ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার থেকে ভর্তুকি মূল্যে ৫টি পণ্য বিক্রি শুরু করবে টিসিবি
রমজান মাসকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে পাঁচটি পণ্য বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
ফ্যামিলি কার্ডসহ একজন সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি চিনি এবং ১ কেজি খেজুর কিনতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১০০ টাকা, চিনির দাম ১০০ টাকা, মসুর ডালের কেজি ৬০ টাকা, খেজুরের দাম ১৫০ টাকা এবং চালের দাম ৩০ টাকা কেজি।
টিসিবি এবার প্রতি কেজি চিনির দাম ৩০ টাকা বাড়িয়ে ১০০ টাকা করেছে, যা গত বছর ছিল ৬০ টাকা।
এ প্রসঙ্গে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির ইউএনবিকে বলেন, বাজারে দাম সমন্বয় করতে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে তুলনামূলক কম দামে চিনি বিক্রি করত টিসিবি। শেষবার তিন মাস আগে ডিলারদের কাছে চিনি সরবরাহ করা হলেও দাম কম ছিল। এখন বাজারে চিনির দাম অনেক বেড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
টিসিবি জানায়, সিটি করপোরেশন, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় নির্ধারিত তারিখ ও সময় অনুযায়ী এ কার্যক্রম পরিচালনা করবেন পরিবেশকরা।
ক্যাম্পেইন চলাকালে পরিবেশকদের দোকান বা নিজ নিজ এলাকায় নির্ধারিত স্থান থেকে পণ্য কিনতে পারবেন কার্ডধারীরা।
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে রমজান বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন।
৭ মাস আগে
টিসিবির স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্মার্ট কার্ড স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, টিসিবির ১ কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রূপান্তরিত করায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি অসামঞ্জস্য দূর হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর মালিবাগে দেশব্যাপী ১ কোটি স্মার্ট ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ এবং চলতি মাসের চালসহ টিসিবি পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সারাদেশে বিনামূল্যে এই স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে উল্লেখ করে কার্ড পেতে কার্ডধারীদের আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, শেখ হাসিনা গরিব-দুঃখী, অসহায় মানুষ যারা দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করেন তাদের কথা বিবেচনা করে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ড অর্থাৎ পাঁচ কোটি মানুষকে কম মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশে যে পরিমাণ মানুষ দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করে তার চেয়েও বেশি মানুষকে সরকার ভর্তুকি মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ডিম ও আলু আমদানি শুরু হওয়ায় বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ডিমের একটি চালান দেশে আসার পর সরকার থেকে যে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে তার চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। আগামী মাসের মাঝামাঝি আলু-পেঁয়াজসহ অন্যান্য শাক-সবজির বাজার স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: ওএমএস কর্মসূচির জন্য সয়াবিন তেল ও মসুর ডাল আমদানি করবে টিসিবি
তিনি আরও বলেন, পেঁয়াজের দাম নির্ভর করে দেশের উৎপাদনে উপর। এখন পেঁয়াজের শেষ সময়। আমরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ঘাটতি পূরণ করে থাকি। কিন্তু ভারত রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে প্রথমে ৪০ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করে। এর কিছুদিন পরেই প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য আট শো ডলার নির্ধারণ করে। যাতে করে আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারণে বাজারে দাম বেশি।
ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরেও চালান আসতে দেরি হওয়ার প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ডিম আমদানির ক্ষেত্রে আমরা বেশ কয়েকটি শর্ত দিয়েছিলাম বিশেষ করে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা সনদ নিতে হবে। এসব শর্ত পূরণে কিছু আইনি জটিলতা থাকায় দেশে চালান আসতে দেরি হয়েছে।
টিপু মুনশি জানান, ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ নিচ্ছে এবং মানুষ কষ্ট পাচ্ছে এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ দেশের মানুষকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে হবে এবং আমরা সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
বৈশ্বিক কারণে মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভীষণ দুঃসময় পার করতে হচ্ছে। এরমধ্যেই বাড়তি সুবিধা নিচ্ছে অসাধু চক্র। রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এসময় টিসিবির চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মামুন রশিদ শুভ্র উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আগামী জানুয়ারির মধ্যে টিসিবির স্মার্টকার্ড বিতরণ করা হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টিসিবির পণ্য বিক্রি
১১ মাস আগে
টিসিবির কাজের অসঙ্গতি দূর করতে ১ কোটি পরিবারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
