মুহিত
মুহিতের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল শনিবার
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় শনিবার রাজধানীর গুলশানের কেন্দ্রীয় (আজাদ) মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
পরিবারের সকল সদস্য, বন্ধুবান্ধব ও শুভানুধ্যায়ীদের দোয়া মাহফিলে উপস্থিত থাকার জন্য তার পরিবার বিনীতভাবে অনুরোধ করছেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ, একজন মুক্তিযোদ্ধা, সিলেট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের জানাজা সম্পন্ন, মা-বাবার কবরের পাশে দাফন
২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল মধ্যরাতের পরপরই তিনি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
সিলেটের রায়নগরে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবুল মাল আবদুল মুহিত তার স্ত্রী সাবিয়া মুহিত, মেয়ে সামিনা, ছেলে শাহেদ ও সামিরসহ পরিবারের বিপুল সংখ্যক সদস্য, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।
মুহিতের মৃত্যুতে অর্থমন্ত্রীর শোক
প্রবীণ অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিক আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
শনিবার এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় জানায়, অর্থমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার চিরন্তন মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
কামাল বলেন, মুহিত স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়েছেন এবং তিনি আমাদের অভিভাবকদের একজন ছিলেন।
আরও পড়ুন: এএমএ মুহিতের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
তিনি একাধারে প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখক ও ভাষাবিদ ছিলেন। তিনি বিশ্বব্যাংকের মতো বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘তার মৃত্যুতে জাতি একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিককে হারাল। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তার অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
প্রতিভাবান অর্থনীতিবিদ এএমএ মুহিত একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেন
সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত শুধু একজন প্রতিভাবান অর্থনীতিবিদই ছিলেন না, তিনি একজন প্রখ্যাত লেখকও ছিলেন।
তার কিছু জনপ্রিয় বইয়ের নাম হলো- বাংলাদেশ, এমার্জ অব এ ন্যাশন (১৯৭৮), আমেরিকান রেসপন্স টু বাংলাদেশ (১৯৯৬), অ্যান এজেন্ডা ফর গুড গভর্নেন্স (২০০৭), হিস্ট্রি অব বাংলাদেশ: এ সাবকন্টিনেন্টাল সিভিলাইজেশন (২০১৬), বাংলাদেশ ইন দ্য টুয়েন্টি-ফার্স্ট সেঞ্চুরি: টুয়ার্ডস অ্যান ইন্ডাস্ট্রিয়াল সোসাইটি (১৯৯৯) এবং স্মৃতির মণিকোঠায় (২০১৪)।
তার পাঁচটি বই বাংলাদেশের অন্যতম প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যুতে ভারতীয় হাইকমিশনের শোক
ইউপিএলের মালিক মাহরুখ মহিউদ্দিন বলেন, মুহিত সব সময়ই গবেষণা কাজে আগ্রহী ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি (মুহিত) সক্রিয়ভাবে গবেষণার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। সম্পাদকদের যদি তার পাণ্ডুলিপির বিষয়ে কোনো পরামর্শ থাকতো, মুহিত তাদের স্বাগত জানাতেন।’
মাহরুখ আরও বলেন, ‘আমার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ, যিনি তার (মুহিতের)বই প্রকাশ করেছিলেন; তিনি আমাকে বলেছিলেন তিনি মাঝে মাঝে মুহিতের পাণ্ডুলিপি ফেরত দিতেন। কিন্তু তিনি (মুহিত) কখনও অসন্তুষ্ট হননি।’
আরও পড়ুন: মুহিতের মৃত্যুতে অর্থমন্ত্রীর শোক
এএমএ মুহিতের প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন