সংযোগ
পদ্মা সেতু-শরীয়তপুর চার লেন সংযোগ সড়কের কাজে ধীরগতি, ভোগান্তি চরমে
ঢাকা থেকে শরীয়তপুর যাতায়াতের পদ্মা সেতু-শরীয়তপুর চার লেন সংযোগ সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ চলছে ধীর গতিতে।
চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কাজ হয়েছে ৫০ শতাংশ। সড়ক খুঁড়ে ফেলে রাখায় ভোগান্তিতে পড়ছেন এ পথে চলাচলকারীরা।
লাগছে বাড়তি সময়, বেড়েছে জ্বালানি খরচ, নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ। এমন পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ মানুষ।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত সিলেট, ভোগান্তিতে পরীক্ষার্থীরা
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকবল তেমন নেই। নামমাত্র কয়েকজন শ্রমিক আর যন্ত্রপাতি দিয়ে চলছে ২৭ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নের কাজ। বর্তমানে পুরো সড়ক ভাঙাচুরা আর খানাখন্দে ভরা। এতে ঘটছে দুর্ঘটনা। চলাচলে ভোগান্তি আর যানজট তো নিত্যই ঘটছে। বৃষ্টি হলে ভোগান্তি বাড়ে আরও কয়েক গুণ।
রুবিনা বেগম নামে এক যাত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু থেকে আমাদের জেলা সবচেয়ে কাছে। কিন্তু দুর্ভোগটা আমাদেরই সবচেয়ে বেশি। দুই ঘণ্টার জায়গায় চার ঘণ্টা লাগে। অসুস্থ যাত্রীদের বেশি সমস্যা হয়।’
পরিবহন ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিনিয়ত পাল্টাতে হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবহন খাত। মালামাল পরিবহনও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে কর্মজীবী মানুষ
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালেহ আহমেদের কর্মকর্তা (সিএনএফও) মুহাম্মদ বকুল বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণ এবং বালু সরবরাহের জটিলতার কারণে আমরা সময়মতো কাজ শেষ করতে পারছি না। তবে এখন বাকি কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে।’
১ মাস আগে
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৯৭ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ চালু
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের পর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) ৯৭ শতাংশ গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হয়েছে।
আর ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) গ্রাহকদের কাছে শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) হালনাগাদ তথ্যের বরাত দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ এই তথ্য জানায়।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২ কোটি ৯৩ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুতের সংযোগ পুনরায় চালু করেছে, যা মোট ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের ৯৭ শতাংশ।
গত রবিবার ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানার পর বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ৩ কোটি ৩ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১ কোটি ৭২ লাখ গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎবিহীন
বিতরণ সংস্থাটির তথ্যমতে, এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ২২ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হয়নি, যা মোট বিআরইবি গ্রাহকের ৩ শতাংশ।
তবে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) আশা করছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তারা ৯৯ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে সক্ষম হবে। আর ১ শতাংশ গ্রাহকের সরবরাহ বাকি থাকবে, যা গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেবা দেওয়া প্রয়োজন হবে।
একই সময়ে ওজোপাডিকো তার সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ওজোপাডিকোর মোট ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক ৪ লাখ ৫৩ হাজার, যারা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিলেন।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামতে বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রায় ২১ হাজার জনবল কাজ করছে। একইভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ করেছিলে ওজোপাডিকো।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বিআরইবির ৯৩,ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের ৮৭ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
৫ মাস আগে
অবৈধ গ্যাস সংযোগ, জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ
চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে হাজার হাজার গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে গ্যাস আইন- ২০১০ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল।
বিবাদীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কাজী আক্তার হামিদ ও নাসির আহমেদ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কাজলের মামলা হাইকোর্টে স্থগিত
রায়ে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সমন্বয়ে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।
ওই কমিটিকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবৈধ গ্যাস সংযোগের অভিযোগের তদন্ত এবং এর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা, ঠিকাদারদের তালিকা তৈরি করে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
রায়ে আদালত জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট একটি নির্দেশনা জারি করতে বলেছেন।
সেখানে অবৈধ গ্যাস সংযোগের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে গ্যাস আইনের ১০, ১২ এবং ১৯ ধারা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া যে সকল ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্যাস সংযোগের অভিযোগ প্রতিবেদনে উল্লিখিত হবে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করতে আদালত তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করতে বলা হয়েছে। সেখানে বুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলরের মনোনীত একজন প্রতিনিধি থাকবেন।
এ কমিটি ছয় মাসের মধ্যে ২০১২ সাল থেকে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীরা কী পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করেছে তার অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করবে এবং অর্থ সচিবকে এ অর্থ পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি অ্যাক্ট, ১৯১৩- এর বিধান অনুসারে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারী ভোক্তাদের নিকট হতে অর্থ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও চট্টগ্রামের অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিষয় তদন্ত করে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রায়ে এই মামলাটি চলমান হিসেবে রেখেছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে হাজার হাজার গ্যাস সংযোগ দিয়ে দুর্নীতি করা হচ্ছে- মর্মে সংবাদ প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
রিটে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, তিতাস গ্যাসের মহাপরিচালক এবং দুদক চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে ২০১১ সালের ৮ নভেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন পর এ রুলের শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ওই রুল আংশিক যথাযথ ঘোষণা করে কয়েকটি নির্দেশনা দেন আদালত।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
১১ মাস আগে
৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: ১৪টি অগ্নিসংযোগ
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে রবিবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে সোমবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অগ্নিসংযোগের ১৪টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ: অগ্নিসংযোগে দগ্ধ রিকশাচালক হাসপাতালে ভর্তি
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মিডিয়া সেলের স্টেশন অফিসার তালহা বিন জসিম জানান, এর মধ্যে- ঢাকা বিভাগে আটটি।
তিনি আরও জানান, ঢাকা বিভাগ (নারায়ণগঞ্জ, সাভার, ফরিদপুর) তিনটি। বরিশাল বিভাগে একটি, রাজশাহী বিভাগে একটি এবং রংপুর বিভাগে একটি করে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
তিনি বলেন, এ সময় মোট ১১টি বাস, দুটি হিউম্যান হলার ও একটি ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেড এলাকায় আরেকটি বাসে অগ্নিসংযোগ
মধ্যরাতে সিদ্ধিরগঞ্জে বাস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ
১ বছর আগে
সিঙ্গাপুরের সঙ্গে আঞ্চলিক সংযোগের সহায়ক হতে চায় বাংলাদেশ
সিঙ্গাপুরকে পরিষেবা বিতরণের পাশাপাশি বাণিজ্যের জন্য একটি ‘সংযোগের কেন্দ্র’ হিসেবে বর্ণনা করে, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলের স্থলবেষ্টিত দেশগুলোর জন্য আঞ্চলিক সংযোগের সুবিধা প্রদানকারী দেশ হওয়ার বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরেন।
সমুদ্র বন্দর ও বিমান বন্দরসহ অবকাঠামো উন্নয়নে আরও বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে তিনি আঞ্চলিক সংযোগ ও উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশের উন্নয়নকে সহজতর করতে আরও সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ কামনা করেন।
পরিবহন মন্ত্রী এবং সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য সম্পর্কের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী এস ইসওয়ারান পরিশ্রমী বাংলাদেশী শ্রমিকদের এবং তাদের নির্মাণ ও অন্যান্য খাতে তাদের অবদানের প্রশংসা করেন।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী আলম বলেন, সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সেবা খাতে আরও দক্ষ কর্মী নেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
কিভাবে উন্নত প্রযুক্তি এবং ডিজিটাইজেশন ব্যবহার করে জনসংখ্যাগত লভ্যাংশ কাটা যায়, সে বিষয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করেছেন।
