রূপরেখা
রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা
বিএনপি তাদের এক দফা দাবি ঘোষণার একদিন পর সংবিধান ও রাষ্ট্র ব্যবস্থার ‘সংস্কার’ এবং অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১ দফা রূপরেখা উন্মোচন ঘোষণা করেছে।
বৃহস্পতিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ৩১ দফা রূপরেখা তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে যেসব দল আমাদের সঙ্গে আন্দোলন করছে তাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে এই রূপরেখা প্রণয়ন করেছি। বিএনপির পক্ষ থেকে আমি এটা জাতির সামনে তুলে ধরতে চাই।’
বিএনপি নেতা বলেন, ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের জন্য তারা বুধবার রাজধানীতে তাদের সমাবেশ থেকে এক দফা দাবি ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র নির্বাচন ও শাসন পরিবর্তনের জন্য নয় বরং রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সামগ্রিক গুণগত পরিবর্তন এবং দেশকে সত্যিকার অর্থে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য আমরা এখন ৩১-দফা রূপরেখা ঘোষণা করছি।’
আরও পড়ুন: সমাবেশ স্থলে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ঢল
ফখরুল বলেন, এই রূপরেখা জাতির জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ,’ কারণ, এতে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে তাদের দলের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র, সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশ গঠিত হয়েছিল। ‘তারা (জনগণ) এখন দেশের মালিকানা হারিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সরকার পতনে ‘এক দফা’ দাবি ঘোষণা ফখরুলের
তিনি বলেন, ‘বর্তমান স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে দিয়েছে।এই রাষ্ট্রটি মেরামত এবং পুনর্নির্মাণ করা দরকার।’
ফখরুল বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর দেশের জনগণের মালিকানা পুনরুদ্ধারের জন্য চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যমতের একটি জনকল্যাণমুখী সরকার গঠন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: অতীতের নৈরাজ্যের জন্য বিএনপি দায়ী: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’: ২৭ দফা ঘোষণা বিএনপি’র
রাষ্ট্র ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, উচ্চ কক্ষের আইনসভা প্রবর্তনসহ ২৭ দফার ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ ঘোষণা করেছে বিএনপি।
সোমবার বিকালে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের বলরুমে রাজনীতিবিদ-পেশাজীবী-সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এক সম্মেলনে স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ২৭ দফার এই রূপরেখা ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বাংলাদেশের রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে চুরমার করে ফেলেছে। এই রাষ্ট্রকে মেরামত ও পুনঃগঠন করতে হবে। দেশের জনগণের হাতেই দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে জয়লাভের পর বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকার হটানোর আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোর সমন্বয়ে একটি জনকল্যাণমূলক জাতীয় ঐক্যমত্যের সকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, এই ‘জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকার’ রাষ্ট্রের রূপান্তরমূলক সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
খন্দকার মোশাররফ জানান, জিয়াউর রহমান ঘোষিত ১৯ দফা এবং বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত বিএনপির ভিশন-২০৩০ এর আলো এই রূপরেখা প্রণয়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির ৫ সংসদ সদস্যের শূন্য আসনে উপনির্বাচন ১ ফ্রেব্রুয়ারি
তিনি জানান, গত আগস্ট মাস থেকে এই রূপরেখা প্রণয়নে সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কয়েক দফা সংলাপও করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যা আজকে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হলো।
তিনি আরও জানান, রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিবর্তনের ২৭ দফা কর্ম পরিকল্পনার মধ্যে নির্বাচনকালীন দল নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রিসভার নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, পরপর দুই টার্মের অতিরিক্ত কেউ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন না করা, উচ্চ কক্ষের আইনসভা, সংবিধান সংস্কার কমিশন গঠন, সংবিধানে গণভোট ব্যবস্থা পুণঃপ্রবর্তন, সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতামত প্রদানের সুযোগ দিতে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ আইন সংশোধন, জুডিশিয়াল কমিশন গঠন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন, মিডিয়া কমিশন ও অর্থনৈতিক সংস্কার কমিশন গঠনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের কথা রয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, এছাড়া সকল মত ও পথের সমন্বয়ে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, বৈষ্যমহীন ও সম্প্রীতিমূলক ‘রেইনবো নেশন’ প্রতিষ্ঠা করার কথাও রূপরেখায় বলা হয়েছে। এজন্য অব্যাহত আলোচনা, মতবিনিময় ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার ভিত্তিতে ভবিষ্যমুখী এক নতুন ধারার সামাজিক চুক্তিতে পৌঁছাতে ‘ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন কমিশন’ গঠন করা হবে বলে বলা হয়েছে।