প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুসলিম উম্মাহকে সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঢাকায় অবস্থানরত ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা’র (ওআইসি) সাতটি সদস্য রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান তিনি।
বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে ছিলেন- আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত রাবাহ লারবি, মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম, মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সমীর, ওমানের রাষ্ট্রদূত আব্দুল গাফফার বিন আব্দুল করিম আল-বুলুশি, ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদান, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা ইউসুফ ঈসা আলদুহাইলান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামুদি।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: ‘গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত না থাকলে উন্নয়নের এই স্তরে পৌঁছাত না বাংলাদেশ’: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফিলিস্তিনকে সমর্থন করেছিলেন এবং এর পরে তিনি নিজেই ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহকে সম্মিলিতভাবে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে হবে।’
বিদেশি কূটনীতিকরা বাংলাদেশের বিগত ১৪ বছরের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা;বিশেষ করে কোভিড-১৯ মহামারি সফলভাবে মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ ভালো থাকুক ও সুখী থাকুক এই কামনা করেন। সুতরাং, মুসলিম উম্মাহর সদস্য হিসেবে তারা (রাষ্ট্রদূতরা) এতে আনন্দিত ও গর্বিত।
তারা উল্লেখ করেন, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রায় ৭০ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছে। যা আয়োজক দেশগুলোর অর্থনীতিতে বিশাল অবদান রাখছে। তারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে তার সাফল্য কামনা করেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ পালাবে না, বাংলাদেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখবে: রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তিনি চান নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। জনগণ যদি তাকে ভোট দেয় তাহলে তিনি আবার ক্ষমতায় আসবেন, অন্যথায় তিনি আসবেন না। কারণ তিনি জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাসী।
নিজের জন্য নয়; দেশ ও জনগণের জন্য কাজ করছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার লক্ষ্য দেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন সাধন করা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ঘর নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রায় ৪০ হাজার বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বাড়িগুলো বিতরণের পরে কেউ গৃহহীন ও ভূমিহীন থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকার ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী