তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি
তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত স্বাক্ষরের ব্যাপারে আশাবাদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আশা প্রকাশ করে বলেছেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরসহ ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সব সমস্যা দ্রুত শেষ হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এসব বিষয় নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালায়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের স্বদেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য ভারতের সমর্থন চেয়েছেন ড.মোমেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-দিল্লির ক্রমবর্ধমান মিথষ্ক্রিয়া আস্থার উত্তম প্রতিফলন: জয়শঙ্কর
ড. মোমেন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ভারত বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী, উল্লেখ্য যে গত কয়েক বছরে উভয় দেশই বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশগুলোর মধ্যকার চলমান সহযোগিতার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যক্তিগত শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমরা তার (শেখ হাসিনার) সুবিধাজনক সময়ে ভারত সফরের অপেক্ষায় রয়েছি’।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
উভয় পক্ষ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জয়েন্ট কনসালটেশন কমিশন (জেসিসি) বৈঠকের পরবর্তী রাউন্ড আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
জয়শঙ্কর জোর দিয়ে জানান, ভারতের বৈদেশিক নীতির লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
জয়শঙ্কর শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে পরিবর্তনশীল আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।
জয়শঙ্কর বলেন, করোনা মহামারির চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তারা (বাংলাদেশ-ভারত) নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অগ্রগতি হয়েছে।
ভারতীয় মন্ত্রী মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের নিজ দেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ বাংলাদেশের কিছু উদ্বেগের সমাধানে ভারতের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
জয়শঙ্কর ভারতের অর্থায়নকৃত কিছু প্রকল্পের দ্রুত ও সময় মতো সমাপ্তির ওপর জোর দেন এবং সব বিষয়ে বিশেষ করে পাওয়ার সেক্টরে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: সংঘাতের পরিণতিতে সাড়া দেয়ার চেয়ে প্রতিরোধে বিনিয়োগ ভালো: ঢাকা