
দুদকের দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদা রহমানের স্থাবর (ব্যাংক হিসাব) ও স্থাবর (জমি-সম্পর্কিত) সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আদালতের আদেশের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ বলেন, দুদকের দায়ের করা মামলায় তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অমূলক। যে (আদালতের) আদেশটি দেয়া হয়েছে তা প্রতিশোধমূলক এবং সরকারের নির্দেশে।’
আরও পড়ুন: ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগে মামলা করে বর্তমান ‘প্রতিশোধমূলক’ সরকার গোয়েবলসের মতো মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির নেতাকর্মীদের মনোবল বিনষ্ট ও সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করতে সরকারের নির্দেশে ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আদালত এ রায় দিয়েছেন বলে জানান বিএনপি নেতা।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা সরকারের ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই এবং আদালতের নির্দেশিত রায় বাতিল এবং তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক’ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
মোশাররফ অভিযোগ করেন, তারেকের যে সম্পত্তির মালিকানা নেই এবং এর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই, ‘তাকে কাল্পনিক সম্পদের মালিক দেখানো হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এমনকি, তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদার বিরুদ্ধে কর দেয়া সম্পদের ক্ষেত্রে কাল্পনিক অভিযোগ আনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, আদালতের এমন আদেশে সরকার তারেকের নেতৃত্বকে প্রশ্নের মুখে ফেলতে পারবে না এবং তার স্ত্রীকে হেয় করতে পারবে না। গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ভোটের অধিকার এবং আইনের শাসন পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনকে অন্য দিকে পরিচালিত বা বানচাল করা যাবে না।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
মোশাররফ আক্ষেপ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ‘ব্যাপক’ দুর্নীতিতে লিপ্ত হলেও দুদক সরকারের দুর্নীতির দিকে চোখ ঘুরিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার সমর্থিত ব্যবসায়ী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দেশে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে দুদক কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
বিএনপি নেতা বলেন, তারেক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতের আদেশ এমন সময়ে দেয়া হয়েছে যখন দেশের জনগণ বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জেগে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচির প্রতি জনতার ঢেউ দেখে সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। চলমান আন্দোলনকে ঠেকাতে বা দুর্বল করতে সরকার এসব করছে।’
মোশাররফ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কোনো দমনমূলক কর্মকাণ্ড জনগণকে দমন করতে পারবে না এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বর্তমান আন্দোলনকে বানচাল করতে পারবে না।
এদিকে তারেক ও জুবাইদার বিরুদ্ধে আদালতের আদেশের প্রতিবাদে নয়াপল্টন এলাকায় বিক্ষোভ করেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের 'পূর্বশর্ত' প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ: গয়েশ্বর
১ বছর আগে
দেশের মালিকানা জনগণকে ফিরিয়ে দেয়া বিএনপির প্রধান চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, তাদের দলের জন্য চ্যালেঞ্জ হলো আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান ‘ফ্যাসিস্ট’ শাসনের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত দেশকে অন্যায়, অপশাসন ও অপকর্ম থেকে মুক্ত করা যাবে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশ তার সকল নাগরিকের। কিন্তু এক চতুর্থাংশ আওয়ামী লীগ জনগণের বাংলাদেশ দখল করে লুণ্ঠনে লিপ্ত হয়েছে। তাই এখন আমাদের সামনে একটাই চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ হলো দেশের মালিকানা যে জনগণের তা পুনরুদ্ধার করা।’
আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে দল-মত, ধর্ম-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের এই দেশকে উদ্ধার করতে হবে এবং জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। এ কারণেই আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বাংলাদেশকে উদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন। দেশকে জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। আমরা এই লক্ষ্যে কাজ করছি।’
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ এ মন্তব্য করেন।
বিগত বছরের মতো এবারও বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
মোশাররফ বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্র, অর্থনীতি, বিচার বিভাগ ও সামাজিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়ায় বাংলাদেশ একটি সংকটময় মোড় অতিক্রম করছে।
আরও পড়ুন: ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
বিএনপি নেতা বলেন, ‘যারা এই সমস্ত জিনিসগুলো ধ্বংস করেছে তারা আবার এগুলো মেরামত করতে সক্ষম হবে না। সেজন্য আমরা রাষ্ট্রকে মেরামত করতে ২৭ দফা দিয়েছি।’
তিনি বলেন, তাদের ২৭ দফা ইতোমধ্যেই দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে এবং তাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল সব ধর্মের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে এবং সব ধর্মের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা রয়েছে। ‘আমাদের ২৭ দফার ১৩ ধারা অনুযায়ী, সকল ধর্মের বিশ্বাসীরা তাদের নিজ নিজ ধর্মের পূর্ণ অধিকার ভোগ করবে।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন যে আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সমস্ত সংখ্যালঘু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষ এবং তাদের উপাসনালয় হামলার শিকার হয়েছে এবং তারা তাদের ধর্মীয় কার্যক্রম পালনে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন।
তিনি বলেন, তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সকল সম্প্রদায় ও ধর্মের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই ফ্যাসিবাদী সরকার থেকে মুক্তি চাই। গণতন্ত্র ছাড়া কোনো বিভাগই সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করে সেটাই প্রমাণ করেছে। স্বাধীনতার পর বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে তারা তা করেছিল এবং এখন আবারও করেছে।’
বাইবেলের আয়াত পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রয়াত, বিএনপি নেতারা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে তাদের বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে কেক কাটেন।
আরও পড়ুন: বিএনপির ১০ দফার মূল দাবি সরকারের পতন: মোশাররফ
রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় আ.লীগ সরকারকে 'অবশ্যই' ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ
১ বছর আগে
১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
সরকার পতনের ১০ দফা বাস্তবায়ন করাই নতুন বছরে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, আগামী দিনে আমাদের চ্যালেঞ্জ ১০ দফা বাস্তবায়ন। আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করা, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়া।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ গ্রেপ্তার হওয়া দলের সব নেতাকর্মীকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে হবে।
‘আর এটা করতে হলে যত শিগগিরই সম্ভব এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। অতএব, আগামী দিনে আমাদের যে টার্গেট এই ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং ১০ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে পরিবর্তন আনার আহ্বান জানাচ্ছি, বলেন তিনি।
রবিবার ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
আরও পড়ুন: সরকার স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে জনগণ বাধ্য করবে: খন্দকার মোশাররফ
এর আগে ১০ ডিসেম্বর দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালসহ ১০ দফা দাবির সনদ ঘোষণা করে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ এ সমাবেশে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র এখন ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ একটি সংকটময় সময় পার করছে।
তিনি বলেন, গণমুখী সরকার প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে দেশবাসী।
এছাড়া সরকার প্রতিষ্ঠা হলেই আমরা আমাদের দলের ২৭ দফার ভিত্তিতে দেশ গড়ব। অন্ধকার কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল দেশের জনগণ, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তন করে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
সরকারের দমন-পীড়নমূলক কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের দমন ও গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
বিএনপি নেতা জানান, আপনারা (সরকার) বিভিন্ন দমনমূলক কর্মকাণ্ড করেও আমাদের আন্দোলনকে দমাতে পারেননি। জনগণ ইতোমধ্যে রাজপথে নেমেছে এবং এবার আপনাকে রেহাই দেয়া হবে না।
আরও পড়ুন: বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশ লুটপাট, ভাংচুর করেছে: খন্দকার মোশাররফ
বিএনপির সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের আহ্বান খন্দকার মোশাররফের
১ বছর আগে
বিএনপির বহুল আলোচিত ঢাকা সমাবেশ শুরু, ১০ দফা দাবি জানাতে পারেন মোশাররফ
হাজার হাজার নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে ঢাকায় বিএনপির বহুল আলোচিত সর্বশেষ বিভাগীয় সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শনিবার সকাল ১১টায় সায়েদাবাদের কাছে গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখার আয়োজনে এ সমাবেশ শুরু হয়।
