জব্বারের বলীখেলা
চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা শুরু
বন্দর নগরী চট্টগ্রামের লালদীঘির মাঠে ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলীখেলার (কুস্তি প্রতিযোগিতা) ১১৪ তম আসর বসেছে আজ (মঙ্গলবার)।
এ উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা গতকাল থেকে শুরু হয়েছে। মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানা রকম পণ্যের পসরা নিয়ে এসেছেন ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা।
মেলায় মাটির তৈরি তৈজসপত্র, বাঁশের ও বেতের আসবাবপত্র, গাছের চারা, ফুলের ঝাড়, হাতপাখা, মুড়ি-মুড়কি, পাটি, দা, বটি, ছুরিসহ নানা ধরনের গৃহস্থালী ও লোকজ বিভিন্ন পণ্য সাজিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বলীখেলা তথা কুস্তি প্রতিযোগিতায় আংশ নিবে সারা দেশের শতাধিক কুস্তিগীর। লালদীঘি ময়দানে ইতোমধ্যে বলীখেলার জন্য বালু দিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'এসো হে বৈশাখ': বাংলা নববর্ষ-১৪৩০ স্বাগত জানাচ্ছে বাংলাদেশ
১ বছর আগে
আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্য নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন: ঢাকায় বলীখেলায় তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ঐতিহ্যগুলো নতুন প্রজন্মের জানা প্রয়োজন এবং সে জন্যই ঢাকায় জব্বারের বলীখেলার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মোহাম্মদপুরে শারীরিক শিক্ষা কলেজ প্রাঙ্গণে চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা’র বাষিক মেলা ও মেজবানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সেখানে বলী খেলা উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকা'র সভাপতি জয়নুল আবেদীন জামালের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন হিরোর সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস, পুলিশের মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
ড. হাছান বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনকে জোরদার করতে আব্দুল জব্বার সওদাগর চট্টগ্রামে বলীখেলা চালু করেন। তখন থেকে এই জব্বারের বলীখেলা চট্টগ্রামের ইতিহাসের অংশ হিসেবে প্রসিদ্ধ।
আরও পড়ুন: জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন জীবন বলী
মন্ত্রী এ সময় তার গত বছরের অনুরোধে এবার মেজবানের পাশাপাশি বলীখেলা আয়োজনের জন্য সমিতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তারা এর মাধ্যমে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যকে ঢাকায় আরও পারিচিত করেছেন। তিনি চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত বলীদেরও ধন্যবাদ জানান এবং বাল্যকালে বলীখেলা ও গরুর লড়াই দেখার স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি আরও বলেন, 'মেজবানের মতো বলীখেলাও চট্টগ্রামের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির অংশ। ভবিষ্যতে বড় জায়গা পেলে আমরা গরুর লড়াইয়ের আয়োজন করব।'
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আজ ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সন্তান ড. হাছান চাটগাঁ ভাষায় তার মেজবানপ্রীতি তুলে ধরে বলেন, 'আই সারা বছর মেজবানের লাই অপেক্ষা করি। আইজ তেমন কিছু ন' খাই। চাটগাঁয় বঙ্গবন্ধু টানেলের ভৌতকর্ম সমাপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠান শেষের নাশতাও ন' খাই এই মেজবানের লাই।' (আমি সারাবছর মেজবানের জন্য অপেক্ষা করি। আজকে তেমন কিছু খাইনি। চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের ভৌতকর্ম সমাপ্তির অনুষ্ঠান শেষের নাশতাও খাইনি এই মেজবানের জন্য।)
পরে মন্ত্রী বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। খেলায় চট্টগ্রামের চকোরিয়ার জীবন বলী চ্যাম্পিয়ন হন। মেজবান ও মেলা উপলক্ষে অনুষ্ঠানস্থলে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম সমিতির ঐতিহ্যবাহী মেজবানী
২ বছর আগে
জব্বারের বলীখেলায় চ্যাম্পিয়ন জীবন বলী
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলার ১১৩ তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়ার জীবনবলী। কুমিল্লার শাহজালাল বলীকে হারিয়ে তিনি বিজয়ের মুকুট অর্জন করেন। এর আগে ১০৯ তম আসরেও তিনি চ্যাম্পিয়ন ছিলেন।
সোমবার বিকালে লালদীঘি সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেট চত্বরে বালুর তৈরী অস্থায়ী মঞ্চে এ বলী খেলা (কুস্তি প্রতিযোগিতা) অনুষ্ঠিত হয়।
জীবন বেশ কয়েকবার শাহজালালকে ধরাশায়ী করার চেষ্টা করেও পারেননি। শেষ মুহূর্তে পয়েন্ট ভিত্তিতে তারিকুল ইসলাম জীবনকে বিজয়ী ঘোষণা করেন খেলার রেফারি আব্দুল মালেক।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আজ ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা
করোনার মহামারির কারণে দুই বছর এ আয়োজন বন্ধ থাকার পর ঐতিহ্যবাহী এ বলীখেলা ও মেলার এবার বসেছে ১১৩তম আসর। প্রতিযোগিতায় অংশ নেন চট্টগ্রাম কক্সবাজার, নোয়াখালী কুমিল্লাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের অসংখ্য বলী।
জব্বারের এই বলী খেলায় এবার প্রথম রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল (চ্যালেঞ্জিং বাউট),সেমি ফাইনাল ও ফাইনালে (চ্যাম্পিয়ন বাউট) মোট ৭২ জন বলী অংশ নেন।
বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।
উল্লেখ্য, ১৯০৯ সালে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে লড়তে দেশের তরুণ যুবকদের শারীরিকভাবে তৈরি করতে এই বলী খেলার প্রচলন করেছিলেন চট্টগ্রামের বদরপাতি এলাকার বাসিন্দা আবদুল জব্বার। ধারাবাহিকভাবে শত বছর পেরিয়ে বর্তমানে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ঐতিহ্যবাহী লোকজ উৎসবেই শুধু পরিণত হয়নি এই খেলা, ঠাঁই করে নিয়েছে ইতিহাসেও।
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা
২ বছর আগে
চট্টগ্রামে আজ ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা
চট্টগ্রাম আজ (২৫ এপ্রিল) সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলীখেলা (কুস্তি প্রতিযোগিতা)। এ উপলক্ষে চলছে তিন দিনের বৈশাখী মেলা।
বিকেলে শহরের লালদীঘির জেলা পরিষদ মার্কেট প্রাঙ্গণের সড়কের উপর বিশেষ ব্যবস্থায় এ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হবে। করোনার মহামারির কারণে দুই বছর এ আয়োজন বন্ধ থাকার পর ঐতিহ্যবাহী এ বলীখেলা ও মেলার এবার বসছে ১১৩তম আসর। প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন চট্টগ্রাম কক্সবাজার, নোয়াখালী কুমিল্লাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক বলী।
এদিকে আজকের বলীখেলা ও গতকাল রবিবার থেকে শুরু তিন দিনের বৈশাখী মেলার কারণে কয়েকদিন ধরে লালদীঘি, কে সি দে রোড, বক্সিরহাট, সিনেমা প্যালেস, আমানত শাহ রোড, খাতুনগঞ্জ-আসাদগঞ্জগামী রোড সহ কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সিএমপির পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লাগানো হয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরা।
তিন দিনব্যাপী এ মেলা আজ এবং আগামীকাল পর্যন্ত চলবে। মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের গৃহস্থালি ও লোকজ পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী এ মেলায় হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। মাটির তৈরি তৈজসপত্র, মাটির টেপা পুতুল, কাঁচের চুড়ি, পাটপণ্যের পাশাপাশি কাঠের পুতুল, খেলনা, বাঁশ-বেতের জিনসিপত্র আর মুড়ি-মুড়কি বাতাসার দোকানের ভিড় লেগেছে।
বৈশাখের তপ্ত দুপুরে মাথার ওপর প্রচণ্ড তাপদাহ। তারই মাঝে বাহারি গ্রামীণ পণ্যের পসরায় সেজেছে লালদিঘী মাঠের আশে পাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা। মেলায় এসেছে নানা বয়সী মানুষ।
পড়ুন: চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলা হবে: মেয়র
২ বছর আগে