আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন মঞ্জুর
রাজধানীর পল্টন থানার নাশকতার এক মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত শুনানি শেষে ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিনের আদেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: মির্জা ফখরুল জামিন আবেদন আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তির নির্দেশ বহাল
আসামি পক্ষের আইনজীবী মহসিন মিয়া, সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জামিন শুনানি করেন।
তারা বলেন, আসামির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনও অভিযোগ নেই। বয়স্ক, অসুস্থ বিবেচনায় জামিনের প্রার্থনা করেছেন তারা। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ছিল। মহাসমাবেশ শুরুর পর কাকরাইলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ বিজয় নগর পানির ট্যাংক ও শান্তিনগর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মির্জা ফখরুলকে
এক পর্যায়ে বিকাল ৩টার দিকে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশের এক সদস্য ও যুবদলের ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা নিহত হন। সংঘর্ষে আহত হয় পুলিশের ৪১ ও আনসারের ২৫ সদস্য। এছাড়া কমপক্ষে ২০ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে হাজারের বেশি নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি বিএনপির।
গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ওইদিনই তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন, বিচারাধীন আরও ২ মামলা
এরপর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর রমনা ও পল্টন থানার নাশকতার পৃথক ৯ মামলায় মির্জা ফখরুলের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তবে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা মামলায় জামিন না মেলায় এখনই কারামুক্ত হচ্ছেন না মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
৯ মাস আগে
প্রফেসর সাজ্জাদ ও আলমগীরকে পুনরায় ইউজিসির সদস্য নিয়োগ
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ও প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আলমগীর।
সোমবার (৫ জুন) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত দুইটি পৃথক আদেশ জারি করেছে।
আগামী চার বছরের জন্য তারা সদস্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন। এ সময় তারা প্রথম মেয়াদের অনুরূপ বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একক ভর্তি পরীক্ষা নিতে ইউজিসিকে রাষ্ট্রপতির নির্দেশ
ইউজিসি জানায়, প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন ও প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীরের প্রথম দফার মেয়াদ শেষ হবে যথাক্রমে চলতি মাসের ১১ ও ১৫ তারিখে।
২০১৯ সালের ১২ জুন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে সদস্য হিসেবে যোগদানের আগে প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রামের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। এছাড়া রাশিয়ার মস্কো টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল সিস্টেম নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং যুক্তরাষ্ট্রের অরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স ও একই বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। তার গবেষণার বিষয় কোয়ান্টাম কম্পিউটিং।
অপরদিকে ২০১৯ সালের ১৬ জুন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে সদস্য হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে প্রফেসর আলমগীর খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) দুই মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, বিভাগীয় প্রধান, সিন্ডিকেট সদস্য, প্রভোস্ট এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি জার্নাল অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স-এর প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রি এবং জাপানের সাগা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
আরও পড়ুন: ইউজিসিকে কর্মমুখী পাঠ্যক্রম চালু করার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
উচ্চশিক্ষা খাতে ১২ হাজার ২৬২ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন ইউজিসি’র
১ বছর আগে
জানুয়ারিতে প্রস্তাব পাস না হলে ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট সম্ভব না: নির্বাচন কমিশনার আলমগীর
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ইভিএম কেনার বাজেট কাটছাঁট করা হলে বা কেনার প্রস্তাব ১৫ জানুয়ারির মধ্যে পাস না হলে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ১৫০টি নির্বাচনী এলাকায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা সম্ভব হবে না।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমরা শুধুমাত্র বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) থেকে ইভিএম কিনতে পারি, তাই আমরা তাদের বাজার মূল্য মূল্যায়ন করতে পারছি না।’
বুধবার রাজধানীর নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে গণমাধ্যমকে কমিশনার আলমগীর এ কথা বলেন।
সম্ভাব্যতা যাচাই না করেই ইসি দুই লাখ ইভিএম ক্রয় ও তাদের ব্যবস্থাপনার জন্য আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠায়। ইসি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে।
উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন সংক্রান্ত পরিকল্পনা কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, ৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি ব্যয়ের যে কোনো প্রকল্পের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাই আবশ্যক।
আলমগীর বলেন, ‘ইভিএম কেনার বরাত চাইতে না পারায় সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সুযোগ নেই। বিএমটিএফ আমাদের যে দাম দিয়েছে, সেই দামেই ইভিএম কিনতে হবে। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কোনো সুযোগ নেই'।
প্রস্তাব অনুযায়ী, তাদের সমস্ত আনুষাঙ্গিকসহ ইভিএমগুলির জন্য ৩ দশমিক ৩৩ লাখ টাকা খরচ হবে এবং দুই লাখ মেশিন কিনতে প্রায় ৬ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে।
তাদের সংরক্ষণের জন্য একটি গুদাম, একটি কাস্টমাইজেশন সেন্টার এবং ৫৩৪টি পিকআপ ভ্যান এবং চারটি এসইউভি কেনার জন্য আরও এক হাজার ১৫৫ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। আর ইভিএম নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে, ভোটার ও প্রশিক্ষণ কর্মকর্তাদের অবহিত করতে হলে আরও ২০৬ কোটি টাকা প্রয়োজন হবে। বাকিটা প্রশাসনিক খরচের দিকে যাবে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় সর্বোচ্চ ১৫০টি সংসদীয় আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইসির কাছে বর্তমানে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে যা ৭০ থেকে ৮০টি আসনে একযোগে ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন: ইসি নিজেই স্বীকার করেছেন ইভিএম দিয়ে সঠিকভাবে নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না: জিএম কাদের
ইসি’র ইভিএম কেনার প্রকল্প জাতির সঙ্গে উপহাস: ফখরুল
১৫০ আসনে ইভিএম: ইসির ৮৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প চূড়ান্ত
১ বছর আগে