মুসলিম উম্মাহ
ফিলিস্তিন সংকট সমাধান নির্ভর করছে মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান নির্ভর করছে মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর।
তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে ফিলিস্তিন সংকটের সমাধান সম্ভব।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ঢাকায় নিযুক্ত ওআইসি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।
ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ বন্ধ করুন, নারী ও শিশুদের বাঁচান: বিশ্ব নেতাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ইসা ইউসুফ ইসা আল দুহাইলান, আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি, মরক্কোর রাষ্ট্রদূত মজিদ হালিম, কাতারের রাষ্ট্রদূত আলী এম এস আল-কাহতানি, লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদুল মুতালেব এস এম সুলাইমান, তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রামিস সেন, ইরানের রাষ্ট্রদূত মনসুর চাভোশি, ব্রুনাইয়ের হাইকমিশনার হাজি হারিস বিন ওসমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হামিদ আল তামিমি, ইরাকের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মোহানাদ আল দাররাজি, ওমানের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ফাথিয়া আল-বুলুশি, ইন্দোনেশিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাদেন উসমান এফেন্দি এবং মিশরের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মিনা মাকারি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ ফিলিস্তিনি নিহত
১ বছর আগে
সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে মুসলিম উম্মাহের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম উম্মাহকে সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকায় অবস্থানরত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা’র (ওআইসি) সাতটি সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে ছিলেন- আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম, মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সমীর, ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফফার বিন আব্দুল করিম আল-বুলুশি, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত না থাকলে উন্নয়নের এই স্তরে পৌঁছাত না বাংলাদেশ’: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেছিলেন এবং এর পরে তিনি নিজেই ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহকে সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
বিদেশি কূটনীতিকরা বাংলাদেশের বিগত ১৪ বছরের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা;বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারি সফলভাবে মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ ভালো থাকুক ও সুখী থাকুক এই কামনা করেন। সুতরাং, মুসলিম উম্মাহর সদস্য হিসেবে তারা (রাষ্ট্রদূতরা) এতে আনন্দিত ও গর্বিত।
তারা উল্লেখ করেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রায় ৭০ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছে। যা আয়োজক দেশগুলোর অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখছে। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে তার সাফল্য কামনা করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ পালাবে না, বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তিনি চান নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। জনগণ যদি তাকে ভোট দেয় তাহলে তিনি আবার ক্ষমতায় আসবেন, অন্যথায় তিনি আসবেন না। কারণ তিনি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী।
নিজের জন্য নয়; দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার লক্ষ্য দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধন করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রায় ৪০ হাজার বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বাড়িগুলো বিতরণের পরে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
আজ পবিত্র শবে কদর
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত পবিত্র শবে কদর বা লাইলাতুল কদর। সন্ধ্যার পর থেকেই দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র এই রজনী উপলক্ষে বিশেষ ইবাদতের মাধ্যমে রাতটি অতিবাহিত করবে।
দেশের পাশাপাশি মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও অগ্রগতি কামনায় রাতটি কাটাবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
পবিত্র কোরআনে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাত ঘোষণা করেছেন মহান আল্লাহ। লাইলাতুল কদরের রাতটি মুসলমান সম্প্রদায়ের কাছে অনেক ফজিলতপূর্ণ ও বরকতময়।
মাহে রমজানের এ রাতেই মানবজাতির জন্য সার্বিক দিকনির্দেশনা, কল্যাণ ও তাদের পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআন মাজিদ নাজিল করেন।
সারাদেশে মুসলমানরা নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির ও দরুদ পাঠের মাধ্যমে রাতটি অতিবাহিত করেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শবে কদর উপলক্ষে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এই তাৎপর্যপূর্ণ রাতকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টিভি চ্যানেল এবং রেডিও স্টেশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার এবং সংবাদপত্রগুলো বিশেষ নিবন্ধন প্রকাশ করবে।
পড়ুন: ঈদের ছুটিতে খোলা থাকবে কাস্টমস হাউস
ঈদুল ফিতরের সিনেমা ২০২২: বড় পর্দার আয়োজন
২ বছর আগে