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে যুক্তরাজ্যের ‘এনএইচএস’ আদলে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা প্রর্বতন, এক বছরব্যাপী বা আত্মকর্মসংস্থান না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষিত বেকারদের বেকার ভাতা প্রদান, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করার কথা বিবেচনায় থাকবে বলে রূপরেখায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গুলশানে ওয়েস্টিন হোটেলে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ঘোষণার আগে লন্ডন থেকে স্কাইপেতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামীতে জাতীয় সরকার গঠন এবং দলের প্রণীত রূপরেখাটি সুধী সমাজের কাছে তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লা্হ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, গোলাম আকবর খন্দকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, আবদুল কাইয়ুম, কেন্দ্রীয় নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, হাবিব উন নবী খান সোহেল, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, আবদুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবে রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আসাদুজ্জামান, আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, তাইফুল ইসলাম টিপু, হাসান জাফির তুহিন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মিডিয়া সেলের জহির উদ্দিন স্বপন, শাম্মী আখতার, রুমিন ফারহানা, শায়রুল কবির খান, চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুস সাত্তার, রিয়াজউদ্দিন নসু, শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণফোরামে মোস্তফা মোহসীন মন্টু, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, সুব্রত চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের ইমরান ইমন, হাসিব উদ্দিন হোসেন, জেএসডির কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী, ২০ দলীয় জোটের জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করিম খান, জাগপার ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান, খন্দকার লুতফর রহমান, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ডিএলের সাইফুদ্দিন মনি, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ ন্যাপের শাওন সাদেকী প্রমুখ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পেশাজীবীদের মধ্যে- অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক সদরুল আমিন, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, অধ্যাপক তাজমেরি এস এ ইসলাম, অধ্যাপক একেএম আজিজুল ইসলাম, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, হাছিন আহমেদ, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, রফিকুল ইসলাম, আশরাফ উদ্দিন উজ্জ্বল, জাহানারা বেগম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের এজেডএম জাহিদ হোসেন ও কাদের গনি চৌধুরী, সাংবাদিক সোহরাব হাসান, এম আবদুল্লাহ, আবদুল হাই শিকদার, কামাল উদ্দিন সবুজ, মোস্তফা কামাল মজুমদার, সৈয়দ আবদাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নয়াপল্টনে নিজেদের কার্যালয় ভাঙচুরের নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি বিএনপির
নাজমুল হুদাকে ‘তৃণমূল বিএনপি’র নিবন্ধন দেয়ার রায় আপিলে বহাল
২ বছর আগে
শিগগিরই সরকারবিরোধী ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের রূপরেখা পেশ করা হবে: ফখরুল
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে শিগগিরই ‘যুগপৎ’ আন্দোলনের রূপরেখা পেশ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব যুগপৎ আন্দোলনের চূড়ান্ত রূপরেখা নিয়ে জাতির সামনে হাজির হব।
বিএনপি চেয়ারর্পাসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আরও বলেন, তাদের দল দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৃহত্তর ঐক্য গড়তে কাজ করে যাচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনার পর গতকাল (সোমবার) আমাদের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনের রূপরেখা চূড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রূপরেখার ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাই হবে মূল ফোকাস। ‘অবশ্যই এই সংসদ ভেঙে দিতে হবে এবং ক্ষমতা একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। যার অধীনে একটি নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে এবং তারা এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করবে, যেখানে সমস্ত ভোটার নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দিতে পারে।’