নিম্নআয়ের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহের লক্ষ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেওয়া এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, নারায়ণগঞ্জ ও বরিশালে টিসিটির কার্ড স্মার্ট কার্ডে রুপান্তরের পাইলটিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। হাতে লেখা সকল কার্ড কিউআর কোড সম্বলিত স্মার্ট কার্ডে রুপান্তর করা হবে। যার কাজ চলমান রয়েছে। এসব কার্ড স্মার্ট কার্ডে পরিবর্তিত করলে অসঙ্গতিগুলো দূর করা সহজ হবে।
সোমবার রাজধানীর উত্তরায় টিসিবি আয়োজিত সারাদেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে রমজান মাস উপলক্ষে দ্বিতীয় পর্বের টিসিবি পণ বিক্রয় কার্যক্রম এবং উত্তরা এলাকায় টিসিবি পণ্যের অস্থায়ী সংরক্ষাণাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রোজার প্রথম সপ্তাহেই চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা কমবে: বাণিজ্যমন্ত্রী
টিপু মুনশি বলেন, আমরা সবাই জানি করোনা মহাসংকটের পরপরই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। তা সত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গরীব মানুষদের মধ্যে কম মূল্যে পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিশ্বের উন্নতসহ অনেক দেশে খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও সরবরাহে হিমশিম খাচ্ছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের বেশি ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে না।
বিশ্ববাজার বিবেচনায় বাংলাদেশ অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় টিসিবির মাধ্যমে দেশের এককোটি পরিবারের মাঝে স্বল্প মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি মাসে একবার দিলেও পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে দ্বিতীয় বার দেওয়া হচ্ছে এবং আগামী ১৫ তারিখের মধ্যে বিতরণ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এপ্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনা দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করেন তাদের দুঃখ কষ্ট অনুভব করেন। সেজন্যই তিনি এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী অর্থাৎ প্রতি পরিবারে গড়ে পাঁচজন সদস্য হলেও প্রাই পাঁচ কোটি মানুষ এই সুবিধার আওতায় নিয়ে এসেছেন।
তিনি বলেন আমরা প্রাথমিকভাবে ৫০ লাখ মানুষকে সাশ্রয়ী দামে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কিন্ত প্রধানমন্ত্রী তা এক কোটি করার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তা বাস্তবায়ন করছি।
কার্ডধারীর সংখ্যা এককোটির বেশি করার চিন্তা সরকারের আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন যে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হয়েছে এছাড়াও কিছু সংখ্যক নিম্ন আয়ের মানুষের তালিকা অর্থাৎ যারা বাদ পড়েছেন আমাদের নিকট আসছে তবে সংখ্যা খুব বেশি নয়। তারপরও আমরা বিশেষ বিবেচনায় বাদ পড়া মানুষকে পণ্য দিয়ে থাকি।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে ডিসিদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী
পণ্য মজুদের বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, আমাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে পণ্য মজুদ আছে। বিগত কয়েক বছরের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে এ বছর আমরা সরবরাহ ও বিতরণে শক্ত অবস্থানে আছি।
পণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত এরপরেও বাজারে দাম কমছে না কেন জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাজারে সব পণ্যের মূল্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণ করে না। এ বিষয়ে একটা মিস কনসেপসন আছে যে মূল্য বৃদ্ধি মানেই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যুক্ত। ব্রয়লার মুরগি, মাংস ও মাছসহ কিছু পণ্য অন্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। তারপরও আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছি, যাতে দ্রব্যমূল্য মানুষের হাতের নাগালে রাখা সম্ভব হয়।
টিসিবির সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশে টিসিবি পণ্যে সংরক্ষণের জন্য সংরক্ষাণাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে উত্তরা এলাকায় আজকে এই সংরক্ষাণাগারের উদ্বোধন করা হলো। এর মাধ্যমে এই অঞ্চলে পণ্য মজুদ করে কার্ডধারীদের হাতে পৌঁছে দেওয়া সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এছাড়া, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডি্য়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আফসার উদ্দিন খান অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দাম বাড়বে না ভোজ্যতেলের: বাণিজ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
১ কোটি পরিবারের জন্য বৃহস্পতিবার থেকে পণ্য বিক্রি শুরু টিসিবির
রাষ্ট্র পরিচালিত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে প্রায় এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের কাছে পাঁচটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে। বুধবার (৮ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টিসিবি বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) থেকে এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের জন্য ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর, ছোলা ও মসুর ডাল বিক্রি শুরু করবে।
