অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ট্রাস্টির আগাম জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাদেরকে শাহবাগ থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যে চার ট্রাস্টিকে পুলিশের হাতে দেয়া হয়েছে তারা হলেন- রেহানা রহমান, এম এ কাশেম, মোহাম্মদ শাহজাহান ও বেনজীর আহমেদ। শাহবাগ থানা পুলিশকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব আসামিকে বিচারিক আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আগাম জামিন নিতে হাজির হলে তাদের জামিন আবেদন খারিজ করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: জামিন আবেদন নামঞ্জুর: কারাগারে হাজী সেলিম
আদালতে আসামি পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসি, আইনজীবী ফিদা এম কামাল, আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও আইনজীবী মিজান সাঈদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনির, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ ও এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মো. খুরশীদ আলম খান।
পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, চার আসামি আগাম জামিন নিতে এসেছিল হাইকোর্টে। তাদের জামিন আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে তাদেরকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের জমি কেনা বাবদ অতিরিক্ত ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে গত ১২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। দুদকের উপ-পরিচালক মো. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকায় এ মামলা করেন বলে কমিশনের মহাপরিচালক সাঈদ মাহবুব খান জানান। জামিন আবেদনকারী চারজন ছাড়া মামলার বাকি দুই আসামি হলেন-বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলায় সাবেক ডিআইজি মিজানের জামিন আবেদন খারিজ
এজাহারে বলা হয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে ট্রাস্টি বোর্ডের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন/সম্মতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯০৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির দাম ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা বেশি দেখিয়ে তা আত্মসাৎ করা হয়েছে। আসামিরা অবৈধ ও অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য ওই অর্থ হস্তান্তর ও স্থানান্তর মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন।’ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর