পৃথিবী
সাম্প্রতিক ঘটনা সারা পৃথিবীতে ভিন্নভাবে প্রচার হয়েছে যা দুঃখজনক: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে আজ সভা করছি, এটি দেশের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এছাড়া সাম্প্রতিক ঘটনা সারা পৃথিবীতে ভিন্নভাবে প্রচার হয়েছে, যা দুঃখজনক।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবিক দেশ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছিল। সাম্প্রতিক পৈশাচিক নৃশংসতা একে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে প্রশংসিত হয়েছি, গর্বিত হয়েছি।’
রবিবার (২৮ জুলাই) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আরএডিপি ২০২৩-২০২৪ বাস্তবায়ন অগ্রগতি ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে এমন একজন টেনিস খেলোয়াড় তৈরি হবে, যার জন্য দেশবাসী গর্ববোধ করবে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন জেনেছি বাংলাদেশ দরিদ্র দেশ। তখন দারিদ্র্য বুঝিনি। তবে এখন দারিদ্র্য জয় করেছি। ভিক্ষার ঝুলি বঞ্চনা ও লাঞ্ছনার কথা শুনতে হয় না।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দারিদ্র্যকে জয় করেছি। এ বিজয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সহযোগিতা রয়েছে। আমরা এখন গর্ব করে আমাদের সক্ষমতার কথা বলছি। পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রমাণ। পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মর্যাদার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলাম। সমুদ্র, নদী- সবখানে সক্ষমতায় পৌঁছে গিয়েছিলাম।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রত্বের সময়টা তারুণ্যে ভরপুর, বাধা না মানার সময় এটা। ছাত্ররা তাদের দাবি নিয়ে আন্দোলন করবে, এতে বাহবা দেওয়া উচিত।’
‘সরকার ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনা যখন সমঝোতার পর্যায়ে, তখন হঠাৎ করে পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে চলে গেল, আতঙ্ক শুরু হলো। যেমন ২০০১-০৬ সালে এমপি, কর্মকর্তা, বিচারক, সাংবাদিক, শিক্ষকদের হত্যা করা হয়েছে। সর্বশেষ বিরোধিদলীয় নেতা শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলা হয়েছিল, দেশের আইন অবরুদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ২০০৯, ২০১০, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৫ সালের সহিংসতার রূপও একই ধরনের।’
তিনি বলেন, ‘আইনমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার-শিক্ষার্থী সমঝোতা চলছে, স্বস্থির পরিবেশ তৈরি হচ্ছে, ঠিক সে সময়ে অতর্কিত হামলা হলো। প্রথম দিনে ছাত্ররা আন্দোলনে ছিল। পরে তারা আন্দোলনের অংশ হয়নি- ছাত্ররাই বলেছে। দেখলাম, নোবেল লরেট স্বনামধন্য ড. ইউনূস দেশবাসীকে শান্তির জন্য আহ্বানও জানালেন না। অথচ রাষ্ট্রকাঠামো ভেঙে দেওয়ার জন্য তিনি জাতিসংঘসহ অন্যান্য জায়গায় আহ্বান জানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ আমাদের মূলভিত্তি। এটাকে বাদ দিয়ে চলতে পারি না। অপরাধীকে অপরাধী বলা কি অন্যায়? অপরাধীদের চিহ্নিত করব না! ১৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যে জায়গায় নিয়ে গেছেন সেটাকে মাটিতে নামিয়ে আনাই ছিল তাদের লক্ষ্য।’
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী একজন প্যারামাউন্ট লিডার। তার মতো নেতৃত্বের গুণাবলী এই মুহূর্তে পৃথিবীর কোনো মানুষের নেই। তিনি আমাদের একমাত্র অবলম্বন। এ অবলম্বনটাকে ভেঙে দেওয়া দুষ্কৃতিকারীদের লক্ষ্য ছিল। তাকে নামিয়ে দিতে পারলে বাংলাদেশকে নামিয়ে দেওয়া যাবে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমরা লক্ষ্যের খুবই কাছাকাছি। আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।’
‘দেশকে এগিয়ে নিতে আমাদের দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। কাউকে না কাউকে উৎসর্গ করতে হবে। আমাদের কাজগুলো আগামী প্রজন্ম মনে রাখবে। অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করব সেটিই লক্ষ্য হোক।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরের আরএডিপিতে ৩৩টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ছয় হাজার ৮৩৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। অন্যান্য প্রকল্পের কাজ চলমান।