আরও পড়ুন: দমনপীড়ন এবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকতে সাহায্য করবে না: ফখরুল
এছাড়া যে দলগুলো যুগপৎ আন্দোলনে নামতে যাচ্ছে তাদের নিয়ে ওই নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করা হবে বলেও জানান ফখরুল।
জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রব্যবস্থার যে ক্ষতি করেছে তা একক দলের পক্ষে মেরামত করা যুক্তিসম্মত হবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এ কারণে আমরা এই প্রক্রিয়ায় অন্যান্য দলকে অন্তর্ভুক্ত করতে চাই, যাতে আমরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান-যেমন বিচার বিভাগ, প্রশাসন, সংসদ ও গণমাধ্যম নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারি।’
তিনি বর্তমান সরকারের পতন এবং দেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে বিএনপির পরিকল্পিত যুগপৎ আন্দোলনে যোগ দেয়ার জন্য দেশের সব বিরোধী দলকে আহ্বান জানান।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো একযোগে রাজপথে নামলে আন্দোলন নিজেই তার ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করবে।
জাতীয় পার্টির সঙ্গে কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি
এক প্রশ্নের জবাবে ফখরুল বলেন, যুগপৎ সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে এখন পর্যন্ত তাদের কোনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি।
তিনি আরও জানান, তবে যে কোনো দল যদি আন্দোলনে যোগ দিতে চায়, তাদের জন্য বিএনপির দরজা খোলা আছে। ‘আমরা স্পষ্টত বলেছি যে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে চায় এমন দল, ব্যক্তি ও সংগঠনের সঙ্গে আমরা একযোগে আন্দোলন করব।’
জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির আলোচনা হয়েছে কিনা এবং ২০ দলীয় জোটে না থাকার বিষয়ে তাদের বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, জামায়াত ইতোমধ্যে এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। ‘আমরা এখন যুগপৎ আন্দোলনের কথা বলছি... সব দলই নিজ নিজ অবস্থান থেকে আন্দোলন করবে। আমরা এই বিষয়ে কথা বলছি।’
আরও পড়ুন:রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুতে ফখরুলের শোক
সুদিন আসবে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
২ বছর আগে
শিগগিরই আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে বিএনপি: গয়েশ্বর
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, তাদের দল শিগগিরই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করবে।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) আয়োজিত ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই সঙ্কটের একমাত্র সমাধান’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘সর্ববৃহৎ জোটের প্রধান দল বিএনপি এই ভাবনাকে (জাতীয় ঐক্য) কেন্দ্র করে বক্তব্য ও বিবৃতি দিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করবে এবং এগিয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় সেই প্রচেষ্টা ও ভাবনা চলমান। যেকোনো মুহূর্তে আমরা জাতির সামনে সেটা উপস্থাপন করব।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দেবেন।
গয়েশ্বর বলেন, ‘তিনি (তারেক) আগামী দিনে আন্দোলনের রূপরেখা উপস্থাপন করবেন। এই ব্যাপারে (আন্দোলনের রূপরেখা) আমাদের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য জানান, জাতীয়তাবাদী শক্তির মধ্যে শক্তিশালী ঐক্য গড়ে উঠলে ষড়যন্ত্রকারীরা দুর্বল হয়ে পড়বে। জাতীয়তাবাদী শক্তি বিভক্ত থাকলে সুবিধাবাদীরা শক্তিশালী হবে এবং লুণ্ঠন ও দুর্নীতি বৃদ্ধি পাবে।
আরও পড়ুন: আ.লীগের অধীনে যারা নির্বাচনে যাবে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা বিএনপির
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের ‘ফ্যাসিবাদী’ কর্মকাণ্ড বিরোধী দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্যকে দূরে সরিয়ে একত্রিত হতে উৎসাহিত করছে। ‘গত এক মাসে বিরোধী নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তা থেকে এটি স্পষ্ট’।
তিনি বলেন, বিএনপির অবস্থান স্পষ্ট, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো জাতীয় নির্বাচন হতে পারে না। ‘আমরা এই সরকারের পতন চাই। বর্তমান সংসদও ভেঙে দিতে হবে।’
দল আন্দোলনের মধ্যেই রয়েছে উল্লেখ করে গয়েশ্বর জানান, তারা তাদের আন্দোলনের রূপরেখা অনুসারে একটি সঠিক এবং অনুকূল সময়ে এটিকে (আন্দোলন) তীব্র করবে। ‘বর্তমানে আমাদের কৌশল হল আক্রমণ হলে পাল্টা আঘাত করা।’
তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে কোনো নির্বাচন বিশ্বাসযোগ্যভাবে হতে পারে না। ‘শেখ হাসিনা সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা। নির্বাচনের আগে তাকে ক্ষমতা থেকে সরতে হবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল শুধু শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন বর্জন করবে না, তার অধীনে কোনো নির্বাচনও হতে দেবে না বিএনপি।
আরও পড়ুন: নিরপেক্ষ সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: ফখরুল
ভোট কারচুপির নতুন চক্রান্ত করতে নির্বাচনে ইভিএম চায় আ.লীগ: বিএনপি
২ বছর আগে