নর্থ সাউথ
নর্থ সাউথের সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেমের জামিন আপিলে বহাল
অর্থ আত্মসাৎ মামলায় বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রাস্টি এম এ কাশেমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার তার জামিন বাতিলে দুদকের আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান তার জামিন বহালের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ আদেশের ফলে এম এ কাশেমের কারামুক্তিতে কোন বাধা রইলো না। আদালতে এম এ কাশেমের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা, অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক ও ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা।
উল্লেখ্য,এর আগে গত ১৩ নভেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত এম এ কাশেমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করে। তবে আরেক ট্রাস্টি রেহানা রহমানের জামিন চেম্বার আদালত বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন
দুদকের দায়ের করা মামলায় গত ২২ মে আগাম জামিন আবেদন খারিজ করে ওই দু’জনসহ চারজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
এর পরদিন তাদের নিম্ন আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর থেকে তারা কারাগারে। পরে বিচারিক আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হলে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন তারা।
সে আবেদনের শুনানির পর আদালত তাদের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করে; কেন তাদের জামিন দেয়া হবে না, জানতে চাওয়া হয় তাতে। সে রুলটি নিষ্পত্তি করে গত ১০ নভেম্বর দেশের বাইরে এবং অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবেন না,এমন শর্তে তাদের জামিন দেন হাইকোর্ট।
পরে ১৩ নভেম্বর সকালে তাদের সে জামিন স্থগিত চেয়ে চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে দুদক। এরপর দুপুরে আবেদনের শুনানির পর রেহানা রহমানের জামিন বহাল রেখে এম এ কাশেমের জামিন স্থগিত করে আদালত। ইতোমধ্যে রেহানা রহমান কারামুক্তি পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৫ মে ছয় মামলা করে দুদক।
এতে আসামি করা হয়- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের তৎকালীন চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
এরপর গত ২১ অক্টোবর ছয় আসামির সঙ্গে আরও তিনজনকে যুক্ত করে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করে দুদক।
এই তিন আসামি হলেন- আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, পরিচালক আনোয়ারা বেগম ও সৈয়দ এ কে আনোয়ারুজ্জামান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ,বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের জন্য কম দামে জমি কিনলেও বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতাকে টাকা দেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোক দিয়ে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা তুলে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করেন। পরে এফডিআর ভেঙে টাকা আত্মসাৎ করেন।
এই প্রক্রিয়ায় টাকা আত্মসাৎ করে তারা অর্থ পাচারের অপরাধ করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: হোটেল থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার
নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন খারিজ
২ বছর আগে
নর্থ সাউথের ট্রাস্টি কাশেমের জামিন স্থগিত, রেহেনার জামিন বহাল
অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম এ কাশেমকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত।
তবে ট্রাস্টি বোর্ডের অপর সদস্য রেহেনা রহমানের জামিন বহাল রেখেছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের শুনানি করে রবিবার (১৩ নভেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে দুই আসামির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট মুরাদ রেজা, শাহ মঞ্জুরুল হক ও ব্যারিস্টার সাঈদ আহমেদ রাজা।
বৃহস্পতিবার ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের দুই সদস্য এম এ কাশেম ও রেহেনা রহমানকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন খারিজ
জামিনের শর্তে বলা হয়, তারা আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে যেতে পারবে না ও অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যেতে পারবেন না। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রবিবার সকালে ওই জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
১২ মে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
উপপরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকায় এ মামলা করেন কমিশনের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান জানান।
ওই চারজন ছাড়া মামলার অপর দুই আসামি হলো-নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন বা সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯ হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা দেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে দেন।
পরে নিজেরা ওই এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
‘অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।’
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
২২ মে অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্যের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। তাদের শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিম্ন আদালতে হাজির করতে বলা হয়। ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্য হলো-এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান।
আদালত আদেশে বলেন, আবেদনকারী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় আবেদনকারী অভিযুক্তরা আগাম জামিন পেতে পারেন না। তাছাড়া আগাম জামিন পাওয়ার মতো যৌক্তিক, গ্রহণযোগ্য কারণ তারা আদালতকে দেখাতে পারেননি। যে কারণে আগাম জামিনের আবেদন সরাসরি খারিজ করে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হলো।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেয়া হলো, হেফাজতে পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যেন আসামিদের সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির করা হয়।
২৩ মে তাদের নিম্ন আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
সেই থেকে কারাগারে আছেন তারা।