এসময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোস্তফা কামালসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পুলিশের পোশাক পরে হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সরকার নিরাপদ নৌযান ও দূষণমুক্ত নদী গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
৩ মাস আগে
‘কানেক্টিভিটির এই পৃথিবীতে ট্রাভেল এজেন্টদের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, কানেক্টিভিটির এই পৃথিবীতে ট্রাভেল এজেন্টদের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ট্রাভেল এজেন্টরা কানেক্টিভিটি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।’
তিনি বলেন, ‘বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে তারা মানুষের যোগাযোগ করিয়ে দেয়। সুতরাং ট্রাভেল এজেন্টদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিমানের অগ্রগতিতে যারাই বাধা সৃষ্টিকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না: পর্যটনমন্ত্রী
রবিবার (১৪ জুলাই) অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউশনের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে পর্যটনমন্ত্রী এ কথা বলেন।
পর্যটনমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো গ্রাহক যাতে প্রতারিত না হয়, বিদেশে যেতে কোনো সমস্যায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। শুধু নিজেরা সৎ থাকলেই হবে না। অন্য কোনো ট্রাভেল এজেন্টও যাতে গ্রাহকদের কোনো প্রকার হয়রানি না করতে পারে সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে সবার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্য হলো জনগণের সেবা নিশ্চিত করা। জনগণের সেবার কাজে ট্রাভেল এজেন্টরা আমাদের সহযোগিতা করছেন, সমর্থন করছেন। আপনারা আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। সরকার আপনাদেরকে সর্বোতভাবে পলিসি সাপোর্ট দেবেন।’
ফারুক খান বলেন, ‘পর্যটন খাতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা তৈরির পাশাপাশি প্রশিক্ষণার্থীদের ভাষাগত দক্ষতা তৈরির দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে তারা পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় কাজ করার জন্য উপযুক্ত হিসেবে গড়ে ওঠে।’
তিনি বলেন, ‘পর্যটন শিল্পে দক্ষ জনবল তৈরি করার জন্য ভবিষ্যতে বাংলাদেশে একটি ট্যুরিজম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার পরিকল্পনাও আমাদের আছে। আমরা আশা করি আমাদের এই উদ্যোগকে সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে পর্যটনের সব অংশীজন আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসবেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে নিয়ে প্রায়ই নানা অনিয়ম ও অভিযোগের কথা শোনা যায়। সবাইকেই নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের মহাসচিব আসফিয়া জান্নাত সালেহর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, আটাবের প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম আরেফ।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে পর্যটন অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করা হবে: বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী
পর্যটন কর্মীদের উন্নত প্রশিক্ষণ দিতে মালয়েশিয়া সরকারের সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে: পর্যটনমন্ত্রী
৩ মাস আগে
পাঁচটি বিপর্যয়কর জলবায়ু টিপিং পয়েন্ট অতিক্রম করার দ্বারপ্রান্তে পৃথিবী: বিজ্ঞানীদের সতর্কতা
বায়ুমণ্ডলে কার্বন দূষণের ফলে পৃথিবী পাঁচটি বিপর্যয়কর জলবায়ু টিপিং পয়েন্ট অতিক্রম করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে বলে নতুন একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করেছেন বিশ্বের ১২০ জন বিজ্ঞানী।
এতে তারা বলেছেন, যদি পৃথিবীর গড় উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হয় তবে ২০৩০ সালে আরও তিনটি দৃশ্যমান হবে।
বুধবার (৬ নভেম্বর) দুবাইতে কপ২৮ সম্মেলনে বিজ্ঞানীরা এই প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি বিজ্ঞানভিত্তিক হ্রাস করার পরিকল্পনা করতে হবে। কার্বন নিঃসরণ ২০৩০ সালের মধ্যে ৪৫ শতাংশ কমাতে হবে।
২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হবে। এটি লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে বৈশ্বিক তাপমাত্রা এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন।