এই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস দুটি ধাপে বিক্রি করা হবে। প্রথম ধাপে বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে পণ্য বিক্রি শুরু হবে।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে ওএমএসের ১ কোটি ৬০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনবে টিসিবি
বৃহস্পতিবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
কার্ডধারীরা টিসিবির নির্দিষ্ট সেলস পয়েন্ট এবং ডিলারের আউটলেট থেকে ভর্তুকি মূল্যে ছয়টি পণ্য কিনতে পারবেন।
একজন কার্ডধারী একবারে দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল, চিনি, ছোলা এবং এক কেজি খেজুর কিনতে পারবেন।
কার্ডধারীরা প্রতি কেজি চিনি ৬০ টাকা, খেজুর ১০০ টাকা, মসুর ডাল ৭০ টাকা, ছোলা ৫০ টাকা এবং সয়াবিন তেল ১১০ টাকা লিটারে কিনতে পারবেন।
আরও পড়ুন: রোজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩৮০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল আমদানি
দেশজুড়ে এক কোটি নিম্ন-আয়ের পরিবারের কাছে টিসিবি’র পণ্য বিক্রি শুরু আজ
১ বছর আগে
ওএমএস-এর জন্য ২ কোটি ৯ লাখ লিটার তেল ও ৮ হাজার টন ডাল কেনা হবে
রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কোনো টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের কাছ থেকে মোট দুই কোটি ৯ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে।
টিসিবি খোলা টেন্ডারের মাধ্যমে আট হাজার মেট্রিক টন মসুর ডালও সংগ্রহ করবে।
বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) ভার্চুয়াল বৈঠকে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বৈঠকে কার্যত উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
পণ্যগুলো তার চলমান খোলা বাজার বিক্রয় (ওএমএস) প্রোগ্রামের জন্য সংগ্রহ করা হবে যা সারা দেশে প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য চালু করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে টিসিবি ওএমএস প্রোগ্রামের আওতায় স্থানীয় বাজারে বিক্রি করার জন্য স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সরবরাহকারীদের কাছ থেকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করে আসছে।
আরও পড়ুন: ওএমএস-এর জন্য ২.২০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে টিসিবি
প্রস্তাবনা অনুযায়ী, ৮১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ঢাকার সেনা ভোজ্যতেল ইন্ডাস্ট্রিজ থেকে প্রায় ৪৪ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির (ডিপিএম) মাধ্যমে সংগ্রহ করা হবে। সে হিসেবে প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৮৪ টাকা ৫ পয়সা।
টিসিবি ওমানের জাদ আল রাহিল ইন্টারন্যাশনাল এলএলসি সালতানাত (স্থানীয় এজেন্ট: স্কাই ট্রেডিং) থেকে ডিপিএম এর মাধ্যমে ১৫১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে। অর্থাৎ প্রতি লিটারের জন্য খরচ হবে ১৩৭ টাকা ৯৪ পয়সা।
এছাড়া ডিপিএমের মাধ্যমে শুন শিং এডিবল অয়েল লিমিটেড থেকে ১০১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ৫৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল সংগ্রহ করবে। প্রতি লিটারের দাম পড়বে ১৮৫ টাকা ৫ পয়সা।
টিসিবি আরাবেল বাকলিয়াত হুবুবাত সান্তিক এএস (স্থানীয় এজেন্ট: বিআইএনকিউ, ঢাকা) ৮১ টাকা ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে আট হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল সংগ্রহ করবে। প্রতি কেজির দাম পড়বে ১০১ টাকা ৯৭ পয়সা।
আরও পড়ুন: ১ কোটি নিম্নআয়ের পরিবারের জন্য পণ্য বিক্রি শুরু করেছে টিসিবি
৩.৩০ কোটি লিটার সয়াবিন তেল আমদানি করবে টিসিবি
১ বছর আগে
মধ্য মে থেকে ভোজ্যতেল ও অন্যান্য পণ্য বিক্রি শুরু করবে টিসিবি
ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগীয় শহরে মে মাসের মাঝামাঝি থেকে ওপেন মার্কেট সেলে (ওএমএস) ভোজ্যতেলসহ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বিক্রি শুরু করবে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব বলেছেন, বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রণালয় ভোজ্যতেলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম পুনর্নির্ধারণের জন্য কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে দ্রব্যমূল্য নির্ধারণের পর ওএমএসের জন্য ৪০০ ট্রাক নিয়োজিত করবে টিসিবি।
আরও পড়ুন: কেরানীগঞ্জে টিসিবির পণ্য দোকানে বিক্রি, আটক ২
এই কর্মকর্তা বলেন, রমজান মাসে টিসিবি প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০ টাকায় বিক্রি করেছে। কিন্তু সয়াবিন ও অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম স্থানীয় ও বিশ্ব উভয় বাজারেই বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই টিসিবির ভোজ্যতেল ও অন্যান্য পণ্যের দাম পুনর্নির্ধারণ করা প্রয়োজন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যৈষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বকশি ইউএনবিকে রবিবার জানিয়েছেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সোমবার তার সচিবালয়ের কার্যালয়ে ভোজ্যতেল সরবরাহ ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে ব্রিফ করবেন।
এছাড়া বাজারে ভোজ্যতেলের দাম ও সরবরাহের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ব্যবসায়ী, ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিশোধকদের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলবেন টিপু মুনশি।
আরও পড়ুন: ১ কোটি পরিবারের কাছে পণ্য বিক্রির প্রস্তুতি নিয়েছে টিসিবি
২ বছর আগে