দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
ভোট দিতে হেলিকপ্টারে চড়ে কলাপাড়ায় দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
চতুর্থ ধাপে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ এলাকায় গিয়ে ভোট দিয়েছেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান মুহিব।
বুধবার (৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ৫৭ নম্বর ধুলাশার প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেন।
ভোট শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আশা করছি, আমার এই দুটি উপজেলায় সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে। সময় স্বল্পতার কারণে হেলিকপ্টারে চড়ে ভোট দিতে আসা। আমি মনে করি, প্রতিটি ভোটই মূল্যবান।’
উল্লেখ্য, কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী এ দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার ৩৩৮ জন। দুই উপজেলার ১১১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। সুষ্ঠভাবে ভোট গ্রহনের লক্ষ্যে প্রতিটি কেন্দ্রে ৫ জন পুলিশ সদস্য ও ১৭ জন আনসার সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়া ভোটের মাঠে ২৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট, র্যাবের ৪টি টিম, বিজিবির ৭টি টিম ও কোষ্টগার্ডের ৮টি টিম মোতায়ানে করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের মোবাইল টিম, স্টাইকিং ফোর্স ও স্টান্ডবাই টিম কাজ করছে।
এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কলাপাড়ায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, রাঙ্গাবালী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
৬ মাস আগে
দুর্যোগ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নেওয়া হবে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ মোকাবিলায় নতুন প্রজন্মকে সক্ষম ও সচেতন করে গড়ে তুলতে শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সারা বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মানবসৃষ্ট দুর্যোগ প্রশমনেও ব্যাপক কার্যক্রম নেওয়া হবে।
শনিবার (২ মার্চ) রাজধানীর মিরপুরে বড়বাগ গভর্নমেন্ট অফিসার্স কম্পাউন্ডে ‘ভূমিকম্প ও অগ্নিকাণ্ডবিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির মহড়া’য় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাকে উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সব পর্যায়ের জনসাধারণকে দুর্যোগকালে করণীয় সম্পর্কে সজাগ করতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নতুন অবকাঠামো তৈরির সময় সামান্য ব্যয় বৃদ্ধি করলেই তা অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্প সহনশীল হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়।
প্রতিমন্ত্রী এসময় রাজধানীসহ সারা দেশকে নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মধ্যে সমন্বয়ের উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং পুরোনো অবকাঠামো মেরামত করে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস করতে সবাইকে আহ্বান জানান।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সহযোগিতায় মহড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মো. কামরুল হাসান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম শফিকুল হায়দার এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইন উদ্দিন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
৯ মাস আগে
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উদারতা দেখিয়েছে তা এখন দেশের অর্থনীতির জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
তিনিম বলেন, গত সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে ১০ লাখের বেশি মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত রোহিঙ্গা নাগরিক আমাদের কক্সবাজার উপকূলে আশ্রয় নিয়েছে। ২০১৭ সালে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বাংলাদেশ সরকার তাদের উদারভাবে গ্রহণ করে আশ্রয় দিয়েছে। এই উদারতা আমাদের অর্থনীতির জন্য একটি বড় আকারের বোঝা হিসেবে পরিণত হতে বেশি সময় নেয়নি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় অশনির বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
বছরে আমাদের এই খাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১২০ কোটি টাকা।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় গুলশানে এজ গ্যালারি বে’স এজওয়াটারে ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটি আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘থ্রু দ্য লেন্স অব হোপ: রোহিঙ্গা ক্রাইসিস আনফোল্ডেড’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শরণার্থীদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি ও বিদেশি সাহায্য কমে আসার কারণে খরচের পরিমাণ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। এর পাশাপাশি শরণার্থীদের আগমনের কারণে স্থানীয় চাকরির বাজারেও প্রভাব পড়েছে, শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শ্রমের মূল্য কমেছে। ফলে স্থানীয় শ্রমিকদের কাজের সুযোগ কমে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উপস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য মারাত্মক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো ধরনের সমাধানে না আসা পর্যন্ত এই সমস্যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে রেখেছে। শরণার্থীদের মিয়ানমারে প্রত্যাবসনের সিদ্ধান্ত এখনও অনিশ্চিত থাকায় নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে, যার মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সীমান্ত অপরাধ যেমন মাদক ও মানব পাচার।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে সতর্ক করলেন দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান হলো নিরাপদে, স্বেচ্ছায় ও স্থায়ীভাবে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবসন নিশ্চিত করা। আইআরসির এমন একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমরা এক ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তনের আশা করছি, যার মাধ্যমে জাতিসংঘের প্রতিনিধি, দাতা সংস্থা, ইউএসএইড ও বিশ্বনেতারা সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে সচেষ্ট হতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, ইন্টারন্যাশনাল রেস্কিউ কমিটি আয়োজিত এই প্রদর্শনীটি সব দাতা সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সমাজের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করবে, যা রোহিঙ্গা জাতি এবং এই সমস্যা দ্বারা প্রভাবিত স্থানীয় জনগণের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে পরিণত
১০ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড় অশনির বাংলাদেশে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই: দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী
বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় অশনির বাংলাদেশে আঘাত হানার কোন আশঙ্কা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান।তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর পশ্চিম দিকে ধাবিত হচ্ছে। এটি ১২ মে ভারতের উডিশা, বিশাখাপত্তম, ভূবনেশ্বর ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে যাবে। বাংলাদেশে আঘাত হানার কোন আশঙ্কা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ১২ মে সকালে ভারতে আঘাত হেনে ঘূর্ণিঝড় থেকে নিম্ন চাপে পরিণত হবে। এর প্রভাবে বাংলাদেশে ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। তবে কোন ধরনের ঘূর্ণিঝড় বা জলোচ্ছ্বাস হবে না। এটাই আমাদের কাছে সর্বশেষ তথ্য।
রবিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’তে পরিণত
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এক হাজার ১৭৫ কিলোমিটার ও কক্সবাজার থেকে এক হাজার ২৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টির গতি ঘন্টায় ৫৫ কিলোমিটার। গত ৪ মে ভারতের আন্দামানে সৃষ্ট ঝড় অশনি ধীরে ধীরে লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপ এই চারটি স্থর পেরিয়ে আজ ভোর ৬ টায় ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়েছে। এর অবস্থান হলো অক্ষাংশ ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি এবং দ্রাঘিমাংশ ৮৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি।গতিপথ পরিবর্তন হলে বাংলাদেশের কোন অংশে আঘাত হানতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ সব সময় পরিবর্তন হয়। যেকোন সময় যেকোন দিকে গতি নিতে পারে। এটা উত্তর পশ্চিত দিকে ধাবিত হচ্ছে। যদি ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর দিকে ধাবিত হয় তাহলে এটা আমাদের দেশের সাতক্ষীরা, খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলায় আঘাত হানতে পারে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় অশনি মিয়ানমারের ডেল্টা উপকূল অতিক্রম করেছেত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা গত বৃহস্পতিবার একটি সভা করেছি। সেখানে আমরা আমাদের মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, ফায়ার সার্ভিস, আবহাওয়া অফিস, সিপিপি সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলীয় অঞ্চলের জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের ও জেলা দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। সিপিপি ইতোমধ্যে মাঠে কাজ করছে।তিনি বলেন, আমরা সাইক্লোন সেল্টারগুলোকে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছি। সেখানে প্রস্তুতি প্রায় শেষ। রান্না করে খাওয়ানোর জন্য চাল ও অর্থ দিয়েছি। মোটামুটি আমাদের প্রস্তুতি আছে। সাইক্লোন সেল্টারগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
২ বছর আগে