সুবর্ণ জয়ন্তী
সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে বৃহস্পতিবার
আইনসভার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে একাদশ সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে বৃহস্পতিবার। এটি বর্তমান সংসদ বা জাতীয় সংসদের ২২তম অধিবেশনও হবে।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ৭ এপ্রিল সংসদে দেশের অর্জন ও আইনসভার ভূমিকা তুলে ধরে স্মারক ভাষণ দেবেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বিশেষ অধিবেশন চার কার্যদিবস চলার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশে শিশুশ্রমিকের সংখ্যা ১৭ লাখ: জাতীয় সংসদে প্রতিমন্ত্রী
সংসদ সদস্যদের আলোচনা সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর একটি প্রস্তাব জাতীয় সংসদে গৃহীত হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গৃহীত বছরব্যাপী কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন।
১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদের অধিবেশনের দিনটির কথা স্মরণ করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এরই ধারাবাহিকতায় আমরা ২০২৩ সালে সংসদের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছি। সেজন্য ৭ এপ্রিল সংসদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন।’
তিনি বলেন, সংসদ নেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং স্পিকার সবাই নারী।
সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, এই কার্যক্রমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো সংসদের বিশেষ অধিবেশন।
এদিন বেলা ১১টায় হাউস অধিবেশনে যাওয়ার আগে সংসদের ব্যবসায় উপদেষ্টা কমিটি তার সময়কাল এবং ব্যবসা নির্ধারণের জন্য স্পিকারের সভাপতিত্বে একটি বৈঠকে বসতে পারে।
বিশেষ অধিবেশন ছাড়াও জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী স্মরণে বছরব্যাপী কিছু অনুষ্ঠান থাকবে।
স্পিকার বলেন, ‘আমরা সিনিয়র সংসদ সদস্য এবং তরুণ প্রজন্মের মধ্যে পারস্পরিক মতবিনিময়ের কথা ভাবছি। সিনিয়র সংসদ সদস্যরা সেখানে তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনও করতে চাই। সেটা হতে পারে বাজেট অধিবেশনের পর। সেখানে আমরা অন্যান্য দেশের কয়েকজন বক্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানাব। আশা করি এটি সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হবে। এটি সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হতে পারে।’
এর আগে ২০২০ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের সংসদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একটি বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদে বিইআরসি আইনের সংশোধনী পাস
হাট ও বাজার (প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থাপনা) বিল জাতীয় সংসদে
১ বছর আগে
যুবলীগের সুবর্ণ জয়ন্তী সমাবেশ, কানায় কানায় পূর্ণ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুব সমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার সকাল থেকেই রাজধানীর সোহরাওয়ারী উদ্যানে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার আওয়ামী যুবলীগ নেতাকর্মী সমবেত হতে থাকেন।
আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ইউএনবিকে বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী যুব লীগের বার্ষিক সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের আসাম সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
সমাবেশস্থলে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীরা শ্লোগান দিয়ে যানবাহনে ও মিছিল নিয়ে আসছে। এতে নগরীতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, মল চত্বর, ভিসি চত্বর, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ এর আশপাশের এলাকা মিছিলে ভরে যায়। বিশেষ করে সমাবেশে যোগ দিতে এ উপলক্ষে তৈরি টি-শার্ট পরে সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীরা এসেছেন।
কেউ কেউ রিজার্ভ বাস, পিকআপ, মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে যোগ দেন আবার অনেককে পায়ে হেঁটে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়।
লোহাগড়ার যুবলীগ কর্মী ফারুক হাসান জমির বলেন, ‘আমি রাতে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ মহসীন হল প্রাঙ্গণে গাড়িতেই থাকি। এত বড় সমাবেশ এবং সম্মেলনে এত লোক দেখতে পেয়ে আমি খুশি।’
ঢাকা মহানগরী ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবলীগের নেতাকর্মীরাও পূর্ণ উদ্যমে বাস-ট্রাকে করে মিছিল নিয়ে আসছেন।
বর্ণিল প্ল্যাকার্ড, সাংগঠনিক পতাকা, ব্যানার ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে সম্মেলন এলাকা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভিআইপি গেট ছাড়া বাকি সব গেট দর্শকদের প্রবেশের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। যেকোনও ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বিভিন্ন মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।
মানিকগঞ্জ যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রাজা বলেন, ‘আমরা আশা করি এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা সব অপশক্তিকে শক্ত জবাব দেব। যুবলীগ আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকার করবে এই সম্মেলন থেকে।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের মেঘালয় সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
ব্রিটিশ মিউজিয়ামে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত
২ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের আসাম সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যকে উদ্যাপন ও স্মরণ করতে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল চারদিনের সফরে ভারতের আসাম রাজ্যে গেছেন। রবিবার ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলাট যাত্রা শুরু করে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর এবং ভারতের আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে ভারত সরকার এই সফরটির আয়োজন করেছে।
প্রতিনিধি দলটিতে আসাম সংলগ্ন অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধে জড়িত থাকা ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা, ছয়জন সাংবাদিক ও চারজন যুব প্রতিনিধি রয়েছেন।
সফরকালে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলটি আসাম সরকারের মুখ্যমন্ত্রীসহ শীর্ষ সাংবিধানিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
এছাড়া তারা আসাম ও পার্শ্ববর্তী মেঘালয়ের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ পরিদর্শন করবেন।
মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী ভারতীয় ও বাংলাদেশি নাগরিকদের স্মরণ করতে ও তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারতের নেয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই সফর আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের মেঘালয় সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
আ.লীগ ও বিজেপি প্রতিনিধি দলের বৈঠক, সম্পর্ক উন্নয়নে জোর
২ বছর আগে
মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনে ৪ দিনের মেঘালয় সফরে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল
ভারত সরকার ৯-১২ মে ভারতের মেঘালয়ে ২৫ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সফরের আয়োজন করছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী এবং আজাদী কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসাবে এ আয়োজন করা হচ্ছে।
এই প্রতিনিধি দলে রয়েছে ১৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা যারা মেঘালয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং ১১ নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধ করেছেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি প্রতিনিধি দলে সাংবাদিক সহ অন্যান্য পেশার বাংলাদেশিরাও রয়েছেন।
এই সফরে, বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল মেঘালয় সরকারের নেতৃত্বের সঙ্গে মতবিনিময় করবে যার মধ্যে গভর্নর এবং মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি অন্যান্য ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ভারতের নতুন পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন
২ বছর আগে