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটির সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে সমাবেশ থেকে বার্তা দেয়ার কথা রয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে দলটি আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশস্থলে সমাবেশের অনুমতি পেলে বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যেই গোলাপবাগ মাঠ মুখরিত করে তোলে বিএনপি নেতাকর্মী ও অনুসারীদের।
সমাবেশের ভিড় আশেপাশের সড়কেও ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
সমাবেশে বক্তব্য দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর পর বিএনপির সিনিয়র নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে সমাবেশে বক্তব্য দেবেন এবং পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
নয়াপল্টনে বিএনপির পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত হয় এবং পরে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৪৫০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
চলমান আন্দোলনের গতি অব্যাহত রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিএনপি ২৭ সেপ্টেম্বর নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং পুলিশের অভিযানে ভোলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও যশোরে দলের পাঁচ নেতাকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদ জানাতে এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করতে ১০ গুরুত্বপূর্ণ শহরে ধারাবাহিক সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ও পরিবহন ধর্মঘট উপেক্ষা করে ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল, ফরিদপুর, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজশাহীতে সমাবেশের আয়োজন করেছে দলটি।
বিএনপি দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করে আসছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচন কোনো রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নয়, বরং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হবে। কিন্তু সংবিধান তা হতে দেয় না উল্লেখ করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
মানবাধিকার দিবসেই ঢাকা মহানগরীতে বিশাল সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিভাগীয় কর্মসূচি শেষ করতে যাচ্ছে দলটি।
এর আগে শুক্রবার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগরবাসীকে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি বানচালের চেষ্টার যোগ্য জবাব দিতে গোলাপবাগ মাঠে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গোলাপবাগ মাঠে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী, সমাবেশের জন্য প্রস্তুত
২ বছর আগে
জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আ.লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকারের জন্য বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার কোনো বিকল্প নেই।
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আ স ম হান্নান শাহ স্মৃতি পরিষদ আয়োজিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নানের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে শুধুমাত্র আগামী নির্বাচনে ডিজিটালভাবে ভোট কারচুপির জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে আরও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, দেশে এখন স্বাধীনভাবে রাজনীতি করার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ নিজেদের শাসনকে সুসংহত করতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার পুনরুদ্ধার করতে এই শাসনব্যবস্থার পতন ঘটাতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব। এ কারণেই বিএনপি আগামী নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে করার দাবি তুলেছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ‘বিদেশিদের’ পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে না: খন্দকার মোশাররফ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে মোশাররফ বলেন, মানুষ যখন নিজের হাতে ভোট দিতে চায় কমিশন তাদের মেশিন ব্যবহার করতে বাধ্য করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (সরকার) ২০১৮ সালের মতো রাতে আর ভোট কারচুপি করতে পারবে না। সে কারণেই তারা এখন ইভিএম ব্যবহার করে ভোট ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দুর্ভিক্ষের মতো’ পরিস্থিতির মধ্যে যখন দেশের মানুষ তিনবেলা খাবারের ব্যবস্থা করতে পারে না। তখন আট হাজার কোটি টাকা খরচ করে ইভিএম কেনার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মানুষ বেঁচে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে এবং তারা গ্রামীণ এলাকায় ৮-১০ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের সম্মুখীন হচ্ছে…এমন পরিস্থিতিতে তারা (সরকার) ইভিএমের জন্য এত টাকা খরচ করতে যাচ্ছে।’