দুবাইয়ের এক্সপো সিটিতে বুধবার ষষ্ঠ দিন আলোচনা শুরুর পর বিজ্ঞানীরা জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে রেকর্ড কার্বন নির্গমনের নতুন রিপোর্ট দিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ফসিল ফুয়েল থেকে ২০২৩ সালে কার্বন নির্গমন নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে।
তারা জানান, কার্বন নির্গমন পরিস্থিতি উন্নতির পরিবর্তে গত দুই বছরে আরও অবনতি হয়েছে। এই নির্গমনের পরিমাণ এবছর ৪০ দশমিক ৯ গিগা টনে গিয়ে পৌঁছাবে।
এদিন (বুধবার) ক্লাব অব রোমের ৭৫ জন বিজ্ঞানী কপ নেতাদের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি দিয়েছেন। তারাও কপ প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের বিরোধিতা করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কপ-২৮: ৫ গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা সমাধানে অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
খোলা চিঠিতে তারা বলেছেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার বন্ধ ও বিজ্ঞান একে অপরের পরিপূরক। একটির সঙ্গে অন্যটি জড়িত। এ ব্যাপারে বিজ্ঞান নিয়ে সংশয়ের কোনো সুযোগ নেই। প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখতে হলে জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের কোনো বিকল্প নেই। ২০৫০ সালের মধ্যে শুধু শূন্য কার্বন নির্গমন নিশ্চিত করলেই হবে না। বরং ওই সময় পর্যন্ত বিশ্বে যে কার্বন ডাই-অক্সাইড থাকবে তা শোষণ করার জন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে।
জীবাশ্ম জ্বালানির বিষয়ে এসব রিপোর্ট পরিবেশবাদীদের আরও ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। তারা দিনভর জলবায়ু সম্মেলন কেন্দ্রের ভেতরে নানা স্লোগানে তাদের প্রতিবাদ জানিয়ে জলবাযু সম্মেলনের নীতি নির্ধারকদের সতর্ক করে দিয়েছে। তাদের দাবি হলো- এবারের জলবায়ু সম্মেলনেই জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।
আরও পড়ুন: কপ-২৮ সম্মেলনে স্থানীয় জলবায়ু নেতৃত্বে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বাংলাদেশ
১০ মাস আগে
পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমেই মানুষ ও পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকে থাকতে পারে: জি-২০ সম্মেলনে শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, পারস্পরিক সহযোগিতা মানবজাতি ও পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার একমাত্র মাধ্যম।
তিনি বলেন, ‘বাস্তবতা হলো মানুষ ও আমাদের মাতৃভূমি কেবল পারস্পরিক সহায়তার মাধ্যমেই টিকে থাকতে পারে।’
ভারতের প্রগতি ময়দানের ভারত মণ্ডপম কনভেনশন সেন্টারে (ইসিসি) অনুষ্ঠিত জি-২০ নেতাদের শীর্ষ সম্মেলন ২০২৩-এ ‘ওয়ান আর্থ’ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এবারের জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের থিম হলো- ‘ওয়ান আর্থ, ওয়ান ফ্যামিলি, ওয়ান ফিউচার’ (এক পৃথিবী, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ)।
মানুষ ও পৃথিবীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য শেখ হাসিনা এমন একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থার আহ্বান জানিয়েছেন, যা দারিদ্র্য বিমোচনের সমাধান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন, সংঘাত প্রতিরোধ এবং জ্ঞানভিত্তিক সমাজের জন্য প্রযুক্তিগত স্থানান্তরের জন্য অর্থায়ন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি বৈশ্বিক ব্যবস্থা চাই যা দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব প্রশমন, সংঘাত প্রতিরোধ এবং জ্ঞান-ভিত্তিক সমাজের জন্য প্রযুক্তিগত স্থানান্তরের অর্থায়নের জন্য সমাধানের পথ প্রশস্ত করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই শীর্ষ সম্মেলন এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন পৃথিবী জলবায়ু পরিবর্তনের একাধিক সংকট, কোভিড-১৯ মহামারি এবং নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার চ্যালেঞ্জে জর্জরিত।
তিনি বলেন, এই চ্যালেঞ্জগুলো সমস্ত মানবজাতির শান্তি ও উন্নয়নের জন্য এক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি অন্য সম্প্রদায়ের গ্রহণ করা অপরিহার্য করে তুলেছে।’
