বড়পুকুরিয়া
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে উত্তোলন সাময়িক বন্ধ
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের খনিতে সাময়িক কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে।
নতুন ধাপে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর শেষে ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবারো কয়লা উত্তোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখার মতো ইয়ার্ডে পর্যাপ্ত কয়লা মজুদ রয়েছে।
কয়লা খনির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রাশেদ কামাল বলেন, চলমান প্রক্রিয়ায় ভূগর্ভের ১৪১২ নং ফেইজে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২ লাখ ৭১ হাজার মেট্রিক টন কয়লা উত্তোলন শেষে শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকালে কয়লা উত্তোলন সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছেন তারা।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা জাহাজের বিরুদ্ধে মামলা
খনি অভ্যন্তরে কয়লা কাটার কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি রক্ষণাবেক্ষণ শেষে নতুন আরেকটি ১২০৯ নম্বর ফেইজে স্থানান্তর করে মাস দুয়েকের মধ্যে (ফেব্রুয়ারি) আবারো কয়লা উত্তোলনের আশা করছেন তারা।
অন্যদিকে কয়লা নির্ভর পাশ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহের জন্য ইয়ার্ডে ১ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা মজুদ রেখেছেন তারা।
তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ম্যানেজার (সংরক্ষণ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কেন্দ্রে ৫২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন ৩টি ইউনিটের মধ্যে একটিতে দৈনিক ১৭০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদনে দু’মাস পর্যন্ত সচল রাখার মতো কয়লা মজুদ রয়েছে তাদের ইয়ার্ডে।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কয়লার যোগান মিললে তাপ বিদ্যুকেন্দ্র বন্ধ হবার আশঙ্কা নেই বলে জানান এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬৪ হাজার টন কয়লা নিয়ে জাহাজ ভিড়েছে মাতারবাড়ীতে
রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে মোংলায় আরও এক জাহাজ
১১ মাস আগে
খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া মামলার অভিযোগ গঠন পেছাল
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী ৮ আগস্ট ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আক্তারুজ্জামানের আদালতে মামলাটি অভিযোগ শুনানির জন্য ধার্য ছিলো। কিন্তু মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি।
আরও পড়ুন: খালেদার অবস্থা এখন স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
তার পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দেন। এদিন খালেদা জিয়াসহ অন্যান্য আসামিদের পক্ষে সময় আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে ৮ আগস্ট অভিযোগ শুনানির পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম ও ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও তার মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থার সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল আলম শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামির সংখ্যা ১৩ জন। বিভিন্ন সময় ছয় আসামি মারা যান। বর্তমানে আসামির সংখ্যা সাত জন।
আরও পড়ুন: খালেদার সঙ্গে দেখা করলেন ফখরুল
হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন খালেদা
১ বছর আগে
বকেয়া বেতনের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের বিক্ষোভ অব্যাহত
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
আট মাসের বকেয়া বেতন ভাতা এবং অবিলম্বে কাজে যোগদানের দাবিতে বুধবার থেকে সপরিবারে খনির প্রবেশ পথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকেরা। এই দাবিতে গত মার্চ থেকে ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।
করোনাকাল থেকে দুই বছর ধরে খনির (কম্পাউন্ডে) অভ্যন্তরে বিশেষ ব্যবস্থায় আটক রেখে কয়লা তোলানোর প্রতিবাদে (খনির বাউন্ডারির ভেতরে) বিক্ষোভ করছে আরও চারশ’ শ্রমিক। বাড়ি থেকে যাতায়াত করে কাজ করার দাবি জানাচ্ছেন তারা।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি জানান, তিনটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি, এক্সএমসি, ও জেএক্সএমসির অধীনে আউটসোর্সিংয়ে খনিতে কয়লা তোলার কাজ করে থাকে প্রায় ১১শ’ দেশি শ্রমিক। এর মধ্যে সাতশ’ শ্রমিককে করোনালীন ছুটিতে পাঠানোর সময় মাসে সাড়ে চার হাজার করে টাকা ভাতা দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত আট মাস ধরে ওই ভাতার টাকা পাচ্ছেন না তারা। ঈদের আগে ওই বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান এবং কাজে যোগদানের দাবিতে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
