কুস্তি প্রতিযোগিতা
চট্টগ্রাম রিজিয়ন আন্তঃব্যাটালিয়ন কুস্তি প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়ন
চট্টগ্রাম রিজিয়ন আন্তঃব্যাটালিয়ন কুস্তি প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় তিনটি স্বর্ণ, একটি রৌপ্য ও দুইটি তাম্র পদক পেয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়ন (৩২ বিজিবি)। খেলায় দুইটি স্বর্ণ এবং দুইটি রৌপ্য পদক পেয়ে রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ছোট হরিনা ব্যাটালিয়ন (১২ বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বিকালে বাঘাইহাট ব্যাটালিয়ন (৫৪ বিজিবি) এর ব্যবস্থাপনায় খাগড়াছড়ি জেলাস্থ ইনডোর স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম রিজিয়ন আন্তঃব্যাটালিয়ন কুস্তি প্রতিযোগিতা-২০২৩ এর চূড়ান্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
আরও পড়ুন: হামদ-নাত প্রতিযোগিতার শীর্ষ ১০ জনের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার প্রদান
এ সময় তিনি সুশৃঙ্খল খেলার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘খেলার মাধ্যমে একজন সৈনিকের সাহসিকতা, আত্মবিশ্বাস মনোবল প্রকাশ পায়। খেলাধুলা শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। সে সঙ্গে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করে।
প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম রিজিয়ন অধীনস্থ ১৩টি ব্যাটালিয়ন হতে ২০১ জন খেলোয়াড় ১০টি ওজন শ্রেণিতে অংশগ্রহণ করে চমৎকার ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শন করে। এছাড়াও বিজ্ঞ বিচারক মন্ডলির বিবেচনায় খাগড়াছড়ি ব্যাটালিয়ন (৩২ বিজিবি) এর সিপাহী মো. আহসান হাবীব শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় এবং সিপাহী মো. শিবলু আহমেদ শ্রেষ্ঠ নবীন খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিজিবি রিজিয়ন সদর দপ্তর, চট্টগ্রাম এর পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল এসএম শফিকুর রহমান, আর্টিলারি ও খাগড়াছড়ি সেক্টরের অতিরিক্ত পরিচালক (অপারেশন) মেজর মো. মনিরুজ্জামান সহ বিভিন্ন পদবীর অফিসারসহ সৈনিক ও অসামরিক কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম রিজিয়নের অধীনস্থ ১৩টি বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের প্রতিযোগীগণ অংশগ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: কাঁঠালিয়ায় ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় মানুষের ঢল
জাতীয় পর্যায়ের ইসলামী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে পুলিশ সদস্যদের আহ্বান আইজিপির
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে আজ ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা
চট্টগ্রাম আজ (২৫ এপ্রিল) সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে শত বছরের ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলীখেলা (কুস্তি প্রতিযোগিতা)। এ উপলক্ষে চলছে তিন দিনের বৈশাখী মেলা।
বিকেলে শহরের লালদীঘির জেলা পরিষদ মার্কেট প্রাঙ্গণের সড়কের উপর বিশেষ ব্যবস্থায় এ বলীখেলা অনুষ্ঠিত হবে। করোনার মহামারির কারণে দুই বছর এ আয়োজন বন্ধ থাকার পর ঐতিহ্যবাহী এ বলীখেলা ও মেলার এবার বসছে ১১৩তম আসর। প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন চট্টগ্রাম কক্সবাজার, নোয়াখালী কুমিল্লাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের শতাধিক বলী।
এদিকে আজকের বলীখেলা ও গতকাল রবিবার থেকে শুরু তিন দিনের বৈশাখী মেলার কারণে কয়েকদিন ধরে লালদীঘি, কে সি দে রোড, বক্সিরহাট, সিনেমা প্যালেস, আমানত শাহ রোড, খাতুনগঞ্জ-আসাদগঞ্জগামী রোড সহ কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সিএমপির পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা। কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে লাগানো হয়েছে সিসি টিভি ক্যামেরা।
তিন দিনব্যাপী এ মেলা আজ এবং আগামীকাল পর্যন্ত চলবে। মেলায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের গৃহস্থালি ও লোকজ পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী এ মেলায় হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন বিক্রেতারা। মাটির তৈরি তৈজসপত্র, মাটির টেপা পুতুল, কাঁচের চুড়ি, পাটপণ্যের পাশাপাশি কাঠের পুতুল, খেলনা, বাঁশ-বেতের জিনসিপত্র আর মুড়ি-মুড়কি বাতাসার দোকানের ভিড় লেগেছে।
বৈশাখের তপ্ত দুপুরে মাথার ওপর প্রচণ্ড তাপদাহ। তারই মাঝে বাহারি গ্রামীণ পণ্যের পসরায় সেজেছে লালদিঘী মাঠের আশে পাশের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা। মেলায় এসেছে নানা বয়সী মানুষ।
পড়ুন: চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলা হবে: মেয়র
২ বছর আগে