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ খুব নগণ্য ভূমিকা রাখলেও এর পরিণতির শিকার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশেটি।
তিনি বলেন, ‘অতএব সবুজ ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি লক্ষ্য রেখে আমাদের সব উন্নয়ন প্রচেষ্টা। এখন, আমরা সার্কুলার ইকোনমি’র (উপকরণ বা পণ্যের পুনঃব্যবহার ও পুনঃউৎপাদনের উপর ভিত্তি করে যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে ওঠে) পথও বেছে নিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সচেতন অনুশীলন প্রচারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির চালু করা জীবনযাত্রার প্রচারকে সমর্থন করে।
বিশ্বব্যাংকের গ্রাউন্ডসওয়েল রিপোর্ট ২০২১ অনুসারে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ২০৫০ সালের মধ্যে ১৩ দশমিক ৩ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যূত হতে পারে।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘যদিও বাংলাদেশে প্রশমনের সুযোগ খুব কম, তবুও আমরা প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়ন এবং এসডিজি অর্জনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক প্রভাব মোকাবিলায় অনেক রূপান্তরমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
আরও পড়ুন: নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলন: বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৭ সালে তিনি আশ্রয়ণ বা গৃহহীনদের জন্য আশ্রয় নামে একটি প্রকল্প শুরু করেছিলেন।
এই উদ্যোগের আওতায় চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সরকার প্রায় ৮ লাখ ৪০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে বাড়ি ও জমি দিয়ে পুনর্বাসন করেছে।
তিনি বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত করা।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিত এবং দুর্যোগ প্রস্তুতি ও জলবায়ু অভিযোজনে শক্তিশালী অর্জন করেছে। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য আমরা ৪ হাজার ৫৩০টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করেছি। আমরা এখন বহুবিধ ব্যবহারের জন্য ‘মুজিব কিল্লা’ নামে আরও ৫৫০টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করছি।’
তিনি কনফারেন্স অন ডিজাস্টার রেসিলিয়েন্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার (সিডিআরআই)-এর জন্য ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির উদ্যোগের প্রশংসা করেন। ২০২১ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ এই প্ল্যাটফর্মে যোগ দেয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশকে ‘জলবায়ু সমৃদ্ধির ঝুঁকি থেকে স্থিতিস্থাপকতার দিকে নিয়ে যেতে আমরা মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ চালু করেছি।
১ বছর আগে
৪ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, চার লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দেওয়া পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।
বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অসহায়দের মাঝে সমাজসেবার সহায়তার চেক, কৃষকদের মাঝে সার ও বীজ এবং ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন প্রকেল্পর আওতায় সুফলভোগী জেলেদের মাঝে বকনা বাছুর বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু খুব সহজভাবে বলেছিলেন-আমি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চাই। একজন দু:খী মানুষ কখন হাসে, যখন তার পেটে ভাত, পরনে কাপড় এবং মাথা গোঁজার ঠাঁই থাকে। যখন তার ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার ব্যবস্থা থাকে, যখন আয় রোজগার এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকে।