অন্যদিকে, চারশ’ শ্রমিককে করোনার সময় থেকে দুই বছর ধরে ইচ্ছার বিরুদ্ধে খনি এলাকায় আটকে রেখে কয়লা তুলতে বাধ্য করছে চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। খনির বাইরে বের হওয়া এবং পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার সুযোগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেছেন ওই শ্রমিকেরা।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, এক দিকে কাজ বঞ্চিত শ্রমিকেরা খনিতে প্রবেশসহ কাজে যোগদানের দাবিতে খনির প্রবেশ পথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছে। অন্যদিকে খনিতে আটকে রাখার প্রতিবাদে আটক শ্রমিকেরা নেটের বেড়ায় বন্দী অবস্থায়ই বিক্ষোভ করছে।
সংকট সমাধানে প্রশাসন ও খনি কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
মুজিববর্ষ: ঠাকুরগাঁওয়ে জমি-নতুন ঘর পাচ্ছেন ২৬১২ ভূমিহীন
২ বছর আগে
বকেয়া বেতনের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচি
আট মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান এবং কাজে যোগদানের সুযোগ দেয়ার দুই দফা দাবিতে অব্যাহত আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকেরা সপরিবারে বিক্ষোভ করছে। বুধবার সকাল ১১টা থেকে কয়লাখনির প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে তারা।
করোনার কারণে টানা দুই বছর ছুটির সময় প্রত্যেক শ্রমিককে সাড়ে চার হাজার করে ভাতা টাকা দেয়ার কথা থাকলেও আট মাসের বকেয়া হিসেবে প্রতিটি শ্রমিকের ৩৬ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। ফলে অর্থ ও খাদ্য কষ্টের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকেরা।
তারা জানায়, তিনটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে খনিতে কর্মরত প্রায় ১১ শত শ্রমিকের মধ্যে চারশ’ শ্রমিককে খনির ভেতরে রেখে কয়লা তোলার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্য সাত শতাধিক শ্রমিককে খনিতে প্রবেশে বাধা দেয়াসহ কাজে নেয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ করছেন কাজ বঞ্চিত শ্রমিকেরা।
আরও পড়ুন: বকেয়া বেতনের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
এছাড়াও খনি এলাকার ভিতরে ইচ্ছের বিরুদ্ধে খনিতে আটক রাখা চারশ’ শ্রমিককে খনির বাইরে বের হওয়ার এবং বাড়ি থেকে কাজের সুযোগের দাবিতে অন্য আরেকটি খনি গেটে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকেরা।
যদিও খনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার কাজ বঞ্চিত শ্রমিকদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পাঁচ হাজার করে টাকা করে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রায় ১২৫ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা এবং ৫০ জন চীনা কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হলে ৩০ জানুয়ারি থেকে কয়লা উত্তোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: বড়পুকুরিয়ায় কয়লা চুরি: ৬ সাবেক এমডিসহ ২২ জন জামিনে মুক্ত
বড়পুকুরিয়া মামলা: খালেদাসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাল
২ বছর আগে
বকেয়া বেতনের দাবিতে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
ঈদের আগে আট মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধসহ অবিলম্বে কাজে যোগদানের দুই দফা দাবিতে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে আবারো বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ক্ষুদ্ধ শ্রমিক ও কর্মচারীরা। রবিবার দুপুরের দিকে খনির প্রবেশ পথসহ আশপাশে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশ করেছেন তারা।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম জানান, আগামী ৭২ ঘণ্টার (২৭ এপ্রিল) মধ্যে দাবি পূরণ করতে খনি কর্তৃপক্ষকে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন তারা। অন্যথায় ওই দিন দুপুর ১২টার পর স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে খনির প্রবেশ পথে অবস্থান নিয়ে অনশনের মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ২ মে
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বলেন, আট মাসের বেতন-ভাতা বাকি পড়ায় পরিবার নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন প্রায় ৭০০ খনি শ্রমিক। এছাড়াও করোনাকালীন ছুটিতে বাড়িতে পাঠানোর পর দুই বছর পেরিয়ে সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে আসলেও কাজে যোগ দিতে দেয়া হচ্ছে না খনি শ্রমিকদের।’
তিনি জানান, আগামী ২৭ এপ্রিল দুপুরের ১২টার মধ্যে দাবি পূরণ করা না হলে খনির প্রবেশ পথে সপরিবারে অবস্থান নেবেন তারা। এ অবস্থায় কোনো অঘটন হলে এর দায় খনি কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে বলেও সর্তক করেছেন তিনি।
চলতি বছরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রায় ১২৫ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা এবং ৫০ জন চীনা কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হলে ৩০ জানুয়ারি থেকে কয়লা উত্তোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা: আদালতে যেতে ‘অনিচ্ছুক’ খালেদা
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার চার্জ শুনানি পেছাল
২ বছর আগে