এরপর নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তারা। এর মধ্যে ২ আগস্ট অর্থ আত্মসাতের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের দুই সদস্য এম এ কাশেম ও রেহেনা রহমানকে কেন জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
পরে এই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি করে বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন
হোটেল থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের লাশ উদ্ধার
২ বছর আগে
শর্ত সাপেক্ষে নর্থ সাউথের সাবেক ২ ট্রাস্টির হাইকোর্টে জামিন
ক্যাম্পাসের জন্য জমি কেনার নামে প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা পাচারের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের সাবেক দুই সদস্যকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, এনএসইউ’র ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সদস্য এম এ কাশেম এবং রেহানা রহমানকে এই শর্তে জামিন দেয়া হয়েছিল যে অনুমতি ছাড়া দেশত্যাগ কিংবা এনএসইউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করবেন না।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান এবং আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও সৈয়দ আহমেদ রাজা।
আরও পড়ুন: অবৈধ ইটভাটা ধ্বংসের নির্দেশ বাস্তবায়ন হয়নি, পরিবেশের ডিজিসহ ৫ ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
চলতি বছরের ২ আগস্ট হাইকোর্ট এই মামলায় কেন দুই এনএসইউ ট্রাস্টি বোর্ড সদস্যকে জামিন দেয়া হবে না তার ব্যাখ্যা চেয়ে একটি রুল জারি করেছে।
এর আগে এ বছরের ২২ মে আদালত এই মামলায় তাদের আগাম জামিনের আবেদন নাকচ করে এনএসইউ’র চার ট্রাস্টিকে গ্রেপ্তারের জন্য শাহবাগ পুলিশকে নির্দেশ দেয়।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বেনজীর আহমেদ ও মোহাম্মদ শাহজাহান।
গত ৫ মে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসের জমি কেনার নামে ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলা করে দুদক।
অপর আসামি হলেন- আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মোহাম্মাদ হিলালী।
এই মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী।
মামলায় বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন উপেক্ষা করে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের সম্মতিতে এনএসইউ’র ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমি ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরে নিজেরা উক্ত এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।
এ ধরনের বেআইনি কর্মকাণ্ড পরিচালনায় তারা জালিয়াতি করেছে এবং কমিশন আদান-প্রদানের মাধ্যমে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে।
আরও পড়ুন: ‘বন্ধ’ করা অবৈধ ইটভাটার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট
৪ জেলায় অবৈধ ইটভাটা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
২ বছর আগে
নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিন আবেদন খারিজ
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টির আগাম জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদেরকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যে চার ট্রাস্টিকে পুলিশের হাতে দেয়া হয়েছে তারা হলেন- রেহানা রহমান, এম এ কাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান ও বেনজীর আহমেদ। শাহবাগ থানা পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব আসামিকে বিচারিক আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগাম জামিন নিতে হাজির হলে তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জামিন আবেদন নামঞ্জুর: কারাগারে হাজী সেলিম
আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, আইনজীবী ফিদা এম কামাল, আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও আইনজীবী মিজান সাঈদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান।
পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, চার আসামি আগাম জামিন নিতে এসেছিল হাইকোর্টে। তাদের জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকায় এ মামলা করেন বলে কমিশনের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান জানান। জামিন আবেদনকারী চারজন ছাড়া মামলার বাকি দুই আসামি হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় সাবেক ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন খারিজ
এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আসামিরা অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।’ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর
২ বছর আগে
নর্থ সাউথের জমি ক্রয়ে দুর্নীতি: চার ট্রাস্টির জামিনের আদেশ বৃহস্পতিবার
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় অভিযুক্ত চার আসামির করা পৃথক আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। বুধবার শুনানি গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার পুনরায় শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি গ্রহণ শেষে এদিন আদেশ দেবেন। জামিন আবেদনকারী ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চার সদস্য হলেন-এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান ও মোহাম্মদ শাহজাহান।
আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল এবং ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন মানিক।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত ২৭ টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকায় এ মামলা করেন বলে কমিশনের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান জানান।
মামলার আসামিরা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ, বোর্ডের চার সদস্য এম এ কাশেম, বেনজীর আহমেদ, রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে তারা প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা দেয়। পরবর্তীতে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন। পরবর্তীতে নিজেরা উক্ত এফডিআরের অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। ‘অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।’
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন- ২০১০ অনুযায়ী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন অ্যান্ড আর্টিকেলস (রুলস অ্যান্ড রেগুলেশনস) অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন: পিকে হালদারকে গ্রেপ্তারে ভারতকে ধন্যবাদ দেয়া উচিৎ: হাইকোর্ট
চট্টগ্রামে সস্ত্রীক সাবেক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দুদকের আরও মামলা
২ বছর আগে