আরও পড়ুন: ১২ বছরে কারিগরি শিক্ষা ১৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এরপর যারা সামরিক-আধাসামরিক নানান চেহারায় স্বৈরশাসন এসেছে, জিয়াউর রহমান অবৈধ ক্ষমতা দখল করে তার ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য দল গঠন করলেন। ক্যান্টনমেন্ট থেকে যে দল গঠন হয়, সে দলতো আর গণতান্ত্রিক দল হয় না। সে দল সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবের জন্য কাজ করে না। তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য কাজ করে, আর তা হয়েছেও ঠিকই।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৯৬ সালে মানুষের ভোট নিয়ে প্রধানমন্ত্রী হলেন। তখন থেকে এই যে বিধবা ভাতা, বৃদ্ধ ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, স্বামী পরিত্যাক্তাদের ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, অর্থাৎ দু:খী মানুষের পাশে দাঁড়ানো। আশ্রয়ণ প্রকল্প করে, গুচ্ছগ্রাম, ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘরে করে দেয়া। মাত্র কয়েকদিন আগে ৪০ হাজার মানুষকে ঘর করে দিলেন।
তিনি আরও বলেন, এই পর্যন্ত চার লাখ মানুষকে ঘর দিয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে। যাদের ঘর ছিল না, জায়গা ছিল না। আজকে তাদের ঘর আছে এবং কর্মসংস্থানের জন্য নানা উদ্যোগ নিয়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পৃথিবীতে এমন ঘটনা বিরল।
দীপু মনি বলেন, আজকে কৃষককে বীজ ও সার দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির আমলে সার চাওয়া হয়েছে, তখন ১৮ জন কৃষককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চাইছে, পানি চাইছে, গুলি করে মানুষ হত্যা করতে হবে কেন? শেখ হাসিনা বলেছেন, সারের পেছনে কৃষককে ছুটতে হবে না, সার কৃষকের কাছে পৌঁছে যাবে। শেখ হাসিনা সব কথা রাখেন। তিনি বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ করবেন, তা করেছেন। এখন আপনাদের সকলের হাতে হাতে মোবাইল। আজকে মানুষ না খেয়ে থাকে না, সকলের পরনে কাপড় আছে। কমিউনিটি ক্লিনিকে গেলে ৩০ প্রকারের ওষুধ পাওয়া যায়। এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিয়ে তৈরি করছেন।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু, চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) চাই থোয়াইহলা চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ইয়াসির আরাফাত, হাইমচর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী, হাইমচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হুমায়ুন প্রধানিয়া, হাইমচর উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কারণে শিক্ষাক্রমের বিরোধিতা: শিক্ষামন্ত্রী
শিক্ষার অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমকে পাশে চান শিক্ষামন্ত্রী
১ বছর আগে
৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ৭ মার্চের ভাষণ, জনসভাকে বাদ দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয় না, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ হয় না। বিশ্বের লিপিবদ্ধ ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এই ভাষণ একটি দেশ বদলে দিয়েছে, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ৭ মার্চ বিএনপি পালন করে না। যারা ৭ মার্চ পালন করে না, অস্বীকার করে, তারা স্বাধীনতাকে কতটুকু স্বীকার করে, কতটুকু বিশ্বাস করে সেটিই হচ্ছে বড় প্রশ্ন।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ অনুষ্ঠানমালায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে না আসলে বিএনপিই অস্তিত্ব সংকটে পড়বে: চট্টগ্রামে তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, ৭ মার্চকে অস্বীকার করে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয় না, অথচ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পরে বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ রাষ্ট্রীয় বেতারে, টেলিভিশনে, রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানমালায় বন্ধ ছিলো, এমনকি ভাষণের সিডি সব জায়গা থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল, ধ্বংস করা হয়েছিল। ১৯৭৭ সালে ঘরোয়া রাজনীতির অনুমতি দেয়ার আগে পর্যন্ত ৭ মার্চের ভাষণ বাজানোর অপরাধে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সরকার আমাদের দলের অনেককে গ্রেপ্তার করেছে।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৮, ’৭৯, ’৮০,’ ৮১ সালে ছাত্রলীগের নবীন কর্মী হিসেবে আমি চট্টগ্রাম শহরে জনসভার মাইকিং করতাম। কোনো গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে গেলে প্রথমে আমরা ৭ মার্চের ভাষণ বাজিয়ে দিতাম, মানুষ জমে যেতো। তারপর জনসভার কথা বলতাম।
হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ইতিহাসের একটি অন্যন্য প্রামাণ্য দলিল হিসেবে ইউনেস্কো সংরক্ষণ করেছে, বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে। পৃথিবীতে অনেক কালজয়ী ভাষণ আছে। সেই কালজয়ী ভাষণগুলোর বেশিরভাগই যেমন মেনসন ম্যান্ডেলা, নেতাজী সুভাষ বসুর ভাষণ ছিল লিখিত। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণে আমরা দেখি কোনো দাড়ি-কমা-সেমিকোলন ছাড়া, কোনো ইতস্তত ভাব ছাড়া তিনি এক নাগাড়ে দাঁড়িয়ে সব কথা বলে গিয়েছেন এবং গণমানুষের ভাষায় কথা বলেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণ একটি দেশ বদলে দিয়েছে, পৃথিবীর মানচিত্রই বদলে দিয়েছে, তাই এই ভাষণ আমার বিবেচনায় বিশ্বের লিপিবদ্ধ ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ এবং জাতিসংঘ সেই স্বীকৃতি দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আজকের এই দিনে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। শ্রদ্ধা জানাই ১৫ আগস্ট শহীদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সকল শহীদদের প্রতি। আমি প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে শুনেছিলাম যে, ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধুর গায়ে একটু তাপ, জ্বর জ্বর ভাব ছিলো। তখন অনেকেই অনেক নোট দিয়েছিলেন বলার জন্য। বঙ্গমাতা বলেছিলেন যে, তুমি যেটি দেশের জন্য, মানুষের জন্য, জাতির জন্য ভালো মনে করবে সেটাই বলবে। এবং বঙ্গবন্ধু সেটাই বলেছিলেন। তাই এখানে বঙ্গমাতারও ভূমিকা ছিল।’
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ।বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ আলোচকের বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: ৭ই মার্চের শপথ স্বাধীনতাবিরোধী পশ্চাৎমুখী অপশক্তির বিরূদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ : তথ্যমন্ত্রী
পঞ্চগড়ে কাদিয়ানিদের জলসায় হামলাকারীর বেশিরভাগই বিএনপি-জামায়াতের সমর্থক: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর: মোস্তাফা জব্বার
ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রসারের ফলে আগামী দুই বছরের মধ্যে পৃথিবী হবে ডাটা নির্ভর। প্রচলিত মিডিয়ার জায়গা দখল করে নেবে ডিজিটাল মিডিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের চাহিদা ক্রমেই বাড়তে থাকবে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল যুগে ডাটার চাহিদা মেটাতে ইকো সিস্টেম দাঁড় করাতে অপটিক্যাল ফাইভার নেটওয়ার্ক জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াসহ যে সব ক্ষেত্রে সহায়তা দরকার সরকার তাই করছে।
শনিবার রাতে ময়মনসিংহ টাউন হলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) ময়মনসিংহ বিভাগীয় আহ্বায়ক কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত হবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২: মোস্তাফা জব্বার
মোস্তফা জব্বার বলেন, সময়ের প্রয়োজনে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের বিকল্প থাকবে না। দেশে গ্রাহকদের মধ্যে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের চাহিদা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) ও ই-কমার্সসহ তথ্যপ্রযুক্তিখাতের ট্রেডবডিসমূহের অন্যতম এই সংগঠক ইন্টারনেট সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সংগঠন হিসেবে আইএসপিএবিকে শক্তিশালী করতে শাখা কমিটি গঠন অত্যন্ত ভালো একটি উদ্যোগ।
তিনি ইন্টারনেটকে মানুষের জীবনের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ইন্টারনেটকে সহজলভ্য করতে আমরা এক দেশ এক রেট চালু করেছি। আমাদের এই উদ্যোগ বিশ্বে একটি অনুকরণীয় উদ্যোগ হিসেবে এফোরএআই প্রশংসা করেছে।
ইন্টারনেটের মূল্য সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের দাম অনেক কম। ৬০ টাকায় এক এমবিপিএস ব্যান্ডউদথ পাওয়া যায়। অথচ ২০০৬ সালে এক এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিল ৭৮ হাজার টাকা, ২০০৮ সালে ২৭ হাজার টাকা এবং বর্তমানে একদেশ এক রেটের আওতায় এক এমবিপিএস ব্যান্ডউইদথ পাওয়া যায় মাত্র ৬০ টাকায়।
আরও পড়ুন: মার্চে বাণিজ্যিকভাবে ফাইভ-জি চালু হবে: মোস্তাফা জব্বার
তিনি বলেন, এখন মধুপরের পাহাড় বা হাওরে বসে ইন্টারনেটের সহায়তায় তরুণ তরুণীরা বিদেশে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করতে পারে।
২ বছর আগে