আওয়ামী লীগ সরকারকে আবার ক্ষমতায় বসতে দিলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই দেশ এবং এর অর্থনীতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করেন মোশাররফ।
তিনি বলেন, ‘তারা রক্ষীবাহিনী গঠন করে মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে এবং এভাবে দেশে হত্যার রাজনীতির সূচনা করেছে। তারা ১৪ বছর ধরে বলপ্রয়োগ করে ক্ষমতায় আছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বিদেশে গিয়ে বলেছেন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের হাওয়া বইছে।’
তিনি বিএনপিতে হান্নান শাহের অবদান এবং ২০০৭ সালে ১/১১-এর রাজনৈতিক পরিবর্তনের সময় গণতন্ত্রের পক্ষে তার ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ইমামদের বড় ভূমিকা রয়েছে: খন্দকার মোশাররফ
২ বছর আগে
বিএনপির কর্মসূচিতে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে: মোশাররফ
বিএনপির সিনিয়র নেতা খন্দকার মোশাররফ হোসেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, তাদের দলের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমি বলতে চাই, আমাদের কর্মসূচিতে এ ধরনের হামলা করার জন্য আপনাদেরকে (আওয়ামীলীগ কর্মী ও পুলিশ) চিহ্নিত করা হচ্ছে। জনগণ আপনাদের চিহ্নিত করছে যে আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন এবং জনসাধারণের সমস্যা নিয়ে কথা বলার জন্য আমাদের লাঠি দিয়ে আঘাত করছেন।’
বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং ভোলা ও নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গুলিতে তিন বিরোধীদলীয় নেতা নিহতের প্রতিবাদে ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার যাত্রাবাড়ী জোন শহরের সায়দাবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ ‘বিদেশিদের’ পরামর্শের ওপর নির্ভর করছে না: খন্দকার মোশাররফ
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দিন ঘনিয়ে আসায় অদূর ভবিষ্যতে দমনকারীদের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে এবং বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে অনেক হামলা, মামলা, গুম করেও সরকার বিএনপিকে দমন করতে পারেনি। আমরা বলতে চাই বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য আর কোনো নিরর্থক প্রচেষ্টা চালাবেন না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোশাররফ জনসেবক হিসেবে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা কোনো দলের কর্মকর্তা-কর্মচারী নন। আপনারা প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারী… আমাদের কর্মসূচিতে এভাবে আক্রমণ করে আপনারা জনসেবক হিসেবে আপনাদের শপথ ভঙ্গ করছেন। আমরা শুধু এটুকুই বলতে চাই, আপনারা অনুগ্রহ করে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর আর কোনো হামলা করবেন না।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার ব্যাপক দুর্নীতি করে দেশকে চরম সংকটে ফেলেছে। ‘আমাদের রিজার্ভ ও আমদানি কমেছে এবং ডলারের সংকট রয়েছে। তারা শেয়ারবাজার, রিজার্ভ ও ব্যাংক লুট করেছে।’
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মোশাররফ বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছেন। জনগণ আর চায় না গণতন্ত্রের হত্যাকারীরা ক্ষমতায় থাকুক। এখন আমাদের দায়িত্ব দেশের জনগণকে, সকল গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করা এবং এই ফ্যাসিবাদী সরকারকে পরাজিত করা।’
আরও পড়ুন: বর্তমান ইসির সঙ্গে বিএনপি সংলাপে যাবে না: খন্দকার মোশাররফ
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ইমামদের বড় ভূমিকা রয়েছে: খন্দকার মোশাররফ
২ বছর আগে
ক্রিকেটার মোশাররফের কবর সংরক্ষণের নির্দেশ মেয়র আতিকের
বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশররফ হোসেন রুবেলের কবর স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
এর আগে সদ্য প্রয়াত ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন মোশাররফের স্ত্রী চৈতি ফারহানা গণমাধ্যমের মাধ্যমে তার কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের জন্য মেয়রের প্রতি মৌখিকভাবে আবেদন জানান।
ক্রিকেটার মোশাররফের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘মোশাররফ হোসেন রুবেল নিজের জন্য খেলেনি, দেশের জন্য খেলেছেন। তার অবদান দেশের মানুষকে গর্বিত করেছে। সে কারণে তার কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা আমাদের দায়িত্ব বলে মনে করছি।’
আরও পড়ুন: ক্যানসারের কাছে হার মানলেন ক্রিকেটার মোশাররফ
মেয়র আতিক ওমরা পালনের জন্য বর্তমানে সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থান করছেন। দেশে ফিরে বিধি মোতাবেক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে ক্রিকেটার মোশারফের কবরটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা হব বলেও জানান তিনি।
গত ১৯ এপ্রিল মোশাররফ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এ সময় তার বয়স হয়েছিল ৪০ বছর।
আরও পড়ুন: নগরবাসীর জন্য নববর্ষের উপহার সাতটি পার্ক ও মাঠ: মেয়র আতিক
ঠাকুরগাঁওয়ের সাবেক ক্রিকেটার বিপু আর নেই
২ বছর আগে