রাশিয়া-ইউক্রেন
দ্রব্যমূল্য বাড়লেও অনেকের চেয়ে আমরা ভালো আছি: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও, আমরা অনেকের চেয়ে ভালো আছি।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য কমছে, আস্তে আস্তে আরও কমবে। এই ঊর্ধ্বগতি সারা দুনিয়ায়। এটা শুধু বাংলাদেশে নয়। দেখুন ফ্রান্স, জার্মানির কি অবস্থা। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: ওবায়দুল কাদের
বুধবার (২৯ মার্চ) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, কস্ট অব লিভিংয়ের জন্য সারা দুনিয়াতেই কষ্টটা আছে। কষ্ট শুধু বাংলাদেশে না। বাস্তবতাকে আমরা অস্বীকার করছি না। জিনিসপত্রের দাম এখন কিছু দাম কমেছে এবং আরও কমবে।
এছাড়া সে ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে চেষ্টা চলছে।
অন্য দেশে এক রাতের ব্যবধানে ১৫৯ টাকার মুরগি ২৫০ টাকা হয় কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এরকম হয়, ইংল্যান্ডেও হয়েছে। এ অনিয়মগুলোর মধ্যে নিয়মও হচ্ছে। অভিযান তো চালাতে হবে। রমজান আসলে এ সময়টাতে অসাধু ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে।
তিনি বলেন, এসব বিষয় আমাদের দেশে নতুন নয়। আগেও হয়েছে এখনও হচ্ছে। তবে সরকার চুপ কর বসে আছে তা তো নয়। সরকার তার দায়িত্ব পালন করছে।
সিন্ডেকেটের বিরুদ্ধে এতো উদ্যোগের পরও রেজাল্ট হচ্ছে না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজাল্ট না পেলে বাংলাদেশ অনেকের তুলনায় ভালো আছে এমন বলা যেতো না।
আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট, চীনের প্রেসিডেন্ট, জো বাইডেনের স্টেটমেন্টে বাংলাদেশ এবং সরকার নিয়ে তারা আশা করে সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলেছে বাংলাদেশ যেভাবে এগুচ্ছে খুব দ্রুতই রিজনাল লিডার হিসেবে বাংলাদেশ আবির্ভূত হবে।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান ছাড়া কোনো দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নেই: কাদের
বাংলাদেশে এ প্রশংসাগুলো কি শূণ্য থেকে হচ্ছে?
বাংলাদেশে প্রোগ্রেস থেমে থাকলে বিশ্বের বড় বড় দেশের নেতারা বাংলাদেশে প্রশংসা করে কেন? এগুলো কি অমূলক? হাওয়া থেকে করে তারা?
আমি একটা কথাই বলব আমরা অনেকের চেয়ে ভালো আছি। এখানেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে সেটা আমি অস্বীকার করছি না, সেটা স্বীকার করেই আমি বলছি আমরা অনেক ভালো আছি।
এদিকে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে একটি মন্ত্রণালয়ের সফলতা ও ব্যর্থতা বিচার করা সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের।
সড়কে শৃঙ্খলা আনতে পেরেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটু কি খবর নিয়েছেন আমাদের প্রতিবেশি দেশ ভারতে প্রতি মিনিটে কতগুলো সড়ক দুর্ঘটনা হয়, কত লোক মারা যায়?
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জন মারা গেল। এটা নিয়ে আপনি কি বলবেন?
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে আপনি কথা বলবেন, চাকা ব্লাস্ট হয়েছে, এটা হতেই পারে। এরকম অ্যাকসিডেন্ট হতেই পারে।
মন্ত্রী বলেন, একটা মন্ত্রণালয়ের যতগুলো মেগা প্রজেক্ট এ সরকারের আমলে উদ্বোধন হয়েছে, অনেকগুলোর কাজ প্রায় শেষ। এতো সাফল্য, সেটাকে ম্লান করে শুধু সড়ক দুর্ঘটনা।
এছাড়া পৃথিবীর সব দেশে সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনা দিয়ে সফলতা ঢেকে দেওয়ার সুযোগ নেই। যেখানে সাফল্য বেশি সেটাকে অ্যাটাক করার মোটিভও থাকতে পারে।
আরপিও সংশোধন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মন্ত্রিসভায় কোনো প্রস্তাব আসলে সেটা আগে নীতিগত অনুমোদন হয়। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদন হয়। আরপিও সংশোধনের যে প্রস্তাব সেটা বুধবার নীতিগতভাবে অনুমোদন হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ফখরুলের কোনো বক্তব্য নেই: কাদের
চূড়ান্ত অনুমোদন হয়নি। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার আগে চূড়ান্ত বলার সুযোগ নেই। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং হওয়ার পর চূড়ান্ত হয়। চূড়ান্ত অনুমোদনে আপনারা যা শুনছেন তা নাও তো হতে পারে।
১ বছর আগে
জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি তাদের সহযোগিতা জোরদার করতে বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সোমবার সকালে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য লেখক মো. নজরুল ইসলাম।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশ আকর্ষণীয় ৮ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল। কিন্তু মহামারির কারণে তা হ্রাস পেয়েছে। বাংলাদেশ যখন প্রবৃদ্ধির গতি পুনরুদ্ধার করছিল, তখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে আবারও আঘাত হানে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন এজেন্ডা ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেমিনার
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো খাদ্য ও জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি সহ অর্থনৈতিক পতনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।
প্রধানমন্ত্রী সবুজ বলয়, বনায়ন, টেকসই আবাসন এবং জীবিকা তৈরির মাধ্যমে বিরূপ প্রভাব প্রশমিত করার জন্য জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড থেকে অর্থায়নে গৃহীত প্রকল্পগুলোসহ জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তার সরকারের পদক্ষেপ এবং প্রচেষ্টার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন।
তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের দায়িত্ব ভাগ করে নেয়, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তারা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি পালন করছে না।
বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য উন্নয়ন যাত্রার প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় ছিল ১৯৭২ সালে মাত্র ৫০ মার্কিন ডলার, যা এখন ২৮২৪ মার্কিন ডলার।
বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্যও কর্মসংস্থান সৃষ্টি প্রয়োজন।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক ১৯৭২ সাল থেকে বাংলাদেশকে সহায়তা করে আসছে এবং দেশের পাশে থাকবে।
বিশ্বব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বব্যাংকের অংশীদারিত্ব জোরদার করতে আমি এখানে এসেছি।
বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতা, রাজনৈতিক ভিশন বাস্তবায়নে সরকারের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং জনগণের জন্য কাজ করার ইচ্ছার কারণে গত ১৪ বছরে দেশ দ্রুত উন্নয়ন করেছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ডক্টর গওহর রিজভী, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং অর্থ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের জন্য নিজস্ব তহবিল সংগ্রহ করুন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
বাংলাদেশকে ঋণ দিতে আইএমএফ’র কোনো শর্ত নেই: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
মানুষের উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ দিতে হবে: আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্ক নেই, তাদের উন্নত জীবনযাপনের সুযোগ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানাই, এই যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে, মানুষের জীবনযাপনের সুযোগ থাকতে হবে।’
সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য উন্নত সুযোগ-সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে পায়রা বন্দরে ক্যাপিটাল ড্রেজিংসহ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধন করা অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আটটি জাহাজ, ছয় লেনের সংযোগ সড়ক ও একটি সেতু নির্মাণ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উন্নত দেশসহ গোটা বিশ্ব তীব্র জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংকটের সম্মুখীন।
তিনি বলেন, ‘এর প্রভাব আমরাও ভোগ করছি। কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে হঠাৎ করেই সবকিছুর দাম বেড়ে যায়।’
আরও পড়ুন: মোংলা ও পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারবে নেপাল: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা পর্যবেক্ষণ থেকে বলেন, জনসাধারণ এর ক্ষতির শিকার হচ্ছে। তারা যন্ত্রণায় কাতর। আমি জানি না কে মুনাফা করছে... যারা অস্ত্র উৎপাদন ও ব্যবসা করছে তারাই হতে পারে। কিন্তু শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ অনেক কষ্টে আছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নৌপরিবহন সচিব মো. মোস্তফা কামাল ও পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহেল।
অনুষ্ঠানে পায়রা বন্দরের উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের পায়রা বন্দর পরিদর্শন
পায়রা সমুদ্রবন্দরে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে প্রকল্পের মোড়ক উন্মোচন প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
মূলধনী যন্ত্রপাতির এলসি ৬৫ শতাংশ কমায় রপ্তানিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে: বিশেষজ্ঞরা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানি ও বৈশ্বিক মন্দা সতর্কতা কঠোর করার পরে নতুন বিনিয়োগ ও ব্যবসা সম্প্রসারণে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে।
ফলস্বরূপ, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য লেটার অব ক্রেডিট বা প্রত্যয়পত্র (এলসি) খোলার হার চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই থেকে আগস্টে ৬৫ শতাংশ কমেছে। এর কোনো স্বল্পমেয়াদী প্রভাব নেই, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে প্রভাবিত করবে বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমান ‘অস্থির’ সময়ে নতুন বিনিয়োগ করার মতো সাহসী কেউ নেই। গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের কারণে বিদ্যমান ব্যবসা টিকিয়ে রাখাও চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত শিল্প যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪০ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১১৫ কোটি মার্কিন ডলার। উৎপাদনের জন্য ঋণের এলসি প্রায় ৬৫ শতাংশ কমেছে।
আরও পড়ুন: এলসি খোলার ২৪ ঘণ্টা আগে রিপোর্টের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের
তবে এই সময়ের মধ্যে পূর্বে খোলা ঋণ নিরাপত্তার নিষ্পত্তি প্রায় ৫৫ শতাংশ বেড়েছে।
গত অর্থবছরে (২০২২) মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছিল ৬৪৬ কোটি মার্কিন ডলারের, যা আগের অর্থবছর ২০২১ এর তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি এবং ঋণ নিষ্পত্তি ছিল ৫২৬ কোটি মার্কি ডলারের, যা আগের বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এখন আমদানির ক্ষেত্রে ৩০ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি এলসি খোলার জন্য ২৪ ঘণ্টা আগে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হয়।
তারা উল্লেখ করেন, অনেক ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বড় এলসি খোলায় বাধা দেয়। আবার ডলারের ঘাটতির কারণে অনেক ব্যাংক বড় এলসি খোলা বন্ধ বা কমিয়ে দিয়েছে। এলসি খোলার ক্ষেত্রে এই প্রবিধানের প্রভাবের কারণে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিও হ্রাস পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিদেশি মুদ্রা আদায়ে এলসি মার্জিন বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ইউএনবিকে বলেন, বাংলাদেশ গত দেড় বছরে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে।
তিনি বলেন, এর প্রধান কারণ পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধির কারণে অনেক উদ্যোক্তা তাদের উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছেন। বর্তমানে রপ্তানিতে খুব বেশি প্রবৃদ্ধি নেই। সে কারণে ব্যবসার প্রসার কমছে।
মোয়াজ্জেম বলেন, ‘এতে, অদূর ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে দীর্ঘমেয়াদে শিল্প উৎপাদন, রপ্তানি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি স্থবির হয়ে যেতে পারে।’
টেক্সটাইল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিল অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, নতুন কিছু মিল বর্তমান সংকটের পূর্বেই মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি ঋণ খুলেছিল।
তিনি বলেন, যারা আগে এলসি খোলেনি তারা এখন হাত গুটিয়ে বসে আছে। এ কারণে নতুন সব কারখানা নির্ধারিত সময়ে উৎপাদনে আসতে পারবে না।
মোহাম্মদ আলী উল্লেখ করেন, টেক্সটাইল কারখানায় গ্যাস সরবরাহের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে এবং উৎপাদন ও মেশিন যন্ত্রপাতি আমদানিতে প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ রপ্তানি, বিনিয়োগ ও চাকরি দেখলো ইপিজেড: বেপজা
২ বছর আগে
বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি: আগস্টে ৯.৫% শতাংশ, ১২ বছরে সর্বোচ্চ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বলেছে, জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির বিরূপ প্রভাবের কারণে আগস্ট মাসে বাংলাদেশে রেকর্ড ৯ দশমিক ৫ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
তবে আগস্টে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি হলেও সেপ্টেম্বরে এর লাগাম টানা সম্ভব হয়েছে। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান উচ্চ মূল্যস্ফীতির জন্য রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও সাম্প্রতিক মাসগুলোর বিশ্ব পরিস্থিতির অস্থিতিশীলতাকে দায়ী করেছেন ।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, এ মাসে মূল্যস্ফীতি কমবে। কারণ সাপ্লাই চেন শক্তিশালী হওয়ার কারণে প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ বেড়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি কমছে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হয়েছে। মূল্যস্ফীতির হার আরও কমবে।’
তিনি বলেন, ‘সয়াবিন তেলের দামও এখন কমছে। নতুন ফসলের ফলন হচ্ছে। আকাশছোঁয়া জ্বালানি দামের ফলে সকল পণ্যের দাম এখন সারা বিশ্বে বেশি।’
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি কমে ৭.৪৮ শতাংশ: বিবিএস
এদিকে সেপ্টেম্বর মাস পেরিয়ে গেলেও আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেনি বিবিএস।
বিবিএস সাধারণত নতুন মাসের প্রথম সপ্তাহে আগের মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিবিএস মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান তৈরি করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠায়।
কিন্তু সরকারের উচ্চপর্যায়ের 'সবুজ সংকেত' এখনও পায়নি। ফলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বা বিবিএস কেউই আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য প্রকাশ করেনি।
পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন বলেন, ‘মূল্যস্ফীতির তথ্য গতকাল মন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। আমরা এখনও ফাইলটি ফিরে পাইনি। তাই অনুমোদন ছাড়া কিছু বলতে পারব না।’
আরও পড়ুন: সহিংসতায় দ্রব্যমূল্য ও মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে না: পরিকল্পনামন্ত্রী
মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
২ বছর আগে
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট খাদ্য ও জ্বালানি সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সামনে খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের পাশাপাশি আর্থিক ও বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াব বুধবার তার আবাস্থল হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় প্রধানমন্ত্রী এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর আজকের কার্যক্রম সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
এসব চ্যালেঞ্জ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ডব্লিউইএফের মধ্যে সহযোগিতা ভবিষ্যতে বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অধ্যাপক শোয়াব আগামী জানুয়ারিতে ডাভোসে ডব্লিউইএফ সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।’
সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপাক্ষিক বুথে স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বোরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীদের আরও বেশি যুক্ত করুন: প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার মধ্যে সহযোগিতা সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
পরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের দ্বিপাক্ষিক বুথে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসোর সঙ্গে আরেকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
তারা বাংলাদেশ ও ইকুয়েডরের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্কে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
রাশিয়া-ইউক্রেনসহ কোন দেশ থেকে খাদ্য আমদানিতে বাধা নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
রাশিয়া-ইউক্রেনসহ কোন দেশ থেকে খাদ্য আমদানিতে বাধা নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা ২৫ আগস্ট (ইউএনবি)-রাশিয়া-ইউক্রেনসহ কোন দেশ থেকে খাদ্য আমদানিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে খাদ্য আমদানি নিয়ে সরকারি উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, মিটিং এ খাদ্য সামগ্রী আমদানি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের খাদ্য আমদানি নিয়ে কোন সমস্যা নেই,আন্তর্জাতিকভাবেও কোন সমস্যা নেই সেটা নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন:টিসিবির পণ্য বিক্রি নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন সঠিক নয়: বাণিজ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, খাদ্যের মজুদ কেমন আছে, সার্বিক বিষয়ে আলোচনা করেছি। জ্বালানি তেল নিয়ে আজ কোন আলোচনা হয়নি। খাদ্য আমদানির ক্ষেত্রে রাশিয়া হোক বা ইউক্রেন হোক; আন্তর্জাতিকভাবে কোন বাধা নাই। পৃথিবীতে গ্লোবালি ২৪টা ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ডলার দিয়ে আমদানি করতে পারবে ।
আরেক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ডলার সস্তায় খোঁজার ব্যাপারটি আলাদা বিষয়। সেটি নিয়ে আজ কোন আলোচনা হয়নি।
তিনি বলেন, তেল নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। এক্সপোর্টের বিষয়ে কথাবার্তা বলা হয়েছে। আজকে সবাইকে জানানো হয়েছে খাদ্য আমদানিতে কোন বাধা নেই।
আরও পড়ুন:বাণিজ্যমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে প্রতারণা, সতর্ক থাকার আহ্বান
এলডিসি থেকে বেরিয়ে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা চায় বাংলাদেশ: ডব্লিউটিও’র এমসি-১২তে বাণিজ্যমন্ত্রী
২ বছর আগে
আ.লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সোমবার অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে গেলেও দেশ-বিদেশের স্বার্থান্বেষী মহল আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করছে।
তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, এর ফ্রন্ট ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের মতো বাংলাদেশকে দারিদ্র্য ও ক্ষুধামুক্ত একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে রূপান্তর করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
সভায় দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে কর্মী ও দেশবাসী যাতে কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে জয়-পুতুলের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাইরাল
কেউ যাতে দরিদ্র, গৃহহীন ও ক্ষুধার্ত না থাকে সেজন্য সরকারের পদক্ষেপে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য তিনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলমান করোনাভাইরাস এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব এখন একটি সংকটময় মোড়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এসময় তিনি বিদ্যুতের মতো জ্বালানি ব্যবহারে বিশেষ করে প্রতিটি খাতে মিত্যবায়ী হওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমরা এখনও ভালো অবস্থানে আছি এবং ভালো থাকার চেষ্টা করছি। এর জন্য সকল দেশবাসীর সাহায্য প্রয়োজন।
প্রধানমন্ত্রী আবারও সকলকে দেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনার কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছে, প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছে এবং প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে বাড়ি দিয়েছে এবং সকলের জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু হয়ে টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী তৃণমূল নেতাকর্মীদের তার দলের লাইফলাইন উল্লেখ করে বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরা সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেয় এবং দলকে ধরে রাখে।
তিনি দলের নেতৃবৃন্দকে প্রত্যেক দলের মানুষের খোঁজ খবর নিতে এবং প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানান।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি স্বাধীনতার স্থপতির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিন ঘণ্টার যাত্রা পথে বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
টুঙ্গিপাড়া যাওয়ার পথে জাজিরা পয়েন্টের সার্ভিস এলাকায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কিছুক্ষণ বিরতি নেন শেখ হাসিনা।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ২৫ জুন পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করেন।
আজ বিকালে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী
২ বছর আগে
ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি মোদির
দেশের ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির’ লক্ষ্যে ভারতের ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
রবিবার রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের মধ্যে জার্মানি, ডেনমার্ক ও ফ্রান্স সফরের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
মোদি প্রথমে ২ মে জার্মানি যাবেন, যেখানে তিনি চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করবেন এবং ভারতীয় প্রবাসীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বলবেন। জার্মান থেকে তিনি ডেনমার্ক যাবেন এবং ৪ মে দেশে ফেরার পথে প্যারিসে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি নিবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন
সফরপূর্ব বিবৃতিতে মোদি বলেছেন,‘আমার ইউরোপ সফর এমন এক সময়ে যখন এই অঞ্চলটি অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়... আমি আমাদের ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার মনোভাবকে শক্তিশালী করতে চাই, যারা শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, বার্লিনে, মোদি স্কোলজের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে চলেছেন এবং ভারত-জার্মানি আন্তঃসরকারি পরামর্শের ষষ্ঠ সংস্করণের সহ-সভাপতি হতে পারেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও জার্মান চ্যান্সেলর স্কোলজ যৌথভাবে একটি ব্যবসায়িক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: ভারতের নতুন সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে
এছাড়াও জার্মান থেকে কোপেনহেগেনে যাবেন মোদি। ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা ছাড়াও, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ডেনমার্ক দ্বারা আয়োজিত দ্বিতীয় ভারত-নর্ডিক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
ভারত-নর্ডিক সামিটে মোদি আইসল্যান্ডের প্রিমিয়ার ক্যাট্রিন জ্যাকবসদোত্তির, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস গাহর স্টোর, সুইডেনের প্রিমিয়ার ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন এবং ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিনের সঙ্গেও দেখা করবেন।
৪ মে তার ফিরতি যাত্রায়, মোদি প্যারিসে যাত্রাবিরতি করবেন এবং ফরাসি রাষ্ট্রপতি এমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে দেখা করবেন, যিনি সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন।
মোদি বলেছেন,‘এটি আমাদের ভারত-ফ্রান্স কৌশলগত অংশীদারিত্বের পরবর্তী পর্যায়ে নেয়ার সুযোগও দেবে’।
আরও পড়ুন: পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় ম্যাক্রোঁকে মোদির শুভেচ্ছা
২ বছর আগে