আলম বাংলাদেশের উচ্চ কৃষি উৎপাদনশীলতা এবং দেশে কৃষিভিত্তিক শিল্পের সম্ভাবনারও গুরুত্ব তুলে ধরেন। মধ্যবিত্ত ভোক্তাদের জন্য ক্রমবর্ধমান উচ্চ ক্রয় ক্ষমতা উপভোগের ওপর বিশেষ জোর দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির প্রশংসা করেন। দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর ও বাড়ানোর গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরও উন্নতির জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি খাত, ডেটা মাইনিং এবং বিভিন্ন উচ্চ দক্ষ ক্ষেত্র যেমন- ডিজিটাল সংযোগ এবং পরিষেবা, প্রযুক্তি স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কাজ করার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন।
সিঙ্গাপুর বাংলাদেশের সঙ্গে তার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মধ্যে বিদ্যমান অনেক সম্ভাবনায় আগ্রহী। এটিকে পরবর্তী স্তরে উন্নীত করার সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য উন্মুখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি প্রবাসীদের প্রশংসায় ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসের মেয়র
২ বছর আগে
২১ বছরেও হয়নি সেতুর সংযোগ সড়ক
দীর্ঘ ২১ বছর ধরে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নে কালনী নদীর ওপর দাঁড়িয়ে আছে সংযোগ সড়কবিহীন একটি সেতু। জনসাধারণের যোগাযোগ সহজ করতে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়কের অভাবে এর সুফল ভোগের পরিবর্তে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অন্তত আট গ্রামের বাসিন্দাদের।
উপজেলার ইসলামপুর, সুরিকোনা, দক্ষিণ কালনীরচর, চর তাজপুর, হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর, মাধবপুর, মতুরাপুর এবং সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আটঘর গ্রামবাসীর যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম কালনীরচর-শেরপুর সড়কটি।
এছাড়া ইসলামপুর এলাকায় কালনী নদী এই সড়কটিকে ছেদ করেছে। এদিকে সড়কটি ব্যবহার করেই মহাসড়কে উঠতে হয় গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের।
এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে, ২০০১ সালে সাদীপুর ইউনিয়নের কালনী নদীর ওপর প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। তৎকালীন বালাগঞ্জ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মাধ্যমে বাস্তবায়িত সেতুটির নির্মাণকাজে অনিয়মের কারণে এক বছরের মধ্যেই এর দুই পাশের সংযোগ সড়কের মাটি দেবে গেলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে সেতুটি।
আরও পড়ুন: অক্টোবর-নভেম্বরে দুই ভাগে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন: সেতুমন্ত্রী
গত ২১ বছরে কর্তৃপক্ষের কাছে সেতুর সংযোগ সড়কের দাবি জানিয়ে এলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হতে হচ্ছে।
সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সোনা মিয়া গাজী জানান, এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেতুটি নির্মাণ করা হলেও কাজের অনিয়মের কারণে মাটি দেবে গিয়ে সেতুর সঙ্গে সড়ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
সেতুর সংযোগ না থাকায় অনেক মুমূর্ষু রোগীকে সময়মতো হাসপাতালে নিতে না পারায় অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
বর্তমান ইউপি সদস্য খালিছ মিয়া বলেন, জনগণের সুবিধার জন্য সেতু নির্মাণ করা হলেও কোনো কাজে আসছে না। কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে থাকা সেতুর পাশে সাঁকো তৈরি করে নদী পারাপার হতে হয়।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনপ্রতিনিধি ও সংশ্নিষ্টদের কাছে সেতুটির সংযোগ সড়ক স্থাপনের দাবি জানিয়ে এলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নেননি।
বর্তমান সংসদ সদস্যকে বিষয়টি অবগত করলে তিনি সরেজমিনে দেখে গেছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহমদ মুছা বলেন, এটি এই এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে কোনো সমস্যা হলে বিকল্প সড়ক হিসেবে এটা ব্যবহার করা যেত।
বিগত সময়ে পরিকল্পনামন্ত্রীর ডিও লেটার পাওয়া গেলেও সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ হয়নি।
সড়কটি সংস্কার এবং সেতুর সংযোগ সড়ক স্থাপনে সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তিনি।
সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান বলেন, ওই সেতু পরিদর্শন করেছি। এলাকাবাসীর অসুবিধাকে প্রাধান্য দিয়ে সেতুতে সংযোগ সড়ক স্থাপনের জন্য পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:কালনা সেতু: টোল হার নির্ধারণ, অপেক্ষা উদ্বোধনের
বঙ্গবন্ধু সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কায় বালুবোঝাই বাল্কহেডডুবি
২ বছর আগে
নারায়ণগঞ্জে আরও ৩ হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে তিন কিলোমিটার বিস্তৃত আরও তিন হাজার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় উপজেলার ধামগড় ইউনিয়নের কুঁড়িপাড়া এলাকায় ও মদনগঞ্জে দুটি স্পটে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় অবৈধ সংযোগে ব্যবহৃত বিপুল পরিমাণ অবৈধ পাইপ ও রাইজার জব্দ করে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
এ নিয়ে বন্দর উপজেলায় টানা তিনদিনে বিচ্ছিন্ন করা হলো ১৫ হাজার অবৈধ সংযোগ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ৬৮ হাজার ৮০০ প্যাকেট ভেজাল ওরস্যালাইন উদ্ধার
২ বছর আগে