আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ শনিবার ঢাকায় আসবে
বিশিষ্ট লেখক ও কলামিস্ট আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ শনিবার রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় ঢাকায় আসবে।
বুধবার যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম জানিয়েছেন, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট শনিবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন ইতোমধ্যে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য ১৯৭৪ সালে লন্ডনে আসেন।
গাফ্ফার চৌধুরীর ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রীর পাশে দাফন করা হবে।
গাফ্ফার চৌধুরীর পরিবারের সদস্যদেরও একই ফ্লাইটে ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
গত ১৯ মে প্রবীণ এই সাংবাদিক ৮৮ বছর বয়সে লন্ডনের একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সম্প্রদায় এবং অন্যান্য অনুরাগীরা বিশিষ্ট লেখক এবং কলামিস্ট গাফ্ফার চৌধুরীকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
তিনি ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো’ গানটি লেখার জন্য সর্বাধিক পরিচিত।
এই প্রয়াত সাংবাদিক ও গীতিকারের স্মরণে পূর্ব লন্ডনে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
আরও পড়ুন: আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
২ বছর আগে
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ এর রচয়িতা আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এক শোকবার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর অবদান অবিস্মরণীয়।
ড. মোমেন বলেন, বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এবং আমাদের মুক্তিসংগ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ে গাফ্ফার চৌধুরীর লেখনি বিশেষ করে, তাঁর লেখা ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গান এক অমর সৃষ্টি। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধকালীণ তাঁর প্রকাশিত পত্রিকা ‘জয় বাংলা’ মুক্তিযোদ্ধাদের যথেষ্ট অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক কলম যোদ্ধাকে হারিয়েছে বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি মরহুম আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আর নেই
২ বছর আগে
আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বিশিষ্ট প্রবীণ সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী ও স্বাধীনতাপদক প্রাপ্ত লেখক আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' গানের রচয়িতা আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরী তাঁর মেধা-কর্ম ও লেখনিতে এই দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখেছেন, ও বাঙালির অসাম্প্রদায়িক মননকে ধারণ করে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে সমর্থন করে জাতির সামনে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে আমৃত্যু কাজ করে গেছেন।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশ সরকার নিবন্ধিত সাপ্তাহিক জয় বাংলা পত্রিকায় বিভিন্ন লেখালেখির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছেন। পরবর্তীতে তিনি প্রবাসে থেকেও তাঁর লেখনীর মাধ্যমে বাঙালির মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
তিনি আরও বলেন, আব্দুল গাফ্ফার চৌধুরীর সঙ্গে আমার বহু স্মৃতি। অনেক পরামর্শ পেয়েছি। একজন বিজ্ঞ ও পুরোধা ব্যক্তিত্বকে হারালাম, যিনি তাঁর লেখা ও গবেষণায় আমাদের বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী আর নেই
বিশিষ্ট গীতিকার ও সাংবাদিক কে জি মোস্তফা মারা গেছেন
২